জুলুম-অত্যাচার || জুলুম-অত্যাচারের কঠিন শাস্তি || জালিমের শাস্তি ধ্বংস ||



ইমাম আবু হামেদ মুহাম্মদ আল-গাযযালী (রহঃ) ছিলেন একজন যুগস্রেষ্ট সাধক ও আলেম। ইসলামের খেদমতে তাঁর বয়ান এবং তাঁর লেখা কিতাবগুলোর মাঝে এমন একটি যাদুকরী প্রভাব লক্ষ্য করা যায় যা অন্য কারো লেখায় বা বয়ানে এতটা প্রভাব সৃষ্টি করে না। তাঁর লেখা কিতাবগুলো পড়ে অতি সহজেই প্রতিটি পাঠকের হৃদয় বিগলিত হয়ে উঠে। “দোযখ ও দোযখের ভয়াবহ শাস্তির বয়ান” শীর্ষক এই প্রবন্ধখানা ইমাম গাযযালীর লেখা “মুকাশাফাতুল কুলূব” বা “আত্মার আলোকমণি” কিতাবের অনুস্মরণে লেখা হয়েছে।



জুলুম-অত্যাচারের কঠিন শাস্তি


আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন:

وَ سَیَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَیَّ مُنۡقَلَبٍ یَّنۡقَلِبُوۡنَ

আর যারা জুলুম করেছে, তারা অচিরেই জানতে পারবে, কেমন স্থানে তাদেরকে ফিরে যেতে হবে।" (শু'আরা : ২২৭ )


হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

الظلم ظلمات يومَ القِيَامَةِ

“বস্তুতঃ জুলুম কিয়ামত দিবসে বহু (শাস্তি ও) অন্ধকারের কারণ হবে।” তিনি আরও ইরশাদ করেন-

منْ ظَلَم شِيرًا مِن ارض طوقه الله مِن سبع ارضين

'যে ব্যক্তি অন্যের এক বিঘৎ পরিমাণ যমীনও জুলুম কার দখল করে নিবে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক যমীনের বোঝা বেড়িরূপে পরিয়ে দিবেন।

বর্ণিত আছে, আল্লাহ্ পাক (হাদীসে কুদসীতে) বলেন, অত্যাচারী ব্যক্তির উপর আমার ক্রোধ খুবই কঠিন ( ও মারাত্মক) হবে, সে এমন ব্যক্তির উপর জুলুম করলো, যে আমাকে ছাড়া অপর কাউকে সাহায্যকারীরূপে পায় নাই ।”


জনৈক তত্ত্বজ্ঞানী উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন: “তুমি যখন ক্ষমতার আসীনে সমাসীন থাক, তখন কারও উপর জুলুম করো না, কেননা জুলুমের পরিণাম নিশ্চিত অনুতাপ ও লজ্জা। কারও উপর জুলুম করে তুমি নিদ্রাভিভূত থাকলেও মজলুম কিন্তু বিনিদ্র রাতে তোমার বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদে মগ্ন আছে, আর অনন্ত জাগ্রত মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তা শুনছেন।

অপর একজন উপদেশ দিয়েছেন: “পৃথিবীর বুকে কোন জালেমকে যখন তুমি দেখ যে, সে প্রচুর জুলুমে লিপ্ত রয়েছে, তখন তুমি তার বিচার যমানার (কুদরতের) হাতে ছেড়ে দাও; অচিরেই সে এমন শাস্তি পেয়ে যাবে, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।”

আদর্শ পূর্বসূরীদের একজন বলেছেন, “তোমরা কমজোর দূর্বলদের উপর জুলুম করো না, এতে তোমরা সবল হয়েও নিকৃষ্টতম গণ্য হবে।”

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সরখাব (লাল রঙের হাস বিশেষ) - পাখীও জালেমের জুলুমের ভয়ে তার ক্ষুদ্র গৃহে আত্মগোপন করে মৃত্যুবরণ করে।”



