যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (২৪) || কারোর ঘরের অভ্যন্তরে উঁকি মারা || অযোগ্য ব্যাক্তির নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত হওয়া ||






২৪-তম পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

ধর্মীয় কাজে কাফির-মুশরিকের সহযোগিতা নেয়া

ধর্মীয় কোন কাজে কাফির কিংবা মুশরিকের কোন ধরনের সহযোগিতা নেয়া
’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِبَلَ بَدْرٍ ، فَلَمَّا كَانَ بَحَرَّةِ الْوَبْرَةِ أَدْرَكَهُ رَجُلٌ ، قَدْ كَانَ يُذْكَرُ مِنْهُ جُرْأَةٌ وَنَجْدَةٌ ، فَفَرِحَ أَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ رَأَوْهُ ، فَلَمَّا أَدْرَكَهُ قَالَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : جِئْتُ لِأَتَّبِعَكَ وَأُصِيْبَ مَعَكَ ، قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : تُؤْمِنُ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ؟ قَالَ : لاَ ، قَالَ: فَارْجِعْ فَلَنْ أَسْتَعِيْنَ بِمُشْرِكٍ قَالَتْ : ثُمَّ مَضَى حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالشَّجَرَةِ أَدْرَكَهُ الرَّجُلُ ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَ أَوَّلَ مَرَّةٍ ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَالَ أَوَّلَ مَرَّةٍ ، قَالَ: فَارْجِعْ فَلَنْ أَسْتَعِيْنَ بِمُشْرِكٍ قَالَ : ثُمَّ رَجَعَ فَأَدْرَكَهُ بِالْبَيْدَاءِ ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَـالَ أَوَّلَ مَرَّةٍ ، تُؤْمِنُ بِاللهِ وَ رَسُوْلِهِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : فَانْطَلِقْ

‘‘রাসূল (সা.) একদা বদরের দিকে বের হলেন। যখন তিনি ’হার্রাতুল্-ওয়াবারাহ্ নামক এলাকায় পৌঁছুলেন তখন তাঁর সাথে জনৈক ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়। যার ব্যাপারে সাহসিকতা ও বিপদের সময় অন্যকে সহযোগিতা করার প্রসিদ্ধি ছিলো। তাকে দেখে রাসূল (সা.) এর সাহাবাগণ খুশি হলেন। সে রাসূল (সা.) কে বললো: আমি আপনার সঙ্গে আপনার শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছি। তখন রাসূল (সা.) তাকে বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূলের উপর ঈমান এনেছো? সে বললো: না। তখন রাসূল (সা.) তাকে বললেন: না। তুমি চলে যাও। আমি কখনো কোনো মুশরিকের সহযোগিতা নেবো না। ’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: অতঃপর লোকটি চলে গেলো। ইতিমধ্যে আমরা ’’শাজারাহ্’’ নামক এলাকায় পৌঁছুলে লোকটি আবারো রাসূল (সা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর নিকট একই প্রস্তাব করলে রাসূল (সা.) তাকে একই উত্তর দিয়ে বললেন: না। তুমি চলে যাও। আমি কখনো কোনো মুশরিকের সহযোগিতা নেবো না। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর লোকটি চলে গেলো। ইতিমধ্যে আমরা ’’বাইদা’’’ নামক এলাকায় পৌঁছুলে লোকটি আবারো রাসূল (সা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর নিকট একই প্রস্তাব করলে রাসূল (সা.) তাকে বললেন: তুমি কি আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূলের উপর ঈমান এনেছো? সে বললো: হাঁ। তখন রাসূল (সা.) তাকে বললেন: তা হলে তুমি এখন আমার সাথে চলো’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৮১৭)

প্রশাসক থাকাবস্থায় জন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে অন্য প্রশাসককে নিয়োগ দেয়া

