আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল হিজরের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল হিজর | Surah Al Hijr | سورة الحجر



সূরা আল হিজরের বাংলা অনুবাদ


সূরা আল হিজর, মক্কায় অবতীর্ণ- আয়াত ৯৯, রুকু ৬

সূরা আল হিজর



রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে

১. আলিফ লাম-রা | এগুলো হচ্ছে সেই মহান গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কোরআনের আয়াত ।

২. (এমন একটি দিন অবশ্যই আসবে যেদিন) যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করেছে তারা চাইবে, যদি (সত্যি সত্যিই) তারা মুসলমান হয়ে যেতো!

৩. (হে নবী,) তুমি তাদের (নিজ নিজ অবস্থার ওপর) ছেড়ে দাও, তারা খাওয়া দাওয়া করুক, ভোগ উপভোগ করতে থাকুক, (মিথ্যা) আশা তাদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখুক, অচিরেই তারা জানতে পারবে (কোন্ প্রতারণার জালে তারা আটকে পড়েছিলো)।

৪. যে কেনো জনপদকেই আমি ধ্বংস করি না কেন- তার (ধ্বংসের) জন্যে একটি সুনির্দিষ্ট সময় আগে থেকেই লিপিবদ্ধ থাকে।

৫. কোনো জাতিই তার (ধ্বংসের) কাল (যেমন) ত্বরান্বিত করতে পারে না, (তেমনি) তারা তা বিলম্বিতও করতে পারে না।

৬. তারা বলে, ওহে- যার ওপর কোরআন নাযিল করা হয়েছে- তুমি অবশ্যই একজন উন্মাদ ব্যক্তি।

৭. তুমি সত্যবাদী (নবী) হলে আমাদের সামনে ফেরেশতাদের নিয়ে আসো না কেন!

৮. (হে নবী, তুমি তাদের বলো,) আমি ফেরেশতাদের (কখনো) কোনো সঠিক (কারণ) ছাড়া নাযিল করি না, (তাছাড়া একবার যদি আযাবের আদেশ নিয়ে) ফেরেশতারা এসেই যায়, তবে তো আর তাদের কোনো অবকাশই দেয়া হবে না।

৯. আমিই উপদেশ (সম্বলিত কোরআন) নাযিল করেছি এবং আমিই তার সংরক্ষণকারী।

১০. তোমার আগেও পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মাঝে আমি রসুল পাঠিয়েছিলাম।

১১. তাদের কাছে এমন একজন রসুলও আসেনি, যার সাথে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করেনি।

১২. এভাবেই আমি অপরাধীদের অন্তরে (ঠাট্টা বিদ্রূপের) এ (প্রবণতা)-কে সঞ্চার করে দেই,

১৩. এরা কোনো অবস্থায়ই তার ওপর ঈমান আনবে না, (আসলে) এ নিয়ম তো আগের মানুষদের থেকেই চলে এসেছে।

১৪. আমি যদি এদের ওপর আসমানের দরজাও খুলে দেই, অতপর তারা যদি তাতে চড়তেও শুরু করে (তারপরও এরা ঈমান আনবে না),

১৫. বরং বলবে, আমাদের দৃষ্টিই মোহাবিষ্ট হয়ে গেছে, কিংবা আমরা হচ্ছি এক যাদুগ্রস্ত্র সমপ্রদায়।

১৬. (তাকিয়ে দেখো, কিভাবে) আমি আকাশে গম্বুজ তৈরী করে রেখেছি, অতপর তাকে দর্শকদের জন্যে (তারকারাজি দ্বারা) সুসজ্জিত করে রেখেছি,

১৭. তাকে আমি প্রতিটি অভিশপ্ত শয়তান থেকে হেফাযত করে রেখেছি।

১৮. হাঁ, যদি কেউ চুরি করে (ফেরেশতাদের) কোনো কথা শুনতে চায় তাহলে সাথে সাথেই একটি প্রদীপ্ত উচ্চা তার পেছনে ধাওয়া করে।

