আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সুরা আস সাফ’এর বাংলা অনুবাদ | সুরা আস সাফ | Surah As-Saff | الصّفّ


সুরা আস সাফ’এর বাংলা অনুবাদ

সুরা আস সাফ, মদীনায় অবতীর্ণ আয়াত ১৪, রুকু ২

সুরা আস সাফ


রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলা র নামে


১. আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর (পবিত্রতা ও) মাহাত্ম্য ঘোষণা করে, তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রবল প্রজ্ঞাময়।

২. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা এমন সব কথা বলো কেন যা তোমরা (নিজেরা) করো না।

৩. আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তোমরা এমন সব কথা বলে বেড়াবে যা তোমরা করবে না!

৪. আল্লাহ তা'আলা তাদের (বেশী ) পছন্দ করেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, যেন তারা এক শিশাঢালা সুদৃঢ় প্রাচীর।

৫. (মুসার ঘটনা স্মরণ করো,) যখন মুসা নিজের জাতিকে বলেছিলো, হে আমার জাতি, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছো, অথচ তোমরা এ কথা জানো, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো একজন রসূল; অতঃপর লোকেরা যখন বাঁকা পথে চলতে আরম্ভ করলো, তখন আল্লাহ তা'আলা ও তাদের মন বাঁকা করে দিলেন; আল্লাহ তা'আলা কখনো না-ফরমান লোকদের সঠিক পথের দিশা দেন না।

৬. (স্মরণ করো,) যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা তাদের বললো, হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা, আমি তোমাদের কাছে পাঠানো আল্লাহর এক রাসুল, আমার আগের তাওরাত কেতাবে যা কিছু আছে আমি তার সত্যতা স্বীকার করি এবং তোমাদের জন্যে আমি হচ্ছি একজন সুসংবাদাতা, (তার একটি সুসংবাদ হচ্ছে), আমার পর এক রসূল আসবে, তার নাম আহমদ; অতঃপর (আজ) যখন সে (আহমদ সত্য সত্যিই) তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে হাযির হলো তখন তারা বললো, এ হচ্ছে এক সুস্পষ্ট যাদু!

৭. তার চাইতে বড়ো যালেম আর কে আছে যে আল্লাহর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, (অথচ) তাকে ইসলামের দিকেই দাওয়াত দেয়া হচ্ছে; (মূলত) আল্লাহ তা'আলা কখনো সীমালংঘনকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না ।

৮. এ লোকেরা মুখের ফুৎকারেই আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়; অথচ তিনি তার এ নূর পরিপূর্ণ করে দিতে চান; তা কাফেরদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন ।

৯. তিনি তাঁর রসূলকে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যেন সে (রসূল) একে দুনিয়ার (প্রচলিত) সব কয়টি জীবন ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মোশরেকদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন!

১০. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, আমি কি তোমাদের এমন একটি (লাভজনক) ব্যবসার সন্ধান দেবো যা তোমাদের (মহাবিচারের দিনে) কঠোর আযাব থেকে বাঁচিয়ে দেবে!

১১. (হ্যাঁ, সে ব্যবসাটি হচ্ছে,) তোমরা আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহর (দ্বীন প্রতিষ্ঠার) পথে তোমাদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করবে; এটাই তোমাদের জন্যে ভালো, যদি তোমরা (কথাটা) বুঝতে পারতে,

১২. (ঠিকমতো একাজগুলো করতে পারলে) আল্লাহ তা'আলা তোমাদের গুনাহসমুহ মাফ করে দেবেন এবং (শেষ বিচারের দিন) তোমাদের তিনি প্রবেশ করাবেন এমন এক (সুরমা) জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে, (সর্বোপরি) তিনি তোমাদের আরো প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী নিবাসস্থলের সুন্দর ঘরসমুহে; আর এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড়ো সাফল্য,

১৩. আরো একটি (বড়ো ধরনের) অনুগ্রহ (রয়েছে) যা হবে তোমাদের একান্ত কাম্য (এবং তা হচ্ছে), আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য ও (ময়দানের) আসন্ন বিজয়; (যাও, তোমরা মোমেন বান্দাদের) এ সুসংবাদ দাও ।

১৪. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা সবাই আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমনি করে মারইয়াম পুত্র ঈসা (তার) সংগী সাথীদের বলেছিলো, কে আছো তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) পথে আমার সাহায্যকারী? তারা বলেছিলো, হ্যাঁ, আমরা আছি আল্লাহর (পথের) সাহায্যকারী, অতঃপর বনী ইসরাঈলের একটি দল (সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ওপর) ঈমান আনলো, আরেক দল (তা সম্পূর্ণ) অস্বীকার করলো, অতঃপর আমি (অস্বীকারকারী) দুশমনদের ওপর ঈমানদারদের সাহায্য করলাম, ফলে (যারা ঈমানদার) তারাই বিজয়ী হলো।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url