হযরত জাবের (রাযিঃ) বলেন, যখন হাবাশা গমনকারী মুহাজির সাহাবীগণ সেখান থেকে হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন আল্লাহর রসুল তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন— হাবাশার কোন ঘটনা কি তোমরা আমাকে বলবে না? হযরত কুতাইবাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমাদের মধ্যে হযরত আলী (রাযিঃ)-ও ছিলেন; জবাবে তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। সেখানে একটি ঘটনা এই ঘটেছিল—আমরা উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একজন বৃদ্ধা মহিলা মাথায় একটি মাটির কলসী নিয়ে পথ অতিক্রম করছিল, তখন একটি যুবক বৃদ্ধা মহিলাটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। ফলে, মহিলাটি উপুড় হয়ে পড়ে গেল এবং তার কলসীটি ভেঙ্গে গেল। মহিলাটি মাটি থেকে উঠে যুবকের দিকে তাকিয়ে বললো, তোমার দাম্ভিক আচরণের প্রায়শ্চিত্ত অচিরেই তুমি ভোগ করবে— যখন আল্লাহ্ তা'আলা বিচারের আসনে সমাসীন হবেন, পূববর্তী ও পরবর্তী সকল আদম-সন্তানকে একত্রিত করবেন, সকলের হাত-পা, অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ স্বীয় কৃতকর্মের সাক্ষ্য দিবে, তখন সেই কাল কিয়ামতের দিবসে তোমার-আমার এ ফয়সালা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে নিবে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : “এ জাতি কিভাবে পাক-পবিত্র হবে, যাদের সবল লোকেরা দুর্বলদের উপর জুলুম করে, অথচ এর কোন বিচার-প্রতিকার করা হয় না । ”

হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন:

خَمْسَةٌ غَضِبَ اللهُ عَلَيْهِم إِن شَاءَ امضى غضبه عليهم فِي الدُّنْيَا وَإِلَّا ثَوَى بِهِمْ فِي الْآخِرَةِ إِلَى النَّارِ أَمِيرُ قَوْمٍيَأخُدُ حَقَهُ مِنْ رَعِيَّتِهِ وَلَا يُنْصِفُهُم مِنْ نَفْسِهِ وَلَا يَدْفَعُ الظَّلَمَ عَنْهُمْ وَزَعِيمُ قَوْمٍ يُطِيعُونَهُ وَلَا يُسَوّى بَينَ الْقَوِيوَالصَّعِيفِ  َويَتَكَلَّمُ بِالهَوى ورجل لا يامر اهله وولده بطاعةالله ولا يعلمهم امر دينهم ورجل استاجر اجيرا فاستعمله ولم يوفه أجره ورجل ظَلَمَ امْرَأَةَ فِي صَدَاقِهَا

“আল্লাহ্ তা'আলা পাঁচ শ্রেণীর লোকের উপর রাগান্বিত; ইচ্ছা করলে তিনি দুনিয়াতেই তাদের উপর আযাব-গজব নাযিল করবেন, অথবা পরকালে তাদেরকে দোযখের ভয়াবহ অগ্নিতে নিক্ষেপ করবেন:


এক,    অত্যাচারী শাসক, যারা প্রজাদের কাছ থেকে অধিকার আদায় করে কিন্তু তাদের সাথে ইনসাফ ও ন্যায়-আচরণ করে না, তাদের উপর অপরের জুলুম-নির্যাতনেরও কোন প্রতিকার করে না।

দুই.    নেতৃস্থানীয় লোক, সাধারণ লোকজন তাদের আনুগত্য ও অনুসরণ করে, কিন্তু সবল ও দূর্বলের মধ্যে তারা ভারসাম্য ও সত্যিকার ন্যায় আচরণ বজায় রাখে না বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও ইন্দ্রিয়জ স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত থাকে।

তিন,    গৃহকর্তা বা অভিভাবক, যারা পরিবার-পরিজন ও সন্তান- সন্তুতিকে ইবাদত-বন্দেগীর প্রতি উদ্বুদ্ধ করে না এবং দ্বীনি বিষয়াবলী শিক্ষা দেয় না।

