আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা মোহাম্মদ’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা মোহাম্মদ | Surah Muhammad | محمد


সূরা মোহাম্মদ’এর বাংলা অনুবাদ


সূরা মোহাম্মদ, মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ৩৮, রুকু ৪

সূরা মোহাম্মদ



রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে

১. যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করেছে এবং (অন্য মানুষদের) আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের (সমগ্র) কর্মই বিনষ্ট করে দিয়েছেন।

২. যারা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, মোহাম্মদ-এর ওপর আল্লাহর তরফ থেকে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তার ওপরও ঈমান এনেছে যা একান্তভাবে তাদের মালিকের পক্ষ থেকে আসা সত্য, আল্লাহ তায়ালা তাদের জীবনের সব গুনাহ খাতা মাফ করে দেবেন এবং তাদের অবস্থা শুধরে দেবেন ।

৩. এ (সব কিছু) এ জন্যে হবে, যারা (আল্লাহকে) অস্বীকার করে তারা মূলত মিথ্যারই অনুসরণ করে, (অপর দিকে) যারা ঈমান আনে তারা তাদের মালিকের কাছ থেকে পাওয়া সত্য বিষয়ের অনুসরণ করে; আর এভাবেই আল্লাহ তায়ালা (এদের) জন্যে তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

৪. অতএব (যুদ্ধের ময়দানে) যখন তোমরা কাফেরদের সম্মুখীন হবে, তখন তোমরা তাদের গর্দানে আঘাত করো, অতপর (এভাবে) তাদের যখন তোমরা হত্যা করবে তখন (বন্দীদের) তোমরা শক্ত করে বেঁধে রাখো, এরপর বন্দীদের মুক্ত করে দেবে কিংবা তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেবে (এটা একান্তই তোমাদের ব্যাপার), তবে যতোক্ষণ যুদ্ধ তার (অস্ত্রের) বোঝা ফেলে না দেবে (ততোক্ষণ পর্যন্ত তোমরাও অস্ত্র সংবরণ করো না), অথচ আল্লাহ তায়ালা এটা চাইলে (যুদ্ধ ছাড়াই) তাদের পরাজয়ের শাস্তি দিতে পারতেন, তিনি একদলকে দিয়ে আরেক দলের পরীক্ষা নিতে চাইলেন; যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে আল্লাহ তায়ালা তাদের কর্ম কখনো বিনষ্ট হতে দেবেন না।

৫. . তিনি (অবশ্যই) তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং তাদের (সার্বিক) অবস্থাও তিনি শুধরে দেবেন,

৬. (এর বিনিময়ে) তিনি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন, যার পরিচয় তিনি তাদের কাছে (আগেই) করিয়ে রেখেছেন।

৭. ওহে (মানুষ), যারা (আল্লাহর ওপর) ঈমান এনেছো, তোমরা যদি (দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে) আল্লাহকে সাহায্য করো, তাহলে তিনিও তোমাদের (দুনিয়া আখেরাতে) সাহায্য করবেন এবং (মিথ্যার মোকাবেলায় এ যমীনের বুকে) তিনি তোমাদের পা সমুহকে মযবুত রাখবেন।

৮. যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্যে (রয়েছে) নিশ্চিত ধ্বংস, আল্লাহ তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্মই বিনষ্ট করে দেবেন।

৯. এর কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা (তাদের জন্যে) যা কিছু পাঠিয়েছেন তারা তা অপছন্দ করেছে, ফলে আল্লাহ তায়ালাও তাদের যাবতীয় কর্ম বিনষ্ট করে দিয়েছেন।

১০. এ লোকগুলো কি আল্লাহর যমীনে পরিভ্রমণ করে দেখতে পারে না, (বিদ্রোহের পরিণামে) তাদের পূর্ববর্তী লোকদের কি অবস্থা হয়েছিলো; আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর ধ্বংস (কর আযাব) পাঠিয়েছেন, যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যেও সেই একই ধরনের (আযাব) রয়েছে ।

১১. এর কারণ হচ্ছে, যারা (আল্লাহতে) বিশ্বাস করে আল্লাহই হন তাদের (একমাত্র) রক্ষক, ( প্রকারান্তরে) যারা তাঁকে অবিশ্বাস করে তাদের (কোথাও) কোনো সাহায্যকারী থাকে না।

১২. যারা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই সেসব লোকদের এমন এক (সুরমা) জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হতে থাকবে; কাফেররা জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত, জন্তু জানোয়ারদের মতো তারা নিজেদের উদর পুর্তি করে, (এ কারণে) জাহান্নামই হবে তাদের জন্যে শেষ নিবাস!