কোন দেশে এক প্রশাসক থাকাবস্থায় সেখানকার কোন জন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে অন্য কোন প্রশাসককে নিয়োগ দেয়া
আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا بُوْيِعَ لِخَلِيْفَتَيْنِ فَاقْتُلُوْا الآخِرَ مِنْهُمَا

‘‘যখন (কোন দেশে) একই সময়ে দু’ জন খলীফার জন্য বায়’আত করা হয় তখন তোমরা পরবর্তী খলীফাকে হত্যা করো’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৮৫৩)

অযোগ্য ব্যাক্তির নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত হওয়া

কোন ব্যাপারে নেতৃত্ব দেয়ার পুরোপুরি যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাতে নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত হওয়া
আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

يَا أَبَا ذَرٍّ! إِنِّيْ أَرَاكَ ضَعِيْفًا، وَإِنِّيْ أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِيْ ، لاَ تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ ، وَلاَ تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيْمٍ

‘‘হে আবু যর! আমি তোমাকে (নেতৃত্বের ব্যাপারে) দুর্বল মনে করছি। আমি যা নিজের জন্য পছন্দ করছি তা তোমার জন্যও পছন্দ করছি। তুমি কখনো এমনকি দু’জনের উপরও নেতৃত্ব দিতে যাবে না এবং কোন এতিমের সম্পদেরও দায়িত্ব নিবে না’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৮৫৩)

অকারণে আনুগত্য ত্যাগ করা

যে কোন ছুতানাতা দেখিয়ে উপরস্থ কোন ব্যক্তির আনুগত্য ত্যাগ করা
জুনাদাহ্ বিন্ আবু উমাইয়াহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমরা একদা ’উবাদাহ্ বিন্ স্বামিত (রা.) এর উপস্থিত হলাম। তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। আমরা তাঁকে বললাম: আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে সুস্থ করুন! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু হাদীস শুনান যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে লাভবান করবেন। যা আপনি একদা রাসূল (সা.) এর মুখ থেকে শুনেছেন। তখন তিনি বলেন:

دَعَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْنَاهُ ، فَكَانَ فِيْمَا أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ بَايَعْنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِيْ مَنْشَطِنَا وَمَكْرَهِنَا، وَعُسْرِنَا وَيُسْرِنَا ، وَأَثَرَةٍ عَلَيْنَا ، وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ ، قَالَ: إِلاَّ أَنْ تَرَوْا كُفْراً بَوَاحاً عِنْدَكُمْ مِنَ اللهِ فِيْهِ بُرْهَانٌ

‘‘একদা রাসূল (সা.) আমাদেরকে ডেকে পাঠিয়ে বাই’আত করালেন। বাই’আতের মধ্যে যা ছিলো তা হলো, আমরা তাঁর হাতে এ মর্মে বাই’আত করলাম যে, আমরা আমাদের উপরস্থদের কথা শুনবো এবং তাঁদের আনুগত্য করবো। চাই তা আমাদের মনের পক্ষেই হোক বা বিপক্ষে। চাই তা সাধারণ পরিস্থিতিতেই হোক বা কঠিন পরিস্থিতিতে। চাই তা আমাদের অধিকারকে অগ্রাহ্য করেই হোক না কেন। আর আমরা প্রশাসকদের সাথে প্রশাসন সংক্রান্ত কোন দ্বন্দ্বেই লিপ্ত হবো না। রাসূল (সা.) বললেন: তবে তোমরা যখন তাদের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোন কুফরি দেখতে পাবে যার ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ রয়েছে’’।[1]
[1] (মুসলিম, হাদীস ১৭০৯)

কারোর ঘরের অভ্যন্তরে উঁকি মারা

দরজা কিংবা দেয়ালের কোন ফাঁকা জায়গা দিয়ে কারোর ঘরের অভ্যন্তরে তাকানো
সাহল বিন্ সা’দ্ সা’য়িদী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.) এর দরজার কোন এক ছিদ্র দিয়ে তাঁর ঘরের অভ্যন্তরে উঁকি মারছিলো। তখন রাসূল (সা.) এর হাতে একটি লোহার শলা ছিলো যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা চুলকাচ্ছিলেন। অতঃপর রাসূল (সা.) এর সাথে তার সাক্ষাৎ হলে রাসূল (সা.) তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ تَنْظُرُنِيْ لَطَعَنْتُ بِهِ فِيْ عَيْنِكَ، إِنَّمَا جُعِلَ الْإِذْنُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ

‘‘আমি যদি জানতাম তুমি আমাকে (দরজার ছিদ্র দিয়ে) দেখছো তা হলে আমি হাতের শলাটি দিয়ে তোমার চোখে আঘাত হানতাম। অবৈধ দৃষ্টি ক্ষেপণ থেকে বাঁচার জন্যই তো (শরীয়তে) অনুমতি চাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে’’।[1]

কেউ যদি দরজা, জানালা অথবা দেয়ালের কোন ফাঁকা জায়গা দিয়ে কারোর ঘরের অভ্যন্তরে তাকায় এবং উক্ত ঘরের কেউ যদি কোন কিছু দিয়ে আঘাত করে তার চোখটি নষ্ট করে দেয় তবে তাতে কোন দিয়ত তথা অর্থদন্ড নেই।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لَوْ أَنَّ رَجُلاً اطَّلَعَ عَلَيْكَ بِغَيْرِ إِذْنٍ فَحَذَفْتَهُ بِحَصَاةٍ فَفَقَأْتَ عَيْنَهُ ، مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جُنَاحٍ

‘‘যদি কেউ তোমার অনুমতি ছাড়াই তোমার ঘরে উঁকি মারে অতঃপর তুমি তাকে লক্ষ্য করেই পাথর মেরে তার চোখটি নষ্ট করে দিলে তাতে তোমার কোন অপরাধ নেই’’।[2]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২১৫৬)
[2] (মুসলিম, হাদীস ২১৫৬)

কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সে জায়গায় নিজে বসা

কাউকে নিজ জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সে জায়গায় নিজে বসা
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يُقِيْمُ الرَّجُلُ الرَّجُلَ مِنْ مَقْعَدِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيْهِ ، وَلَكِنْ تَفَسَّحُوْا وَتَوَسَّعُوْا

‘‘কেউ যেন অন্যকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে নিজে না বসে। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবেঃ আপনারা একটু নড়েচড়ে বসুন, আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন’’।[1]

বিশেষ করে জুমার দিনে উক্ত কাজটি আরো নিন্দনীয়।

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يُقِيْمَنَّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ ، ثُمَّ لْيُخَالِفْ إِلَى مَقْعَدِهِ فَيَقْعُدَ فِيْهِ ، وَلَكِنْ يَقُوْلُ: افْسَحُوْا

‘‘তোমাদের কেউ তার কোন মুসলিম ভাইকে জুমু’আর দিন নিজ জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সে জায়গায় নিজে বসবে না। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবে: আপনারা আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন’’।[2]

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর অভ্যাস ছিলো যে, তিনি কেউ তাঁর সম্মানার্থে নিজ জায়গা ছেড়ে উঠে গিয়ে তাঁর জন্য জায়গা করে দিলে তিনি সেখানে বসতেন না।

বরং এটি কোন ইসলামী সংস্কৃতিও নয় যে, কেউ অন্যের সম্মানার্থে তাকে কোন মজলিসে বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য সে নিজ জায়গা ছেড়ে উঠে যাবে।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يَقُوْمُ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ مِنْ مَجْلِسِهِ ، وَلَكِنِ افْسَحُوْا ؛ يَفْسَحِ اللهُ لَكُمْ

‘‘কেউ যেন অন্যের সম্মানার্থে তাকে বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য নিজ জায়গা ছেড়ে না দাঁড়ায়। বরং সে মজলিসে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবেঃ আপনারা আমাকে বসার জন্য একটু জায়গা করে দিন। আল্লাহ্ তা’আলা আপনাদেরকে জান্নাতে জায়গা করে দিবেন’’।[3]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২১৭৭)
[2] (মুসলিম, হাদীস ২১৭৮)
[3] (আহ্মাদ্ ২/৪৮৩)

