যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা থেকে সাবধান, পর্ব - ১০




যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা


  • বহু সন্তানের দরিদ্র পিতা মু’মিন বান্দাকে আল্লাহ ভালোবাসেন,
  • চরিত্র মন্দ হলে কানে আযান দেওয়া,
  • বৃদ্ধদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরা,
  • মফস্বলবাসী ও নারীদের ধর্মকে ধারন,
  • দ্রুত চলা মু’মিনের উজ্জলতাকে নষ্ট করে।
- এরকম কথাকে অনেকেই সহীহ হাদিস বলে চালিয়ে দেন। আসলে এগুলোর কোনটিই সহীহ হাদিস নয়। কোনটি একেবারেই বানোয়াট, কোনটি মিথ্যা আবার কোনটি সহীহ হাদিসের অনুকরণে ভুল হাদিস- এসব হাদিসই যঈফ বা জাল হাদিস। যে কথা রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেননি, সেকথাকে রাসুলের (সা:) কথা বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জালিয়াতি এবং অতি জঘন্য গুনাহের কাজ। আসুন যঈফ বা জাল হাদিসগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই এবং এসব হাদিসের ব্যবহার থেকে নিজেরা বিরত থাকি এবং অন্যদেরকে বিরত রাখি। আমাদের এই আর্টিকেলগুলো আপনাদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। আশা করি দ্বীনের স্বার্থে এগুলো শেয়ার করবেন।

 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫১ 

বহু সন্তানের দরিদ্র পিতা মু’মিন বান্দাকে আল্লাহ ভালোবাসেন


বহু সন্তানের পিতা দরিদ্র সৎ মু’মিন বান্দাকে আল্লাহ ভালোবাসেন।
হাদীসটি দুর্বল

হাদীসটি ইবনু মাজাহ (২/৫২৯) এবং উকায়লী “আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃঃ ৩৬১) হাম্মাদ ইবনু ঈসার সূত্রে মূসা ইবনু ওবায়দাহ হতে, তিনি কাসিম ইবনু মিহরান হতে ... বর্ণনা করেছেন। উকায়লী কাসেম-এর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ

لا يثبت سماعه من عمران بن حصين، رواه عنه موسى بن عبيدة وهو متروك

কাসেম কর্তৃক ইমরান ইবনু হুসাইন হতে শ্রবণ সাব্যস্ত হয়নি এবং তার থেকে হাদীসটি বর্ণনাকারী মূসা ইবনু ওবায়দাহ মাতরূক।’

বূসয়রী “আয-যাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/২৫৩) উকায়লীর এ কথাকে সমর্থন করে বলেছেনঃ এ সনদটি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ উকায়লীর কথা হতে হাদীসটি দুর্বল হওয়ার দুটি কারণ স্পষ্ট হয়েছে। কারণ দুটি হচ্ছে সনদে বিচ্ছিন্নতা এবং ইবনু ওবায়দার দুর্বলতা। এটির তৃতীয় কারণ হচ্ছে কাসেম ইবনু মিহরানের মাজহুল হওয়া। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাজহুল [অপরিচিত)।

চতুর্থ কারণ হাম্মাদ ইবনু ঈসা ওয়াসেতী সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তিনি দুর্বল। এ কারণে হাফিয ইরাকী বলেনঃ হাদীসটির সনদ দুর্বল, যেমনভাবে মানবী উল্লেখ করেছেন। হাদীসটিকে সাখাবীও “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে (২৪৬) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির আরেকটি সূত্র পেয়েছি। কিন্তু সেটির দ্বারা শুধু এটির দুর্বলতাই বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি মুহাম্মাদ ইবনু ফযল-এর সূত্রে যায়েদ ইবনু 'আমী মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন হতে বর্ণনা করেছেন। এটি ইবনু আদী (১/২৯৫) ও আবু নু’য়াইম (২/২৮২) উল্লেখ করেছেন। এটি দুর্বল হওয়ার পিছনে তিনটি কারণঃ

১। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন ও ইমরান ইবনু হুসাইনের মধ্যে সনদে বিচ্ছিন্নতা। কারণ তিনি ইমরান হতে শুনেননি, যেমনটি দারাকুতনী বলেছেন।
২। যায়েদ আল-'আমী, তিনি হচ্ছেন ইবনুল হাওয়ারী, তিনি দুর্বল।
৩। মুহাম্মাদ ইবনু ফযল; তিনি একজন মিথ্যুক, যেমনভাবে ফাল্লাস ও আরো অনেকে বলেছেন।

إن الله يحب عبده المؤمن الفقير المتعفف أبا العيال
ضعيف

أخرجه ابن ماجه (2 / 529) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 361) من طريق حماد ابن عيسى، حدثنا موسى بن عبيدة، أخبرني القاسم بن مهران عن عمران بن حصين مرفوعا
وقال العقيلي في ترجمة القاسم: لا يثبت سماعه من عمران بن حصين، رواه عنه موسى بن عبيدة وهو متروك
وأقره البوصيري في " الزوائد " (253 / 2) وقال: هذا إسناد ضعيف
قلت: فللحديث علتان تبينتا في كلام العقيلي وهما الانقطاع وضعف ابن عبيدة
وله علة ثالثة: وهي جهالة ابن مهران هذا، قال الحافظ في التقريب
مجهول
وعلة رابعة وهي حماد بن عيسى وهو الواسطي، قال الحافظ: ضعيف، ولذلك قال العراقي: سنده ضعيف كما نقله المناوي وضعفه السخاوي أيضا في " المقاصد " (رقم 246)
قلت: وقد وجدت للحديث طريقا أخرى ولكنه لا يزداد بها إلا ضعفا، لأنه من رواية محمد بن الفضل عن زيد العمي عن محمد بن سيرين عن عمران بن حصين به دون قوله: " أبا العيال "، أخرجه ابن عدي (295 / 1) وأبو نعيم (2 / 282) وقال: غريب من حديث محمد بن سيرين، لم نكتبه إلا من حديث زيد ومحمد بن الفضل بن عطية
قلت: وفي هذا السند ثلاث علل أيضا
الأولى: الانقطاع بين عمران وابن سيرين، فإنه لم يسمع منه كما قال الدارقطني خلافا لما رواه عبد الله بن أحمد عن أبيه
الثانية: زيد العمي وهو ابن الحواري، ضعيف
الثالثة: محمد بن الفضل بن عطية وهو كذاب؛ كما قال الفلاس وغيره