১৩. (হে নবী,) তোমার (এই) জনপদ যারা (এক সময়) তোমাকে বের করে দিয়েছিলো, তার চাইতে অনেক শক্তিশালী বহু জনপদ ছিলো, সেগুলোকেও আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, (সেদিন) তাদের কোনো সাহায্যকারীই ছিলো না।

১৪. যে ব্যক্তি তার মালিকের কাছ থেকে আসা সুস্পষ্ট সমুজ্জ্বল নিদর্শনের ওপর রয়েছে, তার সাথে এমন ব্যক্তির তুলনা কি ভাবে হবে যার (চোখের সামনে তার ) মন্দ কাজগুলো শোভনীয় করে রাখা হয়েছে এবং তারা নিজেদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে।

১৫. আল্লাহ তায়ালাকে যারা ভয় করে তাদের যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে; সেখানে নির্মল পানির ফোয়ারা রয়েছে, রয়েছে দুধের এমন কিছু ঝর্ণাধারা, যার স্বাদ কখনো পরিবর্তিত হয় না, রয়েছে পানকারীদের জন্যে সুধার (সুপেয়) নহরসমুহ, রয়েছে বিশুদ্ধ মধুর ঝর্ণাধারা, (আরো) রয়েছে সব ধরনের ফলমুল (দিয়ে সাজানো সুরম্য বাগিচা, সর্বোপরি ), সেখানে রয়েছে তাদের মালিকের কাছ থেকে (পাওয়া) ক্ষমা; এ ব্যক্তি কি তার মতো যে ব্যক্তি অনন্তকাল ধরে জ্বলন্ত আগুনে পুড়তে থাকবে এবং সেখানে তাদের এমন ধরনের ফুটন্ত পানি পান করানো হবে, যা তাদের পেটের নাড়িভুঁড়ি কেটে (ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে) দেবে।

১৬. তাদের মধ্যে এমন কিছু লোকও আছে যারা তোমার কথা শোনে, কিন্তু যখন তোমার কাছ থেকে বাইরে যায় তখন যাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান দান করা হয়েছে তারা এমন সব লোকদের কাছে এসে বলে এ মাত্র কি (যেন) বললো লোকটি?' (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব লোক, আল্লাহ তায়ালা যাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং (এ কারণেই) এরা নিজেদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে চলে।

১৭. যারা সৎপথে চলবে, আল্লাহ তায়ালা তাদের এ (সৎপথে) চলা আরো বাড়িয়ে দেন এবং তাদের (অন্তরে) তিনি তাঁর ভয় দান করেন ।

১৮. হঠাত্ করে কেয়ামতের ক্ষণটি তাদের ওপর এসে পড়ুক তারা কি সে অপেক্ষায় দিন গুনছে? অথচ কেয়ামতের লক্ষণসমুহ তো এসেই পড়েছে, আর একবার যখন কেয়ামত এসেই পড়বে তখন তারা কিভাবে তাদের উপদেশ গ্রহণ করবে!

১৯. (হে নবী,) জেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, অতএব তাঁর কাছেই নিজের গুনাহ খাতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করো, (ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমার সাথী) মোমেন পুরুষ ও মোমেন নারীদের জন্যে; আল্লাহ তায়ালা (যেমন) তোমাদের গতিবিধির খবর রাখেন, (তেমনি তিনি) তোমাদের নিবাস সম্পর্কেও পূর্ণ ওয়াকেফহাল রয়েছেন!

