আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল আহযাব’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আল আহযাব | Al Ahzab | سورة الأحزاب


সূরা আল আহযাব’এর বাংলা অনুবাদ


সূরা আল আহযাবমদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ৭৩ রুকু ৯

সূরা আল আহযাব



রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে

১. হে নবী, আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো, কাফের ও মোনাফেকদের আনুগত্য করো না; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সব কিছু জানেন, তিনি বিজ্ঞ কুশলী,

২. তোমার মালিকের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা কিছু ওহী নাযিল হয় তুমি শুধু তারই অনুসরণ করো; তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই সে সম্পর্কে সম্যক ওয়াকেফহাল রয়েছেন,

৩. তুমি (শুধু) আল্লাহ তায়ালার ওপরই নির্ভর করো; চুড়ান্ত কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই (তোমার জন্যে) যথেষ্ট।

৪. (হে মানুষ,) আল্লাহ তায়ালা কোনো মানুষের জন্যে তার বুকে দুটো অন্তর পয়দা করেননি, না তিনি তোমাদের সঙ্গীদের, যাদের সাথে তোমরা (তোমাদের মায়েদের তুলনা করে) ‘যেহার' করো, তাদের সত্যি সত্যি তোমাদের মা বানিয়েছেন, (একইভাবে) তিনি তোমাদের পালক পুত্রকেও তোমাদের পুত্র বানাননি; (আসলে) এগুলো হচ্ছে (নিছক) তোমাদের মুখেরই কথা; সত্য কথা তো আল্লাহ তায়ালাই বলেন এবং তিনিই তোমাদের পথ প্রদর্শন করেন।

৫. (হে ঈমানদাররা,) তোমরা (যাদের পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছো) তাদের পিতার পরিচয়েই ডাকো, এটাই আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে অধিক ন্যায়সংগত, যদি তোমরা তাদের পিতা কারা সে পরিচয় না জানো, তাহলে (মনে করবে) তারা তোমাদেরই দ্বীনী ভাই ও তোমাদেরই দ্বীনী বন্ধু; এ ব্যাপারে (আগে) যদি তোমাদের কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে তাতে তোমাদের জন্যে কোনো গুনাহ নেই, তবে যদি তোমাদের মন ইচ্ছা করে এমন কিছু করে (তাহলে তোমরা গুনাহগার হবে); নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

৬. আল্লাহর নবী মোমেনদের কাছে তাদের নিজেদের চাইতেও বেশী প্রিয় এবং নবীর সঙ্গীরা হচ্ছে তাদের মা (সমান, কিন্তু); আল্লাহর কেতাব অনুযায়ী (যারা) আত্মীয় স্বজন (তারা) সব মোমেন মোহাজের ব্যক্তির চাইতে একজন আরেকজনের বেশী নিকটতর, অবশ্য তোমরা যদি তোমাদের বন্ধু বান্ধবদের সাথে কিছু সদাচরণ করতে চাও; এ সব কথা আল্লাহ তায়ালার কেতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

৭. (হে নবী, স্মরণ করো,) যখন আমি নবী রসুলদের কাছ থেকে (আমার বিধান পৌঁছে দেয়ার) প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম, (প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম) তোমার কাছ থেকে, নূহ, ইবরাহীম, মুসা এবং মারইয়াম পুত্র ঈসার কাছ থেকেও, এদের কাছ থেকে আমি (দ্বীন পৌঁছানোর) পাকাপোক্ত ওয়াদা নিয়েছিলাম,

৮. যাতে করে (তাদের মালিক কেয়ামতের দিন) এসব সত্যবাদীদের তাদের সত্যবাদিতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের জন্যে পীড়াদায়ক আযাব প্রস্তুত করে রেখেছেন ।

৯. হে (মানুষ), তোমরা যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদের ওপর আল্লাহ তায়ালার (সে) অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রু সৈন্য তোমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিলো, অতঃপর আমি তাদের ওপর এক প্রচন্ড বায়ু প্রেরণ করেছি এবং (তাদের কাছে) পাঠিয়েছি এমন সব সৈন্য, যাদের তোমরা কখনো দেখতে পাওনি; তোমরা তখন যা কিছু করছিলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তা দেখছিলেন,