إن الله يحب عبده المؤمن الفقير المتعفف أبا العيال ضعيف - أخرجه ابن ماجه (2 / 529) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 361) من طريق حماد ابن عيسى، حدثنا موسى بن عبيدة، أخبرني القاسم بن مهران عن عمران بن حصين مرفوعا وقال العقيلي في ترجمة القاسم: لا يثبت سماعه من عمران بن حصين، رواه عنه موسى بن عبيدة وهو متروك وأقره البوصيري في " الزوائد " (253 / 2) وقال: هذا إسناد ضعيف قلت: فللحديث علتان تبينتا في كلام العقيلي وهما الانقطاع وضعف ابن عبيدة وله علة ثالثة: وهي جهالة ابن مهران هذا، قال الحافظ في التقريب مجهول وعلة رابعة وهي حماد بن عيسى وهو الواسطي، قال الحافظ: ضعيف، ولذلك قال العراقي: سنده ضعيف كما نقله المناوي وضعفه السخاوي أيضا في " المقاصد " (رقم 246) قلت: وقد وجدت للحديث طريقا أخرى ولكنه لا يزداد بها إلا ضعفا، لأنه من رواية محمد بن الفضل عن زيد العمي عن محمد بن سيرين عن عمران بن حصين به دون قوله: " أبا العيال "، أخرجه ابن عدي (295 / 1) وأبو نعيم (2 / 282) وقال: غريب من حديث محمد بن سيرين، لم نكتبه إلا من حديث زيد ومحمد بن الفضل بن عطية قلت: وفي هذا السند ثلاث علل أيضا الأولى: الانقطاع بين عمران وابن سيرين، فإنه لم يسمع منه كما قال الدارقطني خلافا لما رواه عبد الله بن أحمد عن أبيه الثانية: زيد العمي وهو ابن الحواري، ضعيف الثالثة: محمد بن الفضل بن عطية وهو كذاب؛ كما قال الفلاس وغيره
 

 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫২ 

চরিত্র মন্দ হলে কানে আযান দেওয়া


তোমাদের কারোর উপর যখন তার পশুটি বোঝা স্বরূপ হয়ে যাবে অথবা তার স্ত্রীর চরিত্র অথবা তার পরিবারের যে কোন একজনের চরিত্র মন্দ হয়ে যাবে, তখন সে যেন তার কানে আযান দেয়।
হাদীসটি দুর্বল

হাদীসটি গাযালী দৃঢ়তার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা বলে “ইয়াহইয়াউল উলুমিদ-দ্বীন" গ্রন্থে (২/১৯৫) উল্লেখ করেছেন। তার তাখরীজকারী হাফিয ইরাকী বলেনঃ হাদীসটি আবু মানসূর আদ-দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে হুসাইন ইবনু ‘আলী ইবনে আবী তালিব (রাঃ) হতে দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে (৩/৫৫৮) হাদীসটির ভাষা নিম্নরূপঃ

من ساء خلقه من إنسان أو دابة، فأذنوا في أذنيه

মানুষ অথবা পশুর মধ্য হতে যার চরিত্র খারাপ হয়ে যাবে তোমরা তার কান দু'টোতে আযান দিবে।’

إذا استصعبت على أحدكم دابته أوساء خلق زوجته أو أحد من أهل بيته فليؤذن في أذنه
ضعيف

أورده الغزالي (2 / 195) جازما بنسبته إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه الحافظ العراقي: رواه أبو منصور الديلمي في " مسند الفردوس " من حديث الحسين ابن علي بن أبي طالب بسند ضعيف نحوه
قلت: ولفظه كما في " الفردوس " (3 / 558) : " من ساء خلقه من إنسان أو دابة، فأذنوا في أذنيه

إذا استصعبت على أحدكم دابته أوساء خلق زوجته أو أحد من أهل بيته فليؤذن في أذنه ضعيف - أورده الغزالي (2 / 195) جازما بنسبته إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه الحافظ العراقي: رواه أبو منصور الديلمي في " مسند الفردوس " من حديث الحسين ابن علي بن أبي طالب بسند ضعيف نحوه قلت: ولفظه كما في " الفردوس " (3 / 558) : " من ساء خلقه من إنسان أو دابة، فأذنوا في أذنيه
 

 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৩ 

বৃদ্ধদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরা


তোমরা বৃদ্ধদের ধর্মকে আঁকড়ে ধর।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই

সাখাবী “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে এরূপই বলেছেন। সাগানী “আল-আহাদীসুল মাওযুআত” গ্রন্থে (পৃঃ ৭) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। অথচ ইমাম গাযালী মারফু হিসাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন!

তার তাখরীজকারী হাফিয ইরাকী বলেনঃ ইবনু তাহের “কিতাবুত তাযকিরাহ” গ্রন্থে (৫১১) বলেনঃ সাধারণ লোকদের মাঝে হাদীসটি পরিচিত, অথচ সহীহ বা দুর্বল বর্ণনাতেও এটির কোন ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত হতে পারিনি।

عليكم بدين العجائز
لا أصل له

كذا قال في " المقاصد " وذكره الصغاني في " الأحاديث الموضوعة " (7) وأورده الغزالي (3 / 67) مرفوعا إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه العراقي
قال ابن طاهر في " كتاب التذكرة " (رقم 511) : تداوله العامة، ولم أقف له على أصل يرجع إليه من رواية صحيحة ولا سقيمة، حتى رأيت حديثا لمحمد بن عبد الرحمن البيلماني عن أبيه عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم

عليكم بدين العجائز لا أصل له - كذا قال في " المقاصد " وذكره الصغاني في " الأحاديث الموضوعة " (7) وأورده الغزالي (3 / 67) مرفوعا إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه العراقي قال ابن طاهر في " كتاب التذكرة " (رقم 511) : تداوله العامة، ولم أقف له على أصل يرجع إليه من رواية صحيحة ولا سقيمة، حتى رأيت حديثا لمحمد بن عبد الرحمن البيلماني عن أبيه عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৪ 

