আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল আহকাফ’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আল আহকাফ | Surah Al Ahqaaf | الأحقاف


সূরা আল আহকাফ’এর বাংলা অনুবাদ


সূরা আল আহকাফ, মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত ৩৫, রুকু ৪

সূরা আল আহকাফ



রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে

১. হা, মীম,

২. আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকেই (এ) কেতাব (আল কোরআন)-এর অবতরণ, (যিনি) মহাপরাক্রমশালী ও প্রবল প্রজ্ঞাময়।

৩. আকাশমন্ডলী ও যমীন এবং তাদের উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে এগুলোকে আমি যথাযথ (লক্ষ্য) ছাড়া সৃষ্টি করিনি এবং (এগুলো) এক সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে (পয়দা করেছি), (কিন্তু এ মহাসত্যের) অস্বীকারকারী ব্যক্তিরা যে যে জিনিস দিয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছিলো তার থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয় ।

৪. (হে নবী,) তুমি (তাদের) বলো, তোমরা কখনো কি (ভেবে) দেখেছো, (আজ) যাদের তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে ডাকছো আমাকে একটু দেখাও তো, তারা এ যমীনের কোনো অংশও কি নিজেরা বানিয়েছে, অথবা এ আকাশমন্ডলী বানানোর কাজে তাদের কি কোনো ভূমিকা আছে? এর আগের কেতাবপত্র কিংবা সে সূত্র ধরে চলে আসা জ্ঞানের (অন্য) কোনো অবশিষ্ট প্রমাণ যদি তোমাদের হাতে মজুদ থাকে, তাহলে তাও এনে আমার কাছে হাযির করো যদি তোমরা সত্যবাদী হও!

৫. তার চাইতে বেশী বিভ্রান্ত ব্যক্তি কে হতে পারে, যে আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কেয়ামত পর্যন্ত (ডাকলেও) তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না, তারা তো তাদের (ভক্তদের) ডাক থেকে সম্পূর্ণ বেখবর।

৬. যখন গোটা মানব জাতিকে জড়ো করা হবে, তখন এরা তাদের দুশমনে পরিণত হয়ে যাবে এবং এরা তাদের এবাদাতও সম্পূর্ণ অস্বীকার করবে ।

৭. যখন এদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমুহ পড়ে শোনানো হয় তখন কাফেররা সে সত্য সম্পর্কে বলে, যা তখন তাদের সামনে এসে গেছে এটা হচ্ছে সুস্পষ্ট যাদু!

৮. তারা কি একথা বলতে চায়, সে (রসুল) নিজেই তা বানিয়ে নিয়েছে; তুমি তাদের বলো, (হ্যাঁ) সত্যিই যদি এমন কিছু আমি (আল্লাহর নামে) বানিয়ে পেশ করি, তাহলে আল্লাহর (ক্রোধ) থেকে আমার (বাঁচানোর) জন্যে তোমরা তো কোনো ক্ষমতাই রাখো না; আল্লাহ তায়ালা ভালো করেই জানেন তোমরা তার মধ্যে কি কি কথা নিজেরা বানিয়ে বানিয়ে বলছো এবং তোমাদের ও আমার মাঝে (কে কথা বানাচ্ছে; এ কথার) সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট; আল্লাহ তায়ালা একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

৯. তুমি বলো, রসুলদের মাঝে আমি তো নতুন নই, আমি এও জানি না, আমার সাথে কি (ধরনের আচরণ) করা হবে এবং তোমাদের সাথেই বা কী (ব্যবহার করা) হবে; আমি শুধু সেটুকুরই অনুসরণ করি যেটুকু আমার কাছে ওহী করে পাঠানো হয়, আর আমি তোমাদের জন্যে সুস্পষ্ট সতর্ককারী বৈ কিছুই নই।

১০. তুমি (আরো) বলো, তোমরা কি কখনো এ কথা ভেবে দেখেছো, এ (মহাগ্রন্থ)-টা যদি আল্লাহর কাছ থেকে (নাযিল হয়ে থাকে এবং তোমরা তা অস্বীকার করো (তাহলে এর পরিণাম কি হবে) এবং এর ওপর বনী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী যেখানে সাক্ষ্য প্রদান করে তার ওপর ঈমান এনেছে, (তারপরও) তোমরা অহংকার করলে, (জেনে রেখো) আল্লাহ তায়ালা কখনো সীমালংঘনকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না ।

১১. যারা অস্বীকার করেছে তারা ঈমানদারদের সম্পর্কে বলে, যদি (ঈমান আনার মাঝে) সত্যিই কোনো কল্যাণ থাকতো তাহলে (কতিপয় সাধারণ মানুষ) আমাদের আগে তার দিকে এগিয়ে যেতো না, যেহেতু এরা নিজেরা কখনো পথের কোনো দিশা পায়নি, তাই অচিরেই তারা বলতে শুরু করবে, এ তো হচ্ছে একটি পুরনো (ও মিথ্যা) অপবাদ!