১০. যখন তারা তোমাদের ওপর থেকে, তোমাদের নীচ থেকে তোমাদের ওপর (হামলা করার জন্যে) আসছিলো, যখন (ভয়ে) তোমাদের চক্ষু বিস্ফরিত হয়ে পড়েছিলো, প্রাণ হয়ে পড়েছিলো কণ্ঠাগত এবং (আল্লাহর সাহায্যে বিলম্ব দেখে) তোমরা আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে নানা রকমের ধারণা করতে লাগলে!

১১. সে (বিশেষ) সময়ে ঈমানদাররা চরমভাবে পরীক্ষিত এবং তারা মারাত্মকভাবে কম্পিত হয়ে পড়েছিলো।

১২. সে সময় মোনাফেক এবং যাদের মনে (সন্দেহের) ব্যাধি ছিলো তারা বলতে লাগলো, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল আমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন তা (মুলত) প্রতারণা বৈ কিছুই ছিলো না ।

১৩. (বিশেষ করে,) যখন তাদের একটি দল (এসে) বললো, হে ইয়াসরেবের অধিবাসীরা, (আজ শত্রু বাহিনীর সামনে) তোমাদের দাঁড়াবার মতো কোনো জায়গা নেই, অতএব তোমরা ফিরে যাও, (এমনকি) তাদের একাংশ (তোমার কাছে এই বলে) অনুমতিও চাইছিলো যে, আমাদের বাড়ীঘরগুলো সবই অরক্ষিত রয়েছে (তাই আমরা ফিরে যেতে চাই), অথচ (আল্লাহ তায়ালা জানেন) তা অরক্ষিত ছিলো না; (আসলে ময়দান থেকে) এরা শুধু পালাতে চেয়েছিলো।

১৪. যদি শত্রু দল নগরীর চারপাশ থেকে ওদের ভেতর প্রবেশ করতো এবং (যারা মোনাফেক) তাদের যদি (বিদ্রোহের) ফেতনা খাড়া করার জন্যে বলতো, তবে তারা নির্দ্বিধায় তাও মেনে নিতো, এ ব্যাপারে তারা মোটেই বিলম্ব করতো না ।

১৫. অথচ এ লোকেরাই ইতিপুর্বে আল্লাহ তায়ালার সাথে ওয়াদা করেছিলো, তারা (কখনো ময়দান থেকে) পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না (তাদের জানা উচিত), আল্লাহ তায়ালার (সাথে সম্পাদন করা) ওয়াদা সম্পর্কে অবশ্যই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

১৬. (হে নবী, এদের) তুমি বলো, যদি তোমরা মৃত্যু থেকে পালাতে চাও অথবা (কেউ তোমাদের) হত্যা (করবে এ কারণে পালাতে চাও), তাহলে এই পালানো তোমাদের কোনোই উপকার দেবে না, (আর যদি কোনোরকম পালিয়ে যেতে সক্ষমও হও) তাহলেও তো সামান্য কয়দিনের উপকারই ভোগ করতে দেয়া হবে মাত্র।

১৭. (হে নবী,) যদি আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কোনো অমঙ্গল করতে চান অথবা চান তোমাদের কোনো মঙ্গল করতে তাহলে (এ উভয় অবস্থায়) তুমি বলো, এমন কে আছে যে তোমাদের আল্লাহ তায়ালা (-র সিদ্ধান্ত) থেকে বাঁচাতে পারবে, আল্লাহ তায়ালা ব্যতিরেকে এরা (সেদিন) না পাবে কোনো অভিভাবক, না পাবে কোনো সাহায্যকারী;

১৮. অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের মধ্যকার সেসব (মোনাফেক) লোকদের চেনেন, যারা (অন্যদের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা থেকে) বাধা দেয় এবং তাদের ভাই বন্ধুদের বলে, তোমরা আমাদের কাছে এসে যাও, (আসলে) ওদের অল্প সংখ্যক লোকই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে!

