আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-১৭) || জটিল পরিস্থিতিতে হতাশ হবেন না || হতাশার কিছু কুপ্রভাব || হতাশার কিছু কুপ্রভাব || হতাশা ও ক্রোধের ফল ||





হতাশা ও ক্রোধের পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 


এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

জটিল পরিস্থিতিতে হতাশ হবেন না

আপনি যখন নিজেকে কঠিন অবস্থায় দেখতে পাবেন তখন নিম্নোক্ত কাজগুলো করবেন-

১. নিজেকে প্রশ্ন করুন- সবচেয়ে খারাপ কী ঘটতে পারে?
২. সর্বাপেক্ষা খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
৩ খারাপ কিছু ঘটলে পরিস্থিতিকে ভালোভাবে সামাল দেয়ার জন্য ঠাণ্ডা মাথায় এর মোকাবেলা করুন।

إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

“(যে সব মুসলিমদেরকে মুনাফিকরা বলেছিল যে), তোমাদের বিরুদ্ধে (যুদ্ধ করার জন্য) একদল (কাফের) লোক জমায়েত হয়েছে, সুতরাং, তাদেরকে ভয় কর এতে মু’মিনদের ঈমান আরো বেড়ে গেল এবং তারা বলল

“আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম অভিভাবক!" (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭৩)

হতাশা থেকে বাঁচতে যে আয়াতগুলোর কথা ভাববেন

“আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দিবেন। আর তাকে এমনভাবে বা এমন উৎস হতে রিযিক দান করবেন যে সে তার ধারণাও করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা রাখে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।” (৬৫-সূরা আত তালাক: আয়াত-২০৩)

“আল্লাহ কষ্টের পর (অভাবের পর) আরাম (স্বচ্ছলতা) দিবেন।” (৬৫-সূরা আত তালাক্‌: আয়াত-৭)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “এবং যেনে রাখ যে, ধৈর্যের মাধ্যমে বিজয় আসে এবং সঙ্কটের পরেই স্বচ্ছলতা আসে আর কষ্টের পরেই স্বস্তি আসে।”

অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-

“বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা করে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি; সুতরাং, তার যেমন মনে চায় আমার প্রতি তেমনই ধারণা করুক।”

“তাদের বিরুদ্ধে তোমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট হবে। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-১৩৭)

“এবং (এমন) চিরঞ্জীবের উপর নির্ভর কর যিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না।” (২৫-সূরা আল ফুরকান: আয়াত-৫৮)

“আশা করা যায় যে, আল্লাহ তার পক্ষ থেকে বিজয় অথবা কোনো সিদ্ধান্ত দিবেন।” (৫-সূরা মায়িদা: আয়াত-৫২)

لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ اللَّهِ كَاشِفَةٌ

আল্লাহ ছাড়া এটাকে কেউ প্রতিহত, অপসারিত, ব্যাহত, স্থগিত, বিলম্বিত অথবা প্রকাশিত করতে পারবে না।” (৫৩-সূরা আন নাজম: আয়াত-৫৮)

হতাশা দেহ-মনকে দুর্বল করে

চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডা. এলেক্সিস কারলাইল বলেছেন- “যেসব কাজের লোকেরা উদ্বিগ্ন” ও মানসিক চাপ দমন করতে জানে না তারা অন্যদের তুলনায় বেশি মাত্রায় অকালে মরণশীল।” বাস্তবিক, যা কিছু ঘটে তা স্বর্গীয় বিধান বা তকদীর অনুসারেই ঘটে। তা সত্ত্বেও প্রত্যেককেই সমস্যা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। আর এ কারণেই কারলাইল যথার্থই বলেছেন যে, যা শরীরের ক্ষতি করে উদ্বিগ্নতা তার একটি।

হতাশা ক্ষতের কারণ

“আপনি যা ভক্ষণ করছেন তার কারণে আপনি ক্ষতে আক্রান্ত হবেন না, কিন্তু, যা আপনাকে ভক্ষণ করছে তার কারণেই আপনি ক্ষতাক্রান্ত হবেন।”

ডা. জোসেফ এফ মন্টাগনর ‘স্নায়ুবিক সমস্যা’ নামক পুস্তক থেকে (উপরোক্ত) এ উদ্ধৃতাংশটুকু নেয়া হয়েছে।

