আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-১২) || বিষন্নতা ভুলে কঠোর প্রচেষ্টা চালান || সমালোচনায় দুঃখিত হবেন না || গরীব হওয়াতে দুঃখের কিছুই নেই ||






বিষন্নতা ভুলে কঠোর প্রচেষ্টা চালান, অন্যদের দোষারোপ ও অবজ্ঞায় দুঃখ করবেন না


এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

বিষন্নতা ভুলে কঠোর প্রচেষ্টা চালান

অলসতা ধ্বংসাত্মক এবং যারা উদ্বিগ্নতা ও দুশ্চিন্তায় ভোগে তাদের অধিকাংশই অলস এবং অকর্মী। যারা অর্থবহ ও সফল কাজ হতে রিক্তহস্ত গুজব আর গল্পই তাদের একমাত্র পুঁজি।

নিজেকে কোন কাজে নিয়োজিত করুন এবং সে কাজে কঠোর প্রচেষ্টা চালান। পড়ুন, আবৃত্তি (তেলাওয়াত) করুন এবং আপনার প্রতিপালকের (সপ্রশংস মহিমা কীর্তন) করুন। লিখুন, বন্ধুদের দেখতে যান এবং নিজের সময়কে কাজে লাগান। সংক্ষেপে, এক মিনিট সময়ও অলসতায় নষ্ট করবেন না। আপনার জীবনের প্রতিটি দিনেই (যে দিনটি আপনি কাটাচ্ছেন তাতেই) দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দেখা দিবে। কুসংস্কার ও কুমন্ত্রণা আপনার অন্তরে ঢুকে আপনাকে শয়তানের খেলার মাঠ হতে দিবে।

যে লোককে আপনি একদা কোন উপকার করেছেন কিন্তু সে উপকারের কথা বেমালুম ভুলে যায় বা অস্বীকার করে এমন লোকের ব্যাপারে দুঃখ করবেন না; কেননা, একমাত্র আল্লাহর পুরস্কারের জন্যই আপনার আকাঙ্ক্ষা হওয়া উচিত। আমলে সালেহ বিশুদ্ধভাবে ও একনিষ্ঠ হয়ে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করুন এবং কারো অভিবাদন বা ধন্যবাদ পাবার আশায় করবেন না। আপনি যদি কারো কোন উপকার করে থাকেন আর সে যদি এর মূল্যায়ন না করে অকৃতজ্ঞ হয় তবে মনে ব্যথা পাবেন না। আল্লাহ তা'আলার নিকট আপনার পুরস্কার চান। মহান আল্লাহ তার নেক বান্দাদের সম্বন্ধে বলেন-

“তারা আল্লাহর দান ও সন্তুষ্টি কামনা করে।” (৫৯-সূরা আল হাশর: আয়াত-৮)

“বলুন, এজন্য আমি তোমাদের নিকট কোন পারিতোষিক বা বকশিস চাই না।” (২৫-সূরা আল ফুরকান: আয়াত-৫৭, ৩৪ : ৪৭, ৩৮ : ৮৬)

إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمْ جَزَاءً وَلَا شُكُورًا

“আমরাতো তোমাদেরকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই খাওয়াই; তোমাদের কাছ থেকে আমরা কোন প্রতিদান বা ধন্যবাদ আশা করি না।” (৭৬- সূরা আদ দাহর বা ইনসান : আয়াত-৯)

অতএব, আপনার লেনদেন শুধুমাত্র আল্লাহর সাথেই করুন। যেহেতু, তিনিই পুর্ণকর্মের বা আমলে সালেহের প্রতিদান দেন, যারা সৎকাজ বা নেক আমল করে তাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন এবং যারা পাপ কাজ বা মন্দ আমল করে তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন ।

শহীদদেরকে যখন কান্দাহারে হত্যা করা হয় তখন উমর (রাঃ) তার সঙ্গীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে নিহত হলো?” তারা তার কাছে কতিপয় নাম বললেন এবং তারপর বললেন: “এবং এমন কিছু লোক যাদেরকে আপনি চিনেন না।” ওমরের আঁখিদ্বয় অশ্রুতে টলটলে হয়ে গেল এবং তিনি বললেন, “কিন্তু আল্লাহ তো তাদেরকে চিনেন।” (অর্থাৎ যাদেরকে আল্লাহ প্রতিদান দিবেন, তাদেরকে আমরা না চিনলেও আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ভালোভাবেই চিনেন।)

