কেমন ছিল রাসুল (সা:) এর সালাত || রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নামাজ || রাসুলুল্লাহ (সা:) এর দো’আ || (পর্ব - ১৮)






মহান আল্লাহর বাণী- ‘সফলকাম হবে সেই সব মুমিন যারা সালাতে রত থাকে ভীত সন্ত্রস্ত ভাবে’। অতএব গভীরভাবে চিন্তা করুন! আপনার প্রভু আল্লাহ কিজন্য আপনাকে সৃষ্টি করেছেন? মনে রাখবেন তিনি আপনাকে বিনা প্রয়োজনে সৃষ্টি করেননি। তাঁর সৃষ্ট এ সুন্দর সৃষ্টি জগতকে সুন্দরভাবে আবাদ করার দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়েই তিনি আপনাকে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। কে এখানে কত বেশী সুন্দর আমল করে এবং তার সৃষ্টিকর্তার হুকুম যথাযথভাবে পালন করে, তা পরীক্ষার জন্য আল্লাহ মউত ও হায়াতকে সৃষ্টি করেছেন। আপনার হাত-পা, চক্ষু-কর্ণ, নাসিকা-জিহবা সর্বোপরি যে মূল্যবান জ্ঞান-সম্পদ এবং ভাষা ও চিন্তাশক্তির নেয়ামত দান করে আপনাকে আপনার প্রভু এ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তার যথার্থ ব্যবহার আপনি করেছেন কি-না, তার কড়ায়-গন্ডায় হিসাব আপনাকে আপনার সৃষ্টিকর্তার নিকটে দিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ও জান্নাত লাভের উদ্দেশ্যে ইসলামের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত ও প্রার্থনার অনুষ্ঠান ‘সালাতে’ রত হই ‘তাকবীরে তাহরীমা’-র মাধ্যমে দুনিয়ার সবকিছুকে হারাম করে একনিষ্ঠভাবে বিনম্রচিত্তে বিগলিত হৃদয়ে!! শ্রেষ্ট ইবাদত সালাত বা নামাজে সফলতার জন্য চাই সালাতের সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ। আর এই সঠিক পদ্ধতিটি পাওয়া যাবে কেবলমাত্র হযরত মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা:) এর সালাত বা নামাজের মধ্যেই। তাই আমরা এখানে রাসুল (সা:) এর সালাত বা নামাজ কেমন ছিল এই বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করবো। পুরো আলোচনাটিই নেওয়া হয়েছে ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব রচিত “ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)” নামক গ্রন্থ থেকে। আল্লাহ আমাদেরকে সালাত বা নামাজের সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানার ও মানার তৌফিক দান করুন। আমিন।।

রাসুলুল্লাহ (সা:) এর দো’আসমূহ

নতুন কাপড় পরিধানকালে দো‘আ

اَلْحَمْدُ ِللهِ الَّذِىْ كَسَانِىْ هَذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّىْ وَلاَ قُوَّةٍ

উচ্চারণ : আলহাম্দুলিল্লা-হিল্লাযি কাসা-নী হা-যা ওয়া রাঝাক্বানীহি মিন গায়রে হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন।

অনুবাদ : ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আমার কোন ক্ষমতা ও শক্তি ছাড়াই আমাকে এই কাপড় পরিধান করিয়েছেন ও এটি প্রদান করেছেন’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এটা পাঠ করে, আল্লাহ তার আগে-পিছের সকল গোনাহ মাফ করে দেন।[116]

(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, গোড়ালীর নিচে কাপড় যতটুক যাবে ততটুকু জাহান্নামে পুড়বে। [117] কিন্তু মহিলারা গোড়ালীর নিচেও কাপড় পরিধান করতে পারবেন। [118]

(খ) তিনি বলেন, ‘তোমরা সাদা পোষাক পরিধান কর। কেননা এটি তোমাদের উত্তম পোষাক সমূহের অন্যতম’...।[119]

[116] . আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৩, ‘পোষাক’ অধ্যায়-২২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০৮৬।
[117] . বুখারী, মিশকাত হা/৪৩১৪, ‘পোষাক’ অধ্যায়-২২।
[118] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৩৩৪-৩৫, ‘পোষাক’ অধ্যায়-২২।
[119] . আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৬৩৮, ‘জানায়েয’ অধ্যায়-৫, ‘মাইয়েতকে গোসল করানো ও কাফন পরানো’ অনুচ্ছেদ-৪।

