আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-২৩) || রিযিকের দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর || মহৎ জীবনের জন্য মণি-মুক্তাসম উপদেশাবলী ||
সুখের মূল চাবি-কাঠি আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস এবং তদানুযায়ী আমলে
এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
রিযিকের দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর
সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতিপালক মাটির কীটেরও খাদ্য যোগান।
“ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী ও দু-ডানায় ভর করে উড়ন্ত প্রতিটি পাখি তোমাদের মতো এক একটি সম্প্রদায়।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-৩৮)
আল্লাহ আকাশের পাখি ও সাগরের মাছেরও খাবার যোগান-
وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُ
আর তিনিই (সকলকে) খাওয়ান, অথচ তাকে খাওয়ানো হয় না।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত ১৪)
কীট, পাখি বা মাছের চেয়ে আপনি মূল্যবান, সুতরাং রিযিক নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না।
আমি এমন কিছু লোককে চিনি যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সাথে তাদের দূরত্বের কারণে দারিদ্রপীড়িত হয়েছে। তাদের কিছু লোক ধনী ও স্বাস্থ্যবান ছিল; কিন্তু কৃতজ্ঞ হওয়ার পরিবর্তে তারা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তারা সালাত ছেড়ে দিয়েছিল এবং তারা বড় বড় গুনাহ করেছিল। আল্লাহ তাদের কাছ থেকে তাদের স্বাস্থ্য ও সম্পদ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ও তার স্থলে তাদেরকে অভাব-অনটন, রোগ-শোক ও দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দিয়েছিলেন। ফলে তখন তারা সংকটের উপর সংকট ও মসিবতের উপর মসিবত দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল।
“আর যে ব্যক্তি আমার জিকির থেকে বিমুখ হবে তার জন্য নিশ্চয় এক সংকটময় জীবন রয়েছে।” (২০-সূরা ত্বাহা: আয়াত-১২৪)
“এমনটা এ কারণে যে, আল্লাহ কোন জাতিকে যে নেয়ামত দান করেছেন তা তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন করবেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করবে।” (৮-সূরা আনফাল: আয়াত-৫৩)
“আর তোমাদের উপর যে বিপদাপদ আসে তা তোমরা যে পাপ কাজ কর তার ফলেই আসে; এবং তিনি অনেককেই ক্ষমা করে দেন।” (৪২-সূরা আশ শুরা: আয়াত-৩০)
“আর যদি তারা সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত থাকত তবে আমি অবশ্যই তাদেরকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে শস্যদান করে সমৃদ্ধ করতাম।” (৭২-সূরা আজ জ্বীন: আয়াত-১৬)
হেদায়াতের রহস্য
অল্পে তুষ্টি ও সুখ এমন নেয়ামত যা শুধুমাত্র তাদেরকে দান করা হয় যারা সরল-সোজা পথ অনুসরণ করে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ পথের এক প্রান্তে রেখে গেছেন, এর অপর প্রান্তে রয়েছে জান্নাতসমূহ।
“এবং অবশ্যই আমি তাদেরকে এক সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেছি।” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-৬৮)
সুখ বলতে আমরা বুঝি, যখন কেউ সরল-সঠিক পথে পরিচালিত থাকে। যদিও পথে সে সঙ্কটাপন্ন হয় তবুও সে একটি সুখকর সমাপ্তির ও বেহেশতে ভবিষ্যৎ আবাসের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। ফলে সে এমন এক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করে-যিনি নিজের ইচ্ছায় কথা বলেননি, যিনি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ ছিলেন এবং যার কথা মানব জাতির জন্য দলিল। “প্রতিটি মানুষের জন্য একের পর এক বহু ফেরেশতা রয়েছে, তারা আল্লাহ্র আদেশে তাকে তার সামনের দিক থেকে ও তার পিছনের দিক থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করছে।” (১৩-সূরা রাআদ: আয়াত-১১)
ধাৰ্মিক লোকের আচরণ ও তার সরল-সঠিক পথে চলা দেখেই প্রত্যেকে তার (ধাৰ্মিক লোকের) আনন্দ উপলব্ধি করতে পারবেন। তিনি (ধাৰ্মিক লোক) জানেন যে, তার একজন প্রভু আছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাঝে তার (ধাৰ্মিক লোকের) এক উত্তম আদর্শ আছে, তার হাতে আল্লাহর কিতাব আছে, তার অন্তরে নূর বা জ্যোতি আছে এবং ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা দানকারী তার একটি বিবেক আছে। সে কল্যাণের মহত্তর পর্যায়ে অগ্রসর হচ্ছে এবং সর্বদা কল্যাণের জন্য চেষ্টা করছে।