১২. এর আগে (মানুষদের) পথপ্রদর্শক ও (আল্লাহর) রহমত হিসেবে মুসার কেতাব (তাদের কাছে মজুদ) ছিলো; আর এ কেতাব তো পূর্ববর্তী কেতাবের সত্যতা স্বীকার করে, (এটা এসেছে) আরবী ভাষায়, যেন তা সীমালংঘনকারীদের সাবধান করে দিতে এবং ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের জন্যে তা হতে পারে সুসংবাদ ।

১৩. যেসব মানুষ (একথা) বলে, আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন আমাদের একমাত্র মালিক, অতপর তারা (এর ওপর ) অবিচল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে কোনো ভয় শংকা নেই এবং তাদের (কখনো) উদ্বিগ্নও হতে হবে না,

১৪. তারাই হবে জান্নাতের অধিকারী, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে, এ হচ্ছে তাদের সেই কাজের পুরস্কার যা তারা (দুনিয়ায়) করে এসেছে।

১৫. আমি মানুষকে আদেশ দিয়েছি সে যেন নিজের পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করে; (কেননা) তার মা তাকে অত্যন্ত কষ্ট করে পেটে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে এবং (এভাবে) তার গর্ভধারণকালে ও (জন্মের পর) তাকে দুধ পান করানোর (দীর্ঘ) তিরিশটি মাস সময়; অতপর সে তার পূর্ণ শক্তি (অর্জনের বয়েস) পর্যন্ত পৌঁছয় এবং (একদিন) সে চল্লিশ বছরে এসে উপনীত হয়, তখন সে বলে, হে আমার মালিক, এবার তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও তুমি আমার ওপর (শুরু থেকে) যেসব অনুগ্রহ করে এসেছো এবং আমার পিতা মাতার ওপর যে অনুগ্রহ তুমি করেছো, আমি যেন এর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি, (সর্বোপরি) আমি যেন ( এমন সব) ভালো কাজ করতে পারি যার ফলে তুমি আমার ওপর সন্তুষ্ট হবে, আমার সন্তান-সন্ততিদের মাঝেও তুমি সংশোধন এনে দাও; অবশ্যই আমি তোমার দিকে ফিরে আসছি, আমি তো তোমার অনুগত বান্দাদেরই একজন।

১৬. (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব মানুষ, যারা (দুনিয়ায়) যেসব ভালো কাজ করে তা আমি (যথাযথভাবে) গ্রহণ করি, আর তাদের মন্দ কাজগুলো আমি উপেক্ষা করি, এরাই হবে (সেদিন) জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত, এদের কাছে প্রদত্ত (আল্লাহর) ওয়াদা, যা সত্য প্রমাণিত হবে।

১৭. (তবে সে ব্যক্তির কথা আলাদা,) যে ব্যক্তি (নিজ) পিতা মাতাকে বলে, তোমাদের ধিক, তোমরা (উভয়ে কি) আমাকে (এই বলে) প্রতিশ্রুতি দিচ্ছো যে, আমাকে (কবর থেকে) বের করে আনা হবে, অথচ আমার আগে বহু সম্প্রদায় গত হয়ে গেছে, (যাদের একজনকেও কবর থেকে বের করে আনা হয়নি, এ কথা শুনে) পিতা মাতা উভয়েই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে এবং (সন্তানকে) বলে, ওহে, তোমার দুর্ভোগ হোক! (এখনও সময় আছে) আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনো, আল্লাহর ওয়াদা অবশ্যই সত্য (প্রমাণিত হবে, তারপরও) সে হতভাগা বলে, (হ্যাঁ, তোমাদের) এসব কথা তো অতীতকালের কিছু উপাখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়!

