আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সূরা আল হাজ্জ’র বাংলা অনুবাদ | সূরা আল হাজ্জ | Surah Al Hajj | سورة الحج



সূরা আল হাজ্জ’র বাংলা অনুবাদ


সূরা আল হাজ্জ মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত ৭৮, রুকু ১০

সূরা আল হাজ্জ



রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে


১. হে মানুষ, তোমরা তোমাদের মালিককে ভয় করো, অবশ্যই কেয়ামতের কম্পন হবে একটি ভয়ংকর ঘটনা।

২. সেদিন তোমরা তা নিজেরা দেখতে পাবে, (দেখবে) ব্লকের দুধ খাওয়াচ্ছে এমন প্রতিটি নারী (ভয়াবহ আতংকে) তার দুগ্ধপোষ্যকে ভুলে যাবে, প্রতিটি গর্ভবর্তী (জন্তু) তার (গর্ভস্থিত বস্তুর) বোঝা ফেলে দেবে, মানুষকে যখন তুমি দেখবে তখন (তোমার) মনে হবে তারা বুঝি কিছু নেশাগ্রস্ত মাতাল, কিন্তু তারা আসলে কেউই নেশাগ্রস্ত নয়; বরং (এটা হচ্ছে এক ধরনের আযাব,) আল্লাহ তায়ালার আযাব কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ।

৩. মানুষের মধ্যে কিছু (মূর্খ) লোক আছে, যারা না জেনে (না বুঝে) আল্লাহ তায়ালার (শক্তি মতা) সম্পর্কে তর্ক বিতর্ক করে এবং (সে) প্রতিটি বিদ্রোহী শয়তানের আনুগত্য করে,

৪. অথচ তার ওপর (আল্লাহ তায়ালার এ) ফয়সালা তো হয়েই আছে যে, যে কেউই তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে (নির্ঘাত) গোমরাহ হয়ে যাবে, আর (এ গোমরাহীই) তাকে (জাহান্নামের) প্রজ্বলিত (আগুনের) শাস্তির দিকে নিয়ে যাবে।

৫. হে মানুষ, পুনরুত্থান (দিবস) সম্পর্কে যদি তোমাদের মনে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে (তোমরা আমার সৃষ্টি প্রক্রিয়া ভেবে দেখো-) আমি তোমাদের (প্রথমত) মাটি থেকে, অতপর শুক্র থেকে, অতপর রক্তপিন্ড থেকে, তারপর মাংসপিন্ড থেকে পয়দা করেছি, যা আকৃতি বিশিষ্ট (হয়ে সন্তানে পরিণত হয়েছে) কিংবা আকৃতি বিশিষ্ট না হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে- যেন আমি তোমাদের কাছে (আমার সৃষ্টি কৌশল) প্রকাশ করে দিতে পারি; (অতপর আরো লক্ষ্য করো,) আমি (শুক্রবিন্দুসমূহের মাঝে) যাকে (পূর্ণ মানুষ বানাতে) চাই তাকে জরায়ুতে একটি সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করাই, অতপর আমি তোমাদের একটি শিশু হিসেবে (সেখান থেকে) বের করে আনি, অতপর তোমরা তোমাদের পূর্ণ যৌবনে পদার্পণ করো, তোমাদের মধ্যে কেউ (বয়োপ্রাপ্তির আগেই) মরে যায়, আবার তোমাদের অকর্মণ্য (বৃদ্ধ) বয়স পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়, যেন কিছু জানার পরও (তার অবস্থা এমন হয়,) সে কিছুই (বুঝি এখন আর) জানে না; (সৃষ্টি প্রক্রিয়ার আরেকটি দিক হচ্ছে) তুমি দেখতে পাচ্ছো শুষ্ক ভূমি, অতপর আমি যখন তার ওপর (আসমান থেকে) পানি বর্ষণ করি তখন তা সরস ফলে ফুলে তাজা হয়ে ওঠে, (অতপর) তা সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করে।

৬. এগুলো এ জন্যেই (ঘটে), আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন অমোঘ সত্য, তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং সব কিছুর ওপর তিনিই একক মতাবান,

৭. অবশ্যই কেয়ামত আসবে, তাতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই, যারা কবরে (শুয়ে আছে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের পুনরুত্থিত করবেন।

