আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-৩১) || সাফল্যের জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম || বিপদে ধৈর্য ধারণ || অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা ||





সাফল্যের জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম

ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা, উমাইয়া ইবনে খালফ এবং আস ইবনে ওয়ালা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের ধন-সম্পদ অকাতরে খরচ করেছিল।

فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ

“অতএব তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করতে থাকবে অতপর তা তাদের জন্য যাতনার কারণ হবে, অতপর তারা পরাজিত হবে।” (৮-সূরা আনফালঃ আয়াত-৩৬)

অথচ অনেক মুসলমান কৃপণের মতো তাদের ঋন-সম্পদ মজুদ করছে এবং সেগুলোকে কল্যাণকর কাজে খরচ করছে না।

“আর যে ব্যক্তি কৃপণতা করছে সে তো শুধুমাত্র নিজের ব্যাপারেই কৃপণতা করছে (অর্থাৎ নিজেরই ক্ষতি করছে। অনুবাদক)" (৪৭-সূরা মুহাম্মদ বা কেতালঃ আয়াত-৩৮)

গোল্ড মেয়ারের “হিংসা-বিদ্বেষ” নামক স্মারক গ্রন্থে ইহুদী লেখিকা লিখেছেন যে, জীবনে একসময়ে তিনি বিরতিহীন ষোল (১৬) ঘণ্টা কাজ করতেন কঠোর পরিশ্রম করতেন। কিন্তু কী পরিণতির জন্য তিনি কাজ করেছিলেন? তিনি এই কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তার মিথ্যা মূলনীতি ও ভ্রান্ত ধারণার সেবা কল্পে। সে ও বেন গুরিয়ান খাটতে খাটতে শেষ পর্যন্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

এরপর আমি সে সব হাজার হাজার মুসলমানের কথা ভাবলাম যারা দিনে এক ঘণ্টাও কাজ করে না পরিশ্রম করে না। বরং তারা হেসে খেলে, পানাহার করে ও নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করে চলছে।

“তোমাদের কি হলো যে, তোমাদেরকে যখন বলা হয় যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় বের হও, তখন তোমরা শক্ত করে মাটিতে পাছা গেড়ে বসে থাক।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-৩৮)

উমর (রাঃ) দিন-রাত অবিচল কাজ করে যেতেন, কঠোর পরিশ্রম করতেন, সামান্য ঘুমাতেন। তার স্ত্রী বা পরিবারের লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি ঘুমান না?” তিনি উত্তর দিলেন, “আমি যদি রাতে (ইবাদত বাদ দিয়ে) ঘুমিয়ে থাকি তবে আমার আত্মা ধ্বংস হয়ে যাবে, আর যদি দিনে (আমার প্রজাদের খোঁজ-খবর না নিয়ে) ঘুমিয়ে থাকি তবে আমার প্রজারা ধ্বংস হয়ে যাবে।”

গুপ্ত ঘাতক মূশি দায়্যানের স্মারক গ্রন্থ ‘তরবারি ও শাসন’ সে কিভাবে দিন রাত এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালিয়ে বেড়াত, (সাথে সাথে) বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে যোগ দিয়ে সর্বদা চুক্তি ও সন্ধি করে বেড়াত- এসব বর্ণনায় ভরা।

আমি ভাবলাম এটা কতইনা লজ্জার কথা যে, যে লোক এতগুলো মন্দ ধারণা করার দায়িত্ব নিয়েছে সে কিনা এতটা বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতা দেখাল অথচ কত মুসলমানরাই না দুর্বলমনা ও অক্ষম হয়ে আছে। এখানে আবারও আমার উমর (রাঃ)-এর কথিত পাপীদের সহিষ্ণুতা ও দুর্বল আত্মবিশ্বাসের কথা মনে পড়ে গেল।

