যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (২৩) || দীর্ঘ সময় মেহমান হওয়া || ইফতার করতে দেরি করা || নামাযরত অবস্থায় চুল বাঁধা বা কাপড় পড়া ||






পর্ব-২৩ এর আলোচ্য বিষয়সমূহঃ


নামাযরত অবস্থায় চুল বাঁধা বা কাপড় পড়া

নামাযরত অবস্থায় নিজ কাপড় কিংবা চুল একত্রিত করা ও বাঁধা নিষেধ
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ : الْجَبْهَةِ – وَأَشَارَ بِيَدِهِ عَلَى أَنْفِهِ – وَالْيَدَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ ، وَلاَ نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَلاَ الشَّعْرَ

‘‘আমাকে আদেশ করা হয়েছে সাতটি হাড়ের উপর সিজ্দাহ্ করতে। কপাল (রাসূল (সা.) নিজ হাত দিয়ে নাকের দিকে ইশারা করেছেন) দু’ হাত, দু’ পা তথা হাঁটু এবং দু’ পায়ের আঙ্গুলাগ্র। আর যেন আমরা (নামাযরত অবস্থায়) নিজ কাপড় ও চুল একত্রিত না করি এবং না বাঁধি’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৪৯০)

মধ্যমা কিংবা শাহাদাত অঙ্গুলিতে আংটি পরা

মধ্যমা কিংবা শাহাদাত অঙ্গুলিতে যে কোন ধরনের আংটি পরা নিষেধ
আবু বুরদাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ’আলী (রা.) ইরশাদ করেন:

نَهَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَتَخَتَّمَ فِيْ إِصْبَعِيْ هَذِهِ أَوْ هَذِهِ ، قَالَ: فَأَوْمَأَ إِلَى الْوُسْطَى وَالَّتِيْ تَلِيْهَا

‘‘রাসূল (সা.) আমাকে এ আঙ্গুল অথবা এ আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। আবু বুরদাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন: তখন ’আলী (রা.) তাঁর মধ্যমা ও শাহাদাত অঙ্গুলির প্রতি ইশারা করেছেন’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২০৭৮ নাসায়ী, হাদীস ৫২১২, ৫২১৩, ৫২১৪ আবু ’আওয়ানাহ্, হাদীস ৮৫৯১)

ফরয নামাযের ইক্বামাতের পরও সুন্নাত বা নফলে রত থাকা

কোন ফরয নামাযের ইক্বামাতের পরও যে কোন সুন্নাত কিংবা নফল নামাযে রত থাকা নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا أُقِيْمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْـمَكْتُوْبَةَ

‘‘যখন কোন ফরয নামাযের ইক্বামাত দেয়া হয় তখন উক্ত ফরয নামায ছাড়া তখন অন্য কোন (সুন্নাত বা নফল নামায) পড়া চলবে না’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৭১০)

দো’আরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো

নামাযে দো’আরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِيْ الصَّلاَةِ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ

‘‘নামাযে দো’আরত অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত তারা যেন তা দ্বিতীয়বার না করে। অন্যথায় তাদের দৃষ্টি হৃত-লুন্ঠিত হবে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৪২৯)

রাসূল (সা.) এর পরিবারের কারও যাকাত গ্রহণ করা

রাসূল (সা.) এর পরিবারবর্গ কারোর যাকাত গ্রহণ করা নিষেধ
আব্দুল্-মুত্তালিব্ বিন্ রাবী’আহ্ বিন্ ’হারিস্ ও ফাযল্ বিন্ ’আব্বাস্ বিন্ ’আব্দুল মুত্তালিব (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِيْ لِآلِ مُحَمَّدٍ ، إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ

‘‘নিশ্চয়ই সাদাকা তথা যাকাত গ্রহণ করা মুহাম্মাদ (সা.) এর পরিবারবর্গের জন্য উচিৎ নয়। মূলতঃ তা হচ্ছে মানুষের ময়লা-আবর্জনা’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১০৭২)