৮. (তারপরও) মানুষদের মধ্যে এমন কিছু আছে যে ব্যক্তি কোনো রকম জ্ঞান, পথনির্দেশ ও দীপ্তিমান কেতাব (প্রদত্ত তথ্য) ছাড়াই আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে (ধৃষ্টতাপূর্ণ) বিতন্ডা শুরু করে,

৯. যাতে মানুষদের সে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করে দিতে পারে; যে ব্যক্তি এমন করে তার জন্যে দুনিয়াতে রয়েছে লাঞ্ছনা ও অপমান, (শুধু তাই নয়,) কেয়ামতের দিন আমি তাকে (জাহান্নামের) আগুনের কঠিন শাস্তিও আস্বাদন করাবো।

১০. (আমি তাকে বলবো,) এ হচ্ছে তোমার সেই কর্মফল যা তোমার হাত দুটো (আগেই এখানে) পাঠিয়ে দিয়েছে, আর আল্লাহ তায়ালা নিজ বান্দাদের প্রতি কখনো (এতো) বড়ো যালেম নন।

১১. মানুষের মধ্যে এমন কিছু আছে যে ঈমানের (একান্ত) প্রান্তসীমার ওপর (থেকে) আল্লাহ তায়ালার এবাদাত করে, যদি (এতে) তার কোনো (পার্থিব) উপকার হয় তাহলে সে (ঈমানের ব্যাপারে) নিশ্চিত হয়ে যায়, কিন্তু যদি কোনো দুঃখ কষ্ট তাকে পেয়ে বসে তাহলে তার মুখ পুনরায় (কুফরীর দিকেই) ফিরে যায়, (এভাবে) সে দুনিয়াও হারায় এবং আখেরাতও হারায়, আর এটা হচ্ছে আসলেই এক সুস্পষ্ট তি।

১২. এ (নির্বোধ) ব্যক্তিরা আল্লাহর বদলে এমন কিছুকে ডাকে, যা তার কোনো অপকারও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না; এটা হচ্ছে (এক) চরমতম গোমরাহী,

১৩. ওরা এমন কিছুকে ডাকে, যার তি তার উপকারের চেয়ে বেশী নিকটতর; কতো নিকৃষ্ট (এদের) অভিভাবক, কতো নিকৃষ্ট (সে অভিভাবকের) সহচর!

১৪. (পক্ষান্তরে) যারা (আল্লাহ তায়ালার ওপর) ঈমান আনে এবং নেক কাজ করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে (সুপেয়) ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা যা চান তাই করেন।

১৫. যদি কেউ মনে করে, আল্লাহ তায়ালা (যাকে নবুওত দিয়েছেন) তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে কোনো সাহায্যই করবেন না, তাহলে (নিজের পরিতৃপ্তির জন্যে) সে যেন আসমান পর্যন্ত একটি রশি ঝুলিয়ে নেয়, অতপর (আসমানে গিয়ে) যেন (ওহী আগমনের ধারা) কেটে দিয়ে আসে, তারপর নিজেই যেন দেখে নেয়, যে জিনিসের প্রতি তার এতো আক্রোশ, (তার) এ কৌশল তা দূর করতে পারে কিনা!

১৬. এভাবেই সুস্পষ্ট নিদর্শনের মাধ্যমে আমি এ (কোরআন)-টি নাযিল করেছি, আল্লাহ তায়ালা যাকে চান সঠিক পথের হেদায়াত দান করেন।

১৭. যারা (আল্লাহর ওপর) ঈমান এনেছে, যারা ইহুদী হয়ে গেছে, যারা ছিলো 'সাবেয়ী', (যারা) খৃস্টান ও অগ্নিপূজক, (সর্বোপরি) যারা আল্লাহর সাথে শেরেক করেছে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা এদের সবার (জান্নাত ও দোযখের) ফয়সালা করে দেবেন; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বস্তুর ওপর একক পর্যবেক।

