আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সুরা আল জুমুয়াহ’এর বাংলা অনুবাদ | সুরা আল জুমুয়াহ | Surah Al-Jumua | الجمعة



সুরা আল জুমুয়াহ’এর বাংলা অনুবাদ

সুরা আল জুমুয়াহ, মদীনায় অবতীর্ণ আয়াত ১১, রুকু ২

সুরা আল জুমুয়াহ


রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলা র নামে


১. আসমানসমুহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তা'আলার মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে, তিনি রাজাধিরাজ, তিনি পূত পবিত্র, তিনি মহাপরাক্রমশালী, তিনি প্রবল প্রজ্ঞাময়।

২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি (একটি) সাধারণ জনগোষ্ঠীর (নিরক্ষর লোকদের) মাঝে থেকে তাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের আল্লাহর আয়াতসমুহ পড়ে শোনাবে, তাদের জীবনকে পবিত্র করবে, তাদের (আসমানী) কেতাবের (কথা ও সে অনুযায়ী দুনিয়ায় চলার) কৌশল শিক্ষা দেবে, অথচ এ লোকগুলোই (রসূল আসার) আগে (পর্যন্ত) এক সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত ছিলো,

৩. তাদের মধ্যকার সেসব ব্যক্তিও (গোমরাহীতে নিমজ্জিত), যারা এখনো (এসে) এদের সাথে মিলিত হয়নি; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও পরম কুশলী।

৪. (রসূল পাঠানো) এটা (মানুষদের ওপর) আল্লাহ তা'আলার বিরাট অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি এটা দান করেন; আল্লাহ তা'আলা মহা অনুগ্রহশীল।

৫. যাদের (আল্লাহর কেতাব) তাওরাত বহন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তারা কখনো এটা বহন করেনি, তাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই গাধার মতো, যে (কেতাবের) বোঝাই শুধু বহন করলো (এর কিছুই বুঝতে পারলো না); তার চাইতেও নিকৃষ্ট উদাহরণ সে জাতির, যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করলো; আল্লাহ তা'আলা (এ ধরনের) যালেম জাতিকে হেদায়াত করেন না ।

৬. (হে রসূল,) তুমি বলো, হে ইহুদীরা, যদি তোমরা মনে করে থাকো, অন্য সব লোক বাদে কেবল তোমরাই হচ্ছো আল্লাহর বন্ধু, তাহলে (আল্লাহর পুরস্কার পাওয়ার জন্যে) তোমরা মৃত্যু কামনা করো যদি তোমরা সত্যবাদী হও!

৭. কিন্তু (সারা জীবন) এরা নিজেদের হাত দিয়ে যা করেছে (তার পরিণাম চিন্তা করে) এরা কখনো মৃত্যু কামনা করবে না; আল্লাহ তা'আলা এ যালেমদের কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্যক অবগত।

৮. (হে নবী) তুমি এদের বলো, যে মৃত্যুর কাছ থেকে তোমরা আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছো, একদিন কিন্তু তোমাদের সে মৃত্যুর সামনা সামনি হতেই হবে, তারপর তোমাদের সে মহান আল্লাহর দরবারে হাযির করা হবে, যিনি মানুষের দেখা অদেখা যাবতীয় কিছু সম্পর্কেই জ্ঞান রাখেন, অতঃপর তিনি সেদিন তোমাদের সবাইকে বলে দেবেন তোমরা দুনিয়ার জীবনে কি করে এসেছো ।

৯. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, জুমুয়ার দিনে যখন তোমাদের নামাযের জন্যে ডাক দেয়া হবে তখন তোমরা (নামাযের মাধ্যমে) আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাও এবং (সে সময়ের জন্যে) কেনাবেচা ছেড়ে দাও, এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা তা উপলব্ধি করো!

১০. অতঃপর যখন (জুমুয়ার) নামায শেষ হয়ে যাবে তখন তোমরা (কাজেকর্মে) পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো, আর আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করো, আশা করা যায় তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারবে।

১১. (আল্লাহ তা'আলা র এসব নির্দেশ সত্ত্বেও) এরা যখন কোনো ব্যবসায়িক কাজকর্ম কিংবা ক্রীড়ােেকৗতুক দেখতে পায়, তখন সেদিকে দ্রুত গতিতে দৌঁড়ায় এবং তোমাকে (নামাযে) একা দাঁড়ানো অবস্থায় ফেলে যায়; তুমি বলো, আল্লাহ তা'আলা র কাছে যা কিছু রয়েছে তা অবশ্যই খেলাধুলা ও বেচাকেনার চাইতে (বহুগুণে) উৎকৃষ্ট, (মূলত) আল্লাহ তা'আলা ই হচ্ছেন (তাঁর সৃষ্টির) সর্বোত্তম রেযেকদাতা।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url