আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল মা'য়ারেজ’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আল মা'য়ারেজ | Surah Al Maarij | المعارج


সূরা আল মা'য়ারেজ’এর বাংলা অনুবাদ

সূরা আল মা'য়ারেজ মক্কায় অবতীর্ণআয়াত ৪৪, রুকু ২

সূরা আল মা'য়ারেজ



রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলার নামে

১. (একজন) প্রশ্নকারী ব্যক্তি (আল্লাহ তা'আলা র প্রতিশ্রুত অমোঘ ও) অবধারিত আযাব (দ্রুত) পেতে চাইলো,

২. এ আযাব তো) হচ্ছে কাফেরদের জন্যে, তার প্রতিরোধকারী কিছুই নেই,

৩.(এ আযাব আসবে) সমুন্নত মর্যাদার অধিকারী আল্লাহ তা'আলা র পক্ষ থেকে;

৪. ফেরেশতাকুল ও (তাদের নেতা জিবরাঈল) রূহ' আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন একটি দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর,

৫. অতএব (হে নবী, কাফেরদের ব্যাপারে) তুমি উত্তম ধৈর্য্য ধারণ করো।

৬. কাফেররা (তাদের) এ (অবধারিত আযাব)-কে একটি দূরের (ব্যাপার) হিসেবেই দেখতে পায়,

৭. অথচ আমি তো তা দেখতে পাচ্ছি একেবারে আসন্ন

৮. যেদিন আসমান গলিত তামার মতো হয়ে যাবে,

৯. আর পাহাড়গুলো হবে (রং বেরংয়ের) ধুনা পশমের মতো,

১০ (সেদিন) এক বন্ধু আরেক বন্ধুর খবর নেবে না,

১১. অথচ তারা একজন আরেকজনকে সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাবে, (সেদিন) অপরাধী ব্যক্তি আযাব থেকে (নিজেকে) বাঁচাতে মুক্তিপণ হিসেবে তার পুত্র সন্তানদের দিতে পারলেও তা দিতে চাইবে,

১২. (দিতে চাইবে) নিজের স্ত্রী এবং নিজের ভাইকেও

১৩. এবং নিজের পরিবারভুক্ত এমন আপনজনদেরও, যারা তাকে (জীবনভর) আশ্রয় দিয়েছিলো,

১৪. (সম্ভব হলে) ভূমন্ডলের সবকিছুই (সে দিতে চাইবে), তারপরও (জাহান্নাম থেকে) সে বাঁচতে চাইবে,

১৫. না (কোনো কিছুর বিনিময়েই তা থেকে সেদিন বাঁচা যাবে না); সে (জাহান্নাম) হচ্ছে একটি প্রজ্বলিত আগুনের লেলিহান শিখা,

১৬. যা চামড়া ও তার আভ্যন্তরীণ মাংসগুলোকে খসিয়ে দেবে,

১৭. (সেদিন) সে (আগুন) এমন সব লোকদের (নিজের দিকে) ডাকবে, যারা (দুনিয়ার জীবনে অবহেলা করে তা থেকে) ফিরে গিয়েছিলো এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিলো,

১৮. (যারা দুনিয়ার জীবনে বিপুল ধনরাশি জমা করে তা একান্তভাবে আগলে রেখেছিলো।

১৯. (আসলে) মানুষকে সৃষ্টিই করা হয়েছে খুব (সংকীর্ণ মনের এক) ভীরু জীব হিসেবে,

২০. যখনি তার ওপর কোনো বিপদ আসে তখন সে ঘাবড়ে যায়,

২১. (আবার) যখন তার সচ্ছলতা ফিরে আসে তখন সে (আগের কথা ভুলে গিয়ে) কার্পণ্য করতে আরম্ভ করে,

২২. (কিন্তু) সেসব লোকদের কথা আলাদা যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে,

