আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল ফাতহ’এর বাংলা অনুবাদ | সূরা আল ফাতহ | Surah Al Fath | الفتح


সূরা আল ফাতহ’এর বাংলা অনুবাদ

সূরা আল ফাতহ, মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ২৯, রুকু ৪

সূরা আল ফাতহ


রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে

১. (হে নবী,) নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে এক সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি,

২. যাতে করে (এর দ্বারা) আল্লাহ তায়ালা তোমার আগে পরের যাবতীয় এটি বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিতে পারেন, তোমার ওপর প্রদত্ত তাঁর যাবতীয় অনুদানসমুহও তিনি পুরণ করে দিতে পারেন এবং তোমাকে সরল ও অবিচল পথে পরিচালিত করতে পারেন,

৩. আর (এ ঘটনার মাধ্যমে) আল্লাহ তায়ালা তোমাকে বড়ো রকমের একটা সাহায্যও করবেন।

৪. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি ঈমানদারদের মনে গভীর প্রশান্তি দান করেছেন, যাতে করে তাদের (বাইরের) ঈমান তাদের (ভেতরের) ঈমানের সাথে মিলে আরও বৃদ্ধি পায়; (তারা যেন জেনে নিতে পারে,) আসমান যমীনের সমুদয় সৈন্য সামন্ত তো একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালার জন্যেই; আর আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন সর্বজ্ঞ এবং সর্ববিষয়ে ওয়াকেফহাল,

৫. (এর মাধ্যমে) তিনি মোমেন পুরুষ ও মোমেন নারীদের এমন এক (স্থায়ী) জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত রয়েছে, সেখানে তারা হবে চিরন্তন, তিনি তাদের গুনাহসমুহ মাফ করে দেবেন; আর (সত্যিকার অর্থে) আল্লাহ তায়ালার কাছে (মোমেনদের) এটা হচ্ছে মহাসাফল্য,

৬. (এর দ্বারা) তিনি মোনাফেক পুরুষ ও মোনাফেক নারী, আল্লাহর সাথে শরীক করে এমন পুরুষ ও নারী এবং আরো যারা আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে নানাবিধ খারাপ ধারণা পোষণ করে তাদের সবাইকে শাস্তি প্রদান করবেন; (আসলে) খারাপ পরিণাম তো ওদের চারদিক থেকে ঘিরেই আছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর গযব পাঠিয়েছেন, তাদের তিনি অভিশাপ দিয়েছেন, অতঃপর তাদের জন্যে তিনি জাহান্নাম তৈরী করে রেখেছেন; আর জাহান্নাম (তো হচ্ছে অত্যন্ত) নিকৃষ্ট ঠিকানা!

৭. আসমানসমুহ ও যমীনের সমুদয় বাহিনী আল্লাহ তায়ালার জন্যেই এবং তিনিই হচ্ছেন পরাক্রমশালী ও প্রবল প্রজ্ঞাময়।

৮.(হে নবী,) অবশ্যই আমি তোমাকে (মানুষের কাছে) সত্যের সাক্ষী এবং (জান্নাতের) সুসংবাদ বহনকারী ও (জাহান্নামের) সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি,

৯. যাতে করে তোমরা (একমাত্র) আল্লাহর ওপর এবং তাঁর নবীর ওপর (সর্বতোভাবে) ঈমান আনো, (দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে) তাঁকে সাহায্য করো, (আল্লাহর নবী হিসেবে) তাঁকে সম্মান করো; (সর্বোপরি ) সকাল সন্ধ্যা আল্লাহর মাহাত্ম্য ঘোষণা করো।

১০. নিঃসন্দেহে আজ যারা তোমার কাছে বায়াত করছে, তারা তো প্রকারান্তরে আল্লাহর কাছেই বায়াত করলো; (কেননা) আল্লাহর হাত ছিলো তাদের হাতের ওপর, তাদের কেউ যদি এ বায়াত ভংগ করে তাহলে এর (ভয়াবহ পরিণাম তার নিজের ওপরই এসে পড়বে, আর আল্লাহ তায়ালা তার ওপর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা যে পূর্ণ করে, তিনি অচিরেই তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন।

১১. (আরব) বেদুইনদের যারা (তোমার সাথে যোগ না দিয়ে) পেছনে পড়ে থেকেছে, তারা অচিরেই তোমার কাছে এসে বলবে (হে নবী), আমাদের মাল সম্পদ ও পরিবার পরিজন আমাদের ব্যস্ত করে রেখেছিলো, অতএব তুমি আমাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো (হে মোহাম্মদ, তুমি এদের কথায় প্রতারিত হয়ো না), এরা মুখে এমন সব কথা বলে যার কিছুই তাদের অন্তরে নেই; বরং তুমি (এদের) বলে দাও, আল্লাহ তায়ালা যদি তোমাদের কোনো ক্ষতি কিংবা কোনো উপকার করতে চান, তাহলে কে তোমাদের ব্যাপারে তাঁর ইচ্ছা থেকে তাঁকে ফিরিয়ে রাখতে পারবে; তোমরা যা যা করছো আল্লাহ তায়ালা কিন্তু সে সম্পর্কে সম্যক ওয়াকেফহাল রয়েছেন ।

১২. তোমরা সবাই মনে করেছিলে, রসুল ও (তাঁর সাথী) মোমেনরা কোনো দিনই (এ অভিযান থেকে) নিজেদের পরিবার পরিজনের কাছে (জীবিত) ফিরে আসতে পারবে না, আর এ ধারণা তোমাদের কাছে খুবই সুখকর লেগেছিলো এবং তোমরা তাদের সম্পর্কে খুবই খারাপ ধারণা করে রেখেছিলে, (আসলে) তোমরা হচ্ছো একটি নিশ্চিত ধ্বংসোন্মুখ জাতি!