১৯. (যে কয়জন এসেছে তারাও) তোমাদের (বিজয়ের) ওপর কুণ্ঠিত থাকে, অতঃপর যখন (তোমাদের ওপর) কোনো বিপদ আসে, তখন তুমি তাদের দেখবে তারা চক্ষু উল্টিয়ে তোমার দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছে যেন কোনো ব্যক্তির ওপর মৃত্যু চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু (যখন তোমরা বিজয় লাভ করো) তখন এরাই (গনীমতের) সম্পদের ওপর লোভী হয়ে তোমাদের সাথে বাকচাতুরী শুরু করে; (আসলে) এ লোকগুলো কিন্তু কখনো ঈমান আনেনি, আল্লাহ তায়ালা (তাই) ওদের সব কাজই বিনষ্ট করে দিয়েছেন; আর এ কাজটা তো আল্লাহ তায়ালার জন্যে অত্যন্ত সহজ

২০. (অবরোধ প্রত্যাহার সত্ত্বেও) এরা মনে করে (এখনো) শত্রু বাহিনী চলে যায়নি এবং শত্রুপক্ষ যদি (আবার) এসে চড়াও হয়, তখন এরা মনে করবে, কতো ভালো হতো যদি তারা (মরুভূমির) বেদুঈনদের সাথে (ওখানেই) থেকে যেতে পারতো এবং (সেখানে বসেই ফিরে আসা নিরাপদ কিনা) তোমাদের এ খবর নিতে পারতো, যদিও এরা (এখনও) তোমাদের মাঝে আছে, (কিন্তু) এরা খুব কম লোকই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবে ।

২১. (হে মুসলমানরা,) তোমাদের জন্যে অবশ্যই আল্লাহর রসুলের (জীবনের) মাঝে (অনুকরণযোগ্য) উত্তম আদর্শ রয়েছে, (আদর্শ রয়েছে) এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্যে, যে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ পেতে আগ্রহী এবং যে পরকালের (মুক্তির) আশা করে, (সর্বোপরি) সে বেশী পরিমাণে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে;

২২. (খাঁটি) ঈমানদাররা যখন (শত্রু) বাহিনীকে দেখলো, তখন তারা বলে উঠলো, এ তো হচ্ছে তাই, যার ওয়াদা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল আমাদের কাছে আগেই করেছিলেন, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল অবশ্যই সত্য কথা বলেছেন, (এ ঘটনার ফলে) তাদের ঈমান ও আনুগত্যের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেলো;

২৩. ঈমানদারদের মাঝে কিছু লোক তো এমন রয়েছে যারা আল্লাহ তায়ালার সাথে (জীবনবাজির) যে ওয়াদা করেছিলো তা সত্য প্রমাণ করলো, তাদের কিছু সংখ্যক (মানুষ) তো নিজের কোরবানী পুর্ণ (করে শাহাদাত লাভ ) করলো, আর কেউ এখনো (শাহাদাতের) অপেক্ষা করছে, তারা তাদের (আসল) লক্ষ্য কখনো পরিবর্তন করেনি,

২৪. (যুদ্ধ তো এ জন্যেই যে,) এতে করে সত্যবাদীদের আল্লাহ তায়ালা তাদের সত্যবাদিতার পুরস্কার দেবেন, আর মোনাফেকদের তিনি চাইলে শাস্তি দেবেন কিংবা তিনি তাদের ওপর ক্ষমাপরবশ হবেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু,

২৫. আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের তাদের (যাবতীয়) ক্রোধসহ (এমনিই মদীনা থেকে) ফিরিয়ে দিলেন, (এ অভিযানে) তারা কোনো কল্যাণই লাভ করতে পারেনি; আল্লাহ তায়ালাই (এ) যুদ্ধে মোমেনদের জন্যে যথেষ্ট প্রমাণিত হলেন; (মুলত) আল্লাহ তায়ালা প্রবল শক্তিমান ও পরাক্রমশালী,

