আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আত তাগাবুন’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আত তাগাবুন | Surah At Taghabun | التّغابن


সূরা আত তাগাবুন’এর বাংলা অনুবাদ

সূরা আত তাগাবুন, মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ১৮, রুকু ২

সূরা আত তাগাবুন



রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলা র নামে

১. আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা ঘোষণা করছে, (যাবতীয়) সার্বভৌমত্ব (যেমন) তাঁর জন্যে, (তেমনি যাবতীয়) প্রশংসাও তাঁর জন্যে, তিনি সকল কিছুর ওপর প্রবল ক্ষমতাবান।

২. তিনিই তোমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, (এর পর) তোমাদের কিছু লোক মোমেন হলো আবার কিছু লোক কাফের থেকে গেলো; (আসলে) তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ তা'আলা সব কিছুই দেখেন।

৩. তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সঠিকভাবে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের তিনি (মানুষের) আকৃতি দিয়েছেন, তাও আবার অতি সুন্দর করে তিনি তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন, তাঁর কাছেই (তোমাদের আবার) ফিরে যেতে হবে।

৪. আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন, তিনি জানেন তোমরা যা কিছু গোপন করো আর যা কিছু প্রকাশ করো; আল্লাহ তা'আলা তোমাদের মনের কথাও জানেন ।

৫. তোমাদের কাছে কি সেসব লোকের খোঁজ খবর কিছুই পৌঁছেনি যারা এর আগে (বিভিন্ন নবীর সময়ে) কুফরী করেছিলো, অতঃপর তারা (দুনিয়াতেই) নিজেদের কর্মফল ভোগ করে নিয়েছে, (পরকালেও) তাদের জন্যে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক আযাব রয়েছে।

৬.(এটা) এ কারণে যে, তাদের কাছে সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ নিয়ে যখনি আল্লাহর কোনো রসূল আসতো তখনি তারা বলতো, (কতিপয় ) মানুষই কি আমাদের পথের সন্ধান দেবে? অতএব তারা সত্য প্রত্যাখ্যান করলো এবং (ঈমানের পথ থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিলো, অবশ্য আল্লাহ তা'আলা র (তাদের কাছ থেকে) কিছুই পাওয়ার ছিলো না, আল্লাহ তা'আলা কারোই মুখাপেক্ষী নন, তিনি চির প্রশংসিত।

৭. কাফেররা ধারণা করে নিয়েছে, একবার মরে গেলে কখনো তাদের পুনরুত্থিত করা হবে না; তুমি বলো, না তা কখনো নয়; আমার মালিকের শপথ, অবশ্যই মৃত্যুর পর তোমাদের সবাইকে আবার (কবর থেকে) ওঠানো হবে এবং তোমাদের (এক এক করে) বলে দেয়া হবে তোমরা কি কাজ করে এসেছো; আর আল্লাহ তা'আলা র পক্ষে এটা অত্যন্ত সহজ কাজ।

৮. অতএব তোমরা আল্লাহ তা'আলা তাঁর রসূল এবং আমি যে আলো তোমাদের দিয়েছি তার (বাহন কোরআনের) ওপর ঈমান আনো; তোমরা যা কিছুই করো আল্লাহ তা'আলা তা ভালো করেই জানেন ।

৯. যেদিন তোমাদের (আগে পরের সমস্ত মানুষ ও জ্বিনকে) একত্র করা হবে, ( একত্র করা হবে সে) মহাসমাবেশের দিনটির জন্যে (যেদিন বলা হবে, হে মানুষ ও জ্বিন), আজকের দিনটিই হচ্ছে (তোমাদের আসল) লাভ লোকসানের দিন; (লাভের দিন তার জন্যে) যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তিনি (আজ) তার গুনাহ মোচন করে দেবেন এবং তাকে তিনি এমন এক (সুরমা) জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, তারা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান করবে; (আর) এটাই হচ্ছে পরম সাফল্য।

১০. (এটা লোকসানের দিন তাদের জন্যে,) যারা (আল্লাহ তা'আলা কে ) অস্বীকার করেছে এবং আমার আয়াতসমুহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে (এদের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্ত হচ্ছে), এরা সবাই জাহান্নামের অধিবাসী (হবে), সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে; কতো নিকৃষ্ট সে আবাসস্থল !

১১. আল্লাহ তা'আলা র অনুমতি ব্যতীত (কোনো) বিপদই আসে না; যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলা র ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ তা'আলা তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন; আর আল্লাহ তা'আলা সব বিষয়েই সম্যক অবগত রয়েছেন।

১২. তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, আনুগত্য করো (তাঁর রসূলের, তোমরা যদি (এ থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে (জেনে রেখো), আমার রসূলের দায়িত্ব (হচ্ছে আমার কথাগুলো) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।

১৩. আল্লাহ তা'আলা (মহান সত্তা), তিনি ছাড়া কোনোই মাবুদ নেই, অতএব প্রতিটি ঈমানদার বান্দার উচিত সর্ববিষয়ে তাঁর ওপরই নির্ভর করা ।

১৪. হে ঈমানদার লোকেরা, অবশ্যই তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান সন্ততিদের মাঝে তোমাদের (কিছু) দুশমন রয়েছে, অতএব তাদের ব্যাপারে তোমরা সতর্ক থেকো, অবশ্য তোমরা যদি (তাদের) অপরাধ ক্ষমা করে দাও, তাদের দোষত্রটি উপেক্ষা করো এবং তাদের মাফ করার নীতি অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ তা'আলা পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

১৫. তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি হচ্ছে (তোমাদের জন্যে) পরীক্ষা মাত্র; (আর এ পরীক্ষায় কামিয়াব হতে পারলে) অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা র কাছে মহাপুরস্কার রয়েছে ।

১৬. অতএব তোমরা সাধ্য মোতাবেক আল্লাহ তা'আলা কে ভয় করো, তোমরা (রসূলের আদেশ) শোনো এবং (তাঁর) কথামতো চলো, আল্লাহর দেয়া ধন সম্পদ থেকে (তাঁরই উদ্দেশে) খরচ করো, এতে তোমাদের নিজেদের জন্যেই কল্যাণ রয়েছে; যে ব্যক্তিকে তার মনের লোভ লালসা থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে (সে এবং তার মতো) লোকেরাই হচ্ছে সফলকাম।

১৭. যদি তোমরা আল্লাহ তা'আলা কে ঋণ দাও উত্তম ঋণ, তাহলে (দুনিয়া ও আখেরাতে) তিনি তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তিনি তোমাদের (গুনাহ খাতা) মাফ করে দেবেন; আল্লাহ তা'আলা বড়োই গুণগ্রাহী ও পরম ধৈর্যশীল,

১৮. দেখা-অদেখা (সব কিছুই) তিনি জানেন, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url