প্রসিদ্ধ আরব কবি মোতানাব্বি বলেছেন-
“দুশ্চিন্তা মোটা ব্যক্তিকে হ্যাংলা-পাতলা ও শীর্ণ বানিয়ে ফেলে, এটা যুবকের চুল পাকায় ও তাকে বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলে।” এবং ‘লাইফ’ নামক পত্রিকা মতে মরণ ব্যাধির তালিকায় ক্ষতের স্থান দশম।

হতাশার কিছু কুপ্রভাব

আমি ইদানিং ডাঃ এডওয়ার্ড বডওল্‌স্কির ‘Stop Worrying and Seek Betterment’ নামক পুস্তকের অনুবাদ পড়েছি এখানে তার বই থেকে কয়েকটি অধ্যায়ের নাম দেয়া গেল

১. উদ্বিগ্নতা হার্টের ক্ষতি করে।
২. উদ্বিগ্নতার কারণে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে বা দেখা দেয়।
৩. উদ্বিগ্নতা কয়েক প্রকার বাতের কারণ হতে পারে।
৪. আপনার নাড়িভুড়ির উপকারার্থে আপনার উদ্বিগ্নতার মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন।
৫. উদ্বিগ্নতাকে কিভাবে সাধারণ সর্দির কারণ মনে করা যায়।
৬. উদ্বিগ্নতা ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ড।
৭. ডায়াবেটিসের শিকার এ উদ্বিগ্নতার কারণে।

মনোবিজ্ঞানী ডা. কার্ল মেনিঞ্জার ‘Man Against Himself’ নামে একটি বই লিখেছেন। এ পুস্তকে তিনি বলেছেন-

“ডা. মেনিঞ্জার আপনাদেরকে উদ্বিগ্নতা কিভাবে এড়িয়ে চলতে হবে এর কোনো নিয়ম-কানুন দেবেন না; বরং তিনি উদ্বিগ্নতা, স্নায়ুবিকতা, হিংসা-বিদ্বেষ, ভয় ও প্রতিশোধ গ্রহণেচ্ছা কীভাবে আপনার নিজের দেহ-মনকে ধ্বংস করে দেয় তার উপর আপনাকে এক বিস্ময়কর প্রতিবেদন দিবেন।”

“এবং তারাও যারা ক্রোধ সংবরণ করে; নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৩৪)

এ আয়াত থেকে যেসব শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করা উচিত তার মধ্যে অধিকতর লক্ষণীয় হচ্ছে যে, আমাদের সুস্থ মন, মনের শান্তি, শান্তি স্নায়ু এবং সুখবোধ থাকতে হবে।

ফরাসী দার্শনিক একদা বলেছিলেন- “আমি আমার হাত দিয়ে আপনার সমস্যা সমাধানের সাহায্য করতে চাই- আমার লিভার ফুসফুস দ্বারা নয়।” (আপনার সমস্যা নিয়ে টেনশন করে আমি আমার লিভার ও ফুসফুসের সর্বনাশ করতে চাই না- বরং আমার ক্ষমতা দ্বারা যতটুকু পারি আপনার ততটুকু উপকরতে চাই।–অনুবাদক)

হতাশা ও ক্রোধের ফল

কর্নেল ইউনিভার্সিটির ডা. রাসেল সিসিল আরথ্রাইটিস রোগের চারটি বহু বিস্তৃত কারণ উল্লেখ করেন-

১. বৈবাহিক ঝগড়া (অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী-সংক্রান্ত ঝগড়া)
২. আর্থিক সঙ্কট ও হতাশা
৩. নিঃসঙ্গতা ও উদ্বিগ্নতা
৪. হিংসা-বিদ্বেষ

The Federation of American Dentists এ বক্তৃতা দানকালে ডাঃ উইলিয়াম মার্ক গংগিল মন্তব্য করেন-

“উদ্বিগ্নতা ও ভয়ের মতো অপ্রীতিকর অনুভূতি সম্ভবত দেহের ক্যালসিয়াম বণ্টনের ব্যাঘাত ঘটায় ফলে দাতের ক্ষয় হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকে।”