১৮. তুমি কি এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য করোনি, যতো (সৃষ্টি) আসমানসমূহে আছে, যতো আছে যমীনে- সবকিছুই আল্লাহ তায়ালাকে সাজদা করছে, সাজদা করছে সূর্য চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতসমূহ, বৃলতা, যমীনের ওপর বিচরণশীল সব জীবজন্তু, (সর্বোপরি ) মানুষের মধ্যেও অনেকে; এ মানুষদের অনেকের ওপর (না-ফরমানীর কারণে) আল্লাহর আযাব অবধারিত হয়ে আছে; আসলে আল্লাহ তায়ালা যাকে অপমানিত করেন তাকে সম্মান দেয়ার কেউই নেই, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাই করেন যা তিনি এরাদা করেন।

১৯. এ হচ্ছে (বিপরীতমুখী) দুটো দল, যারা নিজেদের মালিকের ব্যাপারে (একে অন্যের সাথে) বিতর্ক করলো, অতপর এদের মধ্যে যারা আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করে তাদের (পরিধান করানোর) জন্যে আগুনের পোশাক কেটে রাখা হয়েছে; শুধু তাই নয়, তাদের মাথার ওপর সেদিন প্রচন্ড গরম পানি ঢেলে দেয়া হবে,

২০. তার ফলে যা কিছু তাদের পেটের ভেতর আছে তা সব এবং চামড়াগুলো গলে যাবে;

২১. তাদের (শাস্তির) জন্যে সেখানে আরো থাকবে (বড়ো বড়ো) লোহার গদা।

২২. যখনই তারা (দোযখের) তীব্র যন্ত্রণায় (অস্থির হয়ে) তা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, তখনই তাদের পুনরায় (ধাক্কা দিয়ে) তাতে ঠেলে দেয়া হবে (বলা হবে), জ্বলনের প্রচন্ড যন্ত্রণা আজ তোমরা আস্বাদন করো (এরা ছিলো বিতর্কের প্রথম দল, যারা আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করেছে)।

২৩. (বিতর্কের দ্বিতীয় দল) যারা (আল্লাহ তায়ালার ওপর) ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশে (অমীয়) ঝর্ণাধারা প্রবাহমান থাকবে, সেখানে তাদের সোনার কাঁকন ও মুক্তা (দিয়ে বানানো মালা) দ্বারা অলংকৃত করা হবে; উপরন্তু সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।

২৪. (এসব পুরস্কার তাদের এ কারণেই দেয়া হবে যে, দুনিয়ায়) তাদের ভালো কথার দিকে হেদায়াত করা হয়েছিলো এবং মহাপ্রশংসিত আল্লাহ তায়ালার পথ তাদের দেখানো হয়েছিলো (এবং তারা যথাযথ তা মেনেও নিয়েছিলো)।

২৫. অবশ্যই যারা (নিজেরা) কুফরী করে এবং (অন্যদেরও) আল্লাহর পথে চলতে বাধা দেয়, (বাধা দেয়) মানুষদের মাসজিদুল হারাম (-এর তাওয়াফ ও যেয়ারত) থেকে যাকে আমি স্থানীয় অস্থানীয় নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য একই রকম (মর্যাদার স্থান) বানিয়েছি (এমন লোকদের মনে রাখতে হবে); যারা তাতে (হারাম শরীফে) ইচ্ছাপূর্বক আল্লাহবিরোধী কাজ করবে, আমি তাদের (সবাইকে) কঠিন আযাব আস্বাদন করাবো।

২৬. (হে নবী, স্মরণ করো,) যখন আমি ইবরাহীমকে এ (কাবা) ঘর নির্মাণের জন্যে স্থান ঠিক করে দিয়েছিলাম (তখন তাকে আদেশ দিয়েছিলাম), আমার সাথে অন্য কিছুকে শরীক করো না, আমার (এ) ঘর তাদের জন্যে পবিত্র রেখো যারা (এর) তাওয়াফ করবে, যারা (এখানে নামাযের জন্যে) দাঁড়াবে, রুকু করবে, সাজদা করবে।

২৭. (তাকে আরো আদেশ দিয়েছিলাম,) তুমি মানুষদের মাঝে হজ্জের ঘোষণা (প্রচার করে) দাও, যাতে করে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে ও সর্বপ্রকার দুর্বল উটের পিঠে আরোহণ করে ছুটে আসে, (ছুটে আসে) দূরদূরান্তর পথ অতিক্রম করে,