সামান্য হলেও সাদাকা করতে অবহেলা করা

কোন কিছু সামান্য হলেও তা কাউকে সাদাকা করতে অবহেলা করা নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) প্রায়ই বলতেন:

يَا نِسَاءَ الْـمُسْلِمَاتِ! لاَ تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شَاةٍ

‘‘হে মুসলিম মহিলারা! কোন প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীকে কোন কিছু তা যদিও অতি সামান্য হয় তুচ্ছ মনে করে দেয়া থেকে বিরত থাকবে না এমনকি তা ছাগলের খুরই বা হোক না কেন’’।[1]

উম্মু বুজাইদ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি একদা রাসূল (সা.) কে বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! অনেক সময় গরিব লোক এসে আমার দরজায় ধন্না দেয় ; অথচ আমার কাছে তখন দেয়ার মতো কিছুই থাকে না। তখন রাসূল (সা.) বললেন:

إِنْ لَمْ تَجِدِيْ إِلاَّ ظِلْفًا مُحَرَّقًا فَادْفَعِيْهِ إِلَيْهِ فِيْ يَدِهِ ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: لاَ تَرُدِّيْ سَائِلَكِ وَلَوْ بِظِلْفٍ

‘‘যদি তুমি ছাগলের একটি পোড়া খুরও পাও তাই তুমি তার হাতে তুলে দিবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তুমি ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দিবে না। একটি খুর দিয়ে হলেও তাকে বিদায় দিবে’’।[2]

আসমা’ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি একদা নবী (সা.) এর নিকট গিয়ে তাঁকে বললাম। হে আল্লাহ্’র নবী! আমার নিজস্ব কোন সম্পদ নেই। শুধু ততটুকুই যা আমাকে আমার স্বামী যুবাইর দিয়ে থাকে। আমি ততটুকু থেকেই যদি সামান্য কিছু অংশ কাউকে সাদাকা করে দেই তাতে কোন অসুবিধা আছে কি? তখন রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

ارْضَخِيْ مَا اسْتَطَعْتِ ، لاَ تُوْعِيْ فَيُوْعِيَ اللهُ عَلَيْكِ

‘‘যা পারো দান করতে থাকো। টাকা-পয়সা ধরে রেখো না তা হলে আল্লাহ্ তা’আলাও তাঁর নিয়ামত সমূহ ধরে রাখবেন’’।[3]
[1] (বুখারী, হাদীস ৬০১৭ মুসলিম, হাদীস ১০৩০)
[2] (তিরমিযী, হাদীস ৬৬৫ স’হীহুত্ তারগীবি ওয়াত্ তার্হীব, হাদীস ৮৮৪ আবু দাউদ, হাদীস ১৬৬৭)
[3] (বুখারী, হাদীস ১৪৩৪ মুসলিম, হাদীস ১০২৯)

রমযানের চাঁদ উঠার আগে থেকেই রোযা রাখা শুরু করা

রমযানের চাঁদ উঠার দু’ এক দিন আগ থেকেই রোযা রাখা শুরু করা নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَقَدَّمُوْا رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ وَلاَ يَوْمَيْنِ ، إِلاَّ رَجُلٌ كَانَ يَصُوْمُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ

‘‘তোমরা কেউ রমযানের চাঁদ উঠার দু’ এক দিন আগ থেকে রোযা রাখা শুরু করো না। তবে কেউ এমন দিনে পূর্ব থেকেই রোযা রাখতে অভ্যস্ত থাকলে সে যেন তা রাখে’’।[1]

যেমনঃ কেউ প্রতি সপ্তাহ সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেঅভ্যস্ত। অতঃপর উক্ত দিনটি রমযানের এক বা দু’ দিন আগে এসে গেলো তখন সে উক্ত দিনেই তার পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী রোযা রাখবে। যদিও তা রমযানের এক বা দু’ দিন আগেই হয়ে থাকুক না কেন।
[1] (মুসলিম, হাদীস ১০৮২)