(ক) বিবাহের পর নবদম্পতির জন্য দো‘আ ও (খ) বিবাহের পর স্ত্রীর জন্য স্বামীর দো‘আ

বিবাহের পর নবদম্পতির জন্য দো‘আ

بَارَكَ اللهُ لَكُمَا وَبَارَكَ عَلَيْكُمَا وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِيْ خَيْرٍ-

বা-রাকাল্লা-হু লাকুমা ওয়া বা-রাকা ‘আলাইকুমা ওয়া জামা‘আ বায়নাকুমা ফী খায়রিন। (এই বিবাহে আল্লাহ তোমাদের জন্য বরকত দান করুন ও তোমাদের উপর বরকত দান করুন এবং তোমাদের উভয়কে কল্যাণের সাথে একত্রিত করুন)। [120] অথবা বলবে, اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম (হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে বরকত দাও)। বিয়ের খবর শুনে বরকে বলবে, بَارَكَ اللهُ لَكَ বা-রাকাল্লা-হু লাকা (আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন!)। [121]

উল্লেখ্য যে, ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকে নবদম্পতির উদ্দেশ্যে উক্ত দো‘আ পড়বেন। এ সময় দু’হাত তুলে সম্মিলিত ভাবে মুনাজাত করার প্রথাটি ভিত্তিহীন এবং এসময় বরের দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার প্রথাটিও প্রমাণহীন।

বিবাহের পর স্ত্রীর জন্য স্বামীর দো‘আ

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ-

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি।

অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তার মঙ্গল চাই এবং তার সেই কল্যাণময় স্বভাব প্রার্থনা করি, যার উপর তুমি তাকে সৃষ্টি করেছ। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তার অনিষ্ট হ’তে এবং সেই মন্দ স্বভাবের অনিষ্ট হ’তে, যা দিয়ে তুমি তাকে সৃষ্টি করেছ’। এই সময় স্ত্রীর কপালের চুল ধরে স্বামী উক্ত বরকতের দো‘আটি করবে। [122] এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়াশীল হয়ে দাম্পত্য জীবন যাপন করার ইঙ্গিত রয়েছে।

[120] . ইবনু মাজাহ হা/১৯০৫; আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৪৪৫, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘বিভিন্ন সময়ের দো‘আ সমূহ’ অনুচ্ছেদ-৭ ।
[121] . ইবনু মাজাহ হা/১৯০৬-০৭।
[122] . আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৪৪৬, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭; মিরক্বাত ৫/২১৬।

সংকটকালীন দো‘আ

(ক) يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ ‘ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিরাহমাতিকা আস্তাগীছ’ (হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্বচরাচরের ধারক! আমি আপনার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হতেন, তখন এই দো‘আটি পড়তেন। [123]

(খ) ভূমিকম্প বা যে কোন আকস্মিক বিপদে বলবে, لآ إِلَهَ اِلاَّ اللهُ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হ’ (নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত)।[124] অথবা এর সাথে উপরের দো‘আটি পড়বে। অথবা বলবে,আল্লা-হুম্মা হাওয়া-লায়না অলা ‘আলায়না (হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও। আমাদের উপর দিয়ো না)। [125]

(গ) اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-ই, ওয়া দারাকিশ শাক্বা-ই, ওয়া সূ’ইল ক্বাযা-ই ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-ই’।(হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হ’তে, দুর্ভোগের আক্রমণ হ’তে, মন্দ ফায়ছালা হ’তে এবং শত্রুর খুশী হওয়া থেকে)। [126]

(ঘ) اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিকা ওয়া তাহাউউলি ‘আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামী‘ই সাখাত্বিকা’ (হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নে‘মত চলে যাওয়া হ’তে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হ’তে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হ’তে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হ’তে)।[127]

(ঙ) اَ للهُ اللهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا আল্লাহ আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহী শাইয়ান (আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রতিপালক! আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করি না)’।[128]

[123] . তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৫৪, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৭৭।
[124] . তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৫৪, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৭৭; বায়হাক্বী হা/৩৫৯৮।
[125] . বুখারী হা/৯৩৩, ১০২১; আবুদাঊদ হা/১১৭৪; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯০২, অধ্যায়-২৯, অনুচ্ছেদ-৭ ।
[126] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৭, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।
[127] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৬১।
[128] . আবুদাঊদ হা/১৫২৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘ইস্তিগফার’ অনুচ্ছেদ-৩৬১।