২৮. যাতে করে তারা তাদের নিজেদেরই ফায়দার জন্যে (সময়মতো) এখানে এসে হাযির হয় এবং নির্দিষ্ট দিনসমূ হে (কোরবানী করার) সময় তার ওপর আল্লাহ তায়ালার নাম নেয়, যা তিনি তোমাদের দান করেছেন, অতপর (কোরবানীর) এ গোশত থেকে (কিছু) তোমরা (নিজেরা) খাবে, দুস্থ এবং অভাবগ্রস্তদেরও তার কিছু অংশ দিয়ে আহার করাবে,

২৯. অতপর তারা যেন এখানে এসে তাদের (যাবতীয়) ময়লা কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরা করে, (বিশেষ করে) এ প্রাচীন ঘরটির যেন তারা তাওয়াফ করে।

৩০. এ হচ্ছে (কাবা ঘর বানানোর) উদ্দেশ্য, যে কেউই আল্লাহ তায়ালার (নির্ধারিত) পবিত্র অনুষ্ঠানমালার সম্মান করে, এটা তার জন্যে তার মালিকের কাছে (একটি) উত্তম কাজ (বলে বিবেচিত হবে, একথাও মনে রেখো), সেসব জ ন্তু ছাড়া- সেগুলোর কথা তোমাদের ওপর (কোরআনে) পাঠ করা হয়েছে, অন্য সব চতুষ্পদ জন্তুই তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে, অতএব তোমরা (এখন) মূর্তি (পূজা)-র অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থেকো এবং বেঁচে থেকো (সব ধরনের) মিথ্যা কথা থেকে,

৩১. আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিষ্ঠাবান হও, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে (অন্য কাউকে) শরীক করে, তার অবস্থা হচ্ছে, সে যেন আসমান থেকে ছিটকে পড়লো, অতপর (মাঝপথেই) কোনো পাখী যেন তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো, কিংবা (আসমান থেকে যমীনে পড়ার আগেই) বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরের কোনো (অজ্ঞাতনামা) স্থানে ফেলে দিলে।

৩২. এ হলো (মোশরেকদের পরিণাম, অপর দিকে) কেউ আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনসমূহকে সম্মান করলে তা তার অন্তরের পরহেযগারীর মধ্যেই (শামিল) হবে।

৩৩. (হে মানুষ,) এসব (পশু) থেকে তোমাদের জন্যে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত নানাবিধ উপকার (গ্রহণ করার ব্যবস্থা) রয়েছে, অতপর (মনে রেখো,) তাদের (কোরবানীর) স্থান হচ্ছে প্রাচীন ঘরটির সন্নিকটে!

৩৪. প্রত্যেক জাতির জন্যে আমি (পশু) কোরবানীর এ নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে করে (সেই জাতির) লোকেরা সেসব পশুর ওপর আল্লাহ তায়ালার নাম নিতে পারে, যা তিনি তাদের দান করেছেন; সুতরাং তোমাদের মাবুদ তো হচ্ছেন একজন, অতএব তোমরা তাঁরই সামনে আনুগত্যের মাথা নত করো; (হে নবী,) তুমি (আমার) বিনীত বান্দাদের (সাফল্যের) সুসংবাদ দাও,

৩৫. (এ বিনীত বান্দা হচ্ছে তারা,) যাদের সামনে আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করা হলে (ভয়ে) তাদের অন্তরাত্না কেঁপে ওঠে, যতো বিপদ (মসিবত তাদের ওপর) আসুক না কেন যারা তার ওপর ধৈর্য ধারণ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, (সর্বোপরি) আমি তাদের যে রেযেক দান করেছি তা থেকে তারা (আমারই পথে) ব্যয় করে।

৩৬. আমি তোমাদের জন্যে (কোরবানীর) উটগুলোকে আল্লাহ তায়ালার (নির্ধারিত) নিদর্শনসমূ হের মধ্যে (শামিল) করেছি, এতেই তোমাদের জন্যে মংগল নিহিত রয়েছে, অতএব (কোরবানী করার সময়) তাদের (সারিবদ্ধভাবে) দাঁড় করিয়ে তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার নাম নাও, অতপর (যবাই শেষে) তা যখন একদিকে পড়ে যায় তখন তোমরা তার (গোশত) থেকে নিজেরা খাও, যারা এমনিই (আল্লাহর রেযেকে) সন্তুষ্ট আছে তাদের এবং যারা (তোমার কাছে) সাহায্যপ্রার্থী হয়, এদের সবাইকে খাওয়াও; এভাবেই আমি এদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা (এ জন্যে) আল্লাহ তায়ালার শোকর আদায় করতে পারো।