১৩. আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের ওপর যারা কখনো বিশ্বাস করেনি, আমি (সে) অবিশ্বাসীদের জন্যে জ্বলন্ত আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি।

১৪. আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (যাবতীয়) সার্বেেভৗমত্ব তো (এককভাবে) তাঁরই জন্যে (নির্দিষ্ট, অতএব); তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করেন আবার যাকে ইচ্ছা তাকে শাস্তি প্রদান করেন; আল্লাহ তায়ালা একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

১৫. (অতপর) যখন তোমরা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হাসিল করতে যাবে তখন পেছনে পড়ে থাকা এ লোকগুলো এসে অবশ্যই তোমাকে বলবে, আমাদেরও তোমাদের সাথে যেতে দাও, (এভাবে) তারা আল্লাহর ফরমানই বদলে দিতে চায়; তুমি বলে দাও, তোমরা কিছুতেই (এখন) আমাদের সাথে চলতে পারবে না, আল্লাহ তায়ালা তো আগেই তোমাদের (ব্যাপারে এমন) ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, (একথা শুনে) তারা সাথে সাথে বলে উঠবে, তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছো, কিন্তু এ লোকগুলো (আসলে) বুঝেই নিতান্ত কম।

১৬. পেছনে পড়ে থাকা (আরব) বেদুইনদের তুমি (আরো) বলো, অচিরেই তোমাদের একটি শক্তিশালী জাতির সাথে যুদ্ধ করার জন্যে ডাক দেয়া হবে, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে অথবা তারা আত্মসমর্পণ করবে, (তোমরা যদি) এ নির্দেশ মেনে চলো তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উত্তম পুরস্কার দান করবেন, আর তোমরা যদি তখনও আগের মতো পৃষ্ঠ প্রদর্শন করো (এবং ময়দান থেকে পালিয়ে যাও), তাহলে জেনে রেখো, তিনি তোমাদের কঠোর দণ্ড দেবেন।

১৭. তবে কোনো অন্ধ ও পংগু কিংবা রুগ্ন ব্যক্তি (জেহাদের ময়দানে না এলে তার) জন্যে কোনো গুনাহ নেই এবং যে কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে, তিনি তাকে এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান থাকবে, আবার যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তিনি তাকে মর্মন্তুদ শাস্তি দেবেন।

১৮. ঈমানদার ব্যক্তিরা যখন গাছের নীচে বসে তোমার হাতে (আনুগত্যের) বায়াত করছিলো, (তখন) আল্লাহ তায়ালা (তাদের ওপর খুবই) সন্তুষ্ট হয়েছেন, তাদের মনের (উদ্বেগজনিত) অবস্থার কথা আল্লাহ তায়ালা ভালো করেই জানতেন, তাই তিনি (তা দূর করার জন্যে) তাদের ওপর মানসিক প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং আসন্ন বিজয় দিয়ে তাদের তিনি পুরস্কৃত করলেন,

১৯. (তাছাড়া রয়েছে) বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, যা তারা লাভ করবে; আল্লাহ তায়ালা অনেক শক্তিশালী ও প্রজ্ঞাময়।

২০. আল্লাহ তায়ালা তোমাদের (আরো) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, (আগামীতেও) তোমরা বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অধিকার করবে; এরপরে আল্লাহ তায়ালা এ (বিজয়)-কে তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করেছেন এবং অন্যদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করেছেন যাতে করে এটা মোমেনদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার একটা নিদর্শন হতে পারে এবং এর দ্বারা তিনি তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন,

২১. এছাড়াও অনেক (সম্পদ) রয়েছে, যার ওপর এখনও তোমাদের কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি; আসমান যমীনের সমুদয় সম্পদ, তা তো আল্লাহ তায়ালা নিজেই পরিবষ্টেন করে আছেন; আর আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর ওপর একক ক্ষমতায় ক্ষমতাবান|
২২.(সেদিন যদি কাফেররা তোমাদের সাথে সম্মুখসমরে এগিয়ে আসতো, তাহলে তারা পৃষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করে (ময়দান থেকে) পালিয়ে যেতো, অতপর তারা কোনো সাহায্যকারী ও বন্ধু পেতো না।