উমর (রাঃ)-এর শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় বা রক্ষণাবেক্ষণে অলসতা ও অকৰ্মন্যতা সহ্য করা হতো না। যে সব যুবক মসজিদে বাস করত। একবার তিনি তাদেরকে আইন করে মসজিদে থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তিনি তাদেরকে শাস্তি দিয়ে বলেছিলেন, “বের হয়ে গিয়ে রিযিক তালাশ কর। কেননা, আকাশ থেকে সোনা-রূপার বৃষ্টি হবে না” অলসতা দুশ্চিন্তা, হতাশা ও বিভিন্ন মানসিক রোগের জন্ম দেয়, পক্ষান্তরে কাজ-কর্ম তৃপ্তি ও সুখের জন্ম দেয়। আমাদের যা করার কথা আমরা সবাই যদি তা করি তবে উপরোল্লিখিত সব রোগ সমূলে বিনাশ হয়ে যাবে এবং আমাদের সমাজ বর্দ্ধিত উৎপাদন ও উন্নতির মাধ্যমে উপকৃত হবে।

وَقُلِ اعْمَلُوا

এবং আপনি বলে দিন, “তোমরা কাজ কর।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত ১০৫)

فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ

তোমরা জমিনে (রিযিক তালাশে) ছড়িয়ে পড়।” (৬২-সূরা আল জুম'আঃ আয়াত ১০)

سَابِقُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ

“তোমাদের প্রভুর ক্ষমার জন্য এবং জান্নাতের জন্য তোমরা একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা কর।” (৫৭-সূরা আল হাদীদঃ আয়াত-২১)

“তোমাদের প্রভুর ক্ষমার জন্য এবং জান্নাতের জন্য তোমরা দ্রুত গতিতে ধাবমান হও।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-১৩৩)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-বলেছেনঃ দাউদ নবী নিজ হাতের উপার্জন খেতেন।

একথা আপাতদৃষ্টিতে আত্মবিরোধী মনে হলেও সত্য বিরোধী নয় যে, বহুলোক জীবিত হওয়া সত্ত্বেও মৃত। তাদের জীবনের উদ্দেশ্য সাধনের কোন উপায় নেই এবং তারা তাদের নিজেদের জন্য বা পরের জন্য কিছুই করে না। “যারা (যে মহিলারা) পিছনে (ঘরে) বসে থাকে তারা তাদের সাথেই থাকতে রাজি।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-৮৭)

“যে সব মু’মিন অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে এবং যারা আল্লাহর পথে (নিজেদের জান-মাল দিয়ে) জিহাদ করে তারা (এ দু’দল) সমান নয়।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-৯৫)

যে কালো-চামড়ার (কৃষ্ণাঙ্গ) নারী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মসজিদ পরিষ্কার করেছিল সে তার জীবনের ভূমিকা তৎপরতার সাথে ও উদ্দেশ্য বুঝে পালন করেছিলেন। আর তাই সে জান্নাতে প্ৰবেশ করেছিল।

“এবং অবশ্যই একজন মুমিন দাসী একজন মুশরিক নারী থেকে উত্তম, যদিও মুশরিক নারীর রূপ তোমাদেরকে তাক লাগিয়ে দেয়।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২২১)

অনুরূপভাবে যে ছেলেটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বার বানিয়ে দিয়েছিল সে তার সাধ্যানুসারেই অবদান রেখেছিল। আর এজন্য সে তার পুরস্কারও পেয়েছিল। কাঠমিস্ত্রির কাজে তার দক্ষতা ছিল আর সে এ দক্ষতার সুবিধা ভোগ করেছিল।

“আর যারা তাদের শ্রম ছাড়া অন্য কিছু (আল্লাহর রাস্তার ব্যয় করার মতো) পায় না।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-৭৯)

১৯৮৫ সালে আমেরকিান সরকার মুসলিম ধর্মপ্রচারকদেরকে কয়েদীদের নিকট ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য জেলখানার দরজা খুলে দেন। উদ্দেশ্য ছিল সেসব অপরাধীরা, মাদক ব্যবসায়ীরা ও খুনীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে উৎপাদনশীল ও ভালো মানুষ হয়ে সমাজে প্রবেশ করবে।

“যে ব্যক্তি মৃত ছিল (অর্থাৎ ঈমানের আলো না থাকাতে মৃতবৎ ছিল) পরে আমি তাকে জীবিত করেছি এবং আমি তার জন্য আলো সৃষ্টি করেছি যার সাহায্যে সে মানুষের মাঝে হেঁটে বেড়ায় সে কি তার মতো যে (কুফরির) অন্ধকারে আছে?” (৬-সূরা আল আন’আমঃ আয়াত-১২২)

