যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (০৯) || নিজের সাধুতা ও স্বচ্ছতা বর্ণনা করা || কোন ভালো কাজকে ছোট মনে করা ||






একজন মুসলিম হিসাবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ

(নবম পর্ব)

  • নিজের সাধুতা ও স্বচ্ছতা বর্ণনা করা
  • মসজিদকে পথ হিসেবে ব্যবহার করা
  • এমনভাবে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া যাতে নিজ ওয়াজিব কাজে অমনোযোগ সৃষ্টি হয়
  • কোন ভালো কাজকে ছোট মনে করা
  • সুস্থ-সবল কিংবা ধনী ব্যক্তির সাদাকা খাওয়া
  • বাধ্য-বাধকতা ছাড়া কোন মৃত ব্যক্তিকে রাত্রি বেলায় দাফন করা
  • কুষ্ঠ রোগীর প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকানো
  • কোন মুসলমান মৃতকে গাল-মন্দ করা
  • কোন মহিলার নিজকে নিজে অথবা কোন আত্মীয়া মহিলাকে কারোর নিকট বিবাহ্ দেয়া


নিজের সাধুতা ও স্বচ্ছতা বর্ণনা করা

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

فَلَا تُزَكُّوا أَنفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَىٰ

‘‘তোমরা নিজেদের পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতা বর্ণনা করো না। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই (নিশ্চিত) জানেন সত্যিকার মুত্তাকী কে’’? (নাজম : ৩২)

তাই তো ইউসুফ (আঃ) তাঁর নিজ সম্পর্কে বলেন। যা আল্লাহ্ তা’আলা কুর’আন মাজীদে উলেলখ করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي ۚ إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي ۚ إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ

‘‘আমি নিজকে পবিত্র ও নির্দোষ বলছি না। কারণ, মানব প্রবৃত্তি তো নিশ্চয়ই মন্দ প্রবণ। কিন্তু সে নয় যাকে আমার প্রভু দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু’’। (ইউসুফ : ৫৩)

মুহাম্মাদ বিন্ ’আমর বিন্ আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি খুব আদর করে আমার একটি মেয়ের নাম ’’বার্রাহ্’’ তথা নেককার বা কল্যাণময়ী রেখেছিলাম। একদা যায়নাব বিনতে আবু সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা) উক্ত নাম শুনে বললেন: রাসূল (সা.) এ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। কোন এক সময় আমারও এই নাম ছিলো। তখন রাসূল (সা.) উক্ত নাম শুনে বললেন:

لاَ تُزَكُّوْا أَنْفُسَكُمْ ، اللهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ ، فَقَالُوْا : بِمَ نُسَمِّيْهَا ؟ قَالَ: سَمُّوْهَا زَيْنَبَ

‘‘তোমরা কখনো নিজের সাধুতা ও পবিত্রতা বর্ণনা করো না। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই (নিশ্চিত) জানেন সত্যিকার নেককার বা কল্যাণময়ী কে ? তখন সাহাবায়ে কিরাম বললেন: তা হলে আমরা ওর নাম কি রাখবো ? তখন রাসূল (সা.) বললেন: তোমরা ওর নাম যায়নাব রাখো’’।[1]

তবে একান্ত কোন শরয়ী কল্যাণ বিনষ্ট হওয়ার প্রবল ধারণা হলে নিতান্ত প্রয়োজনে নিজের সাধুতা ও স্বচ্ছতা বর্ণনা করা যেতে পারে। যেমনিভাবে ইউসুফ (আঃ) মিশরের তৎকালীন অধিপতির নিকট নিজের জ্ঞান ও আমানতদারিতার বর্ণনা অকপটে তুলে ধরেন। তিনি বলেন। যা আল্লাহ্ তা’আলা কুর’আন মাজীদে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

قَالَ اجْعَلْنِيْ عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ ، إِنِّيْ حَفِيْظٌ عَلِيْمٌ

‘‘সে (ইউসুফ) বললোঃ আমাকে কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। নিশ্চয়ই আমি ভালো সংরক্ষণকারী অতিশয় জ্ঞানবান’’। (ইউসুফ : ৫৫)
[1] (মুসলিম, হাদীস ২১৪২)

মসজিদকে পথ হিসেবে ব্যবহার করা

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَتَّخِذُوْا الْمَسَاجِدَ طُرُقًا ؛ إِلاَّ لِذِكْرٍ أَوْ صَلاَةٍ

‘‘তোমরা নামায ও যিকির ছাড়া মসজিদকে পথ হিসেবে ব্যবহার করো না’’।[1]
[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১০০১)

এমনভাবে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া যাতে নিজ ওয়াজিব কাজে অমনোযোগ সৃষ্টি হয়

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَتَّخِذُوْا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوْا فِيْ الدُّنْيَا
‘‘তোমরা জায়গা-জমিন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পেছনে এমনভাবে পড়ে যেও না যাতে করে তোমরা একদা দুনিয়াদার হয়ে যাও’’।[1]

আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

وَيْلٌ لِلْمُكْثِرِيْنَ ؛ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ، أَرْبَعٌ : عَنْ يَمِيْنِهِ ، وَعَنْ شِمَالِهِ ، وَمِنْ قُدَّامِهِ ، وَمِنْ وَرَائِهِ
‘‘চরম দুর্ভোগ অধিক সম্পদ সঞ্চয়কারীদের জন্য। তবে যারা ডানে, বাঁয়ে, সামনে, পেছনে তথা চতুর্দিকে দান করেছে তারা নয়’’।[2]

আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

الْأَكْثَرُوْنَ هُمُ الْأَسْفَلُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ؛ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالـْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا ، وَكَسَبَهُ مِنْ طَيِّبٍ
‘‘বেশি সম্পদশালীরা কিয়ামতের দিন নিচু হয়ে থাকবে। তবে যারা ডানে, বাঁয়ে সাদাকা করেছে এবং পবিত্র মাল সঞ্চয় করেছে তারা নয়’’।[3]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

تَعِسَ عَبْدُ الدِّيْنَارِ وَعَبْدُ الدِّرْهَمِ ، وَعَبْدُ الْخَمِيْصَةِ ، إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ ، وَإِنْ لَمْ يُعْطَ سَخِطَ ، تَعِسَ وَانْتَكَسَ ، وَإِذَا شِيْكَ فَلاَ انْتَقَشَ
‘‘ধ্বংস হোক দীনার ও দিরহামের গোলাম! ধ্বংস হোক পোশাক-পরিচ্ছদের গোলাম! তাকে কিছু দিলে খুশি। না দিলে বেজার। ধ্বংস হোক! কখনো সে সফলকাম না হোক! সমস্যায় পড়লে সমস্যা থেকে উদ্ধার না হোক! (কাঁটা বিঁধলে না খুলুক)’’।[4]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

مَا أُحِبُّ أَنَّ أُحُدًا عِنْدِيْ ذَهَبًا ؛ فَتَأْتِيَ عَلَيَّ ثَالِثَةٌ وَعِنْدِيْ مِنْهُ شَيْءٌ ؛ إِلاَّ شَيْءٌ أَرْصُدُهُ فِيْ قَضَاءِ دَيْنٍ
‘‘আমি পছন্দ করি না যে, উ’হুদ পাহাড় আমার জন্য স্বর্ণ হয়ে যাবে; অথচ আমার উপর তিনটি রাত অতিবাহিত হবে। আর আমি ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছু আমার নিকট রেখে দিয়েছি’’।[5]
[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১২)
[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৪)
[3] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৫)
[4] (বুখারী, হাদীস ২৮৮৬, ২৮৮৭ বায়হাক্বী : ৯/১৫৯, ১০/২৪৫)
[5] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৭)

কোন ভালো কাজকে ছোট মনে করা

আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ الْـمَعْرُوْفِ شَيْئًا ، وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ

‘‘কোন ভালো কাজকে ছোট মনে করো না। এমনকি তোমার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সাক্ষাৎ করাকেও না।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২৬২৬)

সুস্থ-সবল কিংবা ধনী ব্যক্তির সাদাকা খাওয়া

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ ، وَلاَ لِذِيْ مِرَّةٍ سَوِيٍّ

‘‘কোন ধনী ও সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা খাওয়া জায়িয নয়’’।[1]

তবে পাঁচ প্রকারের ধনীর জন্য সাদাকা খাওয়া জায়িয।

’আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ إِلاَّ لِخَمْسَةٍ: لِغَازٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ، أَوْ لِعَامِلٍ عَلَيْهَا ، أَوْ لِغَارِمٍ، أَوْ لِرَجُلٍ اشْتَرَاهَا بِمَالِهِ ، أَوْ لِرَجُلٍ كَانَ لَهُ جَارٌ مِسْكِيْنٌ فَتُصُدِّقَ عَلَى الْمِسْكِيْنِ فَأَهَدَاهَا الْمِسْكِيْنُ لِلْغَنِيِّ

‘‘শুধুমাত্র পাঁচ ধরনের ধনীর জন্যই সাদাকা খাওয়া জায়িয। আল্লাহ্’র পথে লড়াইকারী, সাদাকা উঠানোর কাজে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী, অন্যের জরিমানা বা দিয়াত বহনকারী, যে ধনী ব্যক্তি নিজ পয়সা দিয়েই সাদাকার বস্তু কিনে নিয়েছে, যে ধনী ব্যক্তির প্রতিবেশী গরিব এবং তাকেই কেউ কোন কিছু সাদাকা দিলে সে যদি তা ধনী ব্যক্তিকে হাদিয়া হিসেবে দেয়’’।[2]
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ১৬৩৪ তিরমিযী, হাদীস ৬৫২)
[2] (আবু দাউদ, হাদীস ১৬৩৫)

বাধ্য-বাধকতা ছাড়া কোন মৃত ব্যক্তিকে রাত্রি বেলায় দাফন করা

জাবির বিন্ ’আব্দুল্লাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَدْفِنُوْا مَوْتَاكُمْ بِاللَّيْلِ إِلاَّ أَنْ تُضْطَرُّوْا
‘‘তোমরা কখনো একান্ত বাধ্য না হলে মৃতদেরকে রাত্রি বেলায় দাফন করো না’’।[1]