ধৈর্যের সাথে কষ্ট সহ্য করুন

ডেল কার্ণেগী বলেছেন- চীনারাসহ আফ্রিকান ও দক্ষিণ আমেরিকানরা খুব কমই দুশ্চিন্তাজনিত হৃদরোগের শিকার হয়। তারা যে শান্ত ও দুশ্চিন্তাহীন জীবন-যাপন করে এটাকেই এর কারণ হিসেবে জোর দিয়ে বলা যায়।

তিনি আরো বলেছেন- “পাঁচটি সর্বাপেক্ষা মারাত্মক রোগে সর্বমোট যতলোক মারা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক আমেরিকান মারা যায় আত্মহত্যা করে।” এটা এমন এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যান যা কিছুতেই হাল্কাভাবে দেখা বা বিবেচনা করা উচিত নয়।

প্রভু সম্বন্ধে সুধারণা পোষণ

উইলিয়াম জেমস বলেছেন- আল্লাহ আমাদের পাপসমূহকে ক্ষমা করেছেন, কিন্তু আমাদের স্নায়ুতন্ত্র (মন) তা করে না।”

ইবনুল ওয়ায়ীর তাঁর “আল আওয়াসিম ওয়াল ক্বওয়াসিম (العواصم القواصم)” নামক পুস্তকে বলেছেন-

“নিশ্চয় আল্লাহ্‌র রহমতের আশা করলে বান্দার আশার দুয়ার খুলে যায়, এতে তার ইবাদতের আগ্রহ বাড়ে, নফল ইবাদতে উৎসাহী হতে এবং সৎকাজে প্রতিযোগিতা করতে প্রেরণা যোগায়।”

বিশেষ করে একথা এ কারণে সত্য যে, কিছু লোক আছে যারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও মাহাত্ম্যের কথা স্মরণ না হলে সৎকাজ করার জন্য তাদের মনে সাড়া জাগে না। এসব গুণ নিয়ে ভেবে দেখলে ফল এ দাঁড়ায় যে, তারা অধ্যবসায়ের সাথে সৎ কাজ করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে চায়।

মন যখন আনমনা

টমাস এডিসন বলেছেন- “চিন্তা থেকে পলায়ন করার কোনো ফন্দি নেই।”

অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই বর্ণনার যথার্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারা যায়। কারণ, এমনকি লেখা-পড়ার সময়ও মানুষ অনবরত বেঠিক চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে আসে। এ ধরনের (বেঠিক) চিন্তা-ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উত্তম পন্থা হলো- এমন কোনো কাজে রত থাকা বা একই সময়ে আনন্দদায়ক ও উপকারীও বটে।

গঠনমূলক সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ

এন্ড্রি মরো বলেছেন- “যা কিছু আমাদের ব্যক্তিগত স্বভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বা সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই আমাদের কাছে সত্য মনে হয় আর অন্য সবকিছু শুধুমাত্র আমাদের ক্রোধ উৎপন্ন করে।”

যখন আমাদেরকে উপদেশ দেয়া হয় বা আমাদের সমালোচনা করা হয় তখনকার অবস্থার সাথে এ উদাহরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা প্রশংসাকে অত্যন্ত ভালোবাসি এবং যখন আমাদের প্রশংসা করা হয় তখন আমাদের মনটা বড় হয়ে যায় এমনকি আমাদেরকে অযৌক্তিক প্রশংসা করা হলেও। অপরপক্ষে আমরা সমালোচনা, নিন্দাকে ঘৃণা করি এমনকি আমাদের সম্বন্ধে যা বলা হয় তা সত্য হয়ে থাকলেও।

“এবং যখন তাদের মাঝে ফয়সালা করে দেয়ার জন্য তাদেরকে আল্লাহ ও তার রাসূলের নিকট আহবান করা হয় তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর যদি তাদের কোনো হক্ক বা প্রাপ্য থাকে তবে তারা তার নিকট বিনীতভাবে আসে।” (২৪-সূরা আন নূর: আয়াত-৪৮-৪৯)

উইলিয়াম জেমস বলেছেন- “আপনার প্রচেষ্টার ফলাফল সম্বন্ধে যে উদ্বিগ্নতা আপনাকে পেয়ে বসে ও আপনাকে পরাভূত বা পরাজিত করে তা থেকে আপনি তখন সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবেন- যখন আপনি কোনো নির্দিষ্ট দিনে কোনো কিছু করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।”

তিনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন তা হচ্ছে যখন আপনি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও সুস্থ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করবেন তখন আপনার সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা উচিত। অধিকন্তু আপনাকে অবশ্যই সন্দেহের কাছে পরাজিত হওয়া যাবে না। কেননা, সন্দেহ শুধু আরো সন্দেহেরই জন্ম দেয় এবং তারপর পিছনের দিকে ফিরে তাকানো যাবে না। (কাজ শুরু করার পর তা বাদ দেয়া যাবে না।)

আরব দেশের একজন কবি বলেছেন-

ذا كُنتَ ذا رأيٍ فكُن ذا عزيمةٍ ٭ فإن فساد الرأي أن تترددا

“যদি তুমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পার, তবে স্থির সিদ্ধান্ত নিও বা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করিও কেননা, ভুল সিদ্ধান্ত পরিবর্তনশীল।"

সিদ্ধান্ত নিতে সাহস প্রদর্শন আপনাকে উদ্বিগ্নতা ও দ্বিধা-দ্বন্দ থেকে সন্দেহাতীতভাবে রক্ষা করতে পারে।

“স্থির সিদ্ধান্ত নেবার পর যদি তারা আল্লাহর সত্যতা স্বীকার করত (বা আল্লাহর সাথে কৃত তাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করত) তবে তা তাদের জন্য অবশ্যই কল্যাণকর হতো।” (৪৭-সূরা মুহাম্মদ বা কেতাল: আয়াত-২১)

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডা. রিচার্ড ক্যাবোট তার ‘How Humans Live’ নামক পুস্তকে লিখেছেন- “সন্দেহ, ভয় ও অনিশ্চয়তা থেকে যে স্নায়বিক রোগ হয় এবং যারা এ রোগে ভোগে তাদের ওষুধ হিসেবে কাজ করাকে আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রস্তাব করছি।”

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ

অতপর যখন (জুমুআর) সালাত শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং (কাজ করার মাধ্যমে) আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর।” (৬২-সূরা আল জুমআ: আয়াত-১০)

জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন- “অযথা চিন্তায়, বিশেষ করে আপনি কি সুখী নাকি অসুখী এ নিয়ে (অযথা) চিন্তায় সময় নষ্ট করাটাই সম্ভবত হতাশার গোপন রহস্য। আপনার হৃদয়ের মনিকোঠায় এ ধরনের চিন্তা-ভাবনাকে চুপিসারে চলতে দিবেন না। বরঞ্চ অবিচলিতভাবে কাজে লেগে থাকুন। যখন আপনি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগিয়ে দিবেন তখন আপনার রক্ত (নব উদ্যমে) চলাচল করা শুরু করে দিবে এবং আপনার মন কাজে লেগে যাবে। আপনি দেখবেন যে শীঘ্রই আপনার নতুন জীবন দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে যাবে। নিয়মিতভাবে কাজ করে যান; কেননা এটা জমিনের বুকে সর্বাপেক্ষা দামী ও সবচেয়ে কার্যকর ঔষুধ ।

وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ وَالْمُؤْمِنُونَ

এবং হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুন, ‘তোমরা কাজ করতে থাক, কেননা, আল্লাহ, তার রাসূল ও মু’মিনগণ অচিরেই তোমাদের আমল (বা কাজ) দেখবেন।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-১০৫)

একটি জ্ঞানগর্ভ আরবদেশীয় প্রবাদ আছে- “জীবনকাল এত সংক্ষিপ্ত যে, এটা আরো সংক্ষিপ্ত করা যায় না।”

“তিনি (আল্লাহ) বলবেন, তোমরা পৃথিবীতে কত বছর অবস্থান করেছিলে? তারা বলবে, আমরা একদিন বা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছিলাম, (আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে) আপনি বরং হিসাব রক্ষকদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি (আল্লাহ) বলবেন, তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে; যদি তোমরা জানতে।" (২৩-সূরা আল মু'মিনূন: আয়াত ১১২-১১৪)


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 



***************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url