চার,  যে ব্যক্তি শ্রমিক-মজদূরকে পুরাপুরিভাবে খাটিয়ে কাজ নেয়, কিন্তু তাদের পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয় না।

পাঁচ,    যে ব্যক্তি স্ত্রীর মহর পরিশোধের ব্যাপারে জুলুম করে।

হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা যখন সমস্ত মখলুকাত সৃষ্টি করলেন, তখন তারা মাথা উঠিয়ে আল্লাহ্ তা'আলাকে জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহ্! আপনি কার সাথে আছেন? আল্লাহ্ বললেন, আমি মজলুমের সাথে আছি ; যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রাপ্য হক আদায় না করা হয়।

জালিমের শাস্তি ধ্বংস

হযরত ওয়াহ্ ইবনে মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জনৈক অত্যাচারী ব্যক্তি একটি অতি মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল। একজন দরিদ্র বৃদ্ধা মহিলা এর পাশেই ক্ষুদ্র একটি ঘর বানিয়ে সেটিতে বসবাস করতে লাগলো। সেই অত্যাচারী ব্যক্তি একদিন অশ্বে আরোহণ করে তার প্রাসাদ পরিদর্শনের সময় বৃদ্ধার প্রাসাদটি তার নজরে পড়লে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো- এটি এক দরিদ্র বৃদ্ধার ঘর। এ কথা জেনে সে ঘরটি ধ্বসিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলো। অতঃপর তা ধ্বসিয়ে দেওয়া হলো। বৃদ্ধা এসে এহেন অবস্থা দেখে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো, সেই অত্যাচারী বাদশাহ্ এ কাজটি করেছে। তৎক্ষণাৎ আকাশের দিকে হাত উঠিয়ে বৃদ্ধা বললো, আয় আল্লাহ্! আমি এখানে ছিলাম না, কিন্তু আপনি কোথায় ছিলেন? আল্লাহ্ হযরত জিব্রাঈল (আঃ)-কে হুকুম দিলেন, অত্যাচারীর এ প্রাসাদটি তার উপরেই ধ্বসিয়ে দাও। সুতরাং তাই করা হলো এবং অত্যাচারী লোকটি এভাবে ধ্বংস হয়ে গেল।


বর্ণিত আছে, জনৈক বমকী উজীর তার পুত্র সহকারে বন্দী হয়ে জেলখানায় আবদ্ধ হয়ে গেল। পুত্র জিজ্ঞাসা করলো, আব্বাজান! এতো প্রভাব ও সম্মান-প্রতিপত্তির পরও আমরা এরূপ লাঞ্ছিত হলাম-এর কারণ কি? পিতা বললো, বৎস! কোন মজলূমের বদ-দোআ রাতের অন্ধকারে ছিটকে এসে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, আর আমরা গাফেল ছিলাম; কিন্তু অনন্ত আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন গাফেল ছিলেন না।

হযরত ইয়াযীদ ইবনে হাকীম (রহঃ) বলেন, আমি আমার অন্তরে সর্বাপেক্ষা বেশী ভয় অনুভব করি ঐ ব্যক্তির, যার উপর আমি জুলুম করে ফেলি, আল্লাহ্ ছাড়া যার কোন সাহায্যকারী নাই। সে এ কথা বলতে থাকবে যে, “আল্লাহর সাহায্যই আমার জন্য যথেষ্ট; তোমার আমার মাঝে আল্লাহ্ রয়েছেন।”