ইহজীবনের প্রতি চরম আসক্তি, দীর্ঘ জীবনের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা ও মৃত্যুর প্রতি সীমাহীন বিরাগের ফলে উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা ও নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। এ পার্থিব জীবনের প্রতি ভীষণ আসক্তির কারণে আল্লাহ ইহুদীদেরকে নিন্দা করেছেন।

“এবং আপনি অবশ্যই তাদেরকে (অর্থাৎ ইহুদীদেরকে) জীবনের প্রতি সকল মানুষের চেয়ে বেশি এমনকি মুশরিকদের চেয়েও বেশি লোভী দেখতে পাবেন। তাদের প্রত্যেকেই আকাঙ্ক্ষা করে যে, যদি তাকে হাজার বছর দীর্ঘ জীবন দান করা হতো (তবে কতইনা ভালো হতো)। কিন্তু দীর্ঘ জীবন তো তাকে শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারবে না। আর তারা যা করছে আল্লাহ তার সব কিছু দেখবেন।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-৯৬)

এ আয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার।

প্রথমতঃ আল্লাহ উল্লেখ করেছেন তাদের প্রত্যেকেই দীর্ঘ জীবন কামনা করে। অন্য কথায় তারা যে মানের জীবন যাপনই করুক না কেন তাতে তাদের কিছু আসে যায় না, তারা মূল্যহীন, তুচ্ছ বা তেমন নয় (অর্থাৎ মূল্যহীন ও তুচ্ছ নয়) যেমন জীবন যাপনই করুক না কেন তার বাছ-বিচার না করেই তারা এ পৃথিবীতে দীর্ঘকাল থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।

দ্বিতীয়ঃ “হাজার বছর” কথাকে নির্বাচন বা বাছাই করার বিষয়। ইহুদীরা একে অপরের সাথে সাক্ষাৎকালে তাদের অভিবাদন ছিল হাজার বছর বেঁচে থাকো। সম্ভবত এ কারণেই এ কথাকে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। এমন দীর্ঘ জীবন আশা করার কারণে আল্লাহ তাদেরকে তিরস্কার করেছেন। আর তাছাড়া মনে করুন যে, তারা হাজার বছরই বাঁচবে, কিন্তু তাদের শেষ পরিণতি কি হবে? তবুও তাদের শেষ পরিণতি হবে জাহান্নামের দগ্ধকারী আগুন।

“আর আখেরাতের শাস্তি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি অপমানকর, আর তাদেরকে কোনরূপ সাহায্য করা হবে না।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহঃ আয়াত-১৬)

নিম্নোক্ত আরবী প্রবাদ খানি কতইনা সুন্দর :

لا هم ولله يدعى

“যখন নাকি আল্লাহকে ডাকা হচ্ছে তখন, দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।”

অর্থাৎ উপর আল্লাহকেই আমরা কল্যাণের জন্য আহবান করি, সুতরাং আমাদেরকে দুশ্চিন্তা করতে হবে কেন? যদি আপনি আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়ে আল্লাহর উপর নির্ভর করেন তবে তিনি আপনার দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন।

“(তোমাদের দেবতাগণ ভালো?) না কি তিনি ভালো যিনি বিপদগ্রস্তের ডাকে সাড়া দেন এবং বিপদ দূর করেন?” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৬২)

“আর (হে মুহাম্মদ!) যখন আমার বান্দাগণ আপনাকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে তখন (আপনি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে উত্তর দিন) নিশ্চয় আমি (তাদের) নিকটে থাকি। যখন কোন প্রার্থনাকারী আমার নিকট প্রার্থনা করে তখন আমি কোনরূপ মধ্যস্থতাকারী বা উকিল ছাড়াই (অর্থাৎ কৃত্রিম দেবতা বা মূর্তির সাহায্য ছাড়াই) প্রার্থনাকারীর প্রার্থনায় সাড়া দেই।" (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-১৮৬)

একজন আরব কবি বলেছেন-

أخْلِقْ بذي الصبرِ أنْ يحظَى بحاجته

ومُدْمِنِ القَرْعِ للأبواب أن يَلِجَا

“ধৈর্যশীল ব্যক্তি কতইনা উত্তম রূপে তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে! আর যে ব্যক্তি অনবরত দরজায় খট্‌ খট্‌ শব্দ করতে থাকে সে কতইনা উত্তমরূপে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে!”