১৮. এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের ওপর মানুষ ও জ্বিনদের পূর্বর্তী দলের মতো আল্লাহর শাস্তির বিধান অবধারিত হয়ে গেছে, এরা সবাই তাদের একই দলে শামিল হয়ে যাবে, আর এরা হচ্ছে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

১৯. (এ উভয় দলের) প্রত্যেকের জন্যেই তাদের নিজ নিজ কর্ম অনুযায়ী (মান ও) মর্যাদা রয়েছে, এভাবেই আল্লাহ তায়ালা তাদের কাজের যথার্থ বিনিময় দেবেন, আর তাদের ওপর (কোনো রকম) অবিচার করা হবে না ।

২০. যেদিন কাফেরদের (জাহান্নামের জ্বলন্ত) আগুনের সামনে এনে দাঁড় করানো হবে (তখন তাদের বলা হবে); তোমরা তো তোমাদের (ভাগের) যাবতীয় নেয়ামত (দুনিয়াতেই) বিনষ্ট করে এসেছো এবং তোমাদের পার্থিব জীবনে তা দিয়ে (প্রচুর পরিমাণ) ফায়দাও তোমরা হাসিল করে নিয়েছো, আজ তোমাদের দেয়া হবে এক চরম অপমানকর আযাব, আর তা হচ্ছে (আল্লাহর) যমীনে অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্য প্রকাশ এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের বিদ্রোহমুলক কাজের শাস্তি ।

২১. হে নবী, (এদের) তুমি আ'দ সম্প্রদায়ের (এক) ভাই (হুদ নবী)-র কাহিনী শোনাও; যে আহকাফ' উপত্যকায় নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের (আল্লাহর আযাবের) ভয় দেখাচ্ছিলো, তার আগে পরেও আরো বহু সতর্ককারী (নবী) এসেছিলো, (তাদের মতো) সেও বলেছিলো (হে মানুষ), তোমরা এক আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কারো বন্দেগী করো না; আমি তোমাদের ওপর একটি ভয়াবহ দিনের আযাবের আশংকা করছি ।

২২. (একথা শুনে) তারা বললো, আমাদের মাবুদদের বন্দেগী থেকে আমাদের ভিন্ন পথে চালিত করার জন্যেই কি তুমি আমাদের কাছে এসেছো? যাও, যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো তাহলে সেই আযাব নিয়ে এসো যার প্রতিশ্রুতি তুমি আমাদের দিচ্ছো ।

২৩. সে বললো, (সে) জ্ঞান তো একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালারই রয়েছে, আমি তো শুধু সে কথাটুকুই তোমাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই ( ঠিক) যেটুকু দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমরা দারুণ অজ্ঞানতার মাঝে নিমজ্জিত একটি (গোমরাহ) জাতি।

২৪. অতপর (একদিন) যখন তারা দেখতে পেলো, (বড়ো) একটি মেঘখন্ড তাদের জনপদের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন তারা (সমস্বরে) বলে ওঠলো, এ তো এক খন্ড মেঘ মাত্র! (সম্ভবত) আমাদের ওপর তা বৃষ্টি বর্ষণ করবে; (হুদ বললো, না, এটি কোনো বৃষ্টির মেঘ নয় এ হচ্ছে সে (আযাবের) বিষয়, যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে, (মূলত) এ হচ্ছে এক (প্রলয়ংকরী ঝড়, যার মাঝে রয়েছে ভয়াবহ আযাব।

২৫. আল্লাহর নির্দেশে এ (ঝড়) সব কিছুই ধ্বংস করে দেবে, তারপর তাদের অবস্থা (সত্যিই) এমন হলো যে, তাদের বসতবাড়ী (ও তার ধ্বংসলীলা) ছাড়া আর কিছুই দেখা গেলো না; আমি এভাবেই অপরাধী জাতিসমুহকে (তাদের কৃতকর্মের) প্রতিফল দিয়ে থাকি।

২৬. (এ যমীনে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্যে) তাদের যা যা আমি দিয়েছিলাম তা (অনেক কিছুই) তোমাদের দেইনি; (শোনার জন্যে) আমি তাদের কান, (দেখার জন্যে) চোখ ও (অনুধাবনের জন্য) হৃদয় দিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু তাদের সে কান, চোখ ও হৃদয় তাদের কোনোই কাজে আসেনি, কারণ তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করতেই থাকলো, যে (আযাবের) বিষয় নিয়ে তারা হাসি তামাশা করতো, একদিন সত্যি সত্যিই তা তাদের ওপর এসে পড়লো ।

