আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-৩৭) || মৃত্যুর পর স্মরণীয় হওয়া || ন্যায়পরায়ণ প্ৰভু || নিজের ইতিহাস নিজেই লিখুন ||



আল্লাহর উপর ভরসা করার মাধ্যমে মৃত্যুর পর স্মরণীয় হওয়া যায়

মৃত্যুর পর স্মরণীয় হওয়া

দ্বিতীয় জীবন পাওয়া এক মহাকল্যাণ। অনেকেই এ দ্বিতীয় জীবন সম্পদের বা পদমর্যাদার বিনিময়ে নয় বরং আমল দ্বারা ক্রয় করেছেন। নবী ইব্রাহীম (আঃ) তার প্রভুর নিকট দোয়া করেছেন যে, তিনি যেন মানুষের নিকট স্মরণীয় হন এবং মানুষের দোয়া পান। উমর (রাঃ) হারিম ইবনে সিনানের সন্তানদেরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “জুহাইব তোমাদেরকে কি দিল আর তোমরা জুহাইরকে কি দিলে?” তারা উত্তর দিল, “সে আমাদের প্রশংসা করল আর আমরা তাকে সম্পদ দিলাম।” উমর (রাঃ) বললেন, “আল্লাহর কসম, তোমরা তাকে যা দিয়েছ তা শেষ হয়ে গেছে আর সে তোমাদেরকে যা দিয়েছে তা (চিরস্থায়ী হয়ে গেল বা) থেকে গেল। নিচের দোয়া বা প্রার্থনা করুন-

اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ ، وَمِنَ اليَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا ، وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا ، وَاجْعَلْهُ الوَارِثَ مِنَّا ، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا ، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا ، وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا ، وَلاَ تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا ، وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا ، وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ يَرْحَمُنَا

ভাবার্থঃ “হে আল্লাহ। আপনি আমাদেরকে এমন ভয় দান করুন, যা আমাদের মাঝে এবং আপনার অবাধ্যতার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং এমন আনুগত্য (করার তওফীক) দান করুন, যার অসিলায় আপনি আমাদেরকে আপনার জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং এমন এক্বীন (বিশ্বাস) দান করুন, যা দুনিয়ার বিপদাপদকে আমাদের নিকট তুচ্ছ করে দিবে এবং আপনি আমাদেরকে যত কাল জীবিত রাখবেন ততকাল আমাদেরকে আমাদের শ্রুতি, দৃষ্টি ও শক্তিকে ভোগ করতে (তাওফীক) দিন এবং তাকে আমাদের উত্তরাধিকারী বানান এবং যারা আমাদের উপর জুলুম করেছে তাদের উপর আমাদের প্রতিশোধ নেয়ার ব্যবস্থা করুন এবং যারা আমাদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের উপর (বিজয়ী হতে) আমাদেরকে সাহায্য করুন আর বিপদাপদ দ্বারা আমাদের দ্বীনের (ধর্মের) পরীক্ষা নিবেন না এবং দুনিয়াকে আমাদের শ্রেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আমাদের বিদ্যার দৌড় (চূড়ান্ত জ্ঞান) বানিয়ে দিবেন না এবং আমাদের পাপের কারণে আমাদের উপর এমন শাসক চাপিয়ে দিবেন না যে আমাদেরকে দয়া করবে না।”

ন্যায়পরায়ণ প্ৰভু

আপনার প্রভু ন্যায়পরায়ণ এ বিষয়ে আপনার দৃঢ় নিশ্চয়তাবোধ থাকা উচিত। মহান আল্লাহ একজন মহিলাকে একটি কুকুরের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। আরেকজনকে একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়েছেন। প্রথম মহিলাটি বনী ইসরাঈলের একটি বেশ্যা ছিল। (তার জান্নাতে প্রবেশের) কারণ এই যে, সে একটি তৃষ্ণাৰ্ত কুকুরকে পানি পান করিয়েছিল। (এ কারণে) আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেন। তার নেক আমলের প্রতি একনিষ্ঠতা ও তার আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠতার কারণে এটা ছিল ন্যায়সঙ্গত পুরস্কার। দ্বিতীয় মহিলাটি একটি বিড়ালকে একটি ঘরে বন্দী করে রেখেছিল। সে এটাকে পানাহার করতে দিত না। সে এটাকে বন্দী করে মাঠে-ঘাটে পোকা-মাকড় খাওয়া থেকে বিরত রেখেছিল; তাই আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়েছিলেন। আমাদের ন্যায়পরায়ণ প্রভু আমাদের সামান্য আমলেরও অনেক বড় প্রতিদান দিবেন।