২০. যারা ঈমান এনেছে তারা (অত্যন্ত উৎসাহের সাথে) বলে, কতো ভালো হতো যদি (আমাদের প্রতি জেহাদের আদেশ সম্বলিত) কোনো সূরা নাযিল করা হতো! অতপর যখন সেই (ঈপ্সিত) সূরাটি নাযিল করা হয়েছে, যাতে (তাদের প্রতি) জেহাদের আদেশ দেয়া হলো, তখন যাদের অন্তরে (মোনাফেকীর) ব্যাধি রয়েছে (তারা এটা শুনে) তোমার দিকে মৃত্যুর ভয় ও সন্ত্রস্ত দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলো, অতপর তাদের জন্যেই রয়েছে শোচনীয় পরিণাম।

২১. (অথচ আদেশের) আনুগত্য করা এবং সুন্দর কথা বলাই ছিলো (তাদের জন্যে) উত্তম | যখন (জেহাদের) সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে তখন তাদের জন্যে আল্লাহর সাথে সম্পাদিত অংগীকার পূরণ করাই ছিলো ভালো।

২২. অতএব, তোমাদের কাছ থেকে এর চাইতে বেশী কি প্রত্যাশা করা যাবে যে, তোমরা (একবার) যদি এ যমীনের শাসন ক্ষমতায় বসতে পারো তাহলে আল্লাহর যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং যাবতীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে ফেলবে।

২৩. (মূলত) এরা হচ্ছে সে সব মানুষ, যাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা অভিসম্পাত করেন, তিনি তাদের বোবা করে দিয়েছেন (তাই তারা সত্য কথা বলতে পারে না) এবং তাদের তিনি অন্ধ করে দিয়েছেন (তাই তারা সত্য কি তা দেখতেও পায় না)।

২৪. তবে কি এরা কোরআন সম্পর্কে (কোনোরকম চিন্তা) গবেষণা করে না! না কি এদের অন্তরসমুহের ওপর তার তালা ঝুলে আছে।

২৫. যাদের কাছে হেদায়াতের পথ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, শয়তান এদের মন্দ কাজগুলো (ভালো লেবাস দিয়ে) শোভনীয় করে রাখে এবং তাদের জন্যে নানা মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে রাখে ।

২৬. এমনটি এ জন্যেই (হয়েছে), (মানুষের জন্যে) আল্লাহ তায়ালা যা কিছু নাযিল করেছেন তা যারা পছন্দ করে না এরা তাদের বলে, আমরা (ঈমানদারদের দলে থাকলেও) কিছু কিছু ব্যাপারে তোমাদের কথামতোই চলবো, আল্লাহ তায়ালা এদের গোপন অভিসন্ধি সম্পর্কে খবর রাখেন।

২৭. (সেদিন)তাদের (অবস্থা) কেমন হবে যেদিন আল্লাহর ফেরেশতারা তাদের মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠদেশে ( প্রচন্ড ) আঘাত করতে করতে তাদের মৃত্যু ঘটাবে।

২৮. এটা এ জন্যে, তারা এমন সব পথের অনুসরণ করেছে যার ওপর আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট, আল্লাহর সন্তুষ্টি তারা কখনো পছন্দ করেনি, (এ কারণেই) আল্লাহ তায়ালা এদের যাবতীয় কর্ম নিষ্ফল করে দিয়েছেন।

২৯. যেসব মানুষের মনে (মোনাফেকীর) ব্যাধি রয়েছে তারা কি এ কথা বুঝে নিয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের এ বিদ্বেষজনিত আচরণ (অন্যদের সামনে) প্রকাশ করে দেবেন না !