২৩. এ হচ্ছে) আল্লাহ তায়ালার (চিরন্তন) নিয়ম, যা আগে থেকে (একই ধারায় চলে আসছে, তুমি (কোথাও) আল্লাহ তায়ালার এ নিয়মের কোনো রদবদল (দেখতে) পাবে না।

২৪. (তিনিই মহান আল্লাহ,) যিনি মক্কা নগরীর অদূরে তাদের ওপর তোমাদের নিশ্চিত বিজয়দানের পর তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবৃত্ত করেছেন; আর তোমরা যা করছিলে আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছিলেন।

২৫. তারা তো সেসব (অপরাধী) মানুষ, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলকে অস্বীকার করেছে এবং তোমাদের আল্লাহর ঘর (তাওয়াফ করা) থেকে বাধা দিয়েছে এবং কোরবানীর (উদ্দেশে আনীত) পশুগুলোকে তাদের নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত পৌঁছুতে বাধা দিয়েছে; যদি (সেদিন মক্কা নগরীতে) এমন সব মোমেন পুরুষ ও নারী অবস্থান না করতো যাদের অনেককেই তোমরা জানতে না, (তাছাড়া যদি এ আশংকাও না থাকতো যে, একান্ত অজান্তে) তোমরা তাদের পদদলিত করে দেবে এবং এ জন্যে তোমরা (পরে হয়তো) অনুতপ্তও হবে (তাহলে এ যুদ্ধ বন্ধ করা হতো না যুদ্ধ তো এ কারণেই বন্ধ করা হয়েছিলো যে), এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে নিজের রহমতের আওতায় নিয়ে আসেন, যদি (সেদিন) তারা (কাফেরদের থেকে) পৃথক হয়ে যেতো তাহলে (মক্কায় অবশিষ্ট) যারা কাফের ছিলো আমি কঠিন ও মর্মান্তিক শাস্তি দিতাম।

২৬. যখন এ কাফেররা নিজেদের মনে জাহেলিয়াতের ঔদ্ধত্য জমিয়ে নিয়েছিলো, তখন (তাদের মোকাবেলায়) আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসুলের ওপর ও (তাঁর সাথী) মোমেনদের ওপর এক মানসিক প্রশান্তি নাযিল করে দিলেন এবং (এ অবস্থায়ও) তিনি তাদের আল্লাহকে ভয় করে চলার (নীতির ওপর কায়েম রাখলেন, (মূলত ) তারাই ছিলো (আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রশান্তি পাওয়ার) অধিকতর যোগ্য ও হকদার ব্যক্তি; আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর ব্যাপারেই যথার্থ জ্ঞান রাখেন ।

২৭. অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসুলের স্বপ্ন সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছেন, (রসুল স্বপ্নে দেখেছিলো, একদিন) অবশ্যই তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় নিরাপদে মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে, তোমাদের কেউ (তখন) থাকবে মাথা মুণ্ডন করা অবস্থায় আবার কেউ থাকবে মাথার চুল কাটা অবস্থায়, তোমাদের (মনে) তখন আর কোনোরকম ভয়ভীতি থাকবে না; (স্বপ্নের) এ কথা আল্লাহ তায়ালা ভালো করেই জানতেন, যার কিছুই তোমাদের জানা ছিলো না, অতপর (পরবর্তী বিজয়ের) ব্যাপারটি আসার আগেই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্যে এ আশু বিজয় দান করেছেন ।

২৮. তিনিই হচ্ছেন সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রসুলকে (যথার্থ) পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে আল্লাহর রসুল (দুনিয়ার) অন্য সব বিধানের ওপর একে বিজয়ী করে দিতে পারে, (সত্যের পক্ষে) সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে আল্লাহ তায়ালাই যথষ্টে।

২৯. মোহাম্মদ আল্লাহ তায়ালার রসুল; অন্য যেসব লোক তার সাথে আছে তারা (নীতির প্রশ্নে) কাফেরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, (আবার তারা) নিজেদের মধ্যে একান্ত সহানুভূতিশীল, তুমি (যখনই) তাদের দেখবে, (দেখবে) তারা রুকু ও সাজদাবনত অবস্থায় রয়েছে, আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করছে, তাদের (বাহ্যিক) চেহারায়ও (এ আনুগত্য ও) সাজদার চিহ্ন রয়েছে; তাদের উদাহরণ যেমন (বর্ণিত রয়েছে) তাওরাতে, (তেমনি) তাদের উদাহরণ রয়েছে ইঞ্জিলেও, (আর তা হচ্ছে) যেমন একটি বীজ যা থেকে বেরিয়ে আসে একটি (ছোট্ট) কিশলয়, অতপর তা শক্ত ও মোটা তাজা হয় এবং (পরে) স্বীয় কান্ডের ওপর তা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যায়, (চারা গাছটির এ অবস্থা তখন) চাষীর মনকে খুশীতে উৎফুল্ল করে তোলে, (এভাবে একটি মোমেন সম্প্রদায়ের পরিশীলনের ঘটনা দ্বারা) আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের মনে (হিংসা ও) জ্বালা সৃষ্টি করেন; (আবার) এদের মাঝে যারা (আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের ওপর) ঈমান আনে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্যে তাঁর ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url