যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (৩০) || কোন মহিলাকে তালাক নিতে বাধ্য করা || হজ্জরত অবস্থায় কোন গুনাহে লিপ্ত হওয়া ||





একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ

৩০-তম পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

আত্মসাৎকারী, বিশ্বাসঘাতক, বিদ্বেষী, অধীনস্থ ও ব্যভিচারীর সাক্ষী গ্রহণ

বিচারের ক্ষেত্রে আত্মসাৎকারী, বিশ্বাসঘাতক, বিদ্বেষী, অধীনস্থ ও ব্যভিচারীর সাক্ষী গ্রহণ করা
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আমর বিন্ ’আস্ব্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও ’আমর বিন্ শু’আইব্ তাঁর পিতা থেকে এবং তাঁর পিতা তাঁর দাদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন:

رَدَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهَادَةَ الْـخَائِنِ وَالْـخَائِنَةِ وَذِي الْغِمْرِ عَلَى أَخِيهِ وَرَدَّ شَهَادَةَ الْقَانِعِ لِأَهْلِ الْبَيْتِ وَأَجَازَهَا لِغَيْرِهِمْ

‘‘রাসূল (সা.) কোন বিশ্বাসঘাতক পুরুষ ও মহিলা এবং কোন বিদ্বেষীর সাক্ষী তার প্রতিপক্ষের ব্যাপারে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তেমনিভাবে কোন পরিবারের পক্ষে তাদের কোন কাজের লোক কিংবা অধীনস্থের সাক্ষী তিনি অগ্রাহ্য করেন। তবে তিনি তাদের সাক্ষী অন্যদের ব্যাপারে বৈধ করেছেন’’।[1]

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আমর বিন্ ’আস্ব্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও ’আমর বিন্ শু’আইব্ তাঁর পিতা থেকে এবং তাঁর পিতা তাঁর দাদা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণনা করেন: তাঁরা বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لَا تَجُوزُ شَهَادَةُ خَائِنٍ وَلَا خَائِنَةٍ وَلَا زَانٍ وَلَا زَانِيَةٍ وَلَا ذِيْ غِمْرٍ عَلَى أَخِيهِ

‘‘কোন বিশ্বাসঘাতক পুরুষ ও মহিলার সাক্ষী এবং কোন ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর সাক্ষী, তেমনিভাবে কোন বিদ্বেষীর সাক্ষী তার প্রতিপক্ষের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নয়’’।[2]
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৩৬০০)
[2] (আবু দাউদ, হাদীস ৩৬০০)

কোর’আন, সুন্নাহ্ তথা শরীয়তকে অস্বীকার করা হয় এমনবৈঠকে বসা

যে বৈঠকে কোর’আন, সুন্নাহ্ তথা শরীয়তকে অস্বীকার কিংবা তা নিয়ে ঠাট্টা করা হয় এমন বৈঠকে বসা
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا

‘‘নিশ্চয়ই তিনি নিজ কিতাবে তোমাদের উপর এ নির্দেশ নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা কোথাও আল্লাহ্ তা’আলার আয়াত সমূহের প্রতি অবিশ্বাস কিংবা উপহাস শুনতে পাও তখন তোমরা সেখানে তাদের সাথে বসো না যতক্ষণ না তারা এ কথা ছাড়া অন্য কথা আলোচনা করে। অন্যথা তোমরাও তাদের মতো বলে গণ্য হবে। আর আল্লাহ্ তা’আলা কাফির ও মুনাফিকদের সকলকেই জাহান্নামে একত্রিত করবেন’’। (সূরা নিসা: ১৪০)

ইহুদি-খ্রিস্টান ছাড়া অন্য কোন মুশরিক মহিলাকে বিবাহ

ইহুদি-খ্রিস্টান ছাড়া অন্য যে কোন মুশরিক মহিলাকে বিবাহ করা
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَلَا تَنكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ ۚ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ ۗ وَلَا تُنكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا ۚ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ ۗ أُولَٰئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ ۖ وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ ۖ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

‘‘তোমরা মুশরিক মেয়েদেরকে বিবাহ্ করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। একজন মু’মিন বান্দী একজন মুশরিক মহিলা থেকে অনেক উত্তম। যদিও সে অত্যন্ত আকর্ষণকারিণীই হোক না কেন। তেমনিভাবে তোমরা কোন মুশরিকের নিকট নিজেদের অধীনস্থ কোন মেয়েকে বিবাহ্ দিও না যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। একজন মু’মিন বান্দাহ্ একজন মুশরিক পুরুষ চাইতে অনেক উত্তম। যদিও সে অত্যন্ত আকর্ষণকারীই হোক না কেন। তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে ডাকে। আর আল্লাহ্ তা’আলা নিজ ইচ্ছায় সবাইকে জান্নাত ও মাগ্ফিরাতের দিকে ডাকছেন এবং তিনি সকল মানুষের জন্য নিজ আয়াত সমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যেন তারা তা থেকে সহজভাবেই উপদেশ গ্রহণ করতে পারে’’। (বাক্বারাহ্ : ২২১)

