যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (১৯) || বিনা প্রয়োজনে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া || কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করা ||





মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো করবেন না


এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

অন্যের নিকট কৈফিয়ত দিতে হয় এমন কাজ না করা উচিৎ

আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

اُذْكُرِ الـْمَوْتَ فِيْ صَلاَتِكَ ، فَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا ذَكَرَ الـْمَوْتَ فِيْ صَلاَتِهِ لَحَرِيٌّ أَنْ يُحْسِنَ صَلاَتَهُ ، وَصَلِّ صَلاَةَ رَجُلٍ لاَ يَظُنُّ أَنَّهُ يُصَلِّيْ صَلاَةً غَيْرَهَا ، وَإِيَّاكَ وَكُلَّ أَمْرٍ يُعْتَذَرُ مِنْهُ

‘‘নামাযরত অবস্থায় মৃত্যুর কথা স্মরণ করো। কারণ, কেউ নামায পড়ার সময় মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে সে অবশ্যই তার নামায খানা অত্যন্ত সুন্দর করে পড়বে। এমন ব্যক্তির নামাযের ন্যায় নামায পড়ো যে এমন মনে করে না যে সে এরপরও তার জীবনে কোন নামায পড়বে। এমন কাজ করা থেকে বহু দূরে থাকো যা করলে একদা তোমাকে উক্ত কাজের জন্য অন্যের নিকট কৈফিয়ত দিতে হবে’’।[1]

আবু আইয়ূব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.) এর নিকট এসে বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আমাকে অতি সংক্ষেপে কিছু কথা শিক্ষা দিন। তখন রাসূল (সা.) বলেন:

إِذَا قُمْتَ فِيْ صَلاَتِكَ فَصَلِّ صَلاَةَ مُوَدِّعٍ ، وَلاَ تَكَلَّمْ بِكَلاَمٍ تَعْتَذِرُ مِنْهُ ، وَأَجْمِعِ الْيَأْسَ عَمَّا فِيْ أَيْدِيْ النَّاسِ

‘‘যখন তুমি নামাযে দাঁড়াবে তখন দুনিয়া থেকে অচিরেই বিদায় গ্রহণকারী ব্যক্তির নামাযের ন্যায় নামায পড়ো। এমন কথা বলবে না যা বললে একদা তোমাকে উক্ত কথার জন্য অন্যের নিকট কৈফিয়ত দিতে হবে এবং মানুষের ধন-সম্পদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে নিরাশ থাকবে তথা তাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ারই আশা করবে না’’।[2]

[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১৪২১)
[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২৪৬)

কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করা

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

مَنْ بَاعَ جِلْدَ أُضْحِيَّتِهِ فَلاَ أُضْحِيَّةَ لَهُ

‘‘যে ব্যক্তি নিজ কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলো তার কুরবানী আল্লাহ্ তা’আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না’’।[1]
তবে সে টাকা গরিবকে দান করার জন্য বিক্রি করা হলে তাতে কোন অসুবিধে নেই।
[1] (স’হী’হুল-জা’মি’, হাদীস ৭৫২১)

সম্পদে, স্বাস্থ্যে কিংবা শারীরিক গঠনে কারও প্রতি ঈর্ষান্বিত হওয়া

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبُوا ۖ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبْنَ ۚ وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِن فَضْلِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

‘‘যে ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের কাউকে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তা তোমরা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না। পুরুষরা যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ রয়েছে। আর নারীরা যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ রয়েছে। বরং তোমরা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার নিকট শ্রেষ্ঠত্ব কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী’’। (নিসা’ : ৩২)

বরং কখনো ধন-সম্পদে বা গঠন-আকৃতিতে উন্নত এমন কারোর দিকে আপনার চোখ পড়ে গেলে সাথে সাথেই এ ব্যাপারে আপনার চেয়েও নিম্ন এমন কারোর দিকে আপনি তাকাবেন। তা হলেই আপনি সর্বদা আল্লাহ্ তা’আলার প্রতি একান্তভাবে কৃতজ্ঞ থাকতে পারবেন।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِيْ الـْمَالِ وَالْـخَلْقِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ مِمَّنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ

‘‘শারীরিক গঠন কিংবা ধন-সম্পদে শ্রেষ্ঠ এমন কারোর প্রতি তোমাদের কারোর দৃষ্টি পড়লে সে যেন এ ব্যাপারে তার চেয়ে নিচু ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যার উপর তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