২৬. আহলে কেতাবদের মধ্যে যারা (এ যুদ্ধে) তাদের সাহায্য করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরও দুর্গ থেকে অবতরণ করালেন এবং তাদের অন্তরে (মুসলমানদের সম্পর্কে এমন) ভীতির সঞ্চার করালেন যে, (আজ) তোমরা (তাদের) এক দলকে হত্যা করছো, আরেক দলকে বন্দী করছো,

২৭. তিনি তোমাদের তাদের যমীন, বাড়ীঘর ও সহায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিলেন, (আল্লাহ তায়ালা এর ফলে তোমাদের) এমন সব ভূখন্ডেরও (অধিকারী বানিয়ে দিলেন) যেখানে তোমরা এখনো কোনো (সামরিক ) অভিযান পরিচালনাই করোনি; (সত্যিই) আল্লাহ তায়ালা সর্ববিষয়ের ওপর (একক) ক্ষমতাবান।

২৮. হে নবী, তুমি তোমার সঙ্গীদের বলো, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভোগবিলাস কামনা করো তাহলে এসো, আমি তোমাদের (তার কিছু অংশ) দিয়ে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় করে দেই।

২৯. আর যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালা, তাঁর রসুল ও পরকাল কামনা করো তাহলে (জেনে রেখো), তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল, আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্যে মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন ।

৩০. হে নবীপত্নীরা, তোমাদের মধ্যে যারা খোলাখুলি কোনো অশ্লীল কাজ করবে, তার শাস্তি দ্বিগুণ করে দেয়া হবে; আর এ কাজ আল্লাহ তায়ালার জন্যে অত্যন্ত সহজ ।

৩১. তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে, এর সাথে সে নেক কাজও করবে, আমি তাকে দু'বার তার কাজের পুরস্কার দান করবো, আমি (পরকালে) তার জন্যে সম্মানজনক রেযেক প্রস্তুত করে রেখেছি ।

৩২. হে নবীপত্মীরা, তোমরা অন্যান্য নারীদের মতো (সাধারণ নারী) নও, যদি তোমরা (সত্যিই) আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো, তাহলে (অন্য পুরুষদের সাথে) কথা বলার সময় কোমলতা অবলম্বন করো না, (যদি এমন করো) তাহলে যার অন্তরে কোনো ব্যাধি আছে সে তোমার ব্যাপারে প্রলুব্ধ হয়ে পড়বে, (তবে) তোমরা (সর্বদাই) নিয়মমাফিক কথাবার্তা বলবে,

৩৩. তোমরা ঘরে অবস্থান করবে, পূর্বেকার জাহেলিয়াতের যমানার (নারীদের) মতো নিজেদের প্রদর্শনী করে বেড়াবে না, তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে; আল্লাহ তায়ালা (মুলত) এসব কিছুর মাধ্যমে নবী পরিবার (তথা) তোমাদের মাঝ থেকে (সব ধরনের) অপবিত্রতা দুর করে (তোমাদের) পাক সাফ করে দিতে চান,

৩৪. তোমাদের ঘরে আল্লাহ তায়ালার কেতাবের আয়াত ও তাঁর জ্ঞানতত্ত্বের যেসব কথা তেলাওয়াত করা হয় তা স্মরণ রেখো; নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা সুক্ষ্মদর্শী এবং তিনি সম্যক অবগত।

৩৫. মুসলমান পুরুষ মুসলমান নারী, মোমেন পুরুষ মোমেন নারী, ফরমাবর্দার পুরুষ ফরমাবর্দার নারী, সত্যবাদী পুরুষ সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ দানশীল নারী, রোযাদার পুরুষ রোযাদার নারী, যৌন অংগসমুহের হেফাযতকারী পুরুষ (এ অংগসমুহের) হেফাযতকারী নারী, (সর্বোপরি) আল্লাহ তায়ালাকে অধিক পরিমাণে স্মরণকারী পুরুষ স্মরণকারী নারী (নিঃসন্দেহে) এদের জন্যে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা ও মহাপুরস্কার ঠিক করে রেখেছেন ।

