যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (১৫) || পশুর গলায় তার বা সুতা ঝুলানো || একই কাপড়ে নামায পড়া || রোযাবস্থায় গালি দেয়া ||





একজন মুসলিম হিসাবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ

(পঞ্চদশ পর্ব)

  • সঠিকভাবে নামায আদায় না করা ও সালামের উত্তর না দেয়া
  • পশুর গলায় তার বা সুতা ঝুলানো
  • ওজনবিহীন কোন খাদ্য স্তূপ বিক্রি বা বিনিময় করা
  • মুসলমানে মুসলমানে দ্বন্দ্ব করা
  • পশুর পিঠকে বক্তব্যের মঞ্চরূপে ব্যবহার করা
  • অমুসলমানের সালামের উত্তরে ’ওয়া’আলাইকুমুস্-সালাম’ বলা
  • রোযাবস্থায় গালি দেয়া
  • আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নিকট কোন পদ বা নেতৃত্ব চাওয়া
  • মুখ ও হাতকে কোন অসৎ কাজে ব্যবহার করা
  • একই কাপড়ে নামায পড়া

সঠিকভাবে নামায আদায় না করা ও সালামের উত্তর না দেয়া

নামাযের ফরয, ওয়াজিব কিংবা সুন্নাত সমূহ সঠিকভাবে আদায় না করা অথবা শুধু ’’ওয়া’আলাইকা’’ বলে সালামের উত্তর দেয়া

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ غِرَارَ فِيْ صَلاَةٍ وَلاَ تَسْلِيْمٍ

‘‘নামায ও সালামে কোনভাবেই ত্রুটি করা চলবে না’’।[1]

[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৯২৮)

পশুর গলায় তার কিংবা সুতা ঝুলানো

যে কোন অনিষ্ট থেকে বাঁচানোর জন্য কোন পশুর গলায় তার কিংবা সুতা ঝুলানো

আবু বশীর আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) এর সাথে একদা কোন এক সফরে ছিলাম। হঠাৎ কোন এক রাত্রি বেলায় যখন সবাই ঘুমোতে যাচ্ছিলো এমতাবস্থায় তিনি জনৈক প্রতিনিধি পাঠিয়ে সবার মাঝে ঘোষণা দিলেন:

لاَ يَبْقَيَنَّ فِيْ رَقَبَةِ بَعِيْرٍ قِلاَدَةٌ مِنْ وَتَرٍ أَوْ قِلاَدَةٌ إِلاَّ قُطِعَتْ

‘‘কোন উটের গলায় যেন তার, সুতা কিংবা অন্য কিছু জুলিয়ে না রাখা হয়। কোন কিছু ঝুলানো থাকলে তা অবশ্যই কেটে ফেলতে হবে’’।[1]

[1] (বুখারী, হাদীস ৩০০৫ মুসলিম, হাদীস ২১১৫ আবু দাউদ, হাদীস ২৫৫২)

ওজনবিহীন কোন খাদ্য স্তূপ বিক্রি বা বিনিময় করা

ওজনবিহীন কোন খাদ্য স্তূপ ওজনবিহীন অন্য কোন খাদ্য স্তূপের বিনিময়ে কিংবা ওজন করা কোন খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করা

জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تُبَاعُ الصُّبْرَةُ مِنَ الطَّعَامِ بِالصُّبْرَةِ مِنَ الطَّعَامِ ، وَلاَ الصُّبْرَةُ مِنَ الطَّعَامِ بِالْكَيْلِ الْمُسَمَّى مِنَ الطَّعَامِ

‘‘ওজনবিহীন কোন খাদ্য স্তূপ এ জাতীয় অন্য কোন খাদ্য স্তূপের বিনিময়ে অথবা ওজন করা কোন খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে না’’।[1]

[1] (নাসায়ী, হাদীস ৪৫৫০)

মুসলমানে মুসলমানে দ্বন্দ্ব করা

যে কোন তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে মুসলমানে মুসলমানে দ্বন্দ্ব করা

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা আমি জনৈক সাহাবীকে এমনভাবে একটি কোর’আনের আয়াত পড়তে শুনেছি যার বিপরীত পড়াই একদা আমি রাসূল (সা.) থেকে শুনেছি। অতঃপর আমি তার হাতখানা ধরে রাসূল (সা.) এর নিকট নিয়ে গেলে তিনি আমাদেরকে বলেন:

كِلاَكُمَا مُحْسِنٌ ، لاَ تَخْتَلِفُوْا ، فَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ اخْتَلَفُوْا فَهَلَكُوْا