তবে নিতান্ত প্রয়োজনে কোন মৃত ব্যক্তিকে রাতের বেলায় দাফন করা যেতে পারে।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

أَدْخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلاً قَبْرَهُ لَيْلاً ، وَأَسْرَجَ فِيْ قَبْرِهِ
‘‘রাসূল (সা.) জনৈক ব্যক্তিকে রাত্রি বেলায় তার কবরে আলো জ্বালিয়ে তাকে কবরস্থ করেন’’।[2]
[1] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৫৪৩)
[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৫৪২)

কুষ্ঠ রোগীর প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকানো

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تُدِيْمُوْا النَّظَرَ إِلَى الـْمَجْذُوْمِيْنَ

‘‘তোমরা কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত করো না’’।[1]
[1] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৬০৯)

নিজের প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি বিক্রি করা
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يُبَاعُ فَضْلُ الْـمَاءِ لِيُبَاعَ بِهِ الْكَلَأُ
‘‘কারোর অতিরিক্ত পানি যেন বিক্রি করা না হয়। তা না হলে একদা ঘাসও বিক্রি করা হবে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৫৬৬)

কোন মুসলমান মৃতকে গাল-মন্দ করা

’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা নবী (সা.) এর নিকট জনৈক মৃত ব্যক্তিকে মন্দ বলা হলে তিনি বলেন:

لاَ تَذْكُرُوْا هَلْكَاكُمْ إِلاَّ بِخَيْرٍ
‘‘তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে একমাত্র সুনামের সাথেই স্মরণ করবে’’।[1]

’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَسُبُّوْا الْأَمْوَاتَ ، فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوْا
‘‘তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে কখনো গালি দিও না। কারণ, তারা তো নিশ্চয়ই তাদের কৃতকর্ম নিয়েই পরকালে পাড়ি জমিয়েছে’’।[2]

এমনকি মৃতদেরকে গাল-মন্দ করলে তাদের জীবিত আত্মীয়-স্বজন এবং তাদের বন্ধু-প্রিয়জনরাও কষ্ট পায়।

মুগীরাহ্ বিন্ শু’বাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَسُبُّوْا الْأَمْوَاتَ ، فَتُؤْذُوْا الْأَحْيَاءَ
‘‘তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে কখনো গালি দিও না। কারণ, তাতে জীবিতরাও কষ্ট পায়’’।[3]তবে পথভ্রষ্ট মৃত বিদ্’আতীদের সম্পর্কে সাধারণ জন সাধারণকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের ভুল-ত্রুটিগুলো মানুষের সামনে সবিস্তারে ও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা যেতে পারে।
[1] (নাসায়ী, হাদীস ১৯৩৭)
[2] (বুখারী, হাদীস ৬৫১৬ নাসায়ী, হাদীস ১৯৩৮)
[3] (তিরমিযী, হাদীস ১৯৮২)

কোন মহিলার নিজকে নিজে অথবা কোন আত্মীয়া মহিলাকে কারোর নিকট বিবাহ্ দেয়া

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تُزَوِّجُ الْـمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ ، وَلاَ تُزَوِّجُ الْـمَرْأَةُ نَفْسَهَا
‘‘কোন মহিলা অন্য কোন মহিলাকে। তেমনিভাবে কোন মহিলা নিজকে নিজে অন্য কারোর কাছে বিবাহ্ দিতে পারে না’’।[1]

’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ، وَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لاَ وَلِيَّ لَهُ
‘‘কোন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া কোন মহিলার বিবাহ্ শুদ্ধ হবে না। তবে কোন এলাকার প্রশাসকই হবে সেই মহিলার অভিভাবক যার কোন পুরুষ অভিভাবক নেই’’।[2]

’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا ؛ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ ، فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ ، فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ، فَإِنْ دَخَلَ بِهَا ؛ فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا ، فَإِنِ اشْتَجَرُوْا؛ فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لاَ وَلِيَّ لَهُ
‘‘কোন মহিলা তার কোন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কারোর নিকট বিবাহ্ বসলে তার উক্ত বিবাহ্ বাতিল বলে গণ্য হবে। তার উক্ত বিবাহ্ বাতিল বলে গণ্য হবে। তার উক্ত বিবাহ্ বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে তার উক্ত বিবাহ্’র ভিত্তিতে তার কথিত স্বামী যদি তার সাথে সহবাস করে থাকে তা হলে সে মহিলা উক্ত সহবাসের দরুন তার পূর্ণ মোহর পাবে। তবে কোন মহিলার যদি সত্যিকার কোন অভিভাবক না থাকে বরং তার আত্মীয়-স্বজনরা তার অভিভাবকত্ব নিয়ে ঝগড়া বাধায় তা হলে সে মহিলার অভিভাবক হবে উক্ত এলাকার প্রশাসকই’’।[3]
[1] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৯০৯)
[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৯০৭)
[3] (তিরমিযী, হাদীস ১১০২ আবু দাউদ, হাদীস ২০৮৩ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৯০৬)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




***********************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url