তওবা ও ইস্তেগফার

(অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করা)
আল্লাহ তাঁর বিশ্বাসী বান্দাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ- ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। তাহ’লে তোমরা সফলকাম হবে’ (নূর ২৪/৩১)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। কেননা আমি দৈনিক একশ’ বার তওবা করি।[129] তিনি বলেন, ‘আল্লাহ সবচেয়ে খুশী হন বান্দা তওবা করলে’। [130] তিনি আরও বলেন, كُلُّ بَنِى آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ ‘সকল আদম সন্তান ভুলকারী। আর ভুলকারীদের মধ্যে সেরা তারাই, যারা তওবাকারী’।[131]

তওবা শুদ্ধ হবার শর্তাবলী

আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয় হ’লে তওবা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হ’ল তিনটি।
(১) ঐ পাপ থেকে বিরত থাকবে
(২) কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে
(৩) ঐ পাপ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে। আর যদি পাপটি বান্দার সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তাকে ৪র্থ শর্ত হিসাবে বান্দার নিকটে ক্ষমা চাইতে হবে। কোন হক বা কিছু পাওনা থাকলে তাকে তা বুঝে দিতে হবে। নইলে তার তওবা শুদ্ধ হবে না’।[132]

তওবার দো‘আ

(১) أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لآ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)।[133]

(২) لآ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যোয়া-লিমীন’ (হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি মহা পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যখন কোন মুসলিম কোন সমস্যায় এই দো‘আর মাধ্যমে তার পালনকর্তাকে আহবান করে, যা ইউনুস মাছের পেটে গিয়ে করেছিলেন, তখন আল্লাহ তার আহবানে সাড়া দেন। [134]

(৩) رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ রব্বিগফিরলী ওয়া তুব ‘আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাউওয়া-বুর রহীম’ (হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর ও আমার তওবা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াবান) ১০০ বার।[135]

[130] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৩২।
[131] . তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/২৩৪১, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ-৪।
[132] . নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন ‘তওবা’ অনুচ্ছেদ।
[133] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৫৩, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৪; ছহীহাহ হা/২৭২৭।
[134] . আম্বিয়া ২১/৮৭; আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২২৯২, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আল্লাহর নাম সমূহ’ অনুচ্ছেদ-২।
[135] . আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৩৫২, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৪।

পিতামাতার জন্য দো‘আ

(1) رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِيْ صَغِيْراً، (الإسراء 24)-

‘রব্বীরহামহুমা কামা রববাইয়া-নী ছগীরা’ (হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের উপরে দয়া কর, যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়ার সাথে প্রতিপালন করেছিলেন)’ (ইসরা ১৭/২৪)। কুরআনের আয়াত হওয়ার কারণে দো‘আটি সিজদায় পড়া যাবে না। তবে শেষ বৈঠকে দো‘আয়ে মাছূরাহর পরে পড়া যাবে।

(২) رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ-

রব্বানাগফিরলী ওয়ালিওয়া-লিদাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ইয়াউমা ইয়াক্বূমুল হিসা-ব’ (হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা কর, যেদিন হিসাব কায়েম হবে’ (ইবরাহীম ১৪/৪১)।

আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ জান্নাতে তার নেককার বান্দাদের মর্যাদার স্তর উন্নীত করবেন। তখন বান্দা বলবে, হে আল্লাহ! কেন এটা আমার জন্য করা হচ্ছে? জবাবে আল্লাহ বলবেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার কারণে (بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ)’। [136]

[136] . আহমাদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৩৫৪ ‘ দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪; ছহীহাহ হা/১৫৯৮।

ঋণদাতার জন্য দো‘আ

بَارَكَ اللهُ تَعَالَى فِيْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ ‘বা-রাকাল্লা-হু তা‘আলা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা’ (মহান আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন)। [137]

উল্লেখ্য যে, বহুল প্রচলিত দো‘আ بَارَكَ اللهُ فِيْكَ (أَوْ فِيْكُمْ) ‘বা-রাকাল্লা-হু ফীকা বা ফীকুম’ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি ‘যঈফ’। [138] তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বরকতের দো‘আ করেছেন বলে ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণ রয়েছে। সে হিসাবে এটি বলা জায়েয।

[137] . নাসাঈ, মিশকাত হা/২৯২৬, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ অধ্যায়-১১, অনুচ্ছেদ-৯।
[138] . বায়হাক্বী-দালায়েলুন নবুওয়াত, মিশকাত হা/১৮৮০; সনদ যঈফ, ‘যাকাত’ অধ্যায়-১১, অনুচ্ছেদ-৫।



***********************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url