প্রথম মহিলার ঘটনাটি মনে শান্তি যোগায়। কেননা, এ থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ ছোট-খাট নেক আমলের বদলে বিশাল বিশাল পুরস্কার দেন।

فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ - وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ

“অতএব, যে ব্যক্তি অনুপরিমাণ নেক আমল করবে সে তা দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি অনুপরিমাণ বদ আমল করবে সে তা দেখতে পাবে।” (৯৯-সূরা আয যিলযালঃ আয়াত-৭-৮)

إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ

“নিশ্চয় নেক আমলসমূহ বদআমলসমূহকে দূর করে দেয়।” (১১-সূরা হুদঃ আয়াত-১১৪)

অতএব, দুঃখ পীড়িতদেরকে সাহায্য করুন, গরীবদেরকে দান করুন, অত্যাচারিতদেরকে সাহায়্য করুন, রোগী দেখতে যান, মৃতের জানাযা পড়ুন, অন্ধকে পথ দেখান, দুর্দশাগ্রস্তদেরকে সান্তনা দিন, পথভ্রষ্টদেরকে পথ-প্রদর্শন করুন এবং মেহমান ও প্রতিবেশী উভয়ের প্রতিই সদয় হোন। এসব কিছুই সদকাতুল্য। এগুলো এমন কাজ যেগুলো শুধুমাত্র আপনার সাহায্য গ্রহীতাকেই সাহায্য করে না, অধিকন্তু আপনাকেও স্বস্তি ও শান্তি দিয়ে সাহায্য করে।

নিজের ইতিহাস নিজেই লিখুন

একদিন আমি মক্কার হারাম শরীফে বসা ছিলাম। দিনটি ছিল গুমোট। জোহরের ওয়াক্ত হয়ে আসছিল। এমন সময় আমি একজন বৃদ্ধ মানুষকে জমজমের পানি বিতরণ করতে দেখলাম। তিনি কয়েকটি পেয়ালা ভরে (বাইরে) নিয়ে মানুষদের দিতেন ও তারপর ফিরে এসে একই (ভাবে পেয়ালাগুলো ভরে মানুষের মাঝে পানি বিতরণের) কাজ করতেন। বেশ কিছু সময় যাবৎ তিনি এ কাজ করতে করতে ঘামে ভিজে গেলেন। এ বৃদ্ধ লোকটির বীরত্বব্যঞ্জক ধৈর্য দেখে এবং তার সদয় কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। যত লোককে তার সাধ্যে কুলিয়েছিল তিনি তত লোককেই একটি (মিষ্টি) হাসি ও এক পেয়ালা পানি দিয়েছিলেন। এতে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যদি আল্লাহ কাউকে আমলে সালেহ করার তওফীক দেন, তবে সে তা হাসি মুখেই করে, যদিও তা কষ্টকর কাজ হয়। এক্ষেত্রে ঐ বৃদ্ধ নিজের ইতিহাস নিজেই লিখেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রক্ষা করার জন্য আবু বকর (রাঃ) মদীনার রাস্তায় নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) নিজের ইতিহাস নিজেই লিখেছেন।

মেহমানকে খাওয়ানোর জন্য হাতেম তাই ক্ষুধা পেটে ঘুমাতেন। মুসলিমদেরকে বিশ্রাম দেয়ার জন্য আবু উবাইদাহ (রাঃ) রাত জেগে পাহারা দিতেন। রাত্রে যখন লোকজন ঘুমিয়ে থাকত তখন তাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য উমর (রাঃ) রাস্তায় রাস্তায় হাটতেন। মহা আকালের বছর জনগণকে খাওয়ানোর জন্য তিনি নিজে না খেয়ে থাকতেন। উহুদের যুদ্ধের সময় আবু তালহা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীর থেকে রক্ষা করার জন্য নিজের দেহকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ইবনে মোবারক (রহঃ) নিজে রোযা রেখে জনগণের মাঝে খাবার বিতরণ করতেন। এসব মহাত্মা পুরুষগণ প্রত্যেকেই নিজের ইতিহাস নিজেই লিখেছেন।

وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا

“তারা তার (আল্লাহর) ভালোবাসায় মিসকীন ইয়াতীম ও বন্দীকে খানা খাওয়ায়।” (৭৬-সূরা আদ দাহর বা ইনসানঃ আয়াত-৮)


কুরআন তেলাওয়াত করুন এবং তেলাওয়াত শুনুন

কুরআন তেলাওয়াত করুন এবং তেলাওয়াত শুনুন। এতে সুখ-শান্তি ও প্রশান্তি পাবেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন মহান সাহাবীর মুখে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে ভালোবাসতেন। কুরআন তেলাওয়াতের ক্যাসেট শুনার জন্য আপনি প্রতিদিন কয়েক মিনিট বরাদ্দ করতে পারেন। আপনি রাস্তা-ঘাটে, কর্মস্থলে বা অফিসে যে শব্দ শুনেন তা অবশ্যই আপনার বিরক্তি উৎপাদন করে, তাই আপনার প্রভুর কিতাব (পুস্তক) পাঠ করে নিজেকে শান্তি দেয়ার জন্য কিছু সময় বের করুন। মনযোগ সহকারে প্রতিদিন কিছু সময় কুরআন তেলাওয়াত করুন এবং তেলাওয়াত শুনুন।

“যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্ত হয়। জেনে রাখ! আল্লাহর জিকিরে অন্তর প্রশান্ত হয়।” (১৩-সূরা রাআদঃ আয়াত-২৮)

একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে— “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে মাসউদ (রাঃ)-কে কুরআনের সূরা নিসা পড়তে আদেশ করলেন। তিনি পড়তে থাকলেন আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখের পানি (তার) গাল বেয়ে পড়তে লাগল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যথেষ্ট হয়েছে (এখন তুমি থামতে পার)”।

“(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, যদি মানুষেরা ও জীনেরা এই কুরআনের মতো কোন কিছু সৃষ্টি করার জন্য একত্রিত হয় তবুও তারা এর মতো কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৮৮)

لَوْ أَنزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ

“যদি আমি এ কুরআনকে পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি অবশ্যই পাহাড়কে আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ হয়ে যেতে দেখতে পেতে।” (৫৯-সূরা আল হাশরঃ আয়াত-২১)

দৈনন্দিন জীবনের কার্যতালিকা মাঝে মাঝে উদাসীন করে তোলে, তাতে খাওয়া আর ঘুম ছাড়া কোন কিছুর প্রতি যত্ন নেয়া হয় না; এভাবে জানোয়ারের পর্যায়ে নেমে যেতে হয়। কিন্তু যখন কেউ তার প্রভুর বাণীর দিকে ফিরে আসে তখন সে আরাম ও শান্তি বোধ করে।

এখানে এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, গান নয় বরং আল্লাহর কালামই শান্তি বয়ে আনে। গান হলো তুচ্ছ, বাজে ও নিষিদ্ধ বিকল্প (যা শান্তির আশায় আল্লাহর কালামের বদলে ব্যবহার করা হয়। যেমন খাবারের অভাবে অখাদ্য-কুখাদ্য খাওয়া হয়-অনুবাদক।) আমাদের নিকট এর চেয়ে ভালো কিছু আছে যা নিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেছেন।

لَّا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنزِيلٌ مِّنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ

“এ কুরআনের সামনে পিছনে কোন দিকেই বাতিল আসতে পারে না, এটা সকল প্রশংসার প্রাপক মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহঃ আয়াত-৪২)

تَرَىٰ أَعْيُنَهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوا مِنَ الْحَقِّ

“তুমি তাদের চক্ষুসমূহকে অশ্রুতে ভেসে যেতে দেখবে। কেননা, তারা যে সত্য অনুধাবন করতে পেরেছে।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-৮৩)

কেবলমাত্র বোকারাই গানে শান্তি পায়-

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ

এবং মানুষের মাঝে এমন লোকও আছে যে নাকি অজ্ঞতাবশতঃ (মানুষকে) আল্লাহর পথ হতে বিপথে চালিত করার জন্য বেহুদা কথা (যেমনগান-বাজনা, গল্প-গুজব) ক্রয় করে।” (৩১-সূরা আস সাজদাহঃ আয়াত-৬)


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 



**********************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url