Mohammadia Foundation
https://www.mohammadiafoundationbd.com/2022/08/Nishiddho-kaj21.html
যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (২১) || কাউকে বান্দাহ্-বান্দি বলে ডাকা || নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা || ধর্মীয় কাজে অবহেলা প্রদর্শন করা ||
একজন মুসলিম হিসাবে কোন কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ
এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
- স্বামীর অনুমতি ছাড়াই কারোর ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলা নিষেধ
- কাউকে তার উপর একচ্ছত্র আধিপত্য বুঝায় এমন শব্দে তথা বান্দাহ্-বান্দি বলে ডাকা নিষেধ
- আল্লাহ্ তা’আলার কোন গুণবাচক নামে নিজের নাম কিংবা উপনাম রাখা নিষেধ
- আরব উপদ্বীপে কোন ইহুদি, খ্রিস্টান কিংবা মুশরিকের বসবাস করতে দেয়া নিষেধ
- কোন নামাযের ওযু শেষে উক্ত নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত উক্ত ওযুকারীর এক হাতের আঙ্গুলগুলোকে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে প্রবেশ করানো নিষেধ
- নামাযরত অবস্থায় নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা নিষেধ
- আল্লাহ্ তা’আলার নিজস্ব সত্তা নিয়ে কারোর চিন্তা-ভাবনা করা নিষেধ
- ধর্মীয় কাজে এমন ধীরতা অবলম্বন করা যাতে উক্ত কাজের প্রতি নিজের কিছুটা অবহেলা রয়েছে বুঝায় এমনটা করা নিষেধ
- কোন যাচ-বিচার ছাড়াই যা শুনা তা বলা নিষেধ
- ছোটকে স্নেহ কিংবা বড়কে সম্মান না করা নিষেধ
অনুমতি ছাড়া কারোর স্ত্রীর সাথে কথা বলা
স্বামীর অনুমতি ছাড়াই কারোর ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলা নিষেধ
’আলী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَنْ تُكَلَّمَ النِّسَاءُ – يَعْنِيْ: فِيْ بُيُوْتِهِنَّ – إِلاَّ بِإِذْنِ أَزْوَاجِهِنَّ
‘‘রাসূল (সা.) স্বামীর অনুমতি ছাড়া কারোর ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন’’।[1]
[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ৬৫২)
কাউকে বান্দাহ্-বান্দি বলে ডাকা
কাউকে তার উপর একচ্ছত্র আধিপত্য বুঝায় এমন শব্দে তথা বান্দাহ্-বান্দি বলে ডাকা নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يَقُلْ أَحَدُكُـمْ : عَبْدِيْ ، أَمَتِيْ ، كُلُّكُمْ عَبِيْدُ اللهِ ، وَكُلُّ نِسَائِكُمْ إِمَاءُ اللهِ ، وَلْيَقُلْ: غُلاَمِيْ ، جَارِيَتِيْ ، وَفَتَايَ ، وَفَتَاتِيْ
‘‘তোমাদের কেউ যেন না বলে: আমার বান্দাহ্ এবং আমার বান্দি। কারণ, তোমরা সবাই আল্লাহ্’র বান্দাহ্ এবং তোমাদের সকল মহিলা আল্লাহ্’র বান্দি। বরং বলবে: আমার কাজের ছেলে এবং আমার কাজের মেয়ে। আমার যুবক এবং আমার যুবতী’’।[1]
[1] (আদাবুল-মুফরাদ্, হাদীস ২০৯)
আল্লাহর কোন গুণবাচক নামে কারোর নাম রাখা
আল্লাহ্ তা’আলার কোন গুণবাচক নামে নিজের নাম কিংবা উপনাম রাখা নিষেধ
হা’নী বিন্ ইয়াযীদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: তিনি একদা তাঁর গোত্রের লোকদের সাথে নবী (সা.) এর নিকট আগমন করলে নবী (সা.) শুনতে পান যে, সবাই তাঁকে আবুল-’হাকাম বলে ডাকে। তখন নবী (সা.) তাঁকে ডেকে বললেন:
إِنَّ اللهَ هُوَ الْـحَكَمُ ، وَإِلَيْهِ الْـحُكْمُ ، فَلِمَ تَكَنَّيْتَ بِأَبِيْ الْـحَكَمِ ؟!