একজন ধাৰ্মিক ব্যক্তি এক অন্ধ ব্যক্তিকে সর্বোত্তম ও সবচেয়ে সুন্দর খাবার খাওয়াল। তার স্ত্রী বলল, “এ অন্ধ লোকটিতো জানেনা যে সে কী খাচ্ছে (সুতরাং তাকে নিম্নমানের কিছু খেতে দিন)” তিনি উত্তর দিলেন। “কিন্তু আল্লাহ তো জানেন।”

যেহেতু আল্লাহ তা'আলা আপনার কাজ (অর্থাৎ আপনি যা করেন তা) জানেন, আপনি যে ভালো কাজ করেন এবং অন্যদেরকে যে সাহায্য করেন তা (তিনি) জানেন, সেহেতু মানুষ কী ভাবছে সে বিষয়ে নিরুদ্বিগ্ন, দুশ্চিন্তাহীন ও প্রশান্ত থাকুন।

অন্যদের দোষারোপ ও অবজ্ঞায় দুঃখ করবেন না

لَن يَضُرُّوكُمْ إِلَّا أَذًى

“সামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোন ক্ষতিই করতে পারবে না।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১১১)

“তারা যে ষড়যন্ত্র করে তাতে আপনি মনোক্ষুন্ন হবেন না।” (১৬-সূরা আন নাহল: ১২৭)

এবং তাদেরকে কষ্ট দিবেন না (বা তাদের কষ্টকে উপেক্ষা করুন) এবং আল্লাহর উপর ভরসা করুন। (৩৩-সূরা আল আহযাব: ৪৮)

“অতপর আল্লাহ তাকে অর্থাৎ মূসা (আঃ)-কে তাদের অভিযোগ থেকে নির্দোষ প্রমাণিত করলেন।” (৩৩-সূরা আল আহযাব: ৬৯)

একজন আরবদেশী কবি বলেছেন-

“বালকেরা যখন বিশাল সাগরে পাথরের নুড়ি নিক্ষেপ করে তখন এ বিশাল সাগরের কোন ক্ষতি হয় না।"

একখানি হাসান হাদীসে আছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

“আমার নিকট আমার সাহাবীদের দোষ বর্ণনা কর না, আমি প্রশান্ত চিত্তে তোমাদেরকে ত্যাগ করে চলে যেতে চাই।"

গরীব হওয়াতে দুঃখের কিছুই নেই

দেহ যতই ভোগ করে আত্মা ততই কলঙ্কিত হয় এবং অল্প থাকার মধ্যে নিরাপত্তা আছে। এ পৃথিবীতে প্রয়োজন মাফিক গ্রহণ করা (বা ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করা) এমন এক আসন্ন শান্তি যা সর্বশক্তিমান, পরম করুণাময় আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা দান করেন।

“নিশ্চয় পৃথিবী এবং এতে যা কিছু আছে সব কিছুর মালিকানা আমারই।” (১৯-সূরা মারইয়াম: আয়াত-৪০)

একজন কবি বলেছেন-

ماء وخبز وظل ٭ ذاك النعيم الأجل

كفرت نعمة ربي ٭ إن قلت إني مقل

“পানি, রুটি ও ছায়া এগুলো হলো মহা নেয়ামত। যদি আমি বলি যে, আমি অভাবী’, তবে আমি তো আমার প্রভুর নেয়ামতকে অস্বীকার করি।”

এ দুনিয়াতে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তা হলো শুধু ঠাণ্ডা পানি, গরম রুটি বা টাটকা খাবার এবং পর্যাপ্ত ছায়া।

কী ঘটবে সে ভয়ে বিষন্নতা নয়

তাওরাতে নিচের কথাখানি বর্ণিত আছে—

“যা ঘটবে বলে ভয় করা হয় তার অধিকাংশই কখনো ঘটে না।” এর অর্থ হলো যে, অধিকাংশ আসন্ন সমস্যার আশংকা ও ভয় বাস্তবরূপ নিতে ব্যর্থ হয়। জীবনে বাস্তবিক পক্ষে যা ঘটে তার চেয়ে মনের অনুমান বা ধারণা সংখ্যায় ও আকারে অনেক বেশি।