মফস্বলবাসী ও নারীদের ধর্মকে ধারন 


যখন কেউ শেষ যামানায় এসে যাবে এবং মতামতগুলো বিভিন্নরুপ হয়ে যাবে, তখন তোমরা মফস্বলবাসী ও নারীদের ধর্মকে ধারন করবে।
হাদীসটি জাল

ইবনু তাহের বলেনঃ এটির সনদে ইবনুল বাইলামানী রয়েছেন। তিনি তার পিতা হতে, তার পিতা ইবনু উমার (রাঃ) হতে এমন এক কপি বর্ণনা করেছেন, যেটিকে জাল করার দোষে তাকে দোষী করা হয়েছে।

হাফিয ইরাকী বলেনঃ এ সূত্রেই ইবনুল বাইলামানীর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনু হিব্বান হাদীসটি “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান-এর সূত্রে ইবনুল জাওযী “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (১/২৭১) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। হাদীসটির অন্য সমস্যা হচ্ছে ইবনু আব্দির রহমান বাইলামানী হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস হারেসী; তিনি দুর্বল। ইবনু আদী (২/২৯৭) হাদীসটি ইবনু আবদির রহমান বাইলামানী হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস আল-হারেসীর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃوعامة ما يرويه غير محفوظ তার বর্ণনাকৃত অধিকাংশ হাদীস মাহফুয নয় (নিরাপদ নয়)।

ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ্ নয়। মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস কিছুই না এবং তার শাইখ ইবনুল বাইলামানী তার ন্যায়। তিনি তার পিতা হতে জাল কপির মাধ্যমে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটিকে উমার ইবনু আবদিল আযীয-এর ভাষ্য হিসাবে জানা যায়।

সুয়ূতী “আল-লাআলিল মাসনূ'য়াহ" গ্রন্থে তার এ কথাকে সমর্থন করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু হারিস সুনান ইবনু মাজাহর বর্ণনাকারীদের একজন। “আল-মীযান” গ্রন্থে বলা হয়েছে এ হাদীসটি তার অদ্ভুত বর্ণনাগুলোর একটি।

ইবনু হারিস সম্পর্কে কিছু আলোচনা না করে এখানে ইবনুল বাইলামানীর সম্পর্কে বলাই উত্তম। কারণ সকলেই তার দুর্বল হওয়ার বিষয়ে একমত। আর কেউ কেউ ইবনু হারিসকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। অতএব এ হাদীসের সমস্যা হচ্ছে-ইবনুল বাইলামানী। যার সম্পর্কে সাখাবীও “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে ইবনু তাহেরের ভাষ্যের ন্যায় বলেছেন।

শাইখ আলী আল-কারী বলেনঃ حديث موضوع হাদীসটি বানোয়াট। তা সত্ত্বেও হাদীসটি সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

إذا كان في آخر الزمان، واختلفت الأهواء، فعليكم بدين أهل البادية والنساء
موضوع

قال ابن طاهر: وابن البيلماني (يعني الذي في سنده) له عن أبيه عن ابن عمر نسخة كان يتهم بوضعها
قال الحافظ العراقي: وهذا اللفظ من هذا الوجه رواه ابن حبان في " الضعفاء " في ترجمة ابن البيلماني
قلت: من طريق ابن حبان أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 271) ومنه تبين أن فيه علة أخرى، لأن راويه عن ابن عبد الرحمن البيلماني محمد بن الحارث الحارثي وهو ضعيف، وفي ترجمته أورد الحديث ابن عدي (297 / 2) وقال
وعامة ما يرويه غير محفوظ، ثم قال ابن الجوزي: لا يصح، محمد بن الحارث ليس بشيء، وشيخه كذلك حدث عن أبيه بنسخة موضوعة، وإنما يعرف هذا من قول عمر بن عبد العزيز
وأقره السيوطي في " اللآليء المصنوعة " (1 / 131) وزاد عليه فقال: قلت
محمد بن الحارث من رجال ابن ماجه، وقال في " الميزان ": هذا الحديث من عجائبه
قلت: الحمل فيه على ابن البيلماني أولى من الحمل فيه على ابن الحارث، فإن هذا قد وثقه بعضهم، بخلاف ابن البيلماني فإنه متفق على توهينه، وقد أشار إلى ما ذهبت إليه بعض الأئمة، فقال الآجرى: سألت أبا داود عن ابن الحارث فقال
بلغني عن بندار قال: ما في قلبي منه شيء، البلية من ابن البيلماني، وقال البزار: مشهور ليس به بأس، وإنما تأتي هذه الأحاديث من ابن البيلماني
فثبت أن آفة الحديث من ابن البيلماني وبه أعله الحافظ ابن طاهر كما تقدم، وكذا السخاوي في " المقاصد "، وقال الشيخ علي القاري: حديث موضوع
ثم أليس من العجائب أن يورد السيوطي هذا الحديث في " الجامع الصغير " مع تعهده في مقدمته أن يصونه مما تفرد به كذاب أو وضاع مع أن الحديث فيه ذاك الكذاب ابن البيلماني، ومع إقراره ابن الجوزي على حكمه عليه بالوضع؟ ! وقد أقرهما على ذلك ابن عراق أيضا في " تنزيه الشريعة " (136 / 1) فإنه أورده في " الفصل الأول " الذي يورد فيه ما حكم ابن الجوزي بوضعه ولم يخالف فيه كما نص عليه في المقدمة