১৯. আমি যমীনকে বিস্তৃত করে (বিছিয়ে দিয়েছি, ওতে আমি পর্বতমালাকে (পেরেকের মতো) গেড়ে দিয়েছি, (যেন তা নড়াচড়া করতে না পারে) এবং তাতে প্রতিটি জিনিস আমি সুপরিমিতভাবে উৎপাদন করেছি।

২০. ওতে আমি তোমাদের জন্যে এবং অন্য সব সৃষ্টির জন্যে জীবিকার ব্যবস্থা করেছি, তোমরা যাদের (কারোই) রেযেকদাতা নও।

২১. কোনো জিনিস এমন নেই যার ভান্ডার আমার হাতে নেই এবং সুনির্দিষ্ট একটি পরিমাণ ছাড়া আমি তা নাযিল করি না।

২২. আমিই বৃষ্টি-গৰ্ভ বায়ু প্রেরণ করি, তারপর আমিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, অতপর আমিই তোমাদের তা পান করাই, তোমরা নিজেরা তো তার এমন কোনো ভান্ডার জমা করে রাখোনি (যে, সেখান থেকে এসব সরবরাহ আসছে)।

২৩. অবশ্যই আমি (তোমাদের) জীবন দান করি, (আবার) আমিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাই, (সর্বশেষে) আমিই হবো (সব কিছুর নিরংকুশ) মালিক।

২৪. তোমাদের আগে যারা (এ যমীন থেকে) গত হয়ে গেছে তাদের (যেমন) আমি জানি, তেমনি তোমাদের পরবর্তীদেরও আমি (ভালো করে) জানি।

২৫. নিসন্দেহে তোমার মালিক একদিন তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন; তিনি অবশ্যই প্রবল প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।

২৬. অবশ্যই আমি মানুষকে ছাঁচে ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে পয়দা করেছি,

২৭. আর (হাঁ,) জিন! তাকে আমি আগেই আগুনের উত্তপ্ত শিখা থেকে সৃষ্টি করেছি।

২৮. (স্মরণ করো,) যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, আমি (অচিরেই) ছাঁচে ঢালা ঠনঠনে শুকনো মাটি থেকে মানুষ পয়দা করতে যাচ্ছি ।

২৯. অতপর যখন আমি তাকে পুরোপুরি সুঠাম করে নেবো এবং আমার রূহ থেকে (কিছু) তাতে ফুঁকে দেবো, তখন তোমরা সবাই তার সামনে সাজদাবনত হয়ে যাবে,

৩০. অতপর (আল্লাহর আদেশে) ফেরেশতারা সবাই সাজদা করলো,

৩১. একমাত্র ইবলীস ছাড়া সে সাজদাকারীদের দলভুক্ত হতে অস্বীকার করলো।

৩২. আল্লাহ তায়ালা বললেন, তোমার কি হলো, তুমি যে সাজদাকারীদের দলে শামিল হলে না!

৩৩. সে বললো (হে আল্লাহ), আমি কখনো এমন মানুষের জন্যে সাজদা করতে পারি না- যাকে তুমি ছাঁচে ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে বানিয়েছো।

৩৪. আল্লাহ তায়ালা বললেন, (তাই যদি বলো) তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, কেননা তুমি অভিশপ্ত, ৩৫. হিসাব নিকাশের দিন পর্যন্ত তোমার ওপর অভিশাপ।

৩৬. সে বললো (হে মালিক, তাহলে) তুমিও আমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দাও যেদিন তাদের পুনরায় জীবিত করা হবে।

৩৭. আল্লাহ তায়ালা বললেন (হাঁ যাও), যাদের (এ) অবকাশ দেয়া হয়েছে তুমি তাদের অন্তরভুক্ত (হলে),

৩৮. (এ অবকাশ) সুনির্দিষ্ট সময় আসার দিন পর্যন্ত।

৩৯. সে বললো, হে আমার মালিক, তুমি যেভাবে (আজ) আমাকে পথভ্রষ্ট করে দিলে (আমিও তোমার শপথ করে বলছি), আমি মানুষদের জন্যে পৃথিবীতে তাদের (গুনাহের কাজসমূহ) শোভন করে তুলবো এবং তাদের সবাইকে আমি পথভ্রষ্ট করে ছাড়বো,