সময়ের চেয়ে মহামূল্যবান আর কিছুই নেই

আলী তানতাবী দুটি তীক্ষ মৰ্মভেদী ও হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

প্রথমটি হচ্ছে- বৈরুতের সমুদ্র উপকূলে তিনি প্রায় ডুবে গিয়েছিলেন। তিনি যখন ডুবে যাচ্ছিলেন ও তার মৃত্যুর অবস্থা ঘনিয়ে আসছিল তখন তিনি তার প্রভুর নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করলেন এবং আকাঙ্ক্ষা করতে ছিলেন যদি তিনি এক ঘন্টার জন্য হলেও জীবন ফিরে পান তবে তিনি তার ঈমানকে ও তার আমলে সালেহকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবেন। যাতে করে তার ঈমান সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে। এমন সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলেন ও সে অবস্থায়ই তাকে তীরে উদ্ধার করা হলো।

দ্বিতীয়টিঃ সিরিয়া থেকে মক্কায় হজ্জ করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি এক মরুচারী কাফেলার সাথে যোগ দিলেন। তাবুকের মরুভূমিতে তারা পথ হারিয়ে তিন দিন উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ালেন। যখন তাদের পানাহারের সরবরাহ শেষ হয়ে যেতে শুরু করল তখন তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে গেল। সবাই বুঝতে পারল যে মৃত্যু আসন্ন। এ অবস্থায় তিনি দাঁড়িয়ে লোকজনের সামনে এক ভাষণ দিলেন। এটা জীবনের বিদায়কালীন ভাষণের মতো ছিল। এ ভাষণ এমনই হৃদয়গ্রাহী ছিল যে এতে তিনি ও তার শ্রোতাগণ কেঁদে ফেললেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে তার ঈমান বাড়ছে এবং তিনি যথার্থই বুঝতে পারলেন যে মহান আল্লাহ ছাড়া কেউই তাদেরকে রক্ষা করতে বা সাহায্য করতে পারবে না। (অবশেষে তারা আল্লাহর রহমতে রক্ষা পেয়েছিলেন। -অনুবাদক)

“আসমানসমূহে ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা সবাই তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে। তিনি প্রতিদিন (এখানে দিন বলতে মুহূর্ত বা সময় বুঝায়) কাজে রত। (ভিন্ন মতে তিনি সর্বদা আপন অবস্থায় (ব্যস্তহীন) আছেন, কেননা, সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে তকদীর লেখা হয়ে গেছে। আর সব কিছু সে মতে হচ্ছে, সুতরাং আল্লাহ ব্যস্ত নন।) (৫৫-সূরা আর রাহমানঃ আয়াত-২৯)

“আর কত নবীইনা যুদ্ধ করেছে আর তাদের সাথে বহু ধাৰ্মিক লোকজন ছিল। আল্লাহর পথে তাদের যে বিপদ হয়েছিল তাতে তারা মনোবল হারায়নি, দুর্বল হয়নি ও নত হয়নি, আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে ভালোবাসেন”। (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-১৪৬)

আল্লাহ অবশ্যই সে সব শক্তিশালী মু’মিনদেরকে ভালোবাসেন যারা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সাথে তাদের শক্রদের মোকাবেলা করেন। তারা হাল ছেড়ে দেন না বা রণে ভঙ্গন দেন না, হতাশ বোধ করেন না বা অন্যদের হাতে নিজেদেরকে অপমানিত হতে দেন না। বরং, তারা কঠোর চেষ্টা বা সংগ্রাম করেন। আল্লাহর প্রতি ঈমান, রাসূলের প্রতি ঈমান ও ইসলাম ধর্মের প্রতি ঈমানের কারণে ঈমানদারদের উপর এসব কাজ বাধ্যতামূলক। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

الْمُؤْمِنُ الْقَوِىُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ

শক্তিশালী মু’মিন ব্যক্তি দুর্বল মু’মিন ব্যক্তির চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক ভালো ও প্রিয়; আর তাদের প্রত্যেকের মাঝে কল্যাণ আছে।”