৩৭. আল্লাহ তায়ালার কাছে কখনো (কোরবানীর) গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না। বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াটুকুই পৌঁছায়; এভাবে আল্লাহ তায়ালা এদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে যে (দ্বীনের) পথ তিনি তোমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন তার (সে উপকারের) জন্যে তোমরা তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে পারো; (হে নবী,) নিষ্ঠার সাথে যারা নেক কাজ করে তুমি তাদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দাও।

৩৮. যারা আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনে, আল্লাহ তায়ালাই তাদের (যালেমদের থেকে) রা করেন; এতে সন্দেহ নেই, আল্লাহ তায়ালা কখনো বিশ্বাসঘাতক ও না-শোকর বান্দাকে ভালোবাসেন না।

৩৯. যাদের বিরুদ্ধে (কাফেরদের পক্ষ থেকে) যুদ্ধ চালানো হচ্ছিলো, তাদেরও (এখন যুদ্ধ করার) অনুমতি দেয়া গেলো, কেননা তাদের ওপর সত্যিই যুলুম করা হচ্ছিলো; নিসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা এ (মালুম)-দের সাহায্য করতে সম্পূর্ণ সম,

৪০. (এরা হচ্ছে কতিপয় মাযলুম মানুষ,) যাদের অন্যায়ভাবে নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে- শুধু এ কারণে যে, তারা বলেছিলো, আমাদের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা; যদি আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির একদলকে আরেক দল দিয়ে শায়েসৎদা না করতেন তাহলে দুনিয়ার বুক থেকে (খৃস্টান সন্যাসীদের) উপাসনালয় ও গির্জাসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেতো, (ধ্বংস হয়ে যেতো ইহুদীদের) এবাদাতের স্থান ও (মুসলমানদের) মাসজিদসমূহও, যেখানে বেশী বেশী পরিমাণে আল্লাহ তায়ালার নাম নেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন যে আল্লাহ তায়ালার (দ্বীনের) সাহায্য করে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা শক্তিমান ও পরাক্রমশালী।

৪১. আমি যদি এ (মুসলমান)-দের (আমার) যমীনে (রাজনৈতিক) প্রতিষ্ঠা দান করি, তাহলে তারা (প্রথমে) নামায প্রতিষ্ঠা করবে, (দ্বিতীয়ত) যাকাত আদায় (-এর ব্যবস্থা) করবে, আর (নাগরিকদের) তারা সৎকাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে, তবে সব কাজেরই চূড়া ন্ত পরিণতি একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালারই এখতিয়ারভুক্ত।

৪২. (হে নবী,) এ লোকেরা যদি তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে (তাতে তোমার উদ্বেগের কিছুই নেই), এদের আগে নূহের জাতি, আদ ও সামুদের লোকেরাও (তাদের নবীদের) মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিলো,

৪৩. ইবরাহীমের জাতি এবং নৃতের জাতিও (তাই করেছিলো),

৪৪. (আরো করেছে) মাদইয়ানের অধিবাসীরা, মূসাকেও মিথ্যাবাদী বলা হয়েছে, তারপরও আমি (এ) কাফেরদের ঢিল দিয়ে রেখেছিলাম, অতপর (সময় এসে গেলে) আমি তাদের (ভীষণভাবে) পাকড়াও করেছি, কি ভয়ংকর ছিলো আমার (সে) আযাব !

৪৫. আমি ধ্বংস করেছি (আরো) অনেক জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিলো যালেম, অতপর তা (বিধ্বস্ত হয়ে) মুখ থুবড়ে পড়ে থাকলো, (কতো) কূপ পরিত্যক্ত হয়ে পড়লো, (কতো) শখের সুন্দর প্রাসাদ বিরান হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে গেলো!