কারোর ঘরে ঢুকার সময় ‘আমি’ বলে পরিচয় দেয়া

কারোর ঘরে ঢুকার অনুমতি চাওয়ার সময় তাকে নিজ পরিচয় দিতে গিয়ে ’আমি’ বলে পরিচয় দেয়া
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

اسْتَأْذَنْتُ عَلَى النَّبِيِّ  فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقُلْتُ: أَنَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا، أَنَا !!

‘‘আমি নবী (সা.) এর নিকট ঢুকার অনুমতি চাইলে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসা করলেনঃ কে ? আমি বললামঃ আমি। প্রত্যুত্তরে নবী (সা.) বললেনঃ আমি আমি!! তথা নবী (সা.) এ জাতীয় উত্তর অপছন্দ করলেন’’।[1]
শরীয়ত সম্মত নিয়ম হচ্ছে, অনুমতিপ্রার্থীর পরিচয় চাওয়া হলে সে তার সঠিক নামটি বলবে। চাই অনুমতিপ্রার্থী এক হোক বা একাধিক। কারণ, এমনো হতে পারে যে, অনুমতিদাতা একই অবস্থায় কাউকে অনুমতি দেওয়া পছন্দ করেন। আবার অন্যকে নয়।
[1] (মুসলিম, হাদীস ২১৫৫)

যুদ্ধ কিংবা মারামারির সময় কারও চেহারায় আঘাত করা

যুদ্ধ কিংবা কারোর সাথে মারামারির সময় তার চেহারায় আঘাত করা
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْتَنِبِ الْوَجْهَ

‘‘তোমাদের কেউ অন্যের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলে তখন প্রতিপক্ষের চেহারায় আঘাত করা থেকে বিরত থাকবে’’।[1]
[1] (বুখারী, হাদীস ২৫৫৯)

ধারালো অস্ত্র খোলাবস্থায় আদান-প্রদান করা

তলোয়ার, ছুরি কিংবা যে কোন ধারালো অস্ত্র একে অপরকে খোলাবস্থায় আদান-প্রদান করা
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُتَعَاطَى السَّيْفُ مَسْلُوْلاً

‘‘রাসূল (সা.) তলোয়ার খোলাবস্থায় আদান-প্রদান করতে নিষেধ করেছেন’’।[1]

এমনকি কোন ধারালো অস্ত্র খোলাবস্থায় সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করাও শরীয়তে নিষিদ্ধ।

আবু মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا مَرَّ أَحَدُكُمْ فِيْ مَسْجِدِنَا أَوْ فِيْ سُوْقِنَا وَمَعَهُ نَبْلٌ ، فَلْيُمْسِكْ عَلَى نِصَالِهَا بِكَفِّهِ أَنْ يُصِيْبَ أَحَداً مِنَ الْـمُسْلِمِيْنَ مِنْهَا بِشَيْءٍ

‘‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে কিংবা বাজারে তীর নিয়ে চলাফেরা করে তখন সে যেন তীরের অগ্রভাগটুকু নিজ হাতের মুঠোয় ধরে রাখে। যাতে করে কোন মুসলমান তার তীরের আঘাতে আক্রান্ত না হয়’’।[2]
[1] (তিরমিযী, হাদীস ২১৬৩)
[2] (মুসলিম, হাদীস ২৬১৫)

সাবালিকা মেয়ের ওড়না ছাড়া নামায পড়া

ওড়না ছাড়া কোন সাবালিকা মেয়ের নামায পড়া
’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ يَقْبَلُ اللهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ

‘‘আল্লাহ্ তা’আলা ওড়না বিহীন কোন সাবালিকা মেয়ের নামায গ্রহণ করেন না’’।[1]
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৬৪১)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url