৪০. তবে তাদের মধ্যে যারা তোমার খাঁটি বান্দা তাদের কথা আলাদা।

৪১. আল্লাহ তায়ালা বললেন, (আমার নিষ্ঠাবান বান্দাহদের জন্যে মূলত) আমার কাছ পর্যন্ত (পৌঁছানোর) এটাই হচ্ছে সহজ সরল পথ।

৪২. (হাঁ,) এ গোমরাহ মানুষদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে তারা ছাড়া অন্যরা অবশ্যই আমার (খাঁটি) বান্দা, তাদের ওপর তোমার কোনো আধিপত্য চলবে না।

৪৩. আর অবশ্যই জাহান্নাম হচ্ছে তাদের সবার প্রতিশ্রুত স্থান,

৪৪. তাতে থাকবে সাতটি (বিশালকায়) দরজা (আবার) এগুলোর প্রতিটি দরজা (দিয়ে প্রবেশ করা)-এর জন্যে থাকবে এক একটা নির্দিষ্ট অংশ।

৪৫. (এর বিপরীত) যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) ভয় করে তারা অবশ্যই (সেদিন) জান্নাত ও ঝর্ণাধারায় (বহুমুখী নেয়ামতে) অবস্থান করবে;

৪৬. (এই বলে তাদের অভিবাদন জানানো হবে,) তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে সেখানে প্রবেশ করো।

৪৭. তাদের অন্তরে ঈর্ষা বিদ্বেষ যাই থাক আমি (সেদিন) তা দূর করে দেবো, তারা একে অপরের ভাই হয়ে পরস্পরের মুখোমুখি সেখানে অবস্থান করবে।

৪৮. সেখানে তাদের কোনোরকম অবসাদ স্পর্শ করবে না, আর তাদের সেখান থেকে কোনো দিন বেরও করে দেয়া হবে না।

৪৯. (হে নবী,) তুমি আমার বান্দাদের একথা বলে দাও, আমি অবশ্যই অসীম ও পরম দয়ালু,

৫০. (তাদের আরো বলে দাও) নিসন্দেহে আমার আযাবও হচ্ছে অত্যন্ত কঠোর।

৫১. (হে নবী,) তুমি তাদের ইবরাহীমের মেহমানের কাহিনী থেকে (কিছু কথা) শোনাও।

৫২. যখন তারা তার কাছে হাযির হয়ে বললো, (তোমার ওপর) 'সালাম', তখন সে (তাদের ভাব ভংগি দেখে) বললো, আমরা অবশ্যই তোমাদের ব্যাপারে শংকিত।

৫৩. ওরা বললো, না, তুমি আশংকা করো না, আমরা তোমাকে এক জ্ঞানবান সন্তানদানের শুভ সংবাদ দিচ্ছি।

৫৪. সে বললো, তোমরা আমার (এমন অবস্থার) ওপর (সন্তানদানের) সুসংবাদ দিচ্ছো- (যখন) বার্ধক্য (-জনিত অবস্থা) আমাকে স্পর্শ করে ফেলেছে, অতপর (এ অবস্থায়) তোমরা আমাকে কিসের সুসংবাদ দেবে?

৫৫. তারা বললো, হাঁ, আমরা তোমাকে সঠিক সুসংবাদই দিচ্ছি, অতএব তুমি হতাশাগ্রস্তদের দলভুক্ত হয়ো না। 

৫৬. সে বললো, গোমরাহ ব্যক্তি ছাড়া আল্লাহর রহমত থেকে কে নিরাশ হতে পারে?

৫৭. হে (আল্লাহর পাঠানো) ফেরেশতারা, বলো (আমাকে এ সুসংবাদ দেয়া ছাড়া) তোমাদের (সামনে) আর কি (অভিযান) রয়েছে?