আবু বকর (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিছার দংশন থেকে রক্ষা করার জন্য গুহার ভিতরে এক ছোট গর্তের মুখে নিজের একটি অঙ্গুলি রেখে দিয়েছিলেন আর এর ফলে বিছা তাকেই দংশন করেছিল, তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের আয়াত পড়ে তার অঙ্গুলিতে ফুঁক দিলেন আর এতেই আল্লাহ্‌র হুকুমে তার অঙ্গুলি ভালো হয়ে গেল।

একজন লোক আনতারাকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার বীরত্বের রহস্য কি যা দিয়ে তুমি মানুষকে পরাজিত কর?” তিনি উত্তর দিলেন, “তোমার অঙ্গুলি আমার মুখে রাখ আর আমার অঙ্গুলি তোমার মুখে রাখতে দাও।” প্রত্যেকেই নিজের অঙ্গুলি অন্যের মুখে রাখল এবং প্রত্যেকেই একে অপরের অঙ্গুলিতে কামাড়াতে শুরু করল। লোকটি বেদনায় চিৎকার দিয়ে উঠল, সে ধৈর্য ধরতে পারল না। আনতারা তাই তার মুখ থেকে লোকটির অঙ্গুলি বের করে ফেলল এবং বলল, এভাবেই আমি বীরদেরকে পরাজিত করি।” অন্য কথায়, ধৈর্যের মাধ্যমে ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি লোকদের পরাজিত করেন। (এ অংশের অনুবাদ আরবী পুস্তক অনুসারে করা হলো)

ঈমানদার যখন বুঝতে পারে, সে আল্লাহর রহমতের, দয়ার ও ক্ষমার সান্নিধ্যে আছে তখন তার মনোবল (ঈমান) বৃদ্ধি পায়। সে তার ঈমান অনুপাতেই আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণকে অনুভব করতে পারে।

وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ

এমন কোন বস্তু নেই যা আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা ও মহিমা বর্ণনা করে না (অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তুই আল্লাহর তসবীহ পাঠ করে), অথচ তোমরা তাদের তসবীহ পাঠ বুঝতে পার না।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৪৪)

এদেশের কৃষকেরা জমি চাষ করার সময় প্রায়ই গল্পগুজব করে তাদের সময় কাটায়। (এদেশ বলতে আরব দেশ বুঝানো হয়েছে; কেননা মূল লেখক আরব দেশের অধিবাসী। আমাদের দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের চাষী-কৃষকরাও এমনটিই করে থাকে। -অনুবাদক)

“হে আসমানসমূহ ও জমিনের স্রষ্টা! তোমার হাতে একটি শুষ্ক দেশে (অর্থাৎ মরুর দেশে অর্থাৎ আরবদেশে) একটি শুষ্ক বীজ ।”

“তবে কি তোমরা যে বীজ বপন কর তার কথা ভেবে দেখেছ? (তাহলে বল) তোমরা কি সে বীজ থেকে ফসল) উৎপন্ন কর নাকি আমি উৎপন্ন করি।” (৫৬-সূরা ওয়াকেয়াহঃ আয়াত-৬৩-৬৪)

অন্ধ বাগ্মী বক্তা আদুল হামীদ কিশক (كِشْكٌ) বক্তৃতা দেয়ার জন্য মিম্বরে (মঞ্চে) উঠলেন। তারপর তার পকেট থেকে এমন একখানি খেজুরের ডাল বের করলেন যাতে প্রাকৃতিকভাবেই সুন্দর হরফে "আল্লাহ- الله” শব্দ লিখা ছিল। তারপর তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বললেন-

انظرْ لتلك الشجرة ٭ ذاتَ الغُصُون النضرة

من الذي انبتها ٭ وزانها بالخضرة

ذاك هو الله الذى ٭ قدرته مقتدره

অর্থাৎ “চাহো ঐ শ্যামশাখী তরু পানে,

কে সৃজিয়া তায়, তারে সাজাল সবুজ শোভনে?