إذا كان في آخر الزمان، واختلفت الأهواء، فعليكم بدين أهل البادية والنساء موضوع - قال ابن طاهر: وابن البيلماني (يعني الذي في سنده) له عن أبيه عن ابن عمر نسخة كان يتهم بوضعها قال الحافظ العراقي: وهذا اللفظ من هذا الوجه رواه ابن حبان في " الضعفاء " في ترجمة ابن البيلماني قلت: من طريق ابن حبان أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 271) ومنه تبين أن فيه علة أخرى، لأن راويه عن ابن عبد الرحمن البيلماني محمد بن الحارث الحارثي وهو ضعيف، وفي ترجمته أورد الحديث ابن عدي (297 / 2) وقال وعامة ما يرويه غير محفوظ، ثم قال ابن الجوزي: لا يصح، محمد بن الحارث ليس بشيء، وشيخه كذلك حدث عن أبيه بنسخة موضوعة، وإنما يعرف هذا من قول عمر بن عبد العزيز وأقره السيوطي في " اللآليء المصنوعة " (1 / 131) وزاد عليه فقال: قلت محمد بن الحارث من رجال ابن ماجه، وقال في " الميزان ": هذا الحديث من عجائبه قلت: الحمل فيه على ابن البيلماني أولى من الحمل فيه على ابن الحارث، فإن هذا قد وثقه بعضهم، بخلاف ابن البيلماني فإنه متفق على توهينه، وقد أشار إلى ما ذهبت إليه بعض الأئمة، فقال الآجرى: سألت أبا داود عن ابن الحارث فقال بلغني عن بندار قال: ما في قلبي منه شيء، البلية من ابن البيلماني، وقال البزار: مشهور ليس به بأس، وإنما تأتي هذه الأحاديث من ابن البيلماني فثبت أن آفة الحديث من ابن البيلماني وبه أعله الحافظ ابن طاهر كما تقدم، وكذا السخاوي في " المقاصد "، وقال الشيخ علي القاري: حديث موضوع ثم أليس من العجائب أن يورد السيوطي هذا الحديث في " الجامع الصغير " مع تعهده في مقدمته أن يصونه مما تفرد به كذاب أو وضاع مع أن الحديث فيه ذاك الكذاب ابن البيلماني، ومع إقراره ابن الجوزي على حكمه عليه بالوضع؟ ! وقد أقرهما على ذلك ابن عراق أيضا في " تنزيه الشريعة " (136 / 1) فإنه أورده في " الفصل الأول " الذي يورد فيه ما حكم ابن الجوزي بوضعه ولم يخالف فيه كما نص عليه في المقدمة


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৫ 

দ্রুত চলা মু’মিনের উজ্জলতাকে নষ্ট করে 


দ্রুত চলা মু’মিনের উজ্জলতাকে বিতাড়িত করে দেয়।
হাদীসটি নিতান্তই মুনকার

হাদীসটি আবু হুরাইরা, ইবনু উমার, আনাস ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
প্রথমতঃ আবু হুরাইরা (রঃ)-এর হাদীস; এটি তিনটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ

প্রথম সূত্রঃ হাদীসটি আবু সাঈদ আল-মালীনী "আল-আরবাউন ফি শুয়ুখিস সুফিয়া” গ্রন্থে (৫/১), আবু নু’য়াইম "হিলইয়াহ" গ্রন্থে (১০/২৯০), আল-খাতীব “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে (১/৪১৭) এবং তার সূত্রে ইবনুল জাওযী “আল ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১১৭৮) উল্লেখ করেছেন। যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনুল আসমাঈর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ হাদীসটি নিতান্তই মুনকার। অতঃপর তিনি হাদীসটির সনদ উল্লেখ করে বলেনঃ এটি সহীহ নয়। হাফিয ইবনু হাজারও “আল-লিসান” গ্রন্থে তার (যাহাবীর) কথাকে সমর্থন করেছেন।[ মুনকার অর্থ জানার জন্য দেখুন (৫৬) পৃষ্ঠা]।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ প্রথম সূত্রটি দুর্বল হওয়ার কারণ তিনটিঃ
১। এতে মুহাম্মাদ ইবনু আসমাঈ নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। তিনি মাজহুল [অপরিচিত]।
২। ইবনু আসমাঈ হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াকুব আল-ফারাজীর জীবনী পাচ্ছি না।
৩। আবু মাশার যার নাম নাজীহ ইবনু আবদির রহমান সিন্দী, সবার ঐক্যমতে তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ তাকে নিতান্তই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ইমাম বুখারীও বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

দ্বিতীয় সূত্রঃ ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (৫/৭২), তার থেকে ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (২/২১৯) আব্দুল্লাহ ইবনু সালেম সূত্রে আম্মার ইবনু মাতার রাহাবী হতে বর্ণনা করে ইবনুল জাওযী বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। এ সূত্রের বর্ণনাকারী আম্মার ইবনু মাতার রাহাবী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেনঃ তিনি মিথ্যা বলতেন। ইবনু আদী বলেনঃ তার হাদীসগুলো বাতিল। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি দুর্বল।

তৃতীয় সূত্রঃ ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (৫/৭২) এবং তার থেকে ইবনুল জাওযী আবূ শিহাব আব্দুল কুদ্দুস সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। তার সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ له أكاذيب وضعها তার বহু মিথ্যা [হাদীস] রয়েছে যেগুলো তিনি জাল করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে এটিকে মুনকার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
এ তিনটি সুত্রের প্রথমটি উত্তম তা সত্ত্বেও সেটি দুর্বল বহুবিধ কারণে।

দ্বিতীয়তঃ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস;

এটি আব্বাস দাওরী “তারীখু ইবনু মা'ঈন” গ্রন্থে (কাফ ২/৪১), ইবনু আদী (৫/১৩, ৭/৭৭), আল-খাতীব “আল-জামে” গ্রন্থে (৫/৯১/২), ওয়াহেদী "ওয়াসীত" গ্রন্থে (৩/১৯৪/১০), সালাবী “তাফসীর” গ্রন্থে (৩/৭৮/২) ও ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১১৭৭) বর্ণনা করেছেন।

এর সনদে ওয়ালীদ ইবনু সালামা (জর্ডানের কাজী) এবং উমার ইবনু সহবান নামক দু’জন বর্ণনাকারী রয়েছেন।
এ উমার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ এ উমারের হাদীসগুলোর অনুসরণ করেননি। তার অধিকাংশ হাদীস মুনকার।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি খুবই দুর্বল। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।
দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। তার থেকে বর্ণনাকারী ওয়ালীদ ইবনু সালামা তার চাইতেও মন্দ। তার সম্পর্কে একাধিক ব্যক্তি বলেছেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ يضع الحديث على الثقات তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করতেন।

