আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-৩২) || উপকারী জ্ঞান ও অপকারী জ্ঞান || নিজের হিসাব রাখুন || সতর্ক থাকা ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ||

উপকারী জ্ঞান ও অপকারী জ্ঞান

“আর যাদেরকে ইলম ও ঈমান দান করা হয়েছে তারা বলবেঃ “সত্যিই তোমরা কেয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহর বিধান তকদীর অনুসারেই অবস্থান করেছিলে (কিন্তু তোমরা তা জানতে না)।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৫৬)

কিছু জ্ঞান আছে উপকারী ও কিছু জ্ঞান আছে অপকারী। উপকারী জ্ঞানের ফলে ঈমানদারের ঈমান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে কাফেররা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করে কোনরূপ উপকার লাভ করতে পারে না। যদিও অর্জিত তথ্য একই তবুও ফলাফল ভিন্ন। আল্লাহ তার শক্রদের সম্বন্ধে বলেনঃ “তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাইরের দৃশ্যটাই জানে বা চিনে। অথচ তারা পরকাল সম্বন্ধে গাফেল।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৭)

“বরং আখেরাত সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে, বরং তারা এ বিষয়ে অন্ধ।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৩০)

ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ

“ওটাই তাদের বিদ্যার দৌড়।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত-৩০)

“(হে মুহাম্মাদ!), আপনি তাদেরকে সে ব্যক্তির ঘটনা পড়ে শুনান, যাকে আমি আমার নিদর্শনাবলি দান করেছিলাম, পরে সে সেসব নিদর্শনাবলিকে এড়িয়ে গেল। ফলে শয়তান তার পিছু নিল, আর তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।”

আর আমি যদি চাইতাম তবে তাকে আমি সেসব নিদর্শনাবলি দ্বারা উচ্চ মর্যাদা দান করতাম। কিন্তু সে পৃথিবীর প্রতি ঝুঁকে পড়ল ও তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করল। অতএব, তার উদাহরণ হলো কুকুরের মতো, যদি আপনি তার উপর বোঝা চাপান তবে সে হাঁপাতে থাকে অথবা যদি আপনি (তার উপর বোঝা না চাপিয়ে) তাকে এমনিই ছেড়ে দেন তবুও সে হাঁপাতে থাকে।

যে সম্প্রদায় আমার নিদর্শনাবলিকে অস্বীকার করেছে, তাদের উপমাও এরূপ। অতএব আপনি ঘটনা বর্ণনা করুন যাতে করে তারা ভেবে দেখে।” (৭-সূরা আল আ’রাফঃ আয়াত-১৭৫-১৭৬)

আল্লাহ ইহুদীদের সম্বন্ধে ও তাদের সত্য বিষয়ে জ্ঞান সম্বন্ধে বলেছেনঃ

“যাদের উপর তাওরাতের দায়ভার অর্পণ করা হয়েছিল অতঃপর তারা তা বহন করেনি, তাদের উপমা হলো পুস্তকের বিশাল বোঝা বহনকারী গাধার মতো। যে সম্প্রদায় আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করল তাদের উপমা কতইনা নিকৃষ্ট!” (সূরা ৬২ আল জুম’আঃ আয়াত-৫)

তারা তাওরাতের সত্য বিষয় জানত। তবুও তারা তা মানত না। তারা তাওরাতের কথাকে বিকৃত করত, এতেও যদি কাজ না হতো তবে তারা তাওরাতের কথার অর্থকে বিকৃত করত। যারা জ্ঞানকে এরূপ জঘন্যভাবে ব্যবহার করত তারা কিভাবে সুখ পেতে পারত? এটা (সুখ) অবশ্যই তাদের জন্য সম্ভবপর হলো না, কেননা তারা তাদের সাধ্যমত সর্বদাই সত্যকে নির্মুল করে দিতে চেষ্টা করত। (অর্থাৎ তারা সর্বদা সত্যকে নির্মুল করতে চাইতো বিধায় তাদের জন্য সুখ অসম্ভব ছিল। -অনুবাদক)

فَاسْتَحَبُّوا الْعَمَىٰ عَلَى الْهُدَىٰ

“কিন্তু তারা হেদায়েতকে পছন্দ না করে বরং অন্ধত্বকে পছন্দ করল।”