৫৮. তারা বললো (হাঁ), আমাদের এক নাফরমান জাতির বিরুদ্ধে (অভিযানে) পাঠানো হয়েছে (যারা অচিরেই বিনাশ হয়ে যাবে)।

৫৯. তবে লূতের আপনজনরা বাদে; আমরা অবশ্যই (আযাবের সময়) তাদের সবাইকে উদ্ধার করবো।

৬০. কিন্তু তার স্ত্রীকে নয় (আল্লাহ তায়ালা তার ব্যাপারে বলেন), আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি, সে (আযাবের সময়) পশ্চাদ্বর্তী দলভুক্ত হয়ে থাকবে।

৬১. যখন (সে) ফেরেশতারা লুতের পরিবার পরিজনদের কাছে এসে হাযির হলো,

৬২. (তখন) সে বললো আপনারা তো (দেখছি) অপরিচিত ধরনের লোক।

৬৩. তারা বললো (না আসলে তা নয়), আমরা তো বরং তাদের কাছে সে (আযাবের) বিষয়টাই নিয়ে এসেছি, যার ব্যাপারে তারা ছিলো সন্দিগ্ধ।

৬৪. আমরা (তোমার কাছে) সত্য সংবাদ নিয়ে এসেছি এবং আমরা (হচ্ছি) সত্যবাদী।

৬৫. সুতরাং তুমি রাতের কিছু অংশ থাকতে তোমার লোকজনসহ (এ জনপদ থেকে) বেরিয়ে পড়ো এবং তুমি নিজে তাদের পেছনে পেছনে চলতে থেকো, (সাবধান!) তোমাদের মধ্যে একজনও যেন পেছনে ফিরে না তাকায়, (ঠিক) যেদিকে (যাওয়ার জন্যে) তোমাদের আদেশ করা হবে, সেদিকেই চলতে থাকবে।

৬৬. (ইতিমধ্যে) আমি তার কাছে এ ফয়সালা পাঠিয়ে দিয়েছি যে, এ জনপদের মানুষগুলোকে ভোর হতেই মূলোৎপাটিত করে দেয়া হবে।

৬৭. (ইতিমধ্যে) নগরের অধিবাসীরা উল্লসিত হয়ে (লুতের কাছে এসে) হাযির হলো।

৬৮. (এদের আসতে দেখে) সে বললো (হে আমার দেশবাসী), এরা হচ্ছে আমার মেহমান, (এদের সাথে অশালীন আচরণ করে) তোমরা আমাকে অপমান করো না।

৬৯. তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং আমাকে (এদের সামনে) হেয় করো না।

৭০. তারা বললো, আমরা কি তোমাকে সৃষ্টিকূলের (মেহমানদারী করা) থেকে নিষেধ করিনি?

৭১. (এদের উক্তি শুনে) সে বললো, (একান্তই) যদি তোমরা কিছু (কামনা বাসনা চরিতার্থ) করতে চাও, তবে এখানে আমার (জাতির) মেয়েরা রয়েছে (এদের বিয়ে করে তোমরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারো);

৭২. (আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে নবী,) তোমার জীবনের শপথ করে বলছি, সেদিন) এরা নিদারুণ এক নেশায় বিভোর হয়ে পড়েছিলো (আল্লাহর গর্বের কোনো কথাই এরা বিশ্বাস করলো না)।

৭৩. অতপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই এক মহানাদ (এসে) তাদের ওপর আঘাত হানলো,

৭৪. তারপর আমি তাদের নগরগুলো উলটিয়ে দিলাম এবং ওদের ওপর পাকানো মাটির পাথরের বৃষ্টি বর্ষণ করলাম;

৭৫. অবশ্যই এ (ঘটনার) মাঝে পর্যবেক্ষনসম্পন্ন মানুষদের জন্যে (শিক্ষার) বহু নিদর্শন রয়েছে।

৭৬. (ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন হিসেবে) তা (আজো) রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে (আছে)।

৭৭. অবশ্যই এর মাঝে ঈমানদারদের জন্যে (আল্লাহর) নিদর্শন (মজুদ) রয়েছে;

৭৮. (লুতের জাতির মতো) 'আইকা'র অধিবাসীরাও যালেম ছিলো।

৭৯. অতপর আমি তাদের কাছ থেকেও (তাদের নাফরমানীর) প্রতিশোধ নিলাম, আর (আজ এ) উভয় (জনপদই আযাবের চিহ্ন বহন করে) প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে;