তৃতীয়তঃ আনাস (রাঃ) এর হাদিস;
হাদিসটি ইবনু বিশারন আল আমলী গ্রন্থে (২৩/৬৯/২) ও আল-খাতীব “আল-জামে” গ্রন্থে (২/২২/১) মুহাম্মাদ ইবনু ইউনুস সূত্রে ইউসুফ ইবনু কামেল হতে, তিনি আব্দুস সালাম ইবনু সুলায়মান আযদী হতে, তিনি আবান হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি বাতিল। এ সনদে উল্লেখিত কোন ব্যক্তিই নির্ভরযোগ্য নয়।

আবান সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
শু'বা বলেনঃ لأن يزني الرجل خير من أن يروي عن أبان আবানের নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করার চেয়ে কোন ব্যক্তির যেনা করাটা বেশী উত্তম (অর্থাৎ জাল হাদীস বর্ণনা করা যেনার চেয়েও জঘন্য)। এ কথাটিই প্রমাণ করে যে তিনি মিথ্যুক হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।

আব্দুস সালাম ইবনু সুলায়মান আল-আযদী মাজহুলুল হাল (তার অবস্থা অজ্ঞাত)।

তিনি একজন শামী বর্ণনাকারী। অথচ এ সনদটি শামী নয়। অতএব তিনি এ হাদীসের বর্ণনাকারী নন এটিই সুস্পষ্ট।

ইউসুফ ইবনু কামিল আল-আত্তার; তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলা হয়নি। অর্থাৎ তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। মু

হাম্মাদ ইবনু ইউনুস; তিনি হচ্ছেন কুদাইমী। তার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ قد اتهم بالوضع তাকে (হাদীস) জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ সম্ভবত তিনি হাজারাধিক হাদীস জাল করেছেন।
আবু দাউদ, মূসা ইবনু হারুন এবং কাসিম ইবনু মুতাররীয তাকে মিথ্যুক বলেছেন।
দারাকুতনী বলেনঃ তাকে হাদীস জাল করার ব্যাপারে দোষারোপ করা হয়েছে।
চতুর্থতঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস;
সুয়ূতী তার “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি ইবনু নাজ্জারের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার সনদটি পাইনি। আমার বেশীর ভাগ ধারণা এটিও অন্যান্যটির ন্যায় দুর্বল ।

এক কথায় এ হাদীসটি সম্পর্কে বর্ণিত সকল সনদ নিতান্তই দুর্বল। এ জন্য একটি সনদ অপরটিকে শক্তিশালী করে না।
শাইখ ‘আলী আল-কারী “শারহুশ শামায়েল” গ্রন্থে (১/৫২) এটিকে যুহরীর বাণী বলে উল্লেখ করেছেন।

এটি যে হাদীস নয় তার জন্য এ কথাই যথেষ্ট যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার সময় দ্রুত চলতেন। (দেখুন তিরমিযীর “মুখতাসারুশ শামায়েল” (পৃঃ ৭১ ও ২০), ইমাম বুখারীর “আদাবুল মুফরাদ” (১১৯), তাবাকাতু ইবনু সা'দ (১/৩৭৯-৩৮০) এবং “মাজমাউয যাওয়াইদ” (৮/২৭৩,২৮১)। এটি সহীহ্ সনদে বর্ণিত হয়েছে। উমারও (রাঃ) দ্রুত চলতেন। দেখুন “তাবাকাতু ইবনে সা'দ” (১/৩৭৯-৩৮০)।

سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن
منكر جدا

وقد روي من حديث أبي هريرة وابن عمر وأنس وابن عباس
1 - أما حديث أبي هريرة فقد روي من ثلاث طرق عن أبي سعيد المقبري عنه
الأولى: عن محمد بن يعقوب الفرجي قال: نبأنا محمد بن عبد الملك بن قريب الأصمعي قال: نبأنا أبي عن أبي معشر عن أبي سعيد المقبري عن أبي هريرة
أخرجه أبو سعد الماليني في " الأربعين في شيوخ الصوفية " (5 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (10 / 290) والخطيب في " تاريخ بغداد " (1 / 417) ، ومن طريقه ابن الجوزي في " الواهيات " (1178) وقال: لم أسمع لمحمد بن الأصمعي ذكرا إلا في هذا الحديث، قال الذهبي في ترجمته: وهو حديث منكر جدا، ثم ساقه بهذا السند ثم قال: هذا غير صحيح، وأقره الحافظ في " اللسان
قلت: ولهذا الإسناد ثلاث علل
أ - ابن الأصمعي هذا وهو مجهول كما يشير إليه كلام الخطيب السابق
ب - الراوي عنه محمد بن يعقوب الفرجي، لم أجد له ترجمة إلا أن الماليني أورده في " شيوخ الصوفية ولم يذكر فيه تعديلا ولا جرحا، وكذلك فعل الخطيب في " تاريخ بغداد " (3 / 388) إلا أنه قال: وكان يحفظ الحديث، ولعله هو الآفة
ج - أبو معشر واسمه نجيح بن عبد الرحمن السندي ضعيف اتفاقا، وضعفه يحيى بن سعيد جدا، وكذا البخاري حيث قال: منكر الحديث
الطريق الثانية: قال عبد الله بن سالم: حدثنا عمار بن مطر الرهاوي - وكان حافظا للحديث - حدثنا ابن أبي ذئب عن المقبري عن أبي هريرة، أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72 ـ بيروت) ، وعنه ابن الجوزي في " الواهيات " (2 / 219) وقال: لا يصح، وذكره الذهبي في ترجمة عمار هذا، وقال: هالك، وثقه بعضهم ومنهم من وصفه بالحفظ، ثم ساقه ثم ذكر أحاديث منكرة، ثم ختم ترجمته بقوله
قال أبو حاتم الرازي: كان يكذب، وقال ابن عدي: أحاديثه بواطيل. وقال الدارقطني: ضعيف
قلت: فهذه متابعة قوية لأبي معشر من ابن أبي ذئب، ولكنه لا يعتد بها، فإنه وإن كان ثقة ففي الطريق إليه ذلك الهالك، لكنه روي من طريق غيره وهو
الطريق الثالثة: أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72) ، ومن طريقه ابن الجوزي عن أبي شهاب عبد القدوس بن عبد القاهر بن أبي ذئب أبي شهاب سمعه من صدقة ابن أبي الليث الحصني - وكان من الثقات - عن ابن أبي ذئب، ذكره ابن حجر في " اللسان " في ترجمة عبد القدوس هذا بعد أن قال فيه الذهبي: له أكاذيب وضعها
ثم ذكر منها حديثا، ثم ذكر الحافظ منها حديثا آخر هو هذا ثم قال: وهذا إنما يعرف برواية عمار بن مطر عن ابن أبي ذئب، وكان الناس ينكرونه على عمار، وقد عرفت حال عمار آنفا
وخير هذه الطرق الأولى، ومع ذلك فهي واهية لكثرة عللها، وقد قال الحافظ في " تخريج الكشاف " (130 رقم 181) : وإسناده ضعيف
2 ـ وأما حديث ابن عمر، فأخرجه عباس الدوري في " تاريخ ابن معين " (ق 41 /2) ، وابن عدي (5 / 13 و7 / 77) ، والخطيب في " الجامع " (5 / 91 / 2) نسخة الإسكندرية والواحدي في " الوسيط " (3 / 194 / 1) والثعلبي في " التفسير " (3 / 78 / 2) ، وابن الجوزي في " الواهيات " (1177) عن الوليد ابن سلمة - قاضي الأردن - حدثنا عمر بن صهبان عن نافع عنه، وقال ابن عدي
وعمر هذا عامة أحاديثه لا يتابعه الثقات عليه ويغلب على حديثه المناكير
قلت: وهو ضعيف جدا، قال البخاري: منكر الحديث، وقال الدارقطني: متروك الحديث
قلت: لكن الراوي عنه الوليد بن سلمة شر منه فقد قال فيه أبو مسهر ودحيم وغيرهما: كذاب، وقال ابن حبان: يضع الحديث على الثقات
وقد ساق ابن عدي له أحاديث، ومنها هذا الحديث أورده في ترجمته أيضا وقال وكذا في " المنتخب منه " (ق 350 / 1) وغيره: عامتها غير محفوظة
3 وأما حديث أنس، فأخرجه ابن بشران في " الأمالي " (23 / 69 / 2) ، والخطيب في " الجامع " (2 / 22 / 1) من طريق محمد بن يونس حدثنا يوسف بن كامل حدثنا عبد السلام بن سليمان الأزدي عن أبان عنه مرفوعا بلفظ: (بهاء الوجه ...)
وهذا إسناد باطل ليس فيهم من هو معروف بالثقة باستثناء أنس طبعا
أما أبان فهو ابن أبي عياش الزاهد البصري، وقال أحمد: متروك الحديث، وقال شعبة: لأن يزني الرجل خير من أن يروي عن أبان
قلت: ولا يجوز أن يقال مثل هذا إلا فيمن هو كذاب معروف بذلك وقد كان شعبة يحلف على ذلك، ولعله كان لا يتعمد الكذب، فقد قال فيه ابن حبان: كان أبان من العباد يسهر الليل بالقيام ويطوي النهار بالصيام، سمع من أنس أحاديث وجالس الحسن فكان يسمع كلامه ويحفظ، فإذا حدث ربما جعل كلام الحسن عن أنس مرفوعا وهو لا يعلم! ولعله روى عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم أكثر من ألف حديث وخمس مئة حديث ما لكبير شيء منها أصل يرجع له
وأما عبد السلام بن سليمان الأزدي، فالظاهر أنه أبوهمام العبدي، فإنه من طبقته سمع داود بن أبي هند روى عنه حرمي بن عمارة وأبو سلمة ويحيى بن يحيى كما قال أبو حاتم على ما في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 46) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا فهو مجهول الحال، وأما ابن حبان فأورده في " الثقات " (2 /182) على قاعدته وأورد قبله راويا آخر فقال: عبد السلام بن سليمان يروي عن يزيد بن سمرة، عداده في أهل الشام، روى عنه الأوزاعي
والظاهر أنه ليس هو راوي هذا الحديث فإن إسناده ليس شاميا، فإنما هو الذي قبله
وأما يوسف بن كامل، فالظاهر أنه العطار، روى عن سويد بن أبي حاتم ونافع بن عمر الجمحي، روى عنه عمرو بن علي الصيرفي كما في " الجرح والتعديل " (4 /2 / 228) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولعله في " ثقات ابن حبان " فليراجع في أتباع أتباع التابعين منه، فإن نسختنا منه ينقص منها هذا المجلد وما دونه
وأما محمد بن يونس فهو الكديمي قال ابن عدي: قد اتهم بالوضع
وقال ابن حبان: لعله وضع أكثر من ألف حديث، وكذبه أبو داود وموسى بن هارون والقاسم بن المطرز، وقال الدارقطني: يتهم بوضع الحديث، وما أحسن فيه القول إلا من لم يخبر حاله
4 وأما حديث ابن عباس فعزاه السيوطي في " الجامع " لابن النجار، ولم أقف على إسناده، وغالب الظن أنه واه كغيره، وقد بيض له المناوي
فتبين من هذا التحقيق أن هذه الطرق كلها واهية جدا فلا تصلح لتقوية الطريق الأولى منها، وهي على ضعفها أحسنها حالا، فلا تغتر بقول الحافظ السخاوي في " المقاصد " (240) : وشواهده كثيرة، فإنها لا تصلح للشهادة كما ذكرنا
والظاهر أن أصل الحديث موقوف رفعه أولئك الضعفاء عمدا أوسهو ا، فقد رأيت في " المنتقى من المجالسة " للدينوري (52 / 2) بسند صحيح عن مغيرة قال: قال إبراهيم: ليس من المروءة كثرة الالتفات في الطريق، ويقال: سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن
وذكره الشيخ على القاري في " شرح الشمائل " (1 / 52) من قول الزهري
ويكفي في رد هذا الحديث أنه مخالف لهدي النبي صلى الله عليه وسلم في مشيه، فقد كان صلى الله عليه وسلم سريع المشي كما ثبت ذلك عنه في غير ما حديث، وروى ابن سعد في " الطبقات عن الشفاء بنت عبد الله أم سليمان قالت: كان عمر إذا مشى أسرع
ولعل هذا الحديث من افتراء بعض المتزهدين الذين يرون أن الكمال أن يمشي المسلم متباطئا متماوتا كأن به مرضا! وهذه الصفة ليست مرادة قطعا بقوله تعالى
(وعباد الرحمن الذين يمشون على الأرض هو نا، وإذا خاطبهم الجاهلون قالوا سلاما) ، قال الحافظ ابن كثير في تفسيرها: هو نا: أي بسكينة ووقار من غير جبرية ولا استكبار، كقوله تعالى: (ولا تمش في الأرض مرحا) ، فأما
هؤلاء فإنهم يمشون بغير استكبار ولا مرح ولا أشر ولا بطر
وليس المراد أنهم يمشون كالمرضى تصنعا ورياء، فقد كان سيد ولد آدم عليه الصلاة والسلام إذا مشى كأنما ينحط من صبب وكأنما تطوى الأرض له، وقد كره بعض السلف المشي بتضعف، حتى روى عن عمر أنه رأى شابا يمشي رويدا، فقال: ما بالك أأنت مريض؟ قال: لا يا أمير المؤمنين، فعلاه بالدرة وأمره أن يمشي
بقوة، وإنما المراد بالهو ن هنا: السكينة والوقار
وقد روى الإمام أحمد (رقم 3034) من حديث ابن عباس: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا مشى مشى مجتمعا ليس فيه كسل، ورواه البزار (2391 - زوائده) وسنده صحيح، وله شاهد عن سيار أبي الحكم مرسلا، رواه ابن سعد (1 / 379)

سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن منكر جدا - وقد روي من حديث أبي هريرة وابن عمر وأنس وابن عباس 1 - أما حديث أبي هريرة فقد روي من ثلاث طرق عن أبي سعيد المقبري عنه الأولى: عن محمد بن يعقوب الفرجي قال: نبأنا محمد بن عبد الملك بن قريب الأصمعي قال: نبأنا أبي عن أبي معشر عن أبي سعيد المقبري عن أبي هريرة أخرجه أبو سعد الماليني في " الأربعين في شيوخ الصوفية " (5 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (10 / 290) والخطيب في " تاريخ بغداد " (1 / 417) ، ومن طريقه ابن الجوزي في " الواهيات " (1178) وقال: لم أسمع لمحمد بن الأصمعي ذكرا إلا في هذا الحديث، قال الذهبي في ترجمته: وهو حديث منكر جدا، ثم ساقه بهذا السند ثم قال: هذا غير صحيح، وأقره الحافظ في " اللسان قلت: ولهذا الإسناد ثلاث علل أ - ابن الأصمعي هذا وهو مجهول كما يشير إليه كلام الخطيب السابق ب - الراوي عنه محمد بن يعقوب الفرجي، لم أجد له ترجمة إلا أن الماليني أورده في " شيوخ الصوفية ولم يذكر فيه تعديلا ولا جرحا، وكذلك فعل الخطيب في " تاريخ بغداد " (3 / 388) إلا أنه قال: وكان يحفظ الحديث، ولعله هو الآفة ج - أبو معشر واسمه نجيح بن عبد الرحمن السندي ضعيف اتفاقا، وضعفه يحيى بن سعيد جدا، وكذا البخاري حيث قال: منكر الحديث الطريق الثانية: قال عبد الله بن سالم: حدثنا عمار بن مطر الرهاوي - وكان حافظا للحديث - حدثنا ابن أبي ذئب عن المقبري عن أبي هريرة، أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72 ـ بيروت) ، وعنه ابن الجوزي في " الواهيات " (2 / 219) وقال: لا يصح، وذكره الذهبي في ترجمة عمار هذا، وقال: هالك، وثقه بعضهم ومنهم من وصفه بالحفظ، ثم ساقه ثم ذكر أحاديث منكرة، ثم ختم ترجمته بقوله قال أبو حاتم الرازي: كان يكذب، وقال ابن عدي: أحاديثه بواطيل. وقال الدارقطني: ضعيف قلت: فهذه متابعة قوية لأبي معشر من ابن أبي ذئب، ولكنه لا يعتد بها، فإنه وإن كان ثقة ففي الطريق إليه ذلك الهالك، لكنه روي من طريق غيره وهو الطريق الثالثة: أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72) ، ومن طريقه ابن الجوزي عن أبي شهاب عبد القدوس بن عبد القاهر بن أبي ذئب أبي شهاب سمعه من صدقة ابن أبي الليث الحصني - وكان من الثقات - عن ابن أبي ذئب، ذكره ابن حجر في " اللسان " في ترجمة عبد القدوس هذا بعد أن قال فيه الذهبي: له أكاذيب وضعها ثم ذكر منها حديثا، ثم ذكر الحافظ منها حديثا آخر هو هذا ثم قال: وهذا إنما يعرف برواية عمار بن مطر عن ابن أبي ذئب، وكان الناس ينكرونه على عمار، وقد عرفت حال عمار آنفا وخير هذه الطرق الأولى، ومع ذلك فهي واهية لكثرة عللها، وقد قال الحافظ في " تخريج الكشاف " (130 رقم 181) : وإسناده ضعيف 2 ـ وأما حديث ابن عمر، فأخرجه عباس الدوري في " تاريخ ابن معين " (ق 41 /2) ، وابن عدي (5 / 13 و7 / 77) ، والخطيب في " الجامع " (5 / 91 / 2) نسخة الإسكندرية والواحدي في " الوسيط " (3 / 194 / 1) والثعلبي في " التفسير " (3 / 78 / 2) ، وابن الجوزي في " الواهيات " (1177) عن الوليد ابن سلمة - قاضي الأردن - حدثنا عمر بن صهبان عن نافع عنه، وقال ابن عدي وعمر هذا عامة أحاديثه لا يتابعه الثقات عليه ويغلب على حديثه المناكير قلت: وهو ضعيف جدا، قال البخاري: منكر الحديث، وقال الدارقطني: متروك الحديث قلت: لكن الراوي عنه الوليد بن سلمة شر منه فقد قال فيه أبو مسهر ودحيم وغيرهما: كذاب، وقال ابن حبان: يضع الحديث على الثقات وقد ساق ابن عدي له أحاديث، ومنها هذا الحديث أورده في ترجمته أيضا وقال وكذا في " المنتخب منه " (ق 350 / 1) وغيره: عامتها غير محفوظة 3 وأما حديث أنس، فأخرجه ابن بشران في " الأمالي " (23 / 69 / 2) ، والخطيب في " الجامع " (2 / 22 / 1) من طريق محمد بن يونس حدثنا يوسف بن كامل حدثنا عبد السلام بن سليمان الأزدي عن أبان عنه مرفوعا بلفظ: (بهاء الوجه ...) وهذا إسناد باطل ليس فيهم من هو معروف بالثقة باستثناء أنس طبعا أما أبان فهو ابن أبي عياش الزاهد البصري، وقال أحمد: متروك الحديث، وقال شعبة: لأن يزني الرجل خير من أن يروي عن أبان قلت: ولا يجوز أن يقال مثل هذا إلا فيمن هو كذاب معروف بذلك وقد كان شعبة يحلف على ذلك، ولعله كان لا يتعمد الكذب، فقد