ইদ্দতরত অবস্থায় স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়া

এক বা দু’ তালাকপ্রাপ্তা কোন মহিলাকে ইদ্দতরত অবস্থায় স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়া
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ ۖ لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِن بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَن يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ ۚ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ ۚ لَا تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَٰلِكَ أَمْرًا

‘‘হে নবী! তুমি নিজ উম্মতকে বলে দাও, যখন তোমরা নিজ স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও তখন তোমরা তাদেরকে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখেই তালাক দিবে এবং ইদ্দতের হিসেব রাখবে। উপরন্তু তোমরা নিজ প্রভু আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করো। আর তাদেরকে ইদ্দতরত অবস্থায় নিজ ঘর থেকে বের করে দিও না এবং তারাও স্বেচ্ছায় যেন নিজ ঘর থেকে বের হয়ে না যায়। যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এগুলো হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার একান্ত বিধান। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার বিধান লঙ্ঘন করে সে যেন নিজেই নিজের উপর অত্যাচার করলো। তুমি তো জানো না, হয়তো বা আল্লাহ্ তা’আলা এরপর কোন উপায় বের করে দিবেন’’। (ত্বালাক : ১)

নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইদ্দত পালন না করা

কোন তালাকপ্রাপ্তা মহিলা তার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইদ্দত পালন না করা
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ ۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوا إِصْلَاحًا ۚ وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

‘‘তালাকপ্রাপ্তা মহিলাগণ তিন ঋতুস্রাব অথবা তৎপরবর্তী পরিপূর্ণ তিনটি পবিত্রতার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তাদের জন্য কখনো জায়িয হবে না তাদের গর্ভ ধারণের ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখা যদি তারা নিজকে আল্লাহ্ তা’আলা ও পরকালে বিশ্বাসী বলে মনে করে। এ দিকে তাদের স্বামীগণই পুনরায় তাদেরকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে নেয়ার বিশেষ অধিকার রাখেন যদি তাঁরা সত্যিই সংশোধনের ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। নারীদেরও পুরুষের উপর ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেমনিভাবে রয়েছে নারীদের উপর পুরুষের অধিকার। তবে এ ব্যাপারে নারীদের উপর পুরুষদের অবশ্যই শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ তা’আলাই হচ্ছেন পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময়’’। (বাক্বারাহ্ : ২২৮)

তালাক দিয়ে আবারো ফিরিয়ে নেয়া

কোন মহিলাকে শুধু কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে তালাক দিয়ে তার ইদ্দত শেষ হওয়ার কিছু পূর্বেই তাকে আবারো ফিরিয়ে নেয়া
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ ۚ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِّتَعْتَدُوا ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ ۚ وَلَا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا ۚ وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنَ الْكِتَابِ وَالْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

‘‘যখন তোমরা নিজ স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তারা ইদ্দতের শেষ পর্যায়ে উপনীত হয় তখন তোমরা তাদেরকে ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজের অধীনে রাখো অথবা ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদেরকে পরিত্যাগ করো। তাদের উপর কোন ধরনের অত্যাচার কিংবা তাদের কোন প্রকারের ক্ষতি করার জন্য তাদেরকে নিজের অধীনে আটকে রাখো না। যে ব্যক্তি এমন করলো সে যেন নিজের উপরই যুলুম করলো। আর তোমরা কখনো আল্লাহ্ তা’আলার আয়াত সমূহকে বিদ্রূপাচ্ছলে গ্রহণ করো না’’। (বাক্বারাহ্ : ২৩১)

বিবাহে সাধুবাদ জানানো

কারোর বিবাহে সাধুবাদ জানাতে গিয়ে অমুসলিমদের শেখানো শব্দে সাধুবাদ জানানো
’আক্বীল বিন্ আবী তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি একদা বানী জুশাম গোত্রের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ্ করলে কিছু লোক এসে তাঁকে بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِيْنِ (তোমরা উভয়ে এক হয়ে মিলেমিশে থাকো) বলে ধন্যবাদ জানালে তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

لاَ تَقُولُوا هَكَذَا وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لـَهُمْ وَبَارِكْ عَلَيْهِمْ

‘‘তোমরা এমন কথা বলো না। বরং বলো যা একদা স্বয়ং রাসূল (সা.) বলেছেন। তিনি বলেছেন: ’’আল্লাহুম্মা বা’রিক লাহুম ওয়া বা’রিক ’আলাইহিম’’ যার অর্থ: হে আল্লাহ্! আপনি তাদের কল্যাণে এবং তাদের উপরই সরাসরি বরকত ঢেলে দিন’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) যখন কাউকে বিয়ে-শাদির ব্যাপারে ধন্যবাদ দিতে চাইতেন তখন বলতেন:

باَرَكَ اللهُ لَكُمْ وَبَارَكَ عَلَيْكُمْ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِى خَيْرٍ

‘‘আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের কল্যাণে এবং তোমাদের উপরই সরাসরি বরকত ঢেলে দিন। উপরন্তু তোমাদেরকে কল্যাণের উপরই একত্রিত করুন’’।[2]
[1] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৯৩৩)
[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ১৯৩২)

শুধু ধনীদেরকেই ওয়ালিমা তথা বৌভাতের দা’ওয়াত দেয়া

শুধু ধনীদেরকেই ওয়ালিমা তথা বৌভাতের দা’ওয়াত দেয়া কিংবা কারোর ওয়ালিমার দা’ওয়াত বিনা ওযরে প্রত্যাখ্যান করা
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُمْنَعُهَا مَنْ يَأْتِيهَا وَيُدْعَى إِلَيْهَا مَنْ يَأْبَاهَا وَمَنْ لَمْ يُجِبْ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ

‘‘সেই ওয়ালিমা তথা বৌভাতের খানা সর্ব নিকৃষ্ট খানা যাতে এমন লোকগুলোকে আসতে দেয়া হয় না যারা তাতে আসতে চায়। বরং তাতে এমন লোকগুলোকে দা’ওয়াত দেয়া হয় যারা তাতে আসতে চায় না। যে ব্যক্তি কারোর ওয়ালিমার দা’ওয়াত অগ্রাহ্য করলো সে যেন সরাসরি আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূল (সা.) এর অবাধ্য হলো’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন:

شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى لَهَا الْأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْفُقَرَاءُ وَمَنْ تَرَكَ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ

‘‘সেই ওয়ালিমা তথা বৌভাতের খানা সর্ব নিকৃষ্ট খানা যাতে শুধুমাত্র ধনীদেরকেই দা’ওয়াত দেয়া হয় এবং তাতে গরীবের প্রতি কোন ধরনের ভ্রূক্ষেপ করা হয় না। যে ব্যক্তি কারোর ওয়ালিমার দা’ওয়াত অগ্রাহ্য করলো সে যেন সরাসরি আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূল (সা.) এর অবাধ্য হলো’’।[2]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৪৩২)
[2] (বুখারী, হাদীস ৫১৭৭ মুসলিম, হাদীস ১৪৩২)

কোন মহিলাকে তালাক নিতে বাধ্য করা

কোন মহিলাকে অহেতুক কষ্ট দিয়ে খোলা তালাক তথা অর্থের বিনিময়ে তালাক নিতে বাধ্য করা
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ ۖ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

‘‘তালাক দিলে তা শুধুমাত্র দু’বারই দিতে হয়। এরপর ন্যায়সঙ্গতভাবে উক্ত মহিলাকে নিজের অধীনে ফিরিয়ে নিবে নতুবা সৎভাবে তাকে পরিত্যাগ করবে। তোমাদের কারোর জন্য হালাল হবে না তাদেরকে মোহর হিসেবে দেয়া অর্থের কিয়দংশ ফেরত নেয়া। তবে তারা উভয় যদি এ ব্যাপারে দৃঢ় আশঙ্কা করে যে, তারা বিবাহ্ সংক্রান্ত আল্লাহ্ তা’আলার বিধি-বিধানগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবে না তা হলে তা হবে একটি ভিন্ন ব্যাপার। অতএব তোমরা যদি তাদের ব্যাপারে এমন ধারনা করো যে, তারা বিবাহ্ সংক্রান্ত আল্লাহ্ তা’আলার বিধি-বিধানগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবে না তা হলে উক্ত মহিলা নিজকে তার স্বামীর অধীন থেকে মুক্ত করার জন্য তাকে কোন অর্থ দিলে তা দিতে ও গ্রহণ করতে কোন অসুবিধে নেই। এগুলো হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার বিধান। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। যারা আল্লাহ্’র বিধি-বিধানের নির্ধারিত সীমাগুলো লঙ্ঘন করবে তারাই হচ্ছে সত্যিকারের যালিম’’। (বাক্বারাহ্ : ২২৯)

হজ্জরত অবস্থায় কোন গুনাহে লিপ্ত হওয়া

হজ্জরত অবস্থায় কোন ধরনের যৌনাচার, গুনাহ্’র কাজ কিংবা ঝগড়া-ঝামেলায় লিপ্ত হওয়া
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ ۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ ۗ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَىٰ ۚ وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ

‘‘হজ্জের মাসগুলো নির্ধারিত। অতএব কেউ যদি এ মাসগুলোতে হজ্জ করার দৃঢ় সংকল্প করে তা হলে সে যেন হজ্জকালীন সময়ে কোন ধরনের যৌনাচার, শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড কিংবা ঝগড়া-ঝামেলায় লিপ্ত না হয়’’। (বাক্বারাহ্ : ১৯৭)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




*****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url