“এবং তাদের কথা, ‘আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত’ (একথা ঠিক নয়।), বরং তাদের কুফরির কারণে আল্লাহ তাদের অন্তরসমূহের উপরে মোহর এঁটে দিয়েছেন। সুতরাং অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তারা কেউই ঈমান আনবে না।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-১৫৫)

ওয়াশিংটনের কংগ্রেসের লাইব্রেরিতে হাজার হাজার সম্ভবত মিলিয়ন মিলিয়ন পুস্তক আছে। সেখানে প্রত্যেক শতাব্দী, প্রত্যেক জাতি, প্রত্যেক সম্প্রদায় এবং প্রত্যেক কৃষ্টি ও সভ্যতা সম্বন্ধে পুস্তক আছে, অথচ এ মহামূল্যবান লাইব্রেরীর মালিক এমন এক জাতি, যারা তাদের প্রভুকে অবিশ্বাস করে (আরবী পুস্তকে আছে ‘অস্বীকার’ করে। -অনুবাদক) তারা এমন এক জাতি যাদের জ্ঞান এ পার্থিব বা বস্তু জগতের সীমাকে অতিক্রম করে না। যা এ পার্থিব জগতের বাইরে তারা তা শোনে না, দেখে না, অনুভব করে না এবং তারা তা বোঝে না। “এবং আমি তাদেরকে শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তকরণ সৃষ্টি করে দিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের শ্রুতিশক্তি, দর্শনশক্তি ও তাদের হৃদয় তাদের কোন কাজে লাগেনি।” (৪৬-সূরা আল আহ্‌কাফঃ আয়াত-২৬)

সত্য ও কাফেরদের সত্যের প্রতি বিরাগের উপমা হলো, যদিও পানি বিশুদ্ধ ও মিষ্ট তবুও যে পানি পান করছে তার কাছে তা তিক্ত লাগছে (অর্থাৎ রোগের কারণে তার মুখের বা জিহ্বার স্বাদ বিকৃত বা নষ্ট হয়ে গেছে। -বঙ্গানুবাদক)

“আমি তাদেরকে কতইনা স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দিয়েছিলাম!” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১১)

“আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী হতে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসলেই তারা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিত।" (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৪)

বেশি বেশি পড়াশুনা

বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার লাভ করে ধন্য হতে হলে যা দরকার তা হলোঃ গবেষক মন, শুভ বুঝ এবং এমন মেধা বা বুদ্ধি যা কারণ ও উদ্দেশ্য তালাশে পৃষ্ঠদেশের তলদেশে গভীরে ডুব দেয়। আর এগুলোই মনের শান্তি এনে দেয়।

إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ

“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবলমাত্র জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে।” (৩৫-সূরা ফাতিরঃ আয়াত-২৮)

بَلْ كَذَّبُوا بِمَا لَمْ يُحِيطُوا بِعِلْمِهِ

“বরং তারা যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি তারা তা অস্বীকার করেছিল।” (১০-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-৩৯)

আলেম বা জ্ঞানী ব্যক্তির সাধারণত খোলা মন থাকে এবং তিনি শান্তিতে থাকেন। পাশ্চাত্যের এক গবেষক বলেছেন- “আমি আমার টেবিলের ড্রয়ারে একটি বড় খাতা রাখি। এ খাতার ওপরে লেখা আছে, “যে সব বোকামি আমি করেছি” সারাদিনে আমি যে সব বোকামি করি আমি এতে তা লিখে রাখি। আমি আমার ভুলসমূহ জেনে তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই আমি এ কাজ করি।”

এ বিষয়ে পূর্বেকার মুসলিম আলেমগণ তাকে পিছনে ফেলে গিয়েছেন। তারা যথাযথভাবে তাদের আমলের বিবরণ রাখতেন। “আর আমি আত্ম-তিরস্কারকারী ব্যক্তির শপথ করছি।" (৭৫-সূরা আল কিয়ামাহঃ আয়াত-২)

হাসান বসরী (রহঃ) বলেছেন- “একজন ব্যবসায়ী তার ভাগীদারের হিসাব যেভাবে রাখে একজন মুসলমান তার নিজের হিসাব তার চেয়েও কঠিনভাবে রাখে।”