তিনি আল্লাহ, প্রকৃষ্ট ক্ষমতার আধার যিনি।”

এ বাণী (হৃদয়গ্রাহী কবিতা) শুনে সমবেত জনতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। [কবি মারূফ রূসাফী এ কবিতাখানি ভিন্নভাবে লিখেছেন (নচেৎ আমরা তা ভিন্নভাবে লিখিত পেয়েছি) যার হৃদয়গ্রাহী বাংলা কবিতায় অনুবাদ (আমি (অনুবাদক) করেছি। এখানে উক্ত আরবী কবিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা পায়নি, তাই বাংলা ছন্দায়িত অনুবাদও রক্ষা পায়নি।]

তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, সারা জগতে তার নিদর্শনের ছাপ আছে এবং সকল সৃষ্টিই তাকে একক সত্তা, অমুখাপেক্ষী, প্রভু (বা প্রতিপালক) ও উপাস্য হিসেবে ঘোষণা দেয়।

“হে আমাদের প্রতিপালক আপনি এ বিশ্বজগতকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি; (আমরা আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি)।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-১৯১)

আমাদের প্রভু যে করুণাময় এবং যে ব্যক্তি তওবা করে তার অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন এ কথা জানাও সুখের একটি স্তম্ভ। সুতরাং আল্লাহর এমন দয়াকে আনন্দের সাথে উপভোগ করুন যা আকাশসমূহ ও পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মহান আল্লাহ বলেন-

وَرَحْمَتِىْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْئ

আর আমার করুণা সবকিছুকে ঘিরে রেখেছে।

আল্লাহর দয়া কতইনা বিশাল! একটি সহীহ হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এক মরুবাসী আরব নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করছিল, যখন তাশাহহুদ পড়া শুরু করল তখন সে বলল, “হে আল্লাহ! আমাকে ও মুহাম্মদকে করুণা করুন এবং আমাদের সাথে অন্য কাউকে করুণা করবেন না।” তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “তুমি অবশ্যই প্রশস্ত জিনিসকে সংকীর্ণ করে দিলে।

وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَحِيمًا

“এবং তিনি মু’মিনদের প্রতি সদা পরম করুণাময়।” (৩৩-সূরা আল আহযাবঃ আয়াত-৪৩)

এক যুদ্ধের পর এক মহিলা বন্দী তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মাঝে দৌড়ে গেল। এ দৃশ্য দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا

“এ মহিলা তার সন্তানের প্রতি যতটা দয়াশীলা আল্লাহ তার বান্দার প্রতি এর চেয়েও বেশি দয়াশীল।”

একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে আদেশ করে গেছে যে, তার মৃত দেহকে যেন পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং এর ছাইকে যেন জমিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ সেগুলোকে একত্রিত করে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার বান্দা! তুমি যে কাজ করেছ তা কী উদ্দেশ্যে করেছ?” লোকটি বলল, “হে আমার প্রভু! আমি আপনাকে ভয় করেছি এবং আমার পাপের ভয় করেছি।” তাই তখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।

“আর যে ব্যক্তি তার প্রভুর সামনে (কিয়ামতের হিসাব দিতে) দাঁড়ানোর ভয় করল ও নিজেকে কুপ্রবৃত্তি হতে বিরত রাখল। নিশ্চয় জান্নাত হবে তার ঠিকানা।” (৭৯-সূরা আন নাযি’আতঃ আয়াত-৪০-৪১)

আল্লাহ এক অপচয়কারী লোককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন যে নাকি নিজের বিষয়ে হিসাব ছাড়া খরচ করত। কিন্তু লোকটি তাওহীদপন্থী (একেশ্বরবাদী) ছিলেন। অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করতেন না। আল্লাহ লোকটির আমলনামায় কোন নেক আমল খুঁজে পেলেন না। তবে একটি গুণ পেলেন যে, তিনি ব্যবসা করতেন এবং যারা অভাবী ছিল তাদের ঋণ ক্ষমা করে দিতেন। আল্লাহ বললেন, “আমি তোমার চেয়ে যোগ্যতর বা উত্তম দয়ালু।” এবং তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে দিলেন।

“এবং আমি আশা করি যে তিনি প্রতিদান দিবসে (কিয়ামতের দিন) আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।” (২৬-সূরা আশ শোয়ারাঃ আয়াত-৮২)

সহীহ মুসলিম শরীফে একটি হাদীস বর্ণিত আছে যে, একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে জামায়াতে সালাত আদায় করার পর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল যে, “আমি এক দণ্ডণীয় অপরাধ করেছি। অতএব, আমাকে শাস্তি দিন।” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তুমি কি আমাদের সাথে সালাত পড়েছ।” লোকটি বলল, “হ্যাঁ,” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যাও, তোমাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।”

وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا

“আর যে ব্যক্তি বদআমল করে বা নিজের প্রতি জুলুম করে অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময় পাবে।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত ১১০)

ঈমানদার ব্যক্তিকে চতুর্দিক থেকে এক অদৃশ্য করুণা ঘিরে রেখেছে। এই অদৃশ্য করুণার মালিক হলেন সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গুহায় নিরাপদ রেখেছিলেন এবং তিনি আসহাবুল কাহাফকে গুহাতে দয়া করেছিলেন। তিনি ইব্রাহীম (আঃ)-কে আগুনের প্রভাব থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি মুসা (আঃ)-কে ডুবে মরা থেকে, নূহ (আঃ)-কে বন্যা থেকে, ইউসুফ (আঃ)-কে কূয়া থেকে ও আইয়ুব (আঃ)-কে রোগ থেকে রক্ষা করেছিলেন।

বিপদে ধৈর্য ধারণ

উম্মে সালামা (রাঃ) বলেছেন যে, “আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি (যে, তিনি বলেন,) “যখন কোন মুসলমান বিপদে পড়ে এবং আল্লাহ যা তাকে বলতে আদেশ করেছেন তা বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্যই এবং তার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।” (এবং এও বলে যে) “হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে পুরষ্কৃত করুন এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম জিনিস দিয়ে প্রতিদান দিন”। তখন আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম জিনিস দিয়ে প্রতিদান দিবেন।”

خـــليلي لا واللــه مــا مــن ملمــة ٭ تــدوم علــى حــي وإن هــي جــلت
فــإن نــزلت يومــا فلا تخـضعن لهـا ٭ ولا تكــثر الشــكوى إذا النعــل زلـت
فكــم مــن كــريم قـد بلـي بنـوائب ٭ فصابرهــا حــتى مضـت واضمحـلت
وكــانت علــى الأيــام نفسـي عزيـزة ٭ فلمــا رأت صــبري علــى الـذل ذلـت

“হে আমার দোস্ত। আল্লাহর কসম করে বলছি, বিপদ যতই কঠিন হোক না কেন তা কোন প্রাণীর উপর স্থায়ী হয়ে থাকে না। আজ কোন বিপদ হলে তাতে দমে যেও না। আর পা পিছলে গেলে তাতে অধিক অভিযোগ করো না। কতইনা মহৎ লোকদেরকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করা হয়েছে! তারা তাতে ধৈর্য ধরেছেন অবশেষে সেসব বিপদাপদ চলে গেছে ও বিলীন হয়ে গেছে। কতকাল আমার মন (এ দুনিয়ার প্রতি) আসক্ত হয়ে ছিল! যখন সে দেখল যে আমার ধৈর্য হার মানছে তখন সে দমল।”

অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা

অন্যদের কল্যাণ হোক এটা যদি আপনি চান তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য এক মহা পুরস্কার আছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- “আমার মাঝে তিনটি গুণ আছে।

প্রথমটিঃ যখনই বৃষ্টি হয় তখনই আমি আল্লাহর প্রশংসা করি। এ নেয়ামতের জন্য আমি খুশি হই, যদিও আমার কোন উট নেই বা কোন ছাগল-বকরী নেই, যা বৃষ্টি থেকে (উৎপন্ন ঘাস খেয়ে) উপকৃত হতে পারে।

দ্বিতীয়টিঃ আমি যখন কোন ন্যায়বিচারকের কথা শুনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। যদিও তার নিকট আমার কোন বিচার বা অভিযোগ থাকে না।

তৃতীয়টিঃ যখন আমি কুরআনের কোন আয়াতের অর্থ বুঝতে পারি তখন আমি চাই যে, আমি যা বুঝি অন্যেরাও তা বুঝুক।”

এসব ক’টি গুণই অন্যের কল্যাণের জন্য এক সত্যিকার আকাঙ্ক্ষার প্রতি ইঙ্গিত করে। আল্লাহ এর বিপরীত স্বভাবের লোকদের পরিচয়ে বলেছেন-

الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ

যারা কৃপণতা করে ও মানুষকে কৃপণতার আদেশ করে এবং আল্লাহ তাদেরকে যে কল্যাণ দান করেছেন তা তারা গোপন রাখে। (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-৩৭)


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 



****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url