قال فيه ابن حبان: كان أبان من العباد يسهر الليل بالقيام ويطوي النهار بالصيام، سمع من أنس أحاديث وجالس الحسن فكان يسمع كلامه ويحفظ، فإذا حدث ربما جعل كلام الحسن عن أنس مرفوعا وهو لا يعلم! ولعله روى عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم أكثر من ألف حديث وخمس مئة حديث ما لكبير شيء منها أصل يرجع له وأما عبد السلام بن سليمان الأزدي، فالظاهر أنه أبوهمام العبدي، فإنه من طبقته سمع داود بن أبي هند روى عنه حرمي بن عمارة وأبو سلمة ويحيى بن يحيى كما قال أبو حاتم على ما في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 46) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا فهو مجهول الحال، وأما ابن حبان فأورده في " الثقات " (2 /182) على قاعدته وأورد قبله راويا آخر فقال: عبد السلام بن سليمان يروي عن يزيد بن سمرة، عداده في أهل الشام، روى عنه الأوزاعي والظاهر أنه ليس هو راوي هذا الحديث فإن إسناده ليس شاميا، فإنما هو الذي قبله وأما يوسف بن كامل، فالظاهر أنه العطار، روى عن سويد بن أبي حاتم ونافع بن عمر الجمحي، روى عنه عمرو بن علي الصيرفي كما في " الجرح والتعديل " (4 /2 / 228) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولعله في " ثقات ابن حبان " فليراجع في أتباع أتباع التابعين منه، فإن نسختنا منه ينقص منها هذا المجلد وما دونه وأما محمد بن يونس فهو الكديمي قال ابن عدي: قد اتهم بالوضع وقال ابن حبان: لعله وضع أكثر من ألف حديث، وكذبه أبو داود وموسى بن هارون والقاسم بن المطرز، وقال الدارقطني: يتهم بوضع الحديث، وما أحسن فيه القول إلا من لم يخبر حاله 4 وأما حديث ابن عباس فعزاه السيوطي في " الجامع " لابن النجار، ولم أقف على إسناده، وغالب الظن أنه واه كغيره، وقد بيض له المناوي فتبين من هذا التحقيق أن هذه الطرق كلها واهية جدا فلا تصلح لتقوية الطريق الأولى منها، وهي على ضعفها أحسنها حالا، فلا تغتر بقول الحافظ السخاوي في " المقاصد " (240) : وشواهده كثيرة، فإنها لا تصلح للشهادة كما ذكرنا والظاهر أن أصل الحديث موقوف رفعه أولئك الضعفاء عمدا أوسهو ا، فقد رأيت في " المنتقى من المجالسة " للدينوري (52 / 2) بسند صحيح عن مغيرة قال: قال إبراهيم: ليس من المروءة كثرة الالتفات في الطريق، ويقال: سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن وذكره الشيخ على القاري في " شرح الشمائل " (1 / 52) من قول الزهري ويكفي في رد هذا الحديث أنه مخالف لهدي النبي صلى الله عليه وسلم في مشيه، فقد كان صلى الله عليه وسلم سريع المشي كما ثبت ذلك عنه في غير ما حديث، وروى ابن سعد في " الطبقات عن الشفاء بنت عبد الله أم سليمان قالت: كان عمر إذا مشى أسرع ولعل هذا الحديث من افتراء بعض المتزهدين الذين يرون أن الكمال أن يمشي المسلم متباطئا متماوتا كأن به مرضا! وهذه الصفة ليست مرادة قطعا بقوله تعالى (وعباد الرحمن الذين يمشون على الأرض هو نا، وإذا خاطبهم الجاهلون قالوا سلاما) ، قال الحافظ ابن كثير في تفسيرها: هو نا: أي بسكينة ووقار من غير جبرية ولا استكبار، كقوله تعالى: (ولا تمش في الأرض مرحا) ، فأما هؤلاء فإنهم يمشون بغير استكبار ولا مرح ولا أشر ولا بطر وليس المراد أنهم يمشون كالمرضى تصنعا ورياء، فقد كان سيد ولد آدم عليه الصلاة والسلام إذا مشى كأنما ينحط من صبب وكأنما تطوى الأرض له، وقد كره بعض السلف المشي بتضعف، حتى روى عن عمر أنه رأى شابا يمشي رويدا، فقال: ما بالك أأنت مريض؟ قال: لا يا أمير المؤمنين، فعلاه بالدرة وأمره أن يمشي بقوة، وإنما المراد بالهو ن هنا: السكينة والوقار وقد روى الإمام أحمد (رقم 3034) من حديث ابن عباس: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا مشى مشى مجتمعا ليس فيه كسل، ورواه البزار (2391 - زوائده) وسنده صحيح، وله شاهد عن سيار أبي الحكم مرسلا، رواه ابن سعد (1 / 379)





যঈফ ও জাল হাদিসের সবগুলো পৃষ্ঠা পড়ুন-
                                    ১০    ১১    ১২    ১৩    ১৪    ১৫    ১৬    ১৭    ১৮    ১৯    ২০    ২১    ২২    ২৩    ২৪    ২৫    ২৬    ২৭    ২৮    ২৯    ৩০    ৩১    ৩২    ৩৩    ৩৪    ৩৫    ৩৬    ৩৭    ৩৮


****************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url