২৭. তোমাদের চারপাশের আরো অনেকগুলো জনপদকে আমি (এ একই কারণে) ধ্বংস করে দিয়েছি, আমি (বার বার ওদের কাছে) আমার নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি, যেন তারা (আমার দিকে) ফিরে আসে ।

২৮. তারা কেন (সেদিন) তাদের সাহায্য করতে পারলো না, যাদের তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নৈকট্য হাসিলের জন্যে মাবূদ' বানিয়ে নিয়েছিলো; বরং (আযাব দেখে) তারাও তাদের ছেড়ে উধাও হয়ে গেলো, (মূলত ) এ হচ্ছে তাদের (আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে) মিথ্যা ও যাবতীয় অলীক ধারণা যা তারা পোষণ করতো!

২৯. (একবার) যখন একদল জ্বিনকে আমি তোমার কাছে পাঠিয়েছিলাম, তারা (তোমার) কোরআন (পাঠ) শোনছিলো, যখন তারা সে স্থানে উপনীত হলো, তখন তারা বলতে লাগলো, সবাই চুপ হয়ে যাও, অতঃপর যখন (কোরআন পাঠের) কাজ শেষ হয়ে গেলো তখন তারা নিজের সম্প্রদায়ের কাছে (আল্লাহর আযাব থেকে) সতর্ককারী হিসেবেই ফিরে গেলো ।

৩০. তারা বললো, হে আমাদের জাতি, আজ আমরা এমন এক গ্রন্থ (ও তার তেলাওয়াত) শুনে এসেছি, যা মুসার পরে নাযিল করা হয়েছে, (এ গ্রন্থ) আগের পাঠানো সব গ্রন্থের সত্যতা স্বীকার করে, এ (গ্রন্থ)-টি (সবাইকে) সত্য অবিচল ও সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে ।

৩১. হে আমাদের জাতি, তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর পথে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দাও এবং তাঁর (রসুলের) ওপর ঈমান আনো, (তাহলে) আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গুনাহ খাতা ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদের কঠিন আযাব থেকে মুক্তি দেবেন।

৩২. আর তোমাদের মাঝে যদি কেউ আল্লাহর পথের এ আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া না দেয় (তবে তার জানা উচিত), এ যমীনে (আল্লাহকে) ব্যর্থ করে দেয়ার কোনো রকম ক্ষমতাই সে রাখে না, (বরং এ আচরণের জন্যে) সে আল্লাহর কাছে তার কোনোই সাহায্যকারী পাবে না; এ ধরনের লোকেরা তো সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত।

৩৩. এ লোকগুলো কি এটা বুঝতে পারে না, যে মহান আল্লাহ তায়ালা আসমানসমূহ ও যমীন বানিয়েছেন এবং এ সব কিছুর সৃষ্টি যাঁকে সামান্যতম ক্লান্তও করতে পারেনি, তিনি কি একবার মরে গেলে মানুষকে পুনরায় জীবন দান করতে সম্পূর্ণ সক্ষম নন? হ্যাঁ, অবশ্যই তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান!

৩৪. সেসব কাফেরদের যখন (জ্বলন্ত) আগুনের সামনে দাঁড় করানো হবে (তখন তাদের বলা হবে); আমার এ প্রতিশ্রুতি কি সত্য (ছিলো?) তারা বলবে, হ্যাঁ আমাদের মালিকের শপথ (এটা অবশ্যই সত্য); অতপর তাদের বলা হবে, এবার (তোমরা) শাস্তি উপভোগ করো, (এবং এ হচ্ছে সে আযাব) যা তোমরা অস্বীকার করতে!

৩৫. (হে নবী,) তুমি ধৈর্য্য ধারণ করো (ঠিক যেমন করে ধৈর্য্য ধারণ করেছিলো আমার (দৃঢ়প্রতিষ্ঠ) সাহসী নবীরা, এ (নির্বোধ) ব্যক্তিদের ব্যাপারে তুমি কখনো তাড়াহুড়ো করো না; যেদিন সত্যিই তারা সেই আযাব (নিজেদের) সামনে দেখতে পাবে যার ওয়াদা তাদের কাছে করা হয়েছিলো, তখন তাদের অবস্থা হবে এমন, যেন দুনিয়ায় তারা দিনের সামান্য এক মুহূর্ত সময় অতিবাহিত করে এসেছে; (মূলত এটি) একটি ঘোষণামাত্র, (এ ঘোষণা) যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের ছাড়া আর কাউকে সেদিন ধ্বংস করা হবে না।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url