‘‘তোমরা উভয়েই সঠিক পড়েছো। তোমরা কখনো পরস্পর দ্বন্দ্ব করো না। কারণ, তোমাদের পূর্বেকার উম্মতরা একদা পরস্পর দ্বন্দ্ব করেই ধ্বংস হয়ে গেছে’’।[1]

[1] (বুখারী, হাদীস ২৪১০)

পশুর পিঠকে বক্তব্যের মঞ্চরূপে ব্যবহার করা

কোন পশুর পিঠকে কারোর বক্তব্যের মঞ্চরূপে ব্যবহার করা

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِيَّاكُمْ أَنْ تَتَّخِذُوْا ظُهُوْرَ دَوَابِّكُمْ مَنَابِرَ ؛ فَإِنَّ اللهَ إِنَّمَا سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُبَلِّغَكُمْ إِلَى بَلَدٍ لَمْ تَكُوْنُوْا بَالِغِيْهِ إِلاَّ بِشِقِّ الْأَنْفُسِ ، وَجَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فَعَلَيْهَا فَاقْضُوْا حَاجَتَكُمْ

‘‘তোমরা যে কোন পশুর পিঠকে মিম্বার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। কারণ, আল্লাহ্ তা’আলা উক্ত পশুগুলোকে এ জন্যই তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যে, যেন তোমরা সেগুলোর মাধ্যমে এমন এলাকায় পৌঁছুতে পারো যেখানে পৌঁছা এগুলো ছাড়া তোমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হবে। এ দিকে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের জন্য জমিন সৃষ্টি করেছেন। অতএব তোমরা সেখানেই তোমাদের সকল প্রয়োজন পূরণ করো’’।[1]

[1] (আবু দাউদ, হাদীস ২৫৬৭)

অমুসলমানের সালামের উত্তরে ’ওয়া’আলাইকুমুস্-সালাম’ বলা

কোন অমুসলমানের সালামের উত্তরে ’ওয়া’আলাইকুমুস্-সালাম’ বলা

আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نُهِيْنَا أَوْ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَزِيْدَ أَهْلَ الْكِتَابِ عَلَى : وَعَلَيْكُمْ

‘‘আমাদেরকে নিষেধ অথবা আদেশ করা হয়েছে এ মর্মে যে, আমরা যেন ইহুদি ও খ্রিস্টানের সালামের উত্তরে ‘‘ওয়া’আলাইকুম’’ থেকে কোন কিছু বাড়িয়ে না বলি’’।[1]

আনাস্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُوْلُوْا : وَعَلَيْكُم

‘‘যখন তোমাদেরকে ইহুদি-খ্রিস্টানরা সালাম দিবে তখন তোমরা তার উত্তরে বলবে শুধু ’’ওয়া’আলাইকুম’’।[2]

[1] (আহ্মাদ্, হাদীস ১২১৩৬ ইবনু আবী শাইবাহ্, হাদীস ২৫৭৬৩)
[2] (মুসলিম, হাদীস ২১৬৩)

রোযাবস্থায় গালি দেয়া

রোযাবস্থায় কাউকে গালি দেয়া

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَسَابَّ وَأَنْتَ صَائِمٌ ، فَإِنْ سَابَّكَ أَحَدٌ فَقُلْ : إِنِّيْ صَائِمٌ ، وَإِنْ كُنْتَ قَائِمًا فَاجْلِسْ

‘‘রোযাবস্থায় তুমি কখনো কাউকে গালমন্দ করো না। কেউ তোমাকে গালমন্দ করলে তুমি তাকে জানিয়ে দিবে যে, আমি রোযাদার। আর তুমি তখন দাঁড়িয়ে থাকলে সাথে সাথেই বসে পড়বে’’।[1]

[1] (ইবনু হিব্বান, হাদীস ৩৪৮৩ ইবনু খুযাইমাহ্, হাদীস ১৯৯৪ আহমাদ্, হাদীস ৯৫২৮, ১০৫৭১)

আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নিকট কোন পদ বা নেতৃত্ব চাওয়া

একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারোর নিকট দুনিয়ার কোন প্রশাসনিক পদ বা নেতৃত্ব চাওয়া
আব্দুর রহমান বিন্ সামুরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ! لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ ، فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيْتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ أُكِلْتَ إِلَيْهَا ، وَإِنْ أُعْطِيْتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا

‘‘হে আব্দুর রহমান বিন্ সামুরাহ্! তুমি কারোর নিকট নিজের জন্য প্রশাসনিক কোন পদ চাবে না। কারণ, তা যদি তোমাকে একান্ত তোমার চাওয়ার ভিত্তিতেই দেয়া হয় তা হলে তার গুরুভার একমাত্র তোমার উপরই সোপর্দ করা হবে। তাতে আল্লাহ্ তা’আলার কোন সহযোগিতাই থাকবে না। আর যদি তা তোমাকে তোমার চাওয়া ছাড়াই এমনিতেই দেয়া হয় তা হলে তাতে আল্লাহ্ তা’আলার সহযোগিতা অবশ্যই থাকবে’’।[1]

আবু বুর্দাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আবু মূসা আশ্’আরী (রা.) আমাকে বললেন: আমি একদা আমার বংশীয় দু’জন ব্যক্তিকে নিয়ে রাসূল (সা.) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তাদের এক জন ছিলো আমার ডান পার্শ্বে আর অন্য জন ছিলো আমার বাম পার্শ্বে। তারা উভয় জনই রাসূল (সা.) এর নিকট কোন প্রশাসনিক পদ চেয়েছিলো। নবী (সা.) তখন মিসওয়াক করছিলেন। তিনি বললেন: হে আবু মূসা! অথবা হে আব্দুল্লাহ্ বিন্ কবাইস্! তুমি কি বলো? আমি বললাম: সেই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে পাঠিয়েছেন। তারা ইতিপূর্বে তো তাদের মনের কথা আমাকে বলেনি। আর আমিও ইতিপূর্বে অনুভব করতে পারিনি যে, তারা আপনার নিকট কোন প্রশাসনিক পদ চাবে। নবী (সা.) বললেন: তখন আমি তাঁর মিসওয়াকের দিকেই তাকিয়েছিলাম যা তাঁর ঠোঁটের নিচেই ছিলো এবং ঠোঁট খানা একটু উপরে উঠেছিলো। তিনি বললেন:

لَنْ أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ ، وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوْسَى! أَوْ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ!

‘‘আমি কখনো এমন লোককে কোন পদ দেবো না যে তা পাওয়ার আশা করে। বরং তুমি যাও হে আবু মূসা! অথবা হে আব্দুল্লাহ্ বিন্ ক্বাইস’’&! অতঃপর তিনি আবু মূসা (রা.) কে কোন দায়িত্ব দিয়ে ইয়েমেনে পাঠিয়ে দিলেন।[2]

[1] (বুখারী, হাদীস ৬৬২২, ৬৭২২ মুসলিম, হাদীস ১৬৫২)
[2] (মুসলিম, হাদীস ১৭৩৩)

মুখ ও হাতকে কোন অসৎ কাজে ব্যবহার করা

নিজের মুখ ও হাতকে কোন অকল্যাণমূলক ও অসৎ কাজে ব্যবহার করা

আস্ওয়াদ্ বিন্ আস্বরাম (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি একদা রাসূল (সা.) কে বললাম: আমাকে কিছু উপদেশ দিন তখন তিনি বলেন: তুমি কি তোমার হাতের মালিক ? আমি বললাম: আমি যদি আমার নিজের হাতেরই মালিক না হই তা হলে আমি আর কিসেরই বা মালিক ? তিনি আরো বলেন: তুমি কি তোমার জিহবার মালিক ? আমি বললাম: আমি যদি আমার নিজের জিহবারই মালিক না হই তা হলে আমি আর কিসেরই বা মালিক ? তখন তিনি বললেন:

فَلاَ تَقُلْ بِلِسَانِكَ إِلاَّ مَعْرُوْفًا ، وَلاَ تَبْسُطْ يَدَكَ إِلاَّ إِلَى خَيْرٍ

‘‘তা হলে তুমি তোমার নিজের জিহবা দিয়ে ভালো কথা ছাড়া অন্য কিছু বলবে না। তেমনিভাবে তুমি তোমার নিজের হাতকে কল্যাণকর কাজ ছাড়া অন্য কিছুর দিকে সম্প্রসারিত করবে না’’।[1]

[1] (ত্বাবারানী/কবীর, হাদীস ৮১৭)

একই কাপড়ে নামায পড়া

কারোর দু’টি কাপড় থাকা সত্ত্বেও তার একই কাপড়ে নামায পড়া

বুরাইদাহ্ বিন্ ’হুস্বাইব্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ فِيْ لِحَافٍِ لاَ يَتَوَشَّحُ بِهِ ، وَأَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ فِيْ سَرَاوِيْلَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ

‘‘রাসূল (সা.) কাপড়ের কিছু অংশ বাম কাঁধে বেঁধে রাখা ছাড়া কাউকে একই কাপড়ে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। তেমনিভাবে তিনি নিষেধ করেছেন চাদর বা জামা ছাড়া শুধু পাজামা পরেই কাউকে নামায পড়তে’’।[1]

[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৬৩৬)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url