ذَٰلِكَ هُدَى اللَّهِ يَهْدِي بِهِ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ
“এ হলো আল্লাহর হিদায়াত, আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে এটা দ্বারা সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-৮৮)
দু'টি পথ আছে : একটি রূপক অপরটি বাস্তব, প্রথমটি ঈমানের পথ যা এ পৃথিবীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে-যে পৃথিবী নাকি লোভে ও আশায় ভরপুর। দ্বিতীয় পথটি আখেরাতে জাহান্নামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। জান্নাতে যেতে হলে প্রত্যেককেই এর উপর দিয়ে যেতে হবে। যে এটা পার হতে পারবে না সে জাহান্নামে পড়ে ডুবে যাবে। এ পথ কাটায় ভরা। যে ব্যক্তি এ পৃথিবীতে ঈমানের পথে চালিত হবে সে পরকালের পথ নিরাপদে অতিক্রম করতে পারবে। তার ঈমানের তেজের অনুপাতে তার পথ অতিক্রমের গতি হবে। আর জেনে রাখুন যে, যদি কেউ সরল-সঠিক পথে পরিচালিত হয়ে ধন্য হয় তবে তার দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা অতি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
মহৎ জীবনের জন্য মণি-মুক্তাসম উপদেশাবলী
১. আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়ার জন্য রাতের শেষ তৃতীয়াংশে জেগে উঠুন।
“এবং রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ক্ষমা প্রার্থীগণ।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭)
২. (সর্বদা সম্ভব না হলেও) কমপক্ষে মাঝে মাঝে ধ্যান করার জন্য নিজেকে মানুষজন থেকে নিঃসঙ্গ করে নিন।
“আর যারা আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করে।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৯১)
৩. ধার্মিকদের সাহচর্যে থাকুন।
“আর যারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করে তুমি নিজকে ধৈর্যসহকারে তাদের সাথে রাখ।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত-২৮)
৪. প্রায়ই আল্লাহর জিকির করুন।
“বেশি করে আল্লাহর জিকির কর।” (৩৩-সূরা আল আহযাব: আয়াত-৪১)
৫. একনিষ্ঠতার সাথে ও ভক্তি করে দুরাকাত সালাত আদায় করুন।
“যারা তাদের সালাতে ভীত-সন্ত্রস্ত, বিনয়-নম্র, ধীরস্থির ও একাগ্রচিত্ত।” (২৩-সূরা আল মু'মিনূন: আয়াত-২)
৬. বুঝে-শুনে ও গভীর ধ্যানের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করুন।
“তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে না?” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-৮২)
৭ ভীষণ গরমের দিনে রোযা রাখুন।
“সে আমার জন্য তার খাদ্য, তার পানীয় ও তার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে।”
৮. গোপনে দান করুন।
“ডান হাত কি ব্যয় করে তা এমনকি বাম হাতও জানে না।”
৯. দুর্দশাগ্রস্ত মুসলিমদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করুন ও তাদেরকে সাহায্য করুন।
“যে ব্যক্তি এ দুনিয়াতে কোন মুসলিমকে কোন মুসিবত থেকে উদ্ধার করবে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তাকে মুসিবত থেকে রক্ষা করবেন।”
১০. এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে যথাসম্ভব মিতচারী ও সংযমী হয়ে থাকুন।
وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ
“আখেরাত হলো উত্তম ও স্থায়ী।” (৮৭-সূরা আল আ'লা : আয়াত-১৭)
নূহ নবী (আঃ)-এর পুত্রের ভ্রান্তিসমূহের মাঝে তার এ কথাও ছিল-
سَآوِي إِلَىٰ جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاءِ
আমি এমন এক পর্বতে আশ্রয় নিব যা আমাকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করবে।” (১১-সূরা হুদ: আয়াত-৪৩)
সে যদি আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করত তবে ফল একেবারে অন্যরকম হতো। নমরুদের দুর্দশার কারণ ছিল তার একথা “আমি জীবন দান করি এবং আমি মৃত্যু ঘটাই।” সে এমন এক (বড়ত্বের) পোশাক পরতে চেষ্টা করেছিল যা তার নয় (বরং আল্লাহর) এবং সে এমন এক গুণ থাকার দাবি করেছিল যা প্রকৃতপক্ষে তার ছিল না (বরং তা আল্লাহর)-আর এভাবেই তার ধ্বংস সাধন হলো।
সুখের চাবি-কাঠি আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস ও আমল