রবী ইবনে খুসাইম এক শুক্রবার থেকে আরেক শুক্রবার পর্যন্ত যা বলতেন তার সবকিছুরই লিখে রাখতেন। যদি তাতে ভালো কথা পেতেন তবে আল্লাহর প্রশংসা করতেন আর যদি তাতে মন্দ কথা পেতেন, তবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতেন।

ইসলামের প্রাথমিক যুগের (শতাব্দীর) একজন ধাৰ্মিক লোক বলেছেন- “চল্লিশ বছর আগে আমি একটি পাপ করেছি যার জন্য এখনও আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি।”

“আর যারা যা দান করার তা দান করে অথচ সে অবস্থায় (আল্লাহর ভয়ে) তাদের অন্তরসমূহ প্রকম্পিত থাকে।” (২৩-সূরা মু’মিনূনঃ আয়াত-৬০)

নিজের হিসাব রাখুন

আপনার নিকট একটি নোটবুক রাখুন এবং এতে আপনার কাজকর্মের বিবরণ লিখে রাখুন। আপনার ব্যক্তিত্বের ও কাজকর্মের ক্ষতিকর বা নেতিবাচক বা অনাকাঙ্ক্ষিত দিকগুলোকে তাতে লিখে রাখুন এবং তা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত করবেন তার সমাধানের উপায় নিয়ে পরে ভেবে দেখবেন।

উমর (রাঃ) বলেছেনঃ “(আল্লাহ) তোমাদের হিসাব নেয়ার আগেই তোমরা তোমাদের নিজেদের হিসাব নাও। এবং কিয়ামতের দিনের মহা প্রদর্শনীর পূর্বে নেক আমল দ্বারা নিজেদেরকে সুসজ্জিত কর।”

তিনটি ভুল

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে তিনটি ভুল সচরাচর করে থাকি সেগুলো হলো-

১. সময় নষ্ট করা।
২. অযথা কথা বলা।

من حسن اسلام المرء تركه ما لا يعنيه

“অযথা কাজ ত্যাগ করা ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্যের বা ভালো কাজের একটি”।

৩. তুচ্ছ বিষয়ে আগে থেকেই উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া। গুজবে কান দেয়া, ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস করা ও গল্প গুজব করা হলো তিনটি সাধারণ উদাহরণ। এসব চরিত্রের ফলে বুদ্ধি নষ্ট (রোগ), টেনশন ও জীবনের উদ্দেশ্যহীনতা দেখা দেয়।

“অতএব আল্লাহ তাদেরকে এ দুনিয়ার প্রতিদান ও পরকালের উত্তম প্রতিদান দিলেন।” (৩-সূরা আল ইমরানঃ আয়াত-১৪৮)

“যে আমার হেদায়েতের অনুসরণ করবে (করল) সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং দুঃখ-কষ্ট ও দুর্দশাগ্রস্তও হবে না।” (২০-সুরা ত্বাহাঃ আয়াত-১২৩)

সতর্ক থাকা ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ

যখন কোন মুসলমান বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে কোন কিছু করা শুরু করে তখন তাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে হবে-

তাকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করতে হবে এবং তাকে অবশ্যই আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তো অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে বেশি আল্লাহর উপর তাওাক্কুল ছিল এবং স্বয়ং আল্লাহও তাকে ক্ষমা করতেন তবুও তিনি একবার আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধের সময় বর্ম পরেছিলেন।

“(একবার) এক লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল, “আমার উটকে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা উচিত নাকি আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিত?” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন- “এটকে বেঁধে রেখে আল্লাহ্‌র উপর তাওাক্কুল কর।”

আপনার লক্ষ্যে পৌছার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিলে এবং একই সাথে আল্লাহর উপর নির্ভর করলে আপনি ইসলামী একত্ববাদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতিকে বাস্তবায়িত করলেন বা দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি পালন করলেন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করা হলো ধর্মের অবজ্ঞেয় ভুল বুঝাবুঝি। আর আল্লাহর উপর নির্ভর না করে যথাযথ পদক্ষেপ করার অর্থ হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অভাব। একজন আরব দেশীয় কবি বলেছেন-