৪৬. এরা কি যমীনে ঘুরে ফিরে (এগুলো পর্যবেণ) করেনি? (পর্যবেণ করলে) এদের অন্তর এমন হবে যা দ্বারা এরা তা বুঝতে পারবে, তাদের কান এমন হবে যা দ্বারা তারা শুনতে পারবে, আসলে (অবোধ নির্বোধের) চোখ তো কখনো অন্ধ হয়ে যায় না, অন্ধ হয়ে যায় সে অন্তর, যা মনের ভেতর (লুকিয়ে) থাকে।

৪৭. (হে নবী,) এরা তোমার কাছে আযাবের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে (তুমি বলো), আল্লাহ তায়ালা কখনো তাঁর ওয়াদার বরখেলাপ করেন না; তোমার মালিকের কাছে যা একদিন, তা তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান।

৪৮. আরো কতো জনপদ ছিলো, তাদেরও আমি (প্রথম দিকে) ঢিল দিয়ে রেখেছিলাম, অথচ তারা ছিলো যালেম, অতপর (এক সময়) আমি তাদের (কঠিনভাবে) পাকড়াও করেছিলাম, (পরিশেষে সবাইকে তো) আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে।

৪৯. (হে নবী,) তুমি বলো, হে মানুষ, আমি (তো) তোমাদের জন্যে (আযাবের) একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র,

৫০. যারা (আল্লাহর ওপর) ঈমান আনে এবং (সে অনুযায়ী) নেক কাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে (আল্লাহ তায়ালার) মা ও সম্মানজনক জীবিকা।

৫১. (অপরদিকে) যারা আমার আয়াতসমূহ ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা করে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে।

৫২. (হে নবী,) আমি তোমার আগে এমন কোনো নবী কিংবা রসূলই পাঠাইনি (যারা এ ঘটনার সম্মুখীন হয়নি যে), যখন সে (নবী আল্লাহর আয়াতসমূহ পড়ার) আগ্রহ প্রকাশ করলো তখন শয়তান তার সে আগ্রহের কাজে (কাফেরদের মনে) সন্দেহ ঢেলে দেয়নি, অতপর আল্লাহ তায়ালা শয়তানের নিপ্তি (সন্দেহগুলো) মিটিয়ে দেন এবং আল্লাহ তায়ালা নিজের আয়াতসমূহকে (আরো) মযরত করে দেন, আল্লাহ তায়ালা (সব কিছু জানেন, তিনি হচ্ছেন বিজ্ঞ কুশলী,

৫৩. (এর উদ্দেশ্য হচ্ছে) যেন আল্লাহ তায়ালা (এর মাধ্যমে) শয়তানের প্রপ্তি (সন্দেহ)-গুলোকে সেসব মানুষের পরীক্ষার বিষয় বানিয়ে দিতে পারেন, যাদের অ নত্দরে (আগে থেকেই মোনাফেকীর) ব্যাধি আছে, উপরন্তু যারা একান্ত পাষাণ হৃদয়; অবশ্যই (এ) যালেমরা অনেক মতবিরোধ ও সন্দেহে নিমজ্জিত হয়ে আছে,

৫৪. (এটা এ কারণে,) যাদের (আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে) জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা যেন জানতে পারে, এটাই তোমার মালিকের পক্ষ থেকে আসা সত্য, অতপর তারা যেন তাতে (পুরোপুরি) ঈমান আনে এবং তাদের মন যেন সে দিকে আরো আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

৫৫. যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করে, তারা এ (কোরআনের) ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা থেকে কখনো বিরত হবে না, যতো ক্ষণ না একদিন আকস্মিকভাবে তাদের ওপর কেয়ামত এসে পড়বে, অথবা তাদের ওপর একটি অবাঞ্ছিত ও ভয়ংকর দিনের আযাব এসে পড়বে।

৫৬. সেদিন চূড়ানৎস বাদশাহী হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার; তিনি তাদের সবার মাঝে ফয়সালা করবেন; অতপর যারা (তাঁর ওপর) ঈমান এনেছে এবং (সে মোতাবেক) নেক কাজ করেছে, তারা (সেদিন) নেয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে অবস্থান করবে।

৫৭. যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তাদের জন্যে অপমানজনক আযাবের ব্যবস্থা থাকবে।

৫৮. যারা আল্লাহ তায়ালার পথে (তাঁরই সন্তুষ্টির জন্যে) নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে গেছে, পরে (আল্লাহর পথে) নিহত হয়েছে, কিংবা (এমনিই) মৃত্যু বরণ করেছে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা (কেয়ামতের দিন) তাদের উত্তম রেযেক দান করবেন; নিসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন সর্বোত্তম রেযেকদাতা।

৫১. আমি আগে ইবরাহীমকে ভালোমন্দ বিচারের জ্ঞান দান করেছিলাম এবং আমি সে সম্পর্কে সম্যক অবগত ছিলাম,

৫২. যখন সে তার পিতা ও তার জাতির (লোকদের) বললো, এ (এবাদাতের) জন্যে তোমরা শক্ত হয়ে বসে আছো। (নিষ্প্রাণ) মূর্তিগুলো আসলে কি- যার

৫৩. তারা বললো, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের এগুলোর এবাদাত করতে দেখেছি (এর চাইতে বেশী কিছু আমরা জানি না)।

৫৪. সে বললো, (এগুলোর পূজা করে) তোমরা নিজেরা (যেমন আজ) সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত হচ্ছো, (তেমনি) তোমাদের পূর্বপুরুষরাও (গোমরাহীতে নিমজ্জিত ছিলো)।

৫৫. তারা বললো, তুমি কি আসলেই আমাদের কাছে কোনো সত্য নিয়ে এসেছো, না অযথাই (আমাদের সাথে) তামাশা করছো।

৫৬. সে বললো (না, এটা কোনো তামাশার বিষয় নয়), বরং তোমাদের মালিক যিনি, তিনিই আসমানসমূহ ও যমীনের মালিক, তিনিই এগুলো সৃষ্টি করেছেন, আর আমি নিজেই হচ্ছি এ ব্যাপারে সাক্ষীদের একজন।

৫৭. আল্লাহ তায়ালার শপথ, তোমরা এখান থেকে সরে গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে একটা কৌশল অবলম্বন করবো।

৫৮. অতপর (তারা চলে গেলে) ওদের বড়োটি ছাড়া অন্য মূর্তিগুলোকে সে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিলো, যাতে করে তারা তার (ঘটনা জানার জন্যে এ বড়োটার) দিকেই ধাবিত হতে পারে।

৫৯. (যখন তারা ফিরে এসে মূর্তিদের এ দুরবস্থা দেখলো,) তখন তারা বললো, আমাদের দেবতাদের সাথে এ আচরণ করলো কে? যে-ই করেছে নিসন্দেহে সে যালেমদেরই একজন।

৬০. লোকেরা বললো, আমরা শুনেছি এক যুবক ওদের সমালোচনা করছিলো, (হ্যাঁ) সে যুবককে বলা হয় ইবরাহীম;

৬১. তারা বললো, (যাও) তাকে সব মানুষের চোখের সামনে এনে হাযির করো, যাতে করে তারা (তার বিরুদ্ধে) সা দিতে পারে।

৬২. (ইবরাহীমকে আনার পর) তারা (তাকে) জিজ্ঞেস করলো, হে ইবরাহীম, তুমিই কি আমাদের মারুদগুলোর সাথে এ আচরণ করেছো;

৬৩. (সে বললো,) বরং ওদের বড়োটিই সম্ভবত (এসব কিছু) ঘটিয়েছে, তোমরা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করো না, তারা যদি কথা বলতে পারে (তাহলে তারাই বলবে কে তাদের সাথে এ আচরণ করেছে)!

৭০. তুমি কি জানো না, আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে আল্লাহ তায়ালা তার সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন, এর সবকিছু একটি কেতাবে (সংরক্ষিত) রয়েছে, এ (সংরক্ষণ প্রক্রিয়া)-টা আল্লাহ তায়ালার কাছে (অত্য ন্ত) সহজ একটি কাজ।

৭১. (তারপরও) তারা আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে এমন সব কিছুর গোলামী করে, যার সমর্থনে আল্লাহ তায়ালা কোনো দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি এবং যে ব্যাপারে তাদের নিজেদের (কাছেও) কোনো জ্ঞান নেই; বস্তুত সীমালংঘনকারীদের জন্যে (কেয়ামতের দিন) কোনোই সাহায্যকারী থাকবে না।

৭২. (হে নবী,) যখন এদের সামনে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয় তখন তুমি কাফেরদের চেহারায় (তীব্র) অসন্তোষ দেখতে পাবে; অবস্থা দেখে মনে হয়, যারা তাদের সামনে আয়াত তেলাওয়াত করছে এরা বুঝি এখনি তাদের ওপর হামলা করবে; (হে নবী,) তুমি (এদের) বলো, আমি কি তোমাদের এর চাইতে মন্দ কিছুর সংবাদ দেবো? (তা হচ্ছে জাহান্নামের) আগুন; আল্লাহ তায়ালা যার ওয়াদা করেছেন- (ওয়াদা করেছেন) তাদের সাথে যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করে, আবাসস্থল হিসেবে তা কতো নিকৃষ্ট !

৭৩. হে মানুষ, (তোমাদের জন্যে এখানে) একটি উদাহরণ পেশ করা হচ্ছে, কান পেতে তা শোনো; আল্লাহ তায়ালা ছাড়া তোমরা যাদের ডাকো, তারা তো কখনো ( ক্ষুদ্র) একটি মাছিও তৈরী করে দেখাতে পারবে না, যদি এ (কাজের) জন্যে তারা সবাই একত্রিতও হয়; (এমনকি) যদি সে (মাছি) তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তবে তারা তার কাছে থেকে তাও ছাড়িয়ে নিতে পারবে না; (যাদের এতোটুকু মতা নেই) কতো দুর্বল (তারা), যারা (এদের কাছে সাহায্য) প্রার্থনা করে; কতো দুর্বল তারা যাদের কাছে (এ সাহায্য) চাওয়া হচ্ছে।

৭৪. এ (মূর্খ) ব্যক্তিরা আল্লাহ তায়ালাকে কোনো মূল্যায়নই করতে পারেনি, ঠিক যেভাবে (তাঁর মতার) মূল্যায়ন করা উচিত ছিলো; আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই পরাক্রমশালী।

৭৫. আল্লাহ তায়ালা (তাঁর ওহী বহন করার জন্যে) ফেরেশতাদের মধ্য থেকে বাণীবাহক মনোনীত করেন, মানুষদের ভেতর থেকেও (তিনি এটা করেন); অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সবকিছু শোনেন ও সব কিছু দেখেন।

৭৬. তাদের সামনে যা আছে তা (যেমনি) তিনি জানেন, (তেমনি) জানেন তাদের পেছনে যা আছে তাও; (কেননা একদিন) তাঁর কাছেই সবকিছুকে ফিরে যেতে হবে।

৭৭. হে মানুষ, যারা ঈমান এনেছো, তোমরা আল্লাহ তায়ালার সামনে রুকু করো, সাজদা করো এবং তোমাদের মালিকের যথাযথ এবাদাত করো, নেক কাজ করতে থাকো, আশা করা যায় এতে করে তোমরা মুক্তি পেয়ে যাবে।

৭৮. আর আল্লাহ তায়ালার পথে তোমরা জেহাদ করো, যেমনি তাঁর জন্যে জেহাদ করা (তোমাদের) উচিত, তিনি (দুনিয়ার নেতৃত্বের জন্যে) তোমাদেরই মনোনীত করেছেন এবং (এ) জীবন বিধানের ব্যাপারে তিনি তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি, (তোমরা প্রতিষ্ঠিত থেকো) তোমাদের (আদি) পিতা ইবরাহীমের দ্বীনের ওপর; সে আগেই তোমাদের 'মুসলিম' নাম রেখেছিলো, এর (কোরআনের) মধ্যেও (তোমাদের এ নামই দেয়া হয়েছে), যেন (তোমাদের) রসূল তোমাদের (মুসলিম হবার) ওপর সা্য প্রদান করতে পারে, আর তোমরাও (দুনিয়ার গোটা) মানব জাতির ওপর (আল্লাহর দ্বীনের) সা্য প্রদান করতে পারো, অতএব নামায প্রতিষ্ঠা করো, যাকাত আদায় করো এবং আল্লাহ তায়ালার রশি শক্তভাবে ধারণ করো, তিনিই হচ্ছেন তোমাদের একমাত্র অভিভাবক, কতো উত্তম অভিভাবক (তিনি), কতো উত্তম সাহায্যকারী (তিনি)!


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url