হযরত আবূ উমামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন জালেম আসবে- সে যখন দোযখের উপর দিয়ে পুল অতিক্রম করতে থাকবে, তখন মজলূমের সাক্ষাৎ হবে। দুনিয়াতে মজলূমের উপর সে যে জুলুম করেছিল, সবই তার স্মরণ হবে। মজলুম ব্যক্তিরাও নিজ নিজ প্রাপ্য হক ওসূল করতে চাবে। তখন এই জালেম ও মজলুমের মাঝে তুমুল বিতর্ক চলতে থাকবে। পরিশেষে মজলুম ব্যক্তিরা জালেমদের সমস্ত নেকী নিয়ে নিবে। এতে যদি জালেমের নেকী শেষ হয়ে যায় এবং মজলূমের প্রাপ্য বাকী থাকে, তবে সেই পরিমাণ পাপের বোঝা মজলুমের নিকট থেকে জালেমের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে, জালেম দোযখের নিম্নতর গহ্বরে গিয়ে পৌঁছবে।

কেয়ামতের দিন জুলুমের  বদলা নেওয়া হবে

হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উনাইস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন লোকদেরকে খালি পা, উলঙ্গ দেহ এবং খতনাবিহীন অবস্থায় উঠানো হবে। তখন একজন আহ্বানকারী আওয়াজ দিবে—যা নিকটবর্তী ও দূরবর্তী সকলেই সমানভাবে শুনতে পাবে যে, আমি চরম প্রতিশোধ গ্রহণকারী বাদশাহ্, কোন বেহেশতী বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত একজন দোযখী ব্যক্তিও তার কাছে কোন জুলুমের বদলা দাবী করবে : এমনকি একটি থাপড়ও পাওনা থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে। অনুরূপভাবে, কোন দোযখী দোযখে নিক্ষিপ্ত হবে না, যে পর্যন্ত তার কাছে কারও জুলুমের বদলা পাওনা থাকবে; এমনকি একটি থাপড় হলেও তা পরিশোধ করতে হবে। বস্তুতঃ তোমার রব্ব কারও উপর জুলুম করেন না। আমরা আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, তখন কি অবস্থা হবে-- আমরা উলঙ্গ পা, উলঙ্গ দেহ এবং খত্‌নাবিহীন অবস্থায় থাকবো? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিন নেকী-বদীর পূরা-পুরি বদলা দেওয়া হবে ; তোমাদের রব্ব কারও উপর জুলুম করবেন না।


অপর এক রেওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সীমালংঘন করে কাউকে একটি বেত্রাঘাতও করেছে, ক্বিয়ামতের দিন এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

সম্রাট কিসার পুত্রকে জুলুম-অত্যাচারের শিক্ষা

বর্ণিত আছে, সম্রাট কিসা তাঁর পুত্রকে আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য একজন উস্তাদ নিযুক্ত করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে পুত্র যখন বেশ কিছু জ্ঞান-বিদ্যার অধিকারী হলো, তখন একদিন তাকে ডেকে তার কোনরূপ অন্যায়-অপরাধ ব্যতিরেকেই উস্তাদ খুব প্রহার করলেন। এতে সম্রাটের পুত্র রাগান্বিত হলো, কিন্তু এ রাগ অন্তরে গোপন করে রাখলো। পিতার মৃত্যুর পর যখন সে বাদশাহ্ হলো, তখন উস্তাদকে উপস্থিত করে জিজ্ঞাসা করলো- আপনি আমাকে অমুক দিন কোনরূপ অন্যায়-অপরাধ ব্যতিরেকেই এতো কঠোরভাবে প্রহার করেছিলেন কেন? উস্তাদ জবাব দিলেন হে বাদশাহ্, আপনি জ্ঞান-বিদ্যার অনুশীলনে তখন খুবই পাণ্ডিত্য ও যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন এবং আমি তখনই জানতাম যে, পিতার পর একদিন আপনিই বাদশাহ্ হবেন। এজন্যে আমি তখনই আপনার উপলব্ধির মধ্যে এনে দিতে চেয়েছি যে, জুলুম-অত্যাচার ও প্রহৃত হওয়ার কষ্ট কি, যাতে পরবর্তীতে অন্য কারও উপর জুলুম থেকে আপনি বিরত থাকুন। সম্রাট এ উত্তর শুনে আনন্দিত হলেন এবং উস্তাদকে পুরষ্কৃত করে বিদায় করলেন।




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url