اُنْظُرُوْا إِلَى مَنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ ، وَلاَ تَنْظُرُوْا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ ، فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوْا نِعْمَةَ اللهِ عَلَيْكُمْ

‘‘তোমরা সর্বদা তোমাদের নিচের লোকদের প্রতি দৃষ্টিপাত করো। কখনো উপরের লোকদের প্রতি দৃষ্টিপাত করো না। তা হলে আশা করা যায় যে, তোমরা একদা তোমাদের উপর অর্পিত আল্লাহ্ তা’আলার অসংখ্য নি’মত অবহেলা করবে না’’।[2]
[1] (বুখারী, হাদীস ৬৪৯০ মুসলিম, হাদীস ২৯৬৩)
[2] (মুসলিম, হাদীস ২৯৬৩)

বিনা প্রয়োজনে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَانِكُمْ أَن تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

‘‘তোমরা সৎকাজ, আল্লাহভীরুতা ও মানুষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-বিগ্রহের সুষ্ঠু মীমাংসা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নামকে তোমাদের কসমের লক্ষ্যবস্ত্ত বানিও না। বস্ত্ততঃ আল্লাহ্ তা’আলা সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা’’। (বাক্বারাহ্ : ২২৪)

আবু ক্বাতাদাহ্ আন্সারী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) কে নিম্নোক্ত কথা বলতে শুনেছি তিনি বলেন:

إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِي الْبَيْعِ فَإِنَّهُ يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ

‘‘তোমরা কোন কিছু বিক্রি করতে গিয়ে অযথা বেশি বেশি কসম খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। কারণ, কোন কিছু বিক্রির সময় কসম খেলে তা অতি দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় ঠিকই। তবে এ জাতীয় লাভে কোন বরকত থাকে না’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) কে নিম্নোক্ত কথা বলতে শুনেছি তিনি বলেন:

الْـحَلِفُ مَنْفَقَةٌ لِلسِّلْعَةِ مَمْحَقَةٌ لِلرِّبْحِ

‘‘কোন পণ্য বিক্রির সময় কসম খেলে তা অতি দ্রুত বিক্রি হয় ঠিকই। তবে তাতে সত্যিকারার্থে কোন লাভ নেই। তথা বরকত নেই’’।[2]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৬০৭)
[2] (মুসলিম, হাদীস ১৬০৬)

দাঁড়িয়ে জুতা পরা

জাবির, আবু হুরাইরাহ্ ও আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْتَعِلَ الرَّجُلُ قَائِمًا

‘‘রাসূল (সা.) যে কোন কাউকে দাঁড়িয়ে জুতা পরতে নিষেধ করেছেন’’।[1]
কারণ, কিছু জুতা এমন রয়েছে যে, তা পরতে হলে বসতে হয়। যদি তা বসে পরা না হয় তাহলে তা দাঁড়িয়ে পরার সময় লোকটির মাটিতে পড়ে যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। তাই রাসূল (সা.) এমন জুতা দাঁড়িয়ে পরতে নিষেধ করেছেন। তবে যে জুতা পরতে বসতে হয় না। যেমনঃ স্যান্ডেল। তাহলে তা দাঁড়িয়েও পরা যেতে পারে।
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৪১৩৫ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৬৮৫, ৩৬৮৬)

এক পায়ে জুতা বা মোজা পরে চলাফেরা করা

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا انْقَطَعَ شِسْعُ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَمْشِ فِيْ نَعْلٍ وَاحِدَةٍ حَتَّى يُصْلِحَ شِسْعَهُ ، وَلاَ يَمْشِ فِيْ خُفٍّ وَاحِدٍ ، وَلاَ يَأْكُلْ بِشِمَالِهِ ، وَلاَ يَحْتَبِ بِالثَّوْبِ الْوَاحِدِ ، وَلاَ يَلْتَحِفِ الصَّمَّاءَ

‘‘তোমাদের কারোর একটি জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে সে যেন আরেকটি জুতা পরে চলাফেরা না করে যতক্ষণ না সে উক্ত জুতার ফিতা ঠিক করে নেয়। তেমনিভাবে তোমাদের কেউ যেন একটি মোজা পরে চলাফেরা না করে এবং বাম হাত দিয়ে কোন কিছু না খায়। তেমনিভাবে তোমাদের কেউ যেন একটি কাপড় শরীরে এমনভাবে পেঁচিয়ে না পরে যাতে করে তার লজ্জাস্থান খুলে যায় অথবা এমনভাবে পেঁচিয়ে না পরে যাতে করে তার হাতগুলো সহজে বের করা না যায়’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২০৯৯)