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা একক মহান বিচারপতি। তার উপরই সকল বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত। তা হলে তুমি আবুল-’হাকাম উপনামটি নিজের জন্য গ্রহণ করলে কেন’’?[1]তিনি বললেন: না, আমি তা নিজে গ্রহণ করিনি। বরং আমার গোত্র যখন কোন ব্যাপার নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতো তখন তারা আমার নিকট আসলে আমি তাদের মাঝে উপযুক্ত বিচার-ফায়সালা করে দিলে তারা উভয় পক্ষ খুশি হতো। রাসূল (সা.) বললেন: ব্যাপারটি তো খুবই চমৎকার। অতঃপর বললেন: তোমার কি কোন সন্তান আছে? তিনি বললেন: আমার চারটি সন্তান আছে। তারা হলো: শুরাইহ্, আব্দুল্লাহ্, মুসলিম ও হানী। রাসূল (সা.) বললেন: তাদের মধ্যে বড়ো কে? তিনি বললেন: শুরাইহ্। তখন রাসূল (সা.) বললেন: তা হলে তুমি হচ্ছো আবু শুরাইহ্। অতঃপর রাসূল (সা.) তার ও তার সন্তানের জন্য দো’আ করলেন।
[1] (আদাবুল-মুফ্রাদ্, হাদীস ৮১১)
আরব উপদ্বীপে অমুসলিমকে থাকতে দেওয়া
আরব উপদ্বীপে কোন ইহুদি, খ্রিস্টান কিংবা মুশরিকের বসবাস করতে দেয়া নিষেধ
আবু ’উবাইদাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
أَخْرِجُوْا يَهُوْدَ أَهْلِ الْحِجَازِ وَأَهْلِ نَجْرَانَ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ ، وَاعْلَمُوْا أَنَّ شِرَارَ النَّاسِ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ
‘‘তোমরা আরব উপদ্বীপ থেকে নাজরান ও ’হিজায অধিবাসী ইহুদিদেরকে বের করে দাও এবং জেনে রাখো, সর্ব নিকৃষ্ট মানুষ হচ্ছে ওরা যারা নিজেদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে’’।[1]
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
أَخْرِجُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ ، وَ أَجِيْزُوْا الْوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيْزُهُمْ
‘‘তোমরা আরব উপদ্বীপ থেকে মুশ্রিক তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বের করে দাও। তবে তোমরা তাদের প্রতিনিধি দলকে প্রবেশের অনুমতি দিবে যেভাবে আমি তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতাম’’।[2]
’উমর বিন্ খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لَئِنْ عِشْتُ – إِنْ شَاءَ اللهُ - لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ حَتَّى لاَ أَدَعَ إِلاَّ مُسْلِمًا
‘‘আল্লাহ্ চায়তো আমি আরো কিছু দিন বেঁচে থাকলে ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে আরব উপদ্বীপ থেকে অবশ্যই বের করে দেবো। যেন এতে মুসলমান ছাড়া আর কেউ না থাকে’’।[3]
[1] (আহমাদ্, হাদীস ১৬৯১ ’হুমাইদী, হাদীস ৮৫)
[2] (বুখারী, হাদীস ৩০৫৩, ৩১৬৮, ৪৪৩১ মুসলিম, হাদীস ১৬৩৭ আহমাদ্, হাদীস ১৯৩৫ আবু দাউদ, হাদীস ৩০২৯)
[3] (মুসলিম, হাদীস ১৭৬৭ তিরমিযী, হাদীস ১৬০৬, ১৬০৭ আবু দাউদ, হাদীস ৩০৩০)
ওযু অবস্থায় এক হাতের আঙ্গুলকে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে প্রবেশ করানো
কোন নামাযের ওযু শেষে উক্ত নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত উক্ত ওযুকারীর এক হাতের আঙ্গুলগুলোকে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে প্রবেশ করানো নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ لِلصَّلاَةِ ، فَلاَ يُشَبِّكْ بَيْنَ أَصَابِعِهِ
‘‘তোমাদের কেউ কোন নামাযের জন্য ওযু করলে সে যেন তার এক হাতের আঙ্গুলগুলোকে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে প্রবেশ না করায়’’।[1]
[1] (আস্-সিলসিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১২৯৪)
নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা
নামাযরত অবস্থায় নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা নিষেধ
আব্দুল্লাহ্ বিন্ আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِيَّايَ وَالْفُرَجَ ، يَعْنِيْ فِيْ الصَّلاَةِ
‘‘নামাযরত অবস্থায় নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা থেকে আমাকে দূরে রাখো তথা আমাকে যেন তা আর কখনো দেখতে না হয়’’।[1]
কাতারের খালি স্থান পূরণ করে একে অপরের সাথে মিলে মিলে দাঁড়ালে আল্লাহ্ তা’আলার রহমত ও ফিরিশ্তাগণের মাগফিরাতের দো’আ পাওয়া যায়।
’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الَّذِيْنَ يَصِلُوْنَ الصُّفُوْفَ
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা রহমত বর্ষণ করেন এবং তদীয় ফিরিশ্তাগণ মাগফিরাত কামনা করেন ওদের জন্য যারা নামাযে কাতারবদ্ধ হয়ে একে অপরের সাথে মিলে মিলে দাঁড়ায়’’।[2]
[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১৭৫৭)
[2] (ইবনু ওয়াহাব/জামি’ ২/৫৮)
আল্লাহর নিজস্ব সত্তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা
আল্লাহ্ তা’আলার নিজস্ব সত্তা নিয়ে কারোর চিন্তা-ভাবনা করা নিষেধ
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
تَفَكَّرُوْا فِيْ آلاَءِ اللهِ ، وَلاَ تَفَكَّرُوْا فِيْ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
‘‘তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিয়ামত সমূহ নিয়ে সর্বদা চিন্তা-ভাবনা করো। তবে তাঁর নিজস্ব সত্তা নিয়ে কখনো তোমরা চিন্তা-ভাবনা করো না’’।[1]
[1] (ত্বাবারানী/আওসাত্ব, হাদীস ৬৪৫৬ বায়হাক্বী/শু’আবুল ঈমান ১/৭৫)
ধর্মীয় কাজে অবহেলা প্রদর্শন করা
ধর্মীয় কাজে এমন ধীরতা অবলম্বন করা যাতে উক্ত কাজের প্রতি নিজের কিছুটা অবহেলা রয়েছে বুঝায় এমনটা করা নিষেধ
সা’দ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
التُّؤَدَةُ فِيْ كُلِّ شَيْءٍ إِلاَّ فِيْ عَمَلِ الْآخِرَةِ
‘‘ধীরতা প্রতিটি কাজেই ভালো ; তবে আখিরাতের কাজে নয়’’।[1]
আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
التَّأَنِّيْ مِنَ اللهِ ، وَالْعُجْلَةُ مِنَ الشَّيْطَانِ
‘‘স্থিরতা আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে এবং দ্রুততা শয়তানের পক্ষ থেকে’’।[2]
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৪৮১০ ’হাকিম ১/৬২)
[2] (আবু ইয়া’লা ৩/১০৫৪ বায়হাক্বী ১০/১০৪)
যা শুনে তা-ই বলে বেড়ানো
কোন যাচ-বিচার ছাড়াই যা শুনা তা বলা নিষেধ
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُّحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
‘‘কোন মানুষ গুনাহগার হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (কোন যাচ-বিচার ছাড়া) তাই বলবে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৫ আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৯২)
ছোটকে স্নেহ কিংবা বড়কে সম্মান না করা
ছোটকে স্নেহ কিংবা বড়কে সম্মান না করা নিষেধ
আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيْرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيْرَنَا
‘‘সে আমার উম্মতের মধ্যে শামিল নয় যে ছোটকে স্নেহ এবং বড়কে সম্মান করে না’’।[1]
[1] (তিরমিযী, হাদীস ১৯১৯)
একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব ৪র্থ পর্ব ৫ম পর্ব ৬ষ্ট পর্ব ৭ম পর্ব ৮ম পর্ব ৯ম পর্ব ১০ম পর্ব ১১তম পর্ব ১২তম পর্ব ১৩তম পর্ব ১৪তম পর্ব ১৫তম পর্ব ১৬তম পর্ব ১৭তম পর্ব ১৮তম পর্ব ১৯তম পর্ব ২০ম পর্ব ২১তম পর্ব ২২তম পর্ব ২৩তম পর্ব ২৪তম পর্ব ২৫তম পর্ব ২৬তম পর্ব ২৭তম পর্ব ২৮তম পর্ব ২৯তম পর্ব ৩০ম পর্ব ৩১তম পর্ব ৩২তম পর্ব ৩৩তম পর্ব ৩৪ম পর্ব
****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন