আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল মোনাফেকুন’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আল মোনাফেকুন | Surah An Najm | النّجْم‎



সূরা আল মোনাফেকুন’এর বাংলা অনুবাদ

সূরা আল মোনাফেকুন মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ১১, রুকু ২

সূরা আল মোনাফেকুন



রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলা র নামে

১. যখন মোনাফেকরা তোমার কাছে আসে, (তখন) তারা বলে (হে মোহাম্মদ), আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। (হ্যাঁ,) আল্লাহ তা'আলা জানেন তুমি নিঃসন্দেহে তাঁর রসূল; (কিন্তু) আল্লাহ তা'আলা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, মোনাফেকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী,

২. এরা তাদের এ শপথকে (স্বার্থ উদ্ধারের একটা) ঢাল বানিয়ে রেখেছে এবং তারা (এভাবেই মানুষদের) আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে; কতো নিকৃষ্ট ধরনের কার্যকলাপ যা এরা করে যাচ্ছে!

৩. এটা এ কারণেই, এরা ঈমান আনার পর কুফরী অবলম্বন করেছে, ফলে ওদের মনের ওপর সিল মেরে দেয়া হয়েছে, ওরা (আসলে) কিছুই বুঝতে পারছে না ।

৪. তুমি যখন তাদের দিকে তাকাবে, তখন তাদের (বাইরের) দেহাবয়ব তোমাকে খুশী করে দেবে; আবার যখন তারা তোমার সাথে কথা বলবে তখন তুমি (আগ্রহভরে) তাদের কথা শোনবেও; কিন্তু (তারা ও তাদের সেই দেহের উদাহরণ হচ্ছে) যেমন দেয়ালে ঠেকানো কতিপয় (নিষ্প্রাণ) কাঠের টুকরো; (শুধু তাই নয়, তারা এতো ভীত সন্ত্রস্ত থাকে যে,) প্রতিটি (বড়ো) আওয়াযকেই তারা মনে করে তাদের ওপর বুঝি এটা (বড়ো) বিপদ; এরাই হচ্ছে (তোমাদের আসল) দুশমন, এদের থেকে তোমরা হুশিয়ার থেকো; আল্লাহর মার তো তাদের জন্যেই, (বলতে পারো?) কোথায় কোথায় এরা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছে?

৫. এদের যখন বলা হয়, তোমরা আসো (আল্লাহর রসূলের কাছে), তাহলে আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্যে (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন এরা (অবজ্ঞাভরে) মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং তুমি (এও) দেখতে পাবে, তারা অহংকারের সাথে তোমাকে এড়িয়ে চলে।

৬. (আসলে) তুমি এদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করো কিংবা না করো, (এ দুটোই) তাদের জন্যে সমান; (কারণ) আল্লাহ তা'আলা কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না; আল্লাহ তা'আলা কখনো কোনো না ফরমান জাতিকে হেদায়াত দান করেন না।

৭. এরা হচ্ছে সেসব লোক, যারা (আনসারদের) বলে, রসূলের (মোহাজের) সাথীদের জন্যে তোমরা (কোনো রকম) অর্থ ব্যয় করো না, (তাহলে আর্থিক সংকটের কারণে) এরা (রসূলের কাছ থেকে) সরে পড়বে; অথচ (এরা জানে না,) আসমানসমুহ ও যমীনের সমুদয় ধনভান্ডার তো আল্লাহ তা'আলারই, কিন্তু মোনাফেকরা কিছুই বুঝতে পারে না।

৮. তারা বলে, আমরা মদীনায় ফিরে গেলে সেখানকার সবল দলটি (মুসলমানদের) দূর্বল দলটিকে সে শহর থেকে অবশ্যই বের করে দেবে; (আসলে) যাবতীয় শক্তি সম্মান তো আল্লাহ তা'আলা তাঁর রসূল ও তাঁর অনুসারী মোমেনদের জন্যে, কিন্তু মোনাফেকরা এ কথাটা জানে না!

৯. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমাদের ঐশ্বর্য ও সন্তানাদি যেন কখনো তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে দেয়, (কেননা) যারা এ কাজ করবে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

১০. আমি তোমাদের যা কিছু অর্থ সম্পদ দিয়েছি তা থেকে তোমরা (আল্লাহর পথে) ব্যয় করো তোমাদের কারো মৃত্যু আসার আগেই, (কেননা সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়ালে সে বলবে), হে আমার মালিক, তুমি যদি আমাকে আরো কিছু কালের অবকাশ দিতে তাহলে আমি তোমার পথে দান করতাম এবং (এভাবেই) আমি তোমার নেক বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যেতাম!

১১. কিন্তু কারো আল্লাহ নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন আল্লাহ তা'আলা আর তাকে (এক মুহূর্তও) অবকাশ দেবেন না; তোমরা (দুনিয়ার জীবনে) যা কিছু করছো, আল্লাহ তা'আলা সে সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত রয়েছেন |


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url