৩০. আমি তো ইচ্ছা করলে তোমাকে তাদের দেখিয়ে দিতে পারি, অতঃপর তাদের চেহারা দেখেই তুমি তাদের চিনে নিতে পারবে, তুমি তাদের কথাবার্তার ধরন দেখে তাদের অবশ্যই চিনে নিতে পারবে (যে, এরাই হচ্ছে আসল মোনাফেক); নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের যাবতীয় কার্যের ব্যাপারে সম্যক ওয়াকেফহাল রয়েছেন।

৩১. আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো যতোক্ষণ না আমি একথা জেনে নেবো, কে তোমাদের মাঝে (সত্যিকারভাবে) আল্লাহর পথের মোজাহেদ আর কে তোমাদের মধ্যে ( জেহাদের ময়দানে) ধৈর্য্য ধারণকারী (অবিচল), যতোক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমাদের খোঁজ খবর (ভালো করে) যাচাই বাছাই করে না নেবো (ততোক্ষণ পর্যন্ত আমার এ পরীক্ষা চলতে থাকবে)।

৩২. যারা কুফরী করে এবং (অন্য মানুষদের) আল্লাহর পথে আসা থেকে বিরত রাখে এবং তাদের কাছে হেদায়াতের পথ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও যারা আল্লাহর রসুলের বিরোধিতা করে, তারা কখনো আল্লাহ তায়ালার কিছুমাত্র ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হবে না; (বরং এ কারণে) অচিরেই আল্লাহ তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্ম নিষ্ফল করে দেবেন।

৩৩. হে (মানুষ), যারা ঈমান এনেছো, তোমরা (সর্বাবস্থায়) আল্লাহর আনুগত্য করো, (শর্তহীন) আনুগত্য করো (তাঁর রসুলের (বিদ্রোহ করে) কখনো তোমরা নিজেদের কাজকর্ম বিফলে যেতে দিয়ো না।

৩৪. যারা (নিজেরা) আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করে এবং (অন্য মানুষদেরও) যারা আল্লাহর পথে আসা থেকে ফিরিয়ে রাখে, অতপর এ কাফের অবস্থায়ই তারা মরে যায়, আল্লাহ তায়ালা এসব লোকদের কখনো ক্ষমা করবেন না ।

৩৫. অতএব তোমরা কখনো হতোদ্যম হয়ে পড়ো না এবং (কাফেরদের) সন্ধির দিকে ডেকো না, (কেননা) বিজয়ী তো হচ্ছো তোমরাই, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাথেই রয়েছেন, তিনি কখনো তোমাদের কর্মফল বিনষ্ট করবেন না ।

৩৬. অবশ্যই এ বৈষয়িক দুনিয়ার জীবন হচ্ছে খেলাধুলা ও হাসি তামাশামাত্র, (এতে মত্ত না হয়ে) তোমরা যদি আল্লাহর ওপর ঈমান আনো এবং (সর্বাবস্থায়ই) আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদের এ কাজের (যথার্থ) বিনিময় প্রদান করবেন এবং (এর বদলে) তিনি তোমাদের কাছ থেকে (কোনো) ধন সম্পদ চাইবেন না।

৩৭. যদি (কখনো) তিনি (তোমাদের কল্যাণের জন্যে) তোমাদের ধন-সম্পদ (-এর কিছু অংশ) দাবী করেন, অতপর এর জন্যে তিনি যদি তোমাদের ওপর প্রবল চাপও প্রদান করেন, তাহলেও তোমরা তা দিতে গিয়ে কার্পণ্য করবে, (ফলে) তোমাদের বিদ্বেষ (-জনিত আচরণ)-গুলো তিনি বের করে দেবেন ।

৩৮. হ্যাঁ, এ হচ্ছো তোমরা! তোমাদেরই তো ডাকা হচ্ছে আল্লাহর পথে সম্পদ খরচ করার জন্যে, ( অতপর ) তোমাদের একদল লোক কার্পণ্য করতে শুরু করলো, অথচ যারা কার্পণ্য করে তারা (প্রকারান্তরে) নিজেদের সাথেই কার্পণ্য করে; কারণ আল্লাহ তায়ালা তো (এমনিই যাবতীয়) প্রয়োজনমুক্ত এবং তোমরাই হচ্ছো অভাবগ্রস্ত, (তা সত্ত্বেও) যদি তোমরা (আল্লাহর পথে) ফিরে না আসো, তাহলে তিনি তোমাদের জায়গায় অন্য (কোনো) এক জাতির উত্থান ঘটাবেন, অতপর তারা (কখনো) তোমাদের মতো হবে না ।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url