আমাদের সুখের চাবি-কাঠি একটি একক, কিন্তু গভীর অর্থবহ কথার মাঝে সংক্ষেপিত করা যায়-কালিমায়ে তাওহীদ (ইসলামি একত্ববাদ) “আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নবী বা রাসূল বা দূত”
কেউ দুনিয়াতে এ কালিমা উচ্চারণ করলে জান্নাতে তাকে বলা হবে “তুমি সত্য কথা বলেছ।” "আর যিনি এই (সত্য) নিয়ে এসেছেন আর যে এ সত্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে।" (৩৯-সূরা আয যুমার: আয়াত-৩৩)
কেউ যখন এ পৃথিবীতে এ কালেমার বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন যাপন করবে তখন আল্লাহ তাকে ধ্বংস, লজ্জা ও দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
“এবং আল্লাহ মোত্তাকীদেরকে উদ্ধার করে তাদের সাফল্যের স্থানে (জান্নাতে) পৌঁছে দিবেন।” (৩৯-সূরা আয যুমার: আয়াত-৬১)
যখন কেউ কালিমা তাওহীদ শুধুমাত্র আমলই করবেন না বরং অন্যদেরকে এর দিকে আহবান করবে তখন তার নাম স্মরণ করা হবে এবং তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে-
“এবং (তারা) আমার বাহিনী-তারা অবশ্যই বিজয়ী হবে” বা “এবং নিশ্চয় আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে।” (৩৭-সূরা আস সাফফাত: আয়াত-১৭৩)
যখন কেউ কালিমা তাওহীদকে ভালোবাসবে তখন সে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন হবে ও সম্মানে ভূষিত হবে।
“কিন্তু সম্মান আল্লাহর জন্য, তার রাসূলের জন্য এবং মু’মিনদের জন্য।” (৬৩-সূরা আল মুনাফিকূন: আয়াত-৮)
বেলাল (রাঃ) কালিমায়ে তাওহীদের ঘোষণা দিয়েছিলেন আর অমনি তিনি আত্মিক মুক্তি লাভ করেছিলেন, সাথে সাথে তিনি দৈহিক দাসত্বের থেকেও মুক্তি পেয়েছিলেন।
“তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে যান।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-২৫৭)
আবু লাহাব মুখের উপর জবাব দিয়েছিল ও কালিমায়ে তাওহীদ বলা থেকে বিরত ছিল। সে নাজুক ও দুঃখজনক অবস্থায় মারা গিয়েছিল।
“আর আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তাকে কেউ সম্মানিত করতে পারে না।” (২২-সূরা আল হাজ্জ: আয়াত-১৮)
কালিমায়ে তাওহীদ এমন এক পরশমণি যা নিম্নশ্রেণীর মানুষকে বিশুদ্ধতার ও ভক্তির পরাকাষ্ঠা বানিয়ে দেয়।
“এবং আমি এ কুরআনকে আলো বানিয়েছি এ দিয়ে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করি।” (৪২-সূরা আশ শুরা: আয়াত-৫২)
আপনি যদি পরকালের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে থাকেন তবে আর যাই করুন না কেন আপনার অর্জিত সম্পদ নিয়ে উল্লাস করবেন না। যদি আপনি পরকালের প্রতি বিমুখ হয়ে থাকেন তবে এক কঠিন শাস্তি আপনার জন্য ওৎ পেতে আছে।
“আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজে আসল না। আমার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে গেছে।” (৬৯-সূরা আল হাক্কাহ: আয়াত-২৮-২৯)
“নিশ্চয় তোমার প্রভু ঘাঁটিতে (তাদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে) আছেন।” (৮৯-সূরা আল ফাজর: আয়াত-১৪)
আপনি যদি আপনার প্রভুকে ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার সন্তান নিয়েও অতিরিক্ত উল্লাস করবেন না। তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াই চরম ব্যর্থতা।
“আর তারা অপমান ও অভাবে জর্জরিত হলো।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-৬১)
আর অবশেষে বলছি, যদি আপনার আমল ভালো না হয় তবে আপনার সম্পদ নিয়ে আত্মপ্রসাদপূর্ণ হবেন না। কেননা, এমন আমল আখেরাতে আপনার অপমানের কারণ হবে।
“কিন্তু আখেরাতে আযাব অবশ্যই অধিকতর লাঞ্ছনাদায়ক হবে।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহ: আয়াত-১৬)
“আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করতে পারবে না; কিন্তু, যে ব্যক্তি ঈমান আনবে ও আমলে সালেহ করবে (সে আমার নিকটবর্তী হতে পারবে)।” (৩৪-সূরা আস সাবা: আয়াত-৩৭)
“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব ৪র্থ পর্ব ৫ম পর্ব ৬ষ্ট পর্ব ৭ম পর্ব ৮ম পর্ব ৯ম পর্ব ১০ম পর্ব ১১-তম পর্ব ১২-তম পর্ব ১৩-তম পর্ব ১৪-তম পর্ব ১৫-তম পর্ব ১৬-তম পর্ব ১৭-তম পর্ব ১৮-তম পর্ব ১৯-তম পর্ব ২০-তম পর্ব ২১-তম পর্ব ২২-তম পর্ব ২৩-তম পর্ব ২৪-তম পর্ব ২৫-তম পর্ব ২৬-তম পর্ব ২৭-তম পর্ব ২৮-তম পর্ব ২৯-তম পর্ব ৩০-তম পর্ব ৩১-তম পর্ব ৩২-তম পর্ব ৩৩-তম পর্ব ৩৪-তম পর্ব ৩৫-তম পর্ব ৩৬-তম পর্ব ৩৭-তম পর্ব ৩৮-তম পর্ব
***************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url