একজন আরবী কবি বলেন-
“আমার মন যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিল তখন আমি তাকে বলেছিলাম-
“সুখে থাক, কারণ অধিকাংশ ভয়ই অমূলক।”

এতে বুঝা যায় যে, যদি আপনি কোন আসন্ন দুর্বিপাক ও দুর্দশার কথা শুনেন তবে অতিরিক্ত ভীত হবেন না, বিশেষ করে, অধিকাংশ আসন্ন বিপদের ভবিষৎবাণীই মিথ্যা হয়ে থাকে।

“এবং আমি আমার বিষয় আল্লাহর নিকট সোপর্দ করছি। নিশ্চয় আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। অতএব, আল্লাহ তাকে তাদের ষড়যন্ত্র হতে রক্ষা করলেন।” (৪০-সূরা আল মু'মিন: আয়াত-৪৪-৪৫)

সমালোচনায় দুঃখিত হবেন না

যদি আপনি তাদের সমালোচনায় এবং তাদের অসংগত, অশিষ্ট ও ধৃষ্ট মন্তব্যে ধৈর্য প্রদর্শন করতে পারেন তবে আপনি পুরস্কৃত হবেন। তারা যতই আপনার সমালোচনা করবে ততই আপনার মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কারণ, যে ব্যক্তি আকৌশলী ও অদক্ষ তার কোন হিংসুক নেই। আরবী প্রবাদ অনুসারে বলতে গেলে বলতে হয়: “লোকেরা মৃত কুকুরকে লাথি মারে না।”

একজন কবি বলেন-
“তাদেরকে যে উৎকর্ষতায় ছাড়িয়ে গেছে তাকে তারা হিংসা করে, লোকেরা তার সাথে শক্রতা ও বিরোধিতা করে, ঠিক হিংসুটে রমণীদের মতো যারা হিংসা-বিদ্বেষের কারণে সুন্দরী কুমারীর সম্বন্ধে বলে যে, সে হীন চরিত্রের।”

যুহাইর বলেছেন-
“সে নেয়ামতে ধন্য হয়েছে তা নিয়ে তারা হিংসা করে, আল্লাহ তার থেকে তাদের অসন্তোষের কারণ (নেয়ামত) ছিনিয়ে নিবেন না।”

আরেকজন কবি বলেছেন-
“তারা আমার মৃত্যুতেও হিংসা করবে, এটা কতই না হতভাগ্যের বিষয় যে, এমনকি আমার মৃত্যুতেও আমি তাদের হিংসা থেকে বাদ পড়ব না।”

আরো একজন কবি বলেছেন-
“গল্প-বাগীশ ও গুজব রটনাকারীদের অবিচার সম্বন্ধে আমি অভিযোগ করলাম, তুমি এমন কোন সম্মানিত ও সফল ব্যক্তি পাবে না যে নাকি হিংসার ছোবল থেকে বাঁচতে পেরেছে।

হে সম্মানিত ও যোগ্য বন্ধু! তুমিও এর শিকার, তবে গোবেচারা ও হতভাগ্যদের কেউ হিংসা করে না।”

অন্য একটি কবিতায় আছে—
“কেউ যদি তার মাহাত্মে আকাশে পৌছে যায়, তবে আকাশের তারার সমান (অত্যাচারের তীর) নিক্ষেপ করবে। তবুও তাদের অপব্যবহার ও গালাগালি কখনও তাদেরকে তার মাহাত্ম্যের স্তরে পৌছাতে পারবে না।”

নবী মূসা (আঃ) তার প্রতিপালককে বলেছিলেন যে, লোকদেরকে তাকে গালাগালি করা থেকে বিরত রাখতে। আল্লাহ বলেন, “হে মূসা আমি আমার জন্যও এ কাজ করিনি। আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি ও তাদেরকে রিজিক দিয়েছি অথচ তারা আমাকে গালি দেয়।”