ইফতার করতে দেরি করা

ইফতারের সময় হয়ে গেলেও তা করতে দেরি করা নিষেধ
সাহল্ বিন্ সা’দ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوْا الْفِطْرَ

‘‘মানুষ সর্বদা কল্যাণের উপর থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার তাড়াতাড়ি করবে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১০৯৮)

দীর্ঘ সময় মেহমান হওয়া

এমন লোকের নিকট দীর্ঘ সময় মেহমান হওয়া যার নিকট মেহমানকে খাওয়ানোর জন্য কিছুই নেই-নিষেধ
আবু শুরাই’হ্ খুযা’য়ী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

الضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ، وَجَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ ، وَلاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أَنْ يُقِيْمَ عِنْدَ أَخِيْهِ حَتَّى يُؤْثِمَهُ ، قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَكَيْفَ يُؤْثِمُهُ ؟ قَالَ : يُقِيْمُ عِنْدَهُ ، وَلاَ شَيْءَ لَهُ يَقْرِيْهِ بِهِ

‘‘মেহমানদারি তিন দিন পর্যন্ত। তবে মেহমানের পুরস্কার হচ্ছে এক দিন ও এক রাত। কোন মোসলমানের জন্য জায়িয হবে না তার অন্য কোন মোসলমান ভাইয়ের নিকট মেহমান হিসেবে এতক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করা যাতে সে গুনাহ্গার হতে বাধ্য হয়। সাহাবাগণ বললেন: কিভাবে সে অন্যকে গুনাহ্গার হতে বাধ্য করবে ? রাসূল (সা.) বললেন: সে এমন লোকের নিকট মেহমান হিসেবে অবস্থান করবে ; যার নিকট তাকে মেহমানদারি করার মতো কিছুই নেই’’।[1]

অন্য বর্ণনায় রয়েছে,

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِـزَتَهُ ، قَالُوْا : وَمَا جَائِزَتُهُ ؟ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَالَ : يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ ، وَالضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهِ

‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলা ও পরকালে বিশ্বাসী সে যেন তার মেহমানকে তার পুরস্কার পরিমাণ মেহমানদারি করে। সাহাবাগণ বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! তার পুরস্কার পরিমাণ মেহমানদারি কতটুকু ? তিনি বললেন: তা হচ্ছে এক দিন ও এক রাত। তবে তার মেহমানদারি হচ্ছে তিন দিন পর্যন্ত। এরপর যা হবে তা হবে তার উপর সাদাকা মাত্র’’।[2]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৪৮)
[2] (মুসলিম, হাদীস ৪৮)

শত্রু এলাকায় কুরআন সাথে নিয়ে সফর করা

অমুসলিম কোন শত্রু এলাকায় কুর’আন সঙ্গে নিয়ে সফর করা নিষেধ
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ ، مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ

‘‘রাসূল (সা.) কুর’আনকে সঙ্গে নিয়ে (অমুসলিম) শত্রু এলাকায় সফর করতে নিষেধ করেছেন। রাসূল (সা.) এতে শত্রুর পক্ষ থেকে কোর’আন অবমাননার আশঙ্কা বোধ করছিলেন’’।[1]

অন্য বর্ণনায় রয়েছে,

لاَ تُسَافِرُوْا بِالْقُرْآنِ ، فَإِنِّيْ لاَ آمَنُ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ

‘‘তোমরা কুর’আনকে সঙ্গে নিয়ে (অমুসলিম শত্রু এলাকায়) সফর করো না। কারণ, আমি এ ব্যাপারে নিরাশঙ্ক নয় যে, শত্রু পক্ষ তা হাতে পেয়ে উহার কোন রূপ অবমাননা করবে না’’।[2]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৮৬৯)
[2] (মুসলিম, হাদীস ১৮৬৯)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব



****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url