৮০. (একইভাবে) 'হেজর বাসীরাও নবীদের অস্বীকার করেছিলো,

৮১. আমি আমার নিদর্শনসমূহ তাদের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতপর তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো,

৮২. তারা পাহাড় কেটে কেটে নিজেদের জন্যে ঘর বানাতো (এ আশায় যে), তারা (সেখানে) নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে পারবে।

৮৩. অতপর (নাফরমানীর জন্যে একদিন) প্রত্নঃষে তাদের ওপর মহানাদ এসে আঘাত হানলো,

৮৪. সুতরাং তারা (জীবনভর) যা কিছু কামাই করেছে, (আল্লাহর গযবের সামনে) তা কোনোই কাজে আসেনি।

৮৫. (জেনে রেখো,) আকাশমালা, যমীন এবং এ দুয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে তার কোনোটাই আমি অযথা পয়দা করিনি; অবশ্যই (সব কিছুর শেষে) একদিন কেয়ামত আসবে (এবং এ সৃষ্টিলীলা ধ্বংস হয়ে যাবে), অতএব হে নবী, তুমি পরম ঔদাসীন্যের সাথে (ওদের) উপেক্ষা করো।

৮৬. নিশ্চয়ই তোমার মালিক হচ্ছেন এক মহাস্রষ্টা, মহাজ্ঞানী।

৮৭. অবশ্যই আমি তোমাকে সাত আয়াত (বিশিষ্ট একটি সূরা) দিয়েছি, যা (নামাযের ভেতর ও বাইরে) বার বার পঠিত হয়- আরো দিয়েছি (জীবন বিধান হিসাবে) মহান (গ্রন্থ) কোরআন।

৮৮. আমি এ (কাফেরদের) মাঝে কিছু লোককে ভোগ বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, তার প্রতি তুমি কখনো তোমার দু'চোখ তুলে তাকাবে না, তাদের (অবস্থার) ওপর তুমি কোনো লোভ করবে না, (ওদের কথা বাদ দিয়ে) বরং তুমি ঈমানদারদের দিকেই ঝুঁকে থেকো।

৮৯. (সবাইকে) বলে দাও, আমি হচ্ছি (জাহান্নামের) সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র,

৯০. যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত তাদের ওপরও আমি এভাবেই (কেতাব) নাযিল করেছিলাম,

৯১. (এরা হচ্ছে সেসব লোক) যারা কোরআনকে টুকরো টুকরো করেছে।

৯২. সুতরাং (হে নবী,) তোমার মালিকের শপথ, ওদের আমি অবশ্যই প্রশ্ন করবো,

৯৩. (প্রশ্ন করবো) সেসব বিষয়ে যা কিছু (আচরণ) তারা (কোরআনের সাথে) করেছে।

৯৪. অতএব তোমাকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তুমি খোলাখুলি জনসম্মুক্ষে তা বলে দাও এবং (এর পরও) যারা (আল্লাহর সাথে) শরীক করে তাদের তুমি উপেক্ষা করো।

৯৫. বিদ্রূপকারী ব্যক্তিদের মোকাবেলায় আমিই তোমার জন্যে যথেষ্ট,

৯৬. যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে মাবুদ বানিয়ে নিয়েছে তারা অচিরেই (তাদের পরিণাম) জানতে পারবে।

৯৭. (হে নবী,) আমি (একথা) ভালো করেই জানি, ওরা যা কিছু বলে তাতে তোমার অন্তর সংকুচিত হয়,

৯৮. অতএব তুমি তোমার মালিকের প্রশংসা দ্বারা তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো এবং তুমিও সাজদাকারীদের দলে শামিল হয়ে যাও,

৯৯. (হে নবী,) যতক্ষণ পর্য ন্ত তোমার কাছে নিশ্চিত (মৃত্যুজনিত) ঘটনা না আসবে ততোক্ষণ পর্য ন্ত তুমি তোমার মালিকের এবাদাত করতে থাকো।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url