নির্ভরযোগ্যভাবে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ বলেন, “আদম সন্তান আমাকে গালিগালাজ করে, অথচ তার এ কাজ করার অধিকার নেই। সে যে যুগকে গালি দেয় এতেই আমাকে গালি দেয়া হয়, কেননা, আমিই যুগ অর্থাৎ আমিই যুগকে পরিবর্তন ও আবর্তন করি। আমিই যেভাবে ইচ্ছা দিন-রাতের আবর্তন ঘটাই। তারা যে বলে আমার স্ত্রী-পুত্র-কন্যা আছে- এতেই আমাকে গালি দেয়া হয়, কারণ, আমার কোন স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নেই।”

আপনার মান-মর্যাদাকে আক্রমণ করা থেকে আপনি জনগণকে বিরত রাখতে সক্ষম নাও হতে পাবেন, কিন্তু, আপনি ভালো কাজ করতে পারেন এবং পরিণামে তাদের নিন্দা ও বিদ্বেষকে অবজ্ঞা করতে পারেন।

আরেকজন কবি বলেছেন-
ولقد امر على السفيه يسبني ٭ فمضيت ثمت قلت لا يعنيني
“আমাকে গালি দেয় এমন এক বোকার পাশ দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম,
‘সে আমাকে গালি দিচ্ছে না’ একথা (মনে মনে) বলে আমি সে স্থান অতিক্রম করে গেলাম।”

আরোও একজন কবি বলেন-
“বোকার কথার জবাব দিও না, কেননা, তার কথার জবাব দেয়ার চেয়ে চুপ থাকা উত্তম।”

যারা সমৃদ্ধ, যারা মহৎ এবং যারা প্রতিভা দেখায় তাদের কাজে মূর্খ ও বোকারা স্পষ্টভাবে অপমান বোধ করতে পারে।

“আমার চারিত্রিক সৌন্দর্যই যদি আমার পাপ হয়ে থাকে তবে অনুগ্রহ করে বলুন কিভাবে আমি তার ক্ষতিপূরণ করব।”

“প্রত্যেক সামনে ও পিছনে সমালোচনাকারীদের জন্য ধ্বংস! যে সম্পদ জমা করে বারবার গণনা করে রেখেছে।

সে মনে করে যে, তার সম্পদ তাকে চিরঞ্জীব করে রাখবে। কখনও নহে! অবশ্যই সে দাউদাউ করে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে।” (১০৪-সূরা হুমাজাহ: আয়াত-৩-৪)

একজন সুপ্রসিদ্ধ পাশ্চাত্য লেখক বলেছেন-
“Do what is right, and then turn your back to every vulgar criticism.”
“যা সঠিক তা কর এবং প্রত্যেক অমার্জিত নিন্দাবাদকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর।”

আপনাকে লক্ষ্য করে যে ক্ষতিকর মন্তব্য করা হয় তার জবাব দিবেন না। সহনশীলতা আপনার দোষ ক্রটিকে ঢেকে রাখবে। সহনশীলতা হলো মহত্তর গুণ। নীরবতা শক্রকে জয় করে। ক্ষমা এমন এক সম্মান যার জন্য আপনি পুরস্কৃত হবেন। আপনার সম্বন্ধে যদি কোন মানহানিকর মন্তব্য ছাপানো হয় তবে আপনি জেনে রাখুন যে, অর্ধেক পাঠক তা ভুলে যাবে আর বাকি অর্ধেকে প্রধানত; তা পড়ার প্রতি অনাগ্রহী থাকবে। অতএব, যা বলা হয়েছে তা রদ করতে যেয়ে বাড়তি গণ্ডগোল সৃষ্টি করবেন না।

একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন-
“জনতা আপনার আমার কথা ভুলে তাদের রুটির জন্যই বা রোজগারের জন্যই ব্যস্ত। তাদের কেউ যদি পিপাসার্ত থাকে তবে তো সে আপনার আমার মৃত্যুর কথাও ভুলে যাবে।”

একজন কবি বলেছেন-
“তোমার পাশে বসা সঙ্গীদের নিকট তোমার বিষয় প্রচার করিও না। কেননা, তারা হিংসুটে এবং তোমার দুর্দশায় তারা আনন্দ করবে।”

যে গৃহ নানা প্রকার মূল্যবান খাদ্যে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও তা সমস্যা ও অশান্তির জায়গা সে ঘরের চেয়ে যে গৃহে শান্তি ও প্রয়োজনীয় খাবার আছে সে ঘর ভালো।


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url