আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আন নাস’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আন নাস | Surah An Nas | سورة الناس


সূরা আন নাস’এর বাংলা অনুবাদ

সূরা আন নাস, মক্কায় অবতীর্ণ আয়াত ৬, রুকু ১

সূরা আন নাস’এর পরিচয়


সূরার নাম : সূরা আন নাস।
সূরার অর্থ : মানবজাতি। 
সূরা নং : ১১৪
রুকু সংখ্যা : ১
আয়াত সংখ্যা : ৬
সিজদা সংখ্যা : ০
শব্দ সংখ্যা : ২০
পারার সংখ্যা : ৩০
অক্ষর সংখ্যা : ৮০
শ্রেণী : মাক্কী

সূরা আন নাস’এর ফজিলত


এই সূরার ফযীলত পূর্বের সূরায় বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য এক হাদীসে এসেছে যে, নবী (সাঃ)-কে নামায পড়া অবস্থায় বিছুতে দংশন করলে, নামায শেষ হতেই তিনি পানি এবং লবণ আনতে আদেশ করলেন এবং তা দিয়ে তিনি দষ্ট জায়গায় মলতে লাগলেন এবং সাথে সাথে সূরা কাফেরূন, সূরা ইখলাস ও সূরা নাস পাঠ করতে থাকলেন।

(মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/১১১ হাইষামী বলেছেন, এর সনদ হাসান। সিলসিলাহ স্বাহীহাহ ৫৪৮নং)

সূরা আন নাস’এর নামকরণ


কুরআন মজীদের এ শেষ সূরা দু’টি আলাদ আলাদা সূরা ঠিকই এবং মূল লিপিতে এ সূরা দু’টি ভিন্ন ভিন্ন নামেই লিখিত হয়েছে , কিন্তু এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর এবং উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশী নিকট সম্পর্ক রাখে যার ফলে এদের একটি যুক্ত নাম “ মু’আওবিযাতাইন ” ( আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা ) রাখা হয়েছে । ইমাম বায়হাকী তাঁর “ দালায়েলে নবুওয়াত ” বইতে লিখেছেন : এ সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে । তাই উভয়ের যুক্তনাম রাখা হয়েছে “ মু’আওবিযাতাইন ” । আমরা এখানে উভয়ের জন্য একটি সাধারণ ভূমিকা লিখছি। কারণ , এদের উভয়ের সাথে সম্পর্কিত বিষয়বলী ও বক্তব্য সম্পূর্ণ একই পর্যায়ভুক্ত । তবে ভূমিকায় একত্র করার পর সামনের দিকে প্রত্যেকের আলাদা ব্যাখ্যা করা হবে।

সূরা আন নাস’এর শানে নুযূল


মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে য়ায এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা’আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ’সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে ‘বির যরোয়ান’ কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন। মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।

সূরা আন নাস



রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলার নামে

১. (হে নবী) তুমি বলো, আমি আশ্রয় চাই মানুষের মালিকের কাছে,

২. (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (আসল) বাদশাহের কাছে,

৩. (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (একমাত্র) মাবুদের কাছে,

৪. (আমি আশ্রয় চাই) কুমন্ত্রণাদানকারীর অনিষ্ট থেকে, যে (প্ররোচনা দিয়ে) গা ঢাকা দেয়,

৫. যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়,

৬. জ্বিনদের মধ্য থেকে (হোক বা) মানুষদের মধ্য থেকে হোক (তাদেরঅনিষ্ট থেকে আমি আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় চাই) ।



কুরআন তেলাওয়াত শেষ করার দোয়া


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

‘হে আল্লাহ! আমার কবরে আমার একাকিত্বের ভয়াবহতার সময় তুমি আমাকে (কোরআনের আলো দিয়ে) প্রশান্তি দান করো | হে আল্লাহ, কোরআন দিয়ে তুমি আমার ওপর দয়া করো, কোরআনকে তুমি আমার জন্যে ইমাম, নুর, পথ প্রদর্শক ও রহমত বানিয়ে দিয়ো | হে আল্লাহ! আমি এর যা কিছু ভূলে গেছি তা তুমি আমায় মনে করিয়ে দিয়ো, যা কিছু আমি আমার জ্ঞান থেকে হারিয়ে ফেলেছি তা তুমি আমায় জানিয়ে দিয়ো | আমাকে দিবানিশি এর তেলাওতের তাওফীক দিয়ো | হে সৃষ্টিকূলের মালিক! তুমি এই কেতাবকে আমার জন্যে চূড়ান্ত দলীল বানিয়ে দিয়ো |— আমীন!

হে আল্লাহ ! যারা এই কাজে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে তুমি তাদের সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করো। আমীন



💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url