قد يدركُ المتأنِّي بعضَ حاجتِه ٭ وقد يكونُ مع المستعجلِ الزَّللُ

ধীর স্থির ব্যক্তি তার কিছু প্রয়োজন মেটাতে পারে, পক্ষান্তরে ব্যর্থতা ব্যস্তসমস্ত ব্যক্তির সঙ্গী হয়।

সতর্ক থাকার মাধ্যমে তকদীরের (প্রতি বিশ্বাসের) বিরোধিতা করা হয় না বরং তকদীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পালন করা হয়।

وَلْيَتَلَطَّفْ “এবং সে যেন সতর্ক থাকে।” (১৮-সূরা কাহাফঃ আয়াত-১৯)

وَجَعَلَ لَكُمْ سَرَابِيلَ تَقِيكُمُ الْحَرَّ وَسَرَابِيلَ تَقِيكُم بَأْسَكُمْ

“এবং তিনি তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য পোশাক ও যুদ্ধ থেকে রক্ষা করার জন্য বর্ম সৃষ্টি করেছেন”। (১৬-সূরা আন নাহলঃ আয়াত-৮১)

মানুষকে জয় করা

মানুষের ভালোবাসা, সম্মান ও সহমর্মিতা অর্জন করার গুণ সৌভাগের, সাফল্যের, উন্নতির ও সমৃদ্ধির একটি লক্ষণ। নবী ইব্রাহীম (আঃ) বলেছেন-

وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ

“এবং পরবর্তী জাতিদের মাঝে আমার জন্য সুখ্যাতি সৃষ্টি করে দিন”। (২৬-সূরা আশ শোয়ারাঃ আয়াত-৮৪)

মূসা (আঃ) সম্বন্ধে আল্লাহ বলেছেন-

وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي

“আমি আমার পক্ষ থেকে তোমার উপর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-৩৯)

নিম্নে বর্ণিত দুটি হাদীসের উভয়টিই নির্ভরযোগ্য—

أنتُم شُهَدَاءُ الله في الأرض

“তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।”

“জিব্রাঈল (আঃ) আকাশবাসীদের মাঝে ঘোষণা দেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাস। অতএব আসমানের অধিবাসীগণ তাকে ভালোবাসে এবং পৃথিবীতে তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা মঞ্জুর করা হয়।”

একটি হাসি-খুশি মুখ, সদয় কথা-বার্তা ও সদাচরণ হলো মানুষের মনে নিজেকে অনুগ্রহভাজন করার সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী উপায়। আরোও বেশি শক্তিশালী উপায় হলো কোমলতা, নম্রতা, ভদ্রতা ও সহানুভূতি। এ কারণেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَا كَانَ الرِّفْقُ فِي شَيْءٍ إِلا زَانَهُ ، وَلا نُزِعَ مِنْ شَيْءٍ إِلا شَانَهُ

ভাবাৰ্থঃ “যার মাঝে নম্রতা-ভদ্রতা আছে তা সুন্দর। আর যার মাঝে নম্রতা-ভদ্রতা নেই তা কলঙ্কিত।”

مَن يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الخيرَ كُلَّه

ভাবার্থঃ “যে নম্রতা-ভদ্রতা থেকে বঞ্চিত সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।”
একজন বিজ্ঞলোক বলেছেন- الرفق يخرج الحية من جحرها

ভাবাৰ্থঃ “সহানুভূতি ও কোমলতা সাপকেও তার গর্ত থেকে বের করে আনে।” অর্থাৎ শক্রর অন্তরে লুকায়িত শক্রতা ও দূর করে দেয়। (-অনুবাদক)

আর পশ্চিমারা বলে, “মধু আহরণ কর কিন্তু মৌচাক ভেঙ্গ না।”
একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে-

المؤمن كالنحلة تأكل طيبا وتضع طيبا واذا وقعت على عود لم تكسره

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি মৌমাছির মতো পবিত্র জিনিস (খাদ্য) খায় ও পবিত্র জিনিস (খাদ্য) উৎপন্ন করে। আর যখন তা (কচি) ডগায় বসে তখন সে তা ভাঙ্গে না।”


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 




*****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url