২৩. যারা নিজেদের নামাযে সার্বক্ষণিকভাবে কায়েম থাকে,

২৪. (যারা বিশ্বাস করে) তাদের সম্পদে সুনির্দিষ্ট অধিকার আছে

২৫. এমন সব লোকদের, যারা (অভাবের তাড়নায় কিছু পেতে) চায় এবং যারা (যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে) বঞ্চিত,

২৬. (তারাও নয়) যারা বিচার দিনের সত্যতা স্বীকার করে,

২৭. শ(তদুপরি) যারা তাদের মালিকের আযাবকে ভয় করে,

২৮. নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালকের আযাবের বিষয়টি এমন যে, এ থেকে (মোটেই) নিশ্চিন্ত (হয়ে বসে) থাকা যায় না।

২৯. যারা (হারাম কাজ থেকে) নিজেদের যৌন অংগসমূহের হেফাযত করে,

৩০. অবশ্য নিজেদের স্ত্রীদের কিংবা এমন সব মহিলাদের বেলায় (এটা প্রযোজ্য) নয়, যারা (আল্লাহ তা'আলার অনুমোদিত পন্থায়) তাদের মালিকানাধীন রয়েছে, (এদের ব্যাপারে সংযম না করা হলে এ জন্য) তারা তিরস্কৃত হবে না,

৩১.(আল্লাহ তা'আলা র নির্ধারিত এ সীমারেখার) বাইরে যারা (যৌন সম্ভোগের জন্যে) অন্য কিছু পেতে চাইবে, তারা হবে (শরীয়তের সুস্পষ্ট) সীমালংঘনকারী,

৩২. যারা তাদের আমানত ও তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে,

৩৩. যারা (সত্যের পক্ষে) সাক্ষ্য প্রদানের ব্যাপারে অটল থাকে,

৩৪. (সর্বোপরি) যারা নিজেদের নামাযের হেফাযত করে;

৩৫. (পরকালে) এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদা সহকারে প্রবেশ করবে;

৩৬. এ কাফেরদের (আজ) কী হলো? এরা কেন এভাবে ঊর্ধ্বশ্বাসে তোমার সামনে ছুটে আসছে,

৩৭. (ছুটে আসছে) ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে দলে দলে!

৩৮. তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি কি এ (মিথ্যা) আশা পোষণ করে যে, তাকে (আল্লাহর) নেয়ামতভরা জান্নাতে দাখিল করা হবে?

৩৯. না, তা কখনো সম্ভব নয়, আমি তাদের এমন এক জিনিস দিয়ে বানিয়েছি যা তারা (ভালো করেই জানে ।

৪০. আমি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের মালিকের শপথ করছি, অবশ্যই আমি (বিদ্রোহীদের ধ্বংস সাধনে সক্ষম, ৪১.(আমি সক্ষম) এদের চাইতে উৎকৃষ্ট কাউকে দিয়ে এদের বদলে দিতে এবং আমি (এতে) কখনো অক্ষম নই।

৪২. (হে নবী) তুমি বরং এদের ছেড়ে দাও, এরা কিছুদিন খেল তামাশায় নিমগ্ন থাক ঠিক সেদিনটির সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যেদিনের ব্যাপারে বার বার) তাদের ওয়াদা দেয়া হচ্ছে।

৪৩. সেদিন যখন এরা (নিজ নিজ ) কবর থেকে বের হয়ে আসবে, তখন এমন দ্রুতগতিতে এরা েেদৗড়াতে থাকবে, (দেখে মনে হবে) তারা (সবাই বুঝি) কোনো শিকারের (লক্ষ্যবস্তুর) দিকে ছুটে চলেছে,

৪৪. তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত, অপমান ও লাঞ্ছনায় তাদের সবকিছু থাকবে আচ্ছন্ন; (তখন তাদের বলা হবে) এ হচ্ছে সেই (মহা) দিবস, তোমাদের কাছে যেদিনের ওয়াদা করা হয়েছিলো ।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url