৩৬. আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল যখন কোনো ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তখন কোনো মোমেন পুরুষ ও কোনো মোমেন নারীর তাদের সে ব্যাপারে নিজেদের কোনো রকম এখতিয়ার থাকবে না (যে তারা তাতে কোনো রদবদল করবে); যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের নাফরমানী করবে, সে নিঃসন্দেহে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়ে যাবে;

৩৭. (হে নবী, তুমি স্মরণ করো), যখন তুমি সে ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলছিলে, যার ওপর আল্লাহ তায়ালা বিরাট অনুগ্রহ করেছেন এবং তুমিও (নিজের পুত্র বানিয়ে) যার ওপর অনুগ্রহ করেছো (তুমি তাকে বলেছিলে), তুমি তোমার সঙ্গীকে (বিয়ের বন্ধনে) রেখে দাও এবং আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো, (কিন্তু এ পর্যায়ে) তোমার মনের ভেতরে যে কথা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে আল্লাহ তায়ালা পরে তা প্রকাশ করে দিলেন, (আসলে তোমার পালক পুত্রের তালাকপ্রাপ্তা সঙ্গীকে বিয়ে করার ব্যাপারে) তুমি মানুষদের (কথাকেই) ভয় করছিলে, অথচ (তুমি জানো) আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন ভয় পাওয়ার বেশী হকদার; অতঃপর (এক সময়) যখন যায়দ তার (সঙ্গীর) কাছ থেকে নিজের প্রয়োজন শেষ করে (তাকে তালাক দিয়ে) দিলো, তখন আমি তোমার সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন করে দিলাম, যাতে করে (ভবিষ্যতে) মোমেনদের ওপর তাদের পালক পুত্রদের সঙ্গীদের বিয়ের মাঝে (আর) কোনো সংকীর্ণতা (অবশিষ্ট) না থাকে, (বিশেষ করে) তারা যখন তাদের সঙ্গীদের কাছ থেকে নিজেদের প্রয়োজন শেষ করে (তাদের তালাক দিয়ে) দেয়, (আর সর্বশেষে) আল্লাহ তায়ালার আদেশই কার্যকর হবে।

৩৮. আল্লাহ তায়ালা নবীর জন্যে যে ফয়সালা করে দিয়েছেন, সে ব্যাপারে) নবীর ওপর কোনো বিধি নিষেধ নেই; আগের (নবীদের) ক্ষেত্রেও এ ছিলো আল্লাহ তায়ালার বিধান; আর আল্লাহ তায়ালার বিধান তো (আগে থেকেই) নির্ধারিত হয়ে আছে,

৩৯. যারা (মানুষদের কাছে) আল্লাহ তায়ালার বাণী পৌঁছে দিতো, তারা আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করতো, তারা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কাউকেই ভয় করতো না; (কেননা মানুষের) হিসাব নেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।

৪০. হে মানুষ (তোমরা জেনে রেখো), মোহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে তো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার রসুল এবং নবীদের সিলমোহর (শেষনবী), আল্লাহ তায়ালা সর্ববিষয়ে অবগত রয়েছেন ।

৪১. হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে বেশী বেশী স্মরণ করো,

৪২. এবং সকাল সন্ধ্যায় তোমরা তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।

৪৩. তিনিই (মহান আল্লাহ তায়ালা, যিনি) তোমাদের ওপর অনুগ্রহ (বর্ষণ) করেন, তাঁর ফেরেশতারাও (তোমাদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা চেয়ে তোমাদের ওপর অনুগ্রহ করেন), যাতে করে (আল্লাহ) তোমাদের অন্ধকার থেকে (ইসলামের) আলোর দিকে বের করে আনতে পারেন; (বস্তুত) আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন মোমেনদের জন্যে পরম দয়ালু।

৪৪. যেদিন তারা আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ করবে, সেদিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের সালাম দ্বারা অভিবাদন করা হবে, তিনি তাদের জন্যে (এক) সম্মানজনক পুরস্কার নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।

৪৫. হে নবী, আমি তোমাকে (হেদায়াতের) সাক্ষী (বানিয়ে) পাঠিয়েছি, (তোমাকে) বানিয়েছি (জান্নাতের) সুসংবাদদাতা ও (জাহান্নামের) সতর্ককারী, 

৪৬. আল্লাহ তায়ালার অনুমতিক্রমে তুমি হচ্ছো আল্লাহর দিকে আহবানকারী ও (হেদায়াতের) এক সুস্পষ্ট প্রদীপ।

৪৭. (অতএব ) তুমি মোমেনদের সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক মহাঅনুগ্রহ রয়েছে।

৪৮. কখনো কাফের ও মোনাফেকদের কথা শোনো না, তাদের যাবতীয় নির্যাতন উপেক্ষা করে চলো, আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করো; (কেননা) কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই তোমার জন্যে যথেষ্ট।

৪৯. হে মোমেনরা, যখন তোমরা মোমেন রমণীদের বিয়ে করো, অতঃপর (কোনো রকম) স্পর্শ করার আগেই তাদের তালাক দাও, তাহলে (এমতাবস্থায়) তাদের ওপর কোনো ইদ্দত (বাধ্যতামুলক) নয় যে, তোমরা তা শুনতে শুরু করবে, তবু তোমরা তাদের কিছু দিয়ে দেবে এবং (সৌজন্যের সাথেই) তাদের বিদায় করে দেবে।

৫০. হে নবী, আমি তোমার জন্যে সেসব সঙ্গীদের হালাল করেছি, যাদের তুমি (যথার্থ) মোহর আদায় করে দিয়েছো (সেসব মহিলাও তোমার জন্যে আমি হালাল করেছি), যারা তোমার অধিকারভুক্ত, যাদের আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দান করেছেন এবং তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন, খালাতো বোন, যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে, (তা ছাড়া রয়েছে) সে মোমেন নারী, যে (কোনো কিছু ছাড়াই) নিজেকে নবীর জন্যে নিবেদন করবে এবং নবী চাইলে তাকে বিয়ে করবে, এ বিশেষ (অনুমতি শুধু) তোমার জন্যে, অন্য মোমেনদের জন্যে নয়; (সাধারণ) মোমেনদের সঙ্গী ও অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে আমি তাদের ওপর যে বিধি বিধান নির্ধারণ করেছি, তা অবশ্য আমি (ভালো করেই) জানি, (তোমার ব্যাপারে এ সুবিধা আমি এ জন্যেই দিয়েছি) যেন তোমার ওপর কোনো ধরনের সংকীর্ণতা না থাকে; আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

৫১. (তোমার জন্যে আরেকটি অতিরিক্ত সুবিধা হচ্ছে,) তুমি ইচ্ছা করলে তাদের মধ্য থেকে কাউকে (নিজের কাছ থেকে) দুরে রাখতে পারো, আবার যাকে ইচ্ছা তাকে নিজের কাছেও রাখতে পারো; যাকে তুমি দুরে রেখেছো তাকে যদি (পুনরায়) তুমি (নিজের কাছে) রাখতে চাও, তাতেও তোমার ওপর কোনো গুনাহ নেই; এ (বিশেষ সুযোগ তোমাকে) এ জন্যেই দেয়া হয়েছে যেন এতে করে ওদের চক্ষু শীতল থাকে, তারা (অযথা) দুঃখ না পায় এবং তুমি ওদের যা দেবে তাতেই যেন ওরা সবাই সন্তুষ্ট থাকতে পারে; তোমাদের মনে যা কিছু আছে আল্লাহ তায়ালা তা (ভালো করেই জানেন, আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও পরম সহনশীল ।

৫২. (হে নবী, এর বাইরে) তোমার জন্যে বৈধ নয় যে, তুমি তোমার (বর্তমান) সঙ্গীদের বদলে (অন্য নারীদের সঙ্গীরূপে) নেবে, যদিও সেসব নারীর সৌন্দর্য তোমাকে আকৃষ্ট করে, অবশ্য তোমার অধিকারভুক্ত দাসীরা (এ বিধি নিষেধের) ব্যতিক্রম, স্মরণ রাখবে, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন

৫৩. হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নবীর ঘরে প্রবেশ করো না, অবশ্য যখন তোমাদের খাওয়ার জন্যে (আসার) অনুমতি দেয়া হয় (তাহলে) সে অবস্থায় এমন সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশ করো, যাতে তোমাদের (খাওয়ার জন্যে) অপেক্ষা করতে না হয়, কিন্তু কখনো যদি তোমাদের ডাকা হয় তাহলে (সময়মতোই) প্রবেশ করো, অতঃপর যখন খাবার (গ্রহণ) শেষ করে ফেলবে তখন সাথে সাথে (সেখান থেকে) চলে যেয়ো এবং (সেখানে কোনো অর্থহীন) কথাবার্তায় নিমগ্ন হয়ো না; তোমাদের এ বিষয়টি নবীকে কষ্ট দেয়, সে তোমাদের (এ কথা বলতে) লজ্জাবোধ করে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সত্য বলতে মোটেই লজ্জাবোধ করেন না; (হ্যাঁ,) তোমাদের যদি নবীপত্মীদের কাছ থেকে কোনো জিনিসপত্র চাইতে হয় তাহলে পর্দার আড়াল থেকে চেয়ে নিয়ো, এটা তোমাদের ও তাদের অন্তরকে পাক সাফ রাখার জন্যে অধিকতর উপযোগী; তোমাদের কারো জন্যেই এটা বৈধ নয় যে, তোমরা আল্লাহর রসুলকে কষ্ট দেবে (না এটা তোমাদের জন্যে বৈধ যে), তোমরা তাঁর পরে কখনো তাঁর সঙ্গীদের বিয়ে করবে, এটা আল্লাহ তায়ালার কাছে একটি বড়ো (অপরাধের) বিষয়। ৫৪. তোমরা কোনো জিনিস প্রকাশ করো কিংবা তা গোপন করো, আল্লাহ তায়ালা (তা) সবই জানেন, তিনি অবশ্যই সর্বজ্ঞ।

৫৫. (যারা নবীপত্নী), তাদের ওপর তাদের পিতা, ছেলে, ভাইদের ছেলে, বোনদের ছেলে, (সব সময়ে আসা যাওয়া করা) মহিলারা এবং নিজেদের অধিকারভুক্ত দাসীদের (সামনে আসা ও তাদের কাছ থেকে পর্দা না করার) ব্যাপারে কোনো অপরাধ নেই, (হে নবীপত্মীরা), তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সব কিছু প্রত্যক্ষ করেন ।

৫৬. নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরূদ পাঠান; (অতএব ) হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরাও নবীর ওপর দরূদ পাঠাতে থাকো এবং (তাঁকে) উত্তম অভিবাদন (পেশ) করো।

৫৭. যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলকে কষ্ট দেয় তাদের ওপর দুনিয়া আখেরাত (উভয় জায়গায়ই) আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ বর্ষণ করেন, (কেয়ামতের দিন) তিনি তাদের জন্যে অপমানজনক আযাব ঠিক করে রেখেছেন ।

৫৮. যারা মোমেন পুরুষ ও মোমেন নারীদের কষ্ট দেয় তেমন ধরনের কিছু (দোষ) তারা না করা সত্ত্বেও, (যারা এমনটি করে) তারা তো (মুলত) মিথ্যা ও স্পষ্ট অপবাদের বোঝাই বহন করে চলে।

৫৯. হে নবী, তুমি তোমার সঙ্গী, মেয়ে ও সাধারণ মোমেন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের চাদর (থেকে কিয়দংশ) নিজেদের ওপর টেনে দেয়, এতে করে তাদের চেনা (অনেকটা সহজ হবে এবং তাদের কোনোরকম উত্ত্যক্ত করা হবে না, (জেনে রেখো), আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

৬০. মোনাফেক দল, (তাদের সাথে) যাদের অন্তরে কুফরীর ব্যাধি রয়েছে ও যারা মদীনায় (তোমার বিরুদ্ধে) গুজব রটনা করে বেড়ায়, তারা যদি (তাদের নোংরা কার্যকলাপ থেকে) বিরত না হয়, তাহলে (হে নবী), আমি নিশ্চয়ই তোমাকে তাদের ওপর প্রবল করে (বসিয়ে দেবো, অতঃপর এরা সেখানে তোমার প্রতিবেশী হিসেবে সামান্য কিছু দিনই থাকতে পারবে,

৬১. (এরপরও এখানে যারা থেকে যাবে তারা) থাকবে অভিশপ্ত হয়ে, অতঃপর তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে পাকড়াও করা হবে এবং (বিশ্বাসঘাতকতার জন্যে) তাদের মৃতু দন্ডে দন্ডিত করা হবে ।

৬২. (তোমার) আগে (বিদ্রোহী হিসেবে) যারা অতিবাহিত হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারেও এ ছিলো আল্লাহ তায়ালার নীতি, আল্লাহ তায়ালার এ নিয়মে তুমি কখনো কোনো ব্যতিক্রম দেখবে না।

৬৩. মানুষরা তোমাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, তুমি (তাদের) বলো, তার জ্ঞান তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছেই রয়েছে; (হে নবী,) তুমি এ বিষয়টি কি করে জানবে? সম্ভবত কেয়ামত খুব নিকটেই (এসে গেছে !

৬৪. তবে (কেয়ামত যখনই আসুক) আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কাফেরদের ওপর (আগেই) অভিশাপ দিয়েছেন এবং তাদের শাস্তির জন্যে প্রজ্বলিত আগুনের শিখাও প্রস্তুত করে রেখেছেন,

৬৫. সেখানে তারা চিরদিন থাকবে, (সেখান থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে) তারা কোনো রকম অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না,

৬৬. সেদিন তাদের (চেহারাসমুহ) ওলট পালট করে (প্রজ্বলিত) আগুনে রাখা হবে, সেদিন তারা বলবে, হায়, (কতো ভালো হতো) যদি আমরা আল্লাহ তায়ালা ও রসুলের আনুগত্য করে আসতাম।

৬৭. তারা (সেদিন আরো) বলবে, হে আমাদের মালিক, (দুনিয়ার জীবনে) আমরা আমাদের নেতা ও বড়োদের কথাই মেনে চলেছি, তারাই আমাদের তোমার পথ থেকে গোমরাহ করেছে।
৬৮. হে আমাদের মালিক, ওদের তুমি (আজ) দ্বিগুণ পরিমাণ শাস্তি দাও এবং তাদের ওপর বড়ো রকমের অভিশাপ পাঠাও।

৬৯. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা (অর্থহীন অপবাদ দিয়ে) মুসাকে কষ্ট দিয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সেসব কিছু থেকে নির্দোষ প্রমাণিত করলেন, যা তারা (তার বিরুদ্ধে) রটনা করেছে, সে ছিলো আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে বড়ো মর্যাদাবান ব্যক্তি;

৭০. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং (সর্বদা) সত্য কথা বলো,

৭১. (তাহলে) তিনি তোমাদের জীবনের কর্মকান্ড শুধরে দেবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন; যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে, সে অবশ্যই এক মহাসাফল্য লাভ করবে ।

৭২. অবশ্যই আমি (কোরআনের এ) আমানত (এক সময়) আসমানসমুহ, পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে পেশ করেছিলাম, তারা একে বহন করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলো, সবাই এতে ভীত হয়ে গেলো, অবশেষে মানুষই তা বহন করে নিলো; নিঃসন্দেহে সে (মানুষ) একান্ত যালেম ও (এ আমানত বহন করার পরিণাম সম্পর্কে) একান্তই অজ্ঞ।

৭৩. আল্লাহ তায়ালা মোনাফেক পুরুষ, মোনাফেক নারী, মোশরেক পুরুষ, মোশরেক নারীদের (এ আমানতের দায়িত্বে অবহেলার জন্যে) কঠোর শাস্তি দেবেন এবং মোমেন পুরুষ মোমেন নারীদের ওপর (আমানতের দায়িত্ব পালনে ভুল ত্রুটির জন্যে) ক্ষমাপরবশ হবেন; নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url