শাস্তিপ্রাপ্ত কোন জাতির শাস্তির এলাকা বিনা কান্নায় স্বাভাবিকভাবেই অতিক্রম করা

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) যখন ’হিজ্র তথা সামূদ্ জাতির শাস্তির এলাকা অতিক্রম করছিলেন তখন তিনি সাহাবাগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

لاَ تَدْخُلُوْا مَسَاكِنَ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا أَنْفُسَهُمْ أَنْ يُصِيْبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ ، إِلاَّ أَنْ تَكُوْنُوْا بَاكِيْنَ ، ثُمَّ قَنَّعَ رَأْسَهُ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى أَجَازَ الْوَادِيَ

‘‘যারা আল্লাহ্ তা’আলার অবাধ্য হয়ে নিজের উপর নিজে যুলুম করেছে তাদের এলাকায় তোমরা কান্নারত অবস্থা ছাড়া পদার্পণ করো না। তা না হলে তোমরা সে শাস্তিতেই নিপতিত হবে যাতে তারা একদা নিপতিত হয়েছে। অতঃপর রাসূল (সা.) নিজ মাথা খানা ঢেকে দ্রুত উক্ত এলাকা অতিক্রম করেন’’।[1]
[1] (বুখারী, হাদীস ৪৩৩, ৩৩৮০, ৩৩৮১, ৪৪১৯, ৪৪২০, ৪৭০২ মুসলিম, হাদীস ২৯৮০)

কারোর কবরকে জমিন থেকে এক বিঘতের বেশি উঁচু করা

আবুল্ হাইয়াজ্ আসাদী (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: ’আলী (রা.) একদা আমাকে বললেন:

أَلاَ أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِيْ عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! أَنْ لاَ تَدَعَ تِمْثَالاً وَلاَ صُوْرَةً إِلاَّ طَمَسْتَهَا، وَلاَ قَبْراً مُشْرِفاً إِلاَّ سَوَّيْتَهُ

‘‘আমি কি তোমাকে এমন কাজে পাঠাবো না যে কাজে আমাকে রাসূল (সা.) পাঠিয়েছেন?! তুমি কোন মূর্তি বা ছবি পেলে তা মুছে দিবে এবং কোন উঁচু কবর পেলে তা সমান করে দিবে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৯৬৯ আবু দাউদ, হাদীস ৩২১৮ তিরমিযী, হাদীস ১০৪৯ নাসায়ী : ৪/৮৮-৮৯ আহ্মাদ্ : ১/৯৬, ১২৯ হা’কিম : ১/৩৬৯)

দিগ্বিদিক পাথর কিংবা ঢিল ছোঁড়া

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মুগাফফাল মুযানী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى النَّبِيُّ  عَنِ الْـخَذْفِ ، وَقَالَ : إِنَّهُ لاَ يَقْتُلُ الصَّيْدَ وَلاَ يَنْكَأُ الْعَدُوَّ ، وَإِنَّهُ يَفْقَأُ الْعَيْنَ وَيَكْسِرُ السِّنَّ

‘‘নবী (সা.) দিগ্বিদিক পাথর কিংবা ঢিল ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন এবং তিনি বলেনঃ এতে না কোন শিকার মারা যায় ; না কোন শত্রু ঘায়েল হয়। বরং এতে হয়তো বা কারোর চোখ নষ্ট হয় অথবা কারোর দাঁত ভেঙ্গে যায়’’।[1]
[1] (বুখারী, হাদীস ৬৩২০ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৪)

নামাযে রুকু’ কিংবা সিজদাহরত অবস্থায় কুর’আন তিলাওয়াত করা

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

أَلاَ وَإِنِّيْ نُهِيْتُ أَنْ أَقْرَأَ الْقُرْآنَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا ، فَأَمَّا الرُّكُوْعُ فَعَظِّمُوْا فِيْهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ ، وَأَمَّا السُّجُوْدُ فَاجْتَهِدُوْا فِيْ الدُّعَاءِ ، فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ

‘‘তোমরা কি জানো না যে, আমাকে রুকু’ কিংবা সিজ্দাহ্রত অবস্থায় কুর’আন তিলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তোমরা রুকু’ অবস্থায় মহান প্রভুর মহত্ব কীর্তন করবে এবং সিজ্দাহ্রত অবস্থায় বেশি বেশি দো’আ করবে। আশা করা যায় আল্লাহ্ তা’আলা উক্ত দো